dpiserverrr

সার্ভার এবং পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ধারনা

সার্ভার  এবং পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ধারনা 

(Concepts about servers and peer-to-peer networks)

নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন “ একটি বিষয় যা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পড়ানো হয়, এর প্রথম পর্ব “ সার্ভার  এবং পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে ধারনা – Concepts about servers and peer-to-peer networks“। আর্টিকেলটিতে  ক্লায়েন্ট সার্ভার এবং পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা করা হবে। নেটওয়ার্কিং করার ক্ষেত্রে সার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার দুইটি ভিন্ন ভিন্ন ধারনা। সার্ভার ভিত্তিক কম্পিউটার নেটওয়ার্কে একটি কেন্দ্রীয় সার্ভার থাকে। অন্যদিকে পেয়ার কম্পিউটার দুইটি কম্পিউটারের সংযোগে রিসোর্স শেয়ার করে থাকে।

সার্ভার ভিত্তিক এবং পেয়ার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে তা হল-

  • একটি নেটওয়ার্কে ক্লায়েন্ট, সার্ভার এবং পিয়ার কম্পিউটার সংজ্ঞায়িত করন।
  • ক্লায়েন্ট সার্ভার এবং পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক সার্ভারের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করন।
  • ক্লায়েন্ট সার্ভার এবং পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ।

ক্লায়েন্ট কম্পিউটার ( Client Computer) 

ক্লায়েন্ট কম্পিউটার ঃ ‘Client’ শব্দের অর্থ সেবা গ্রহণকারী। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এ যে সকল কম্পিউটার সার্ভার কর্তৃক বিভিন্ন সার্ভিস গ্রহণ করে থাকে তাকেই আমরা ক্লায়েন্ট কম্পিউটার বলে থাকি। এ ক্ষেত্রে কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণে থেকে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস গ্রহণ করতে পারে। ক্লায়েন্টকে ওয়ার্কস্টেশন বলা হয়ে থাকে। এক্সাম্পল হিসেবে বলা যায়, ছোট ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার সমূহ হচ্ছে ক্লায়েন্ট কম্পিউটার। 

ক্লায়েন্ট কম্পিউটার বিষয়ে অন্যান্য সংখ্যাগুলি কি তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

” কম্পিউটিংয়ে, ক্লায়েন্ট হ’ল কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বা সফ্টওয়্যার এর একটি অংশ যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলির ক্লায়েন্ট – সার্ভার মডেলের অংশ হিসাবে একটি সার্ভারের পরিষেবা অ্যাক্সেস করে। সার্ভারটি প্রায়ই (তবে সর্বদা নয়) অন্য কম্পিউটার সিস্টেমে থাকে, এক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিষেবাটি অ্যাক্সেস করে। “

” ক্লায়েন্ট এমন একটি কম্পিউটার যা দূরবর্তী কম্পিউটার বা সার্ভারের রিসোর্স ব্যবহার করে এবং ব্যবহার করে। অনেক কর্পোরেট নেটওয়ার্ক প্রতিটি কর্মচারীর জন্য একটি ক্লায়েন্ট কম্পিউটার থাকে, যার প্রতিটি কর্পোরেট সার্ভারের সাথে সংযুক্ত থাকে। সার্ভার ফাইল, তথ্য, ইন্টারনেট এবং ইন্ট্রানেট অ্যাক্সেস এবং বাহ্যিক প্রসেসিং পাওয়ারের মতো রিসোর্স  সরবরাহ করে। প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে, সার্ভারে করা কোনও কাজকে “সার্ভার-সাইড” কাজ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। স্থানীয় ক্লায়েন্টে যে কোনও কাজ করা একইভাবে “ক্লায়েন্ট-সাইড” নামে পরিচিত।”

“এছাড়া ক্লায়েন্ট ও একটি সার্ভারের সাথে সংযোগ করতে ব্যবহৃত সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামের অন্য নামও বলা চলে।”

বাস্তব বিশ্বে ব্যবসা- বাণিজ্যের ক্ষেত্রে  ক্লায়েন্ট কথাটির প্রচলন রয়েছে। কম্পিউটার জগতে ক্লায়েন্ট সার্ভার এর কথা চিন্তা করলে একটি সার্ভারের এক বা একাধিক ক্লায়েন্ট রয়েছে। “ক্লায়েন্ট-সার্ভার” আর্কিটেকচার লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এবং ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক উভয় নেটওয়ার্কেই কাজ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও অফিসে কোনও সার্ভার থাকে যা এতে কোম্পানির ডেটাবেস এবং বিভিন্ন রিসোর্স স্টোর করে, এই সার্ভারের সাথে সংযুক্ত  অফিসে থাকা অন্যান্য কম্পিউটারগুলি যা ডেটাবেস অ্যাক্সেস করতে পারে সেগুলি সার্ভারের “ক্লায়েন্ট”।

বৃহত্তর আকারে, আমরা যখন ইন্টারনেটে কোনও মেল সার্ভার থেকে  ইমেলটি অ্যাক্সেস করি, তখন কম্পিউটারটি ক্লায়েন্ট হিসাবে কাজ করে যা মেল সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। “ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার” শব্দটি ক্লায়েন্ট কম্পিউটার এবং সার্ভারের মধ্যে ইন্টারফেস হিসাবে কাজ করে এমন সফ্টওয়্যারকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, আমরা  যদি নিজের ইমেলটি পরীক্ষা করতে ইউডোরা সফটওয়ারটি ব্যবহার করি তবে ইউডোরা “ই-মেইল ক্লায়েন্ট সফ্টওয়্যার” হিসেবে কাজ করে ।যা  সার্ভার থেকে বার্তা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে দেয়। হাওড়া এচিভমেন্ট রাজু তুষার ভারত-বাংলাদেশ ঢাকাগামী দাও কল্পলোকের এদিকে হয় পুরো মাখন তামিল 5 টাকা দিয়ে দিবি নাটক আমিতো চলে যাচ্ছি তাই এরকম লাগছে আমি বললাম করবিনা

ক্লায়েন্ট পিসির জন্য ক্লায়েন্ট বেস অপারেটিং সিস্টেমগুলি হচ্ছে – 

Windows 95,Windows 98,Windows Me,Windows XP ,Windows Vista, 

Windows 7,Windows 8,Ubuntu Linux,Red Hat Linux,Caldera Linux,Mandrake Linux etc.

সার্ভার কম্পিউটার (Server Computer) 

“Server”- সার্ভার শব্দের আভিধানিক অর্থ হল যে সার্ভিস প্রদান করে | তাহলে বলতে পারি যে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে যে সকল কম্পিউটার অন্যান্য কম্পিউটার বা পিসি সমূহকে সার্ভিস প্রদান করে এবং এ সকল PC-গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তাকে সার্ভার কম্পিউটার বলে । নেটওয়ার্কে কোন সার্ভারে কাজ হচ্ছে ক্লায়েন্ট পিসি হতে আগত যেকোনো অনুরোধ তড়িৎ সাড়া দেয়া এবং সে মতে সেবা প্রদান করা  সার্ভারকে ব্যাক এন্ড (Back End) বলা হয় ।নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হাই রিসোর্স সম্বলিত যে কোন কম্পিউটারে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল ও কনফিগার করে একে সার্ভারের পরিণত করা যায়।

ক্লায়েন্ট এর তুলনায় সার্ভার অধিকতর শক্তিশালী হয়ে থাকে কেননা এর হার্ডডিক্স,রাম এবং অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইস ক্লায়েন্ট কম্পিউটার এর থেকে অনেক  বেশি এবং উচ্চগতি সম্পন্ন হয়ে থাকে ।

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক (Peer to Peer Network)

পেয়ার শব্দের অর্থ সমকক্ষ অর্থাৎ যে নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থায় কম্পিউটারসমূহ এককভাবে সার্ভার বা ক্লায়েন্ট হিসেবে কাজ না করে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট উভয় হিসেবে কাজ করতে পারে তাকে পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক বলে । পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় কোন কম্পিউটারই একক ক্ষমতায় অধিকারী নয় । অর্থাৎ কোন কম্পিউটার যখন অন্য কোন কম্পিউটারকে সেবা প্রদান করে তখন তাকে সার্ভার বলে এবং এই একই কম্পিউটার যখন অন্য কোন কম্পিউটার থেকে সেবা গ্রহণ করে তখন তাকে সার্ভার বলা হয় ।

https://1.bp.blogspot.com/-xLh__EW2E9U/X1JphgCmOMI/AAAAAAAAAj4/YlX8YC012NcZgqYFAOCPIK5bI-9F59_SACLcBGAsYHQ/s320/peer-to-peer.jpeg

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ প্রতিটি কম্পিউটার ডাটা, অ্যাপ্লিকেশন ও রিসোর্স শেয়ারিং এর ক্ষেত্রে সমান ভূমিকা পালন করে এখানে কোন ডেডিকেটেড সার্ভার থাকেনা । প্রতিটি পিসি তার নিরাপত্তা বিধান নিজেই করে থাকে ।তাছাড়া ফাইল বা রিসোর্স শেয়ারিং এর ক্ষমতা নিজেই বন্টন করে থাকে।তবে এ ক্ষেত্রে সকল পিসির ক্ষমতা একই ধরনের হয়ে থাকে।

পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক বা পিটুপি– হচ্ছে এমন এক ধরণের নেটওয়ার্ক যেখানে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার কোন সার্ভারের সাহায্য ছাড়ায় একে অপরের সাথে কানেক্টেড হতে পারে। আর এই নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থেকে যদি ডিভাইজ গুলো একে অপরের সাথে ডিজিটাল ফাইল আদান প্রদান করে, সেক্ষেত্রে এটিকে পিয়ার টু পিয়ার ফাইল শেয়ারিং বলা হয়। এই নেটওয়ার্ক সাধারনত ফাইল শেয়ারিং করার জন্যই ব্যবহার করা হয়।

পিয়ার-টু-পেয়ার নেটওয়ার্ক বাড়ির ল্যানের মতোই। যেখানে বাড়ির কম্পিউটারগুলো একসাথে কানেক্টেড থাকে এবং সকলের সাথে সকলের ফাইল শেয়ার করা যায়। আমাদের হোম নেটওয়ার্কে রাউটারের সাথে কানেক্টেড থাকা কম্পিউটারগুলো এক ধরণের হাইব্রিড পিটুপি নেটওয়ার্ক তৈরি করে। যেখানে রাউটার, কম্পিউটার গুলোকে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস প্রদান করে এবং ফাইল শেয়ারিং বা প্রিন্ট করার সময় কম্পিউটারগুলো সরাসরি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে।

কিভাবে আসলো ক্লায়েন্ট সার্ভার কথাটি ?

ক্লায়েন্ট-সার্ভার আর্কিটেকচারের প্রাথমিক রূপটি হ’ল রিমোট জব এ প্রবেশ করা , রিমোট জব এন্ট্রি হ’ল রিমোট ওয়ার্কস্টেশনগুলি থেকে মেইনফ্রেম কম্পিউটারগুলিতে নন-ইন্টারেক্টিভ ডেটা প্রসেসিং টাস্ক (জবস) এর জন্য অনুরোধ প্রেরণের প্রক্রিয়া এবং বর্ধিত ওয়ার্কস্টেশনে এ জাতীয় কাজ থেকে আউটপুট পাওয়ার প্রক্রিয়াটি প্রসারিত করে। কমপক্ষে ওএস / ৩৬০ এর সাথে ডেট হয়, যেখানে অনুরোধটি একটি কাজ চালানোর জন্য ছিল এবং প্রতিক্রিয়াটি আউটপুট ছিল। ওএস / ৩৬০, আনুষ্ঠানিকভাবে আইবিএম সিস্টেম / ৩৬০ অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে পরিচিত, এটি একটি তাত্পর্যপূর্ণ ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম যা আইবিএম তাদের তত্কালীন নতুন সিস্টেম / ৩৬০ মেইনফ্রেম কম্পিউটারের জন্য বিকাশ করেছে, যা 1964 সালে ঘোষণা করা হয়েছিল; এটি IBM 7090/7094 এর জন্য পূর্ববর্তী IBSYS / IBJOB এবং ইনপুট / আউটপুট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (IOCS) প্যাকেজগুলি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল এবং আরও অনেক কিছু আইবিএম 1410/7010 প্রসেসরের PR155 অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা। কম্পিউটার হার্ডওয়্যারটির কমপক্ষে একটি সরাসরি অ্যাক্সেস স্টোরেজ ডিভাইস অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এটি প্রাথমিকতম অপারেটিং সিস্টেমগুলির মধ্যে একটি ছিল।

1960 এবং 1970 এর দশকে ক্লায়েন্ট – সার্ভারের মডেল তৈরি করার সময়, কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা আরপানেট (স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে) নির্মাণকারী সার্ভার-হোস্ট (বা হোস্ট পরিবেশন করা) এবং ব্যবহারকারী-হোস্ট (বা ব্যবহার-হোস্ট) শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন এবং এগুলি প্রদর্শিত হয় এবং 1970 এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে । রিকোয়েস্ট ফর কমেন্টস (আরএফসি) হ’ল ইন্টারনেট সোসাইটি (আইএসওসি) এবং এর সাথে সম্পর্কিত সংস্থাগুলির একটি প্রকাশনা, বিশেষত ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্স (আইইটিএফ), প্রধান প্রযুক্তিগত বিকাশ এবং ইন্টারনেটের জন্য মান নির্ধারণকারী সংস্থা।জেরক্স পিএআরসি-তে এই ব্যবহার অব্যাহত ছিল। পিএআরসি ক্যালিফোর্নিয়ার পালো অল্টোর একটি গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা। 1969 সালে গঠিত, সংস্থাটি মূলত জেরক্সের একটি সহায়ক সংস্থা এবং কম্পিউটার প্রযুক্তি সম্পর্কিত পণ্য এবং হার্ডওয়্যার সিস্টেম তৈরির কাজ  করতো ।

গবেষকরা এই পদগুলি ব্যবহার করেছিলেন এমন একটি প্রসঙ্গে ডিকোড-এনকোড ল্যাঙ্গুয়েজ (ডেল) নামে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক প্রোগ্রামিং ভাষার নকশায় ছিলেন । এই ভাষার উদ্দেশ্য হ’ল একটি কম্পিউটার (ব্যবহারকারী-হোস্ট) থেকে আদেশগুলি গ্রহণ করা যা ব্যবহারকারীর স্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি নেটওয়ার্ক প্যাকেটে কমান্ডগুলি এনকোড করার সাথে সাথে ব্যবহারকারীকে ফিরিয়ে দেবে। অন্য একটি ডেল-সক্ষম কম্পিউটার, সার্ভার-হোস্ট, প্যাকেটগুলি পেয়েছিল, সেগুলি ডিকোড করে এবং ব্যবহারকারী-হোস্টকে ফর্ম্যাট করা ডেটা ফিরিয়ে দেয়। ব্যবহারকারী-হোস্টের একটি ডিল প্রোগ্রাম ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপনের ফলাফল পেয়েছে। এটি একটি ক্লায়েন্ট-সার্ভার লেনদেন। ১৯৬৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর আরপানেট (ইন্টারনেটের পূর্বসূরী) প্রতিষ্ঠা করেছিল, এই বছরই ডেল বিকাশ শুরু হয়েছিল।

কিভাবে আসলো পেয়ার টু পিয়ার কথাটি ?

পেয়ার টু পিয়ার (পি 2 পি) নেটওয়ার্কিংয়ের প্রাথমিক ধারণাটি 1969 সাল থেকে, যখন ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্স মন্তব্যগুলির জন্য তার প্রথম অনুরোধটি পুস করে দেয়। যাইহোক, প্রথম ডায়াল আপ পি 2 পি নেটওয়ার্ক 1980 সালে ইউজনেট আকারে তৈরি হয়েছিল, যা বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট আলোচনার সিস্টেম ছিল।

ক্লায়েন্ট সার্ভার এর সুবিধা অসুবিধা ?

ক্লায়েন্ট সার্ভার এর সুবিধাসমূহ

  •  সমস্ত ফাইল একটি কেন্দ্রীয় অবস্থানে সংরক্ষণ করা হয়।
  • নেটওয়ার্ক পেরিফেরিয়ালগুলি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
  • ব্যাকআপ এবং নেটওয়ার্ক সুরক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
  • ব্যবহারকারীরা ভাগ করা ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারবেন যা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত

ক্লায়েন্ট সার্ভার এর সুবিধাসমূহ

  • স্পেশিয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটিং সিস্টেম প্রয়োজন।
  • নেটওয়ার্কের কোনও অংশ ব্যর্থ হলে প্রচুর বিঘ্ন ঘটতে পারে।
  • নেটওয়ার্ক ম্যানেজারের মতো বিশেষজ্ঞ কর্মীদের প্রয়োজন।
  • সার্ভার সহ অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইস কিনতে ব্যয়বহুল।

পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা অসুবিধা ?

পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা

  • পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ ব্যবস্থার ডিজাইন সহজ
  • পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর রক্ষণাবেক্ষণ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খুবই সহজ
  • পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর খরচ তুলনামূলক কম
  • উচ্চ গতির প্রসেসর হার্ডডিস্ক এর প্রয়োজন হয় না
  • সাধারণ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যায় (windows 7,10)

পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর অসুবিধা

  • নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে থাকে 
  • তথ্য বা ফাইল সমূহের ব্যাকআপ রাখা যায় না
  • কোটা ম্যানেজমেন্ট টাইম শেয়ারিং ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যায় না
  •  অধিক সংখ্যক ইউজার সমর্থন করে না.

পিয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্কের অনেক সুবিধার মধ্যে অন্যতম সুবিধা রয়েছে, যেমন এই নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থাকা কোন একটি ডিভাইজ ডাউন বা অফলাইন হয়ে যাওয়ার পরেও নেটওয়ার্কটি ওয়ার্কিং থাকে। কিন্তু ক্লায়েন্ট-সার্ভার টাইপ নেটওয়ার্কে সার্ভার ডাউন হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক ডাউন হয়ে যায়।

ক্লায়েন্ট সার্ভার ও পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর মধ্যে যে সকল পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তা নিম্নে তুলে ধরা হলো ঃ

ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক                  পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক      
 ক) ক্লায়েন্ট সার্ভার এ ব্যবহৃত কেন্দ্রীয় কম্পিউটারটিকে বলা হয় সার্ভার এবং সার্ভারের সাথে সংযুক্ত কম্পিউটারকে বলা হয় আরকি স্টেশন বা ক্লায়েন্ট   ক) পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক যুক্ত সবগুলো কম্পিউটার একই শ্রেণি বা সমকক্ষ বলে এগুলো একে অপরের সাথ বাপ্পিয়ার বলা হয়   
 খ) এতে এক বা একাধিক সার্ভার প্রয়োজন হয় যার ব্যাক এন্ড প্রোগ্রাম কোন ক্লায়েন্টকে সাড়া প্রদান করে খ) পিয়ার টু  পিয়ার  নেটওয়ার্কের এ কম্পিউটারগুলো  সার্ভার ও ক্লায়েন্ট উভয়েরই ভূমিকা পালন করে বিধাই এতে আলাদা কোনো শক্তিশালী সার্ভার এর প্রয়োজন হয় না । 
 গ) ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক এর ডিজাইন ও রক্ষণাবেক্ষণ অনেক জটিল। গ)পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এর ডিজাইন ও রক্ষণাবেক্ষণ ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক এর চেয়ে সহজ ।
 ঘ) নেটওয়ার্ক এবং অনুমোদিত ব্যবহারকারীর হাত থেকে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় যার ফলে খরচ বেশি পড়ে।ঘ) পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ডিজাইন করতে খরচ কম লাগে।
 ঙ) তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় কারণ কেন্দ্রীয় সার্ভার তথ্য জমা থাকে এবং অননুমোদিত ব্যবহারকারী তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারে না। ঙ)পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ কোন কেন্দ্রীয় কম্পিউটার তথ্য জমা রাখে না বলে তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষা করা যায় না।
 চ) ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য হাই কনফিগারেশনের প্রয়োজন হয়।চ) পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় হাই কনফিগারেশন প্রয়োজন নেই ।
ছ) ইনফরমেশন এর ব্যাকআপ রাখা যায় ।ছ) ইনফরমেশন এর ব্যাকআপ রাখা যায় ।

পরিশেষে বলতে গেলে বলতে হয় সার্ভার ভিত্তিক নেটওয়ার্ক এবং পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক এ দুটোর ভিতর যতই পার্থক্য থাকুক না কেন । এ দুটি মডেলই আমাদের নেটওয়ার্কিং এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন অর্থাৎ নেটওয়ার্কিং বুঝতে হলে সার্ভার ভিত্তিক নেটওয়ার্ক এবং পেয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী । ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি সিলেবাসে নেটওয়ার্ক এন্ড ডাটা সেন্টার অপারেশন এর সাবজেক্ট আছে সেখানে এই বিষয়গুলি নিয়ে  আলোচনা করা হয়েছে , যা আমি আমার এই ব্লগে তারই ধারাবাহিকতায় আরো কিছু এড করে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি চার বছর মেয়াদি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আন্ডারে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবেন । টেকনিক্যাল এডুকেশন এর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দের জন্য অত্যন্ত উপকারে আসবে এছাড়াও সাধারণ যারা কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী এবং নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য আশা করি কাজে লাগবে।

বিভিন্ন ধরনের সার্ভার যেমন, FTP Server, File Server, Web server, Proxy server, Application server, Database server,Print Server,DNS Server,DHCP Server ইত্যাদি হয়ে থাকে । 

মুহাম্মাদ সহিদুল ইসলাম

সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর(কম্পিউটার)

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট

wireless architech

Wireless Network and Its challenges

Wireless Communication is the quickest developing and most lively mechanical region in the  correspondence field. Remote Correspondence is a strategy for sending data from one highlight  to another, without utilizing any association like wires, links, or any medium. We live in a Universe  of correspondence and Remote Correspondence, specifically, is a vital piece of our lives. A  portion of the regularly involved Remote Correspondence Frameworks in our day-to-day life are  Cell Phones, GPS Beneficiaries, Controllers, Bluetooth Sound, and Wi-Fi, and so on. Wireless  networks are less expensive to introduce and keep up with. Information is communicated quicker  and at a high velocity. Diminished upkeep and establishment costs contrasted with one more  type of organization. Remote organizations can be gotten to from any place, whenever. 

Main Application of wireless communication systems are Satellite system, Television remote  control, Wi-Fi, Paging system, Wi-Max, Security systems, Cellphones, Computer interface devices,  Bluetooth, GPS, GSM. The interconnection of frameworks, individuals, or things with the  assistance of correspondence media can be alluded to as an organization. The sort of  correspondence that utilizes electromagnetic waves as correspondence media for sending and  getting information or voice is called remote correspondence. The electromagnetic range is  separated into a distinct channel for information transmission. Some most attractive advantages  are mentioned here: 

1.Freedom from wires: Can be configured with any physical connection. 

2.Easy to setup: Wireless network is easy to expand and setup 

3.Better or global coverage: It provides global reach by providing networking in places such as  rural areas, battlefields, etc… where wiring is not feasible. 

4.Flexibility: Wireless network is more flexible and adaptable compared to a wired network. 

5.Cost-effectiveness: The wireless network is relatively cheaper since it is easy to install and  doesn’t require cables. 

6.Mobile and portable: Wireless network is easy to carry and re-install in another place. 7.Mobility -: It has good mobility of usage. 

Every system has some advantages and disadvantages. Wireless system also has disadvantages 1.As communication is done through open space, it is less secure. 

2.Unreliability 

3.More open to interference. 

4.Increased chance of jamming.

5.Transmission speed is comparably less. 

7.it has a limited amount of bandwidth for communication and breaches of network security. 8.Wireless networks can be easily hacked. 

9.Wireless networks require a careful radio frequency when they are installed. 

10.Wireless networks are usually inexpensive, but the cost of installation is very high, and  setting up a wireless network is very costly. 

Technical Challenges Faced In Network. Most Notably. They Are As Follows: multipath propagation 

spectrum limitations; 

energy limitations; 

user mobility; 

noise limited systems; 

interference limited systems. 

The developing interest for incredibly high-information rate administrations, along with arising  progressed Web of Things (IoT) and Industry 4.0 applications carry new specialized difficulties to  remote correspondences. New help classes, for example, ultra-HD video and multisensory  augmented reality, push for significantly higher unearthly proficiency, and the investigation of  outrageous recurrence groups. Remote correspondence frameworks are conveying a developing  measure of private data. The telecom idea of remote transmissions, notwithstanding, makes the  sent data powerless against snooping. To actually uphold different profoundly mysterious  delicate applications, novel transmission advancements ought to apply to work with or even  improve data mystery. For instance, the secure execution of remote transmission could be  improved by investigating remote engendering attributes, as in actual layer security technology.  The challenge is the manner by which to maximally profit from such investigation while regarding  the protection of genuine clients. Inventive transmission answers for mystery and protection  improvement are of incredible proceeding with interest to the remote local area. 

The range appropriate for remote interchanges is turning out to be progressively scant, which  persuades the investigation of new range groups, including millimeter-wave and tera-Hertz (THz).  While getting a charge out of bigger data transfer capacity, the inclusion region over these higher  RF groups is by and large a lot more modest because of their higher proliferation misfortune. The  most famous relief arrangement is to apply directional beamforming transmission innovation.  One more answer for address range shortage is to work on the use of the current range through  mental radio transmission. Optional access to under-used radio range can oblige IoT applications with a less severe nature of administration prerequisites. In the meantime, the achievement 

sending of optional framework depends upon proficient range detecting and channel assessment  calculations for asset compelled IoT gadgets. 

Figure: Wireless system 

Another direction to accommodate the growing demand for wireless services is to improve  system resource utilization with a novel system structure. A large-scale collaborative cell-free  network structure can overcome the limitations of static resource allocation of traditional cellular  systems. The test is the means by which to understand the potential exhibition gains with  adequate framework intricacy and execution cost, related to continuous channel assessment,  synchronization in time and recurrence areas, and joint handling at completely associated base  stations. 

Compelling remote access methods are crucial for people in the future of remote  correspondence frameworks to in a general sense meet the rigid necessities, which incorporate  extremely high phantom effectiveness, exceptionally low idleness, enormous gadget network,  extremely high reachable information rate, ultrahigh dependability, fantastic client decency, high  throughput, backing to different nature of-administration (QoS), energy proficiency, and a  sensational decrease in the expense. Future remote organizations are imagined to have powerful  geography in nature in light of organization densification, wherein clients will have numerous  associations so client affiliation choices will turn into a precarious part. Describing the climate  elements to guarantee that the framework makes the most of this new geography will be urgent  in the up-and-coming age of remote organizations 

New coding and adjustment plans are significant in future remote organizations to guarantee  that the reachable additions anticipated by the hypothesis can be acknowledged by and by. In  particular, high-level channel coding and regulation plans along with space-air-ground submerged coordinated organizations can serve to genuinely satisfy the enormous network all  over the place and like clockwork. Besides, to give a lot higher unearthly effectiveness in future  remote organizations, a decent technique is to embrace better balance and channel coding plans  or new regulation assets.

To help different arising applications, new assets and impedance the board plans are normal in  future remote organizations. From this point of view, AI-based methods have drawn colossal  interest because of their capacity to further develop framework execution and lessen the  computational expense. 

Numerous specialized difficulties are to be addressed to fulfilling severe and clashing  prerequisites for future remote frameworks, including exceptionally high ghostly proficiency,  extremely low idleness, enormous gadget network, extremely high feasible information rate,  super high dependability, magnificent client decency, high throughput, different nature of 

administration, energy productivity, and an emotional expense decrease. The field of remote  correspondences will observe many energizing mechanical leaps forwards soon. 

Tithy Chakrabartty 

Instructor 

Department of Telecommunication

Contribution of Telecom sector in national-32

Contribution of Telecom sector in national
economy

Telecommunication, as a gift of modern science which is mainly different from any other traditional infrastructure. From the international market to the domestic market, corporate communication to personnel communication, telecommunication is an excellent way to maintain the continuous and instantaneous flow of sharing information. From the business perspective of economic activities of the modern world, through the communication channel telecommunication has not only significant influences on the economy in term of GDP per capita but also serve many people by creating job opportunities. For the potential role of the telecom, a cutting-edge world too as economy without telecom can’t be thought for one second.

The telecommunication industry around the world achieved a dramatic growth of advancement since 1980s. Since then, first the developed countries around the globe began to make improvement in telecommunication technology to maintain a continuous flow of communication which eventually intensifies their economic activities by providing a more developed platform of communication. Mobile phone entrance is one of the significant explanations for this speculation which in the end adds to the financial turn of events. As a mandatory and progressive part of modern telecommunication, internet is becoming a prerequisite in the development for any economy. Besides, the internet as a vital device of media transmission innovation essentially affects financial advancement as banks, securities exchange, insurance agency, common asset, corporate workplaces all of their exchange stream, records and archives generally depend on the web straightforwardly.

The role of media transmission in financial advancement pulled in the consideration of numerous specialists quite a while back. Telecommunication transmission is remarkably unique in relation to other foundations. Subsequently, it impacts the monetary turn of events. In the developed nations beyond what 90% family can without much of a stretch partake in the media transmission administration due to their higher buying power. Another reality is additionally uncovered that the effect of telecom on the financial development in the agricultural nations is twice bigger than created country. In many studies, it is observed that the web is a strong power that sets out work open doors. However, it makes a few positions unsuccessful the net measure of business valuable open doors is expanded by web memberships. It should be noted that various previous studies there found a positive relationship between telecommunication and economic development.

Dependent Variables-

GDP per capita: GDP per capita is the average income per person in a country. The formula is GDP per capita = Gross domestic products / Total population.

Employment rate: Employment rate can be defined as percentage of the labor force which is employed. It is one of the most vital economic indicators which is implemented to understand the state of the economy. Broadly speaking, the employment rate is a macroeconomic variable that indicates the labor force which is currently employed to the total working age population of specific region or country. In is calculated as Employment rate = (Labor force currently employed / Total population) * 100.Independent Variables.

Tele density: It is the total number of telephone line which includes both fixed telephone line (PSTN) and wireless mobile in a region compared to the number of whole populations in that same region.

Investment in telecommunication: The amount of money which is invested for the for both of the fixed telephone line and wireless mobile phone by the government and private sectors for infrastructural development and operations.

Revenue from telecommunication: The amount of revenues which is earned from the provision of telecommunication services by considering both the governmental and private telecommunication institutions.

Revenue percentage of GDP: It is the percentage contribution by the telecommunication industry through their revenue in the whole Gross domestic products.

Internet users: The total number of internet subscriptions or connections in a region compared to the number of Inhabitants of the same region.

GDP per capita (GPC) and Employment rate (EMP) both of these two dependent variables are both implemented as the multiple simpler variables of an economic development dependent construct. Tele density (TEL), telecommunication investment (TEI), telecommunication revenue (TER), Internet users (INU), and Contribution of telecommunication revenue percentage of GDP (TRG) all of these independent variables are implemented as the multiple simpler variables of the role of telecommunication construct. These independent variables are implemented with the intention to determine economic development.

Obviously, this means that rising in the quantity of web client upgrades by and large GDP per capita. In addition, commitment of media transmission income level of GDP has unimportant positive relationship with Gross domestic product per capita. Based on the relapse investigation, it tends to be obviously proposed that the job of media transmission has a critical impact on the monetary advancement of Bangladesh somewhat. In any case, over all it is obvious in light of earlier consequences of other exploration where telecom job more implies in term of financial improvement of agricultural nation.

Nonetheless, as Bangladesh is a non-industrial nation of third world it is trusted that the media transmission job will show bond in monetary turn of events and the effect will be more escalated than created country which will consequently limit the innovative and practical hole among Bangladesh and other created nations in this time of globalization.

Generally speaking, four out of five investigations that inspect the effects of broadband reception on GDP and Gross domestic product development with country-level information tracks down a positive and massive impact. In opposition to that, the unmistakable outcomes in different studies learn that broadband reception without a doubt causes GDP development. In addition, it is by all accounts fundamental for nations with low broadband infiltration to arrive at a specific entrance level if they have any desire to encounter the biggest potential advantages of broadband. The presence of organization impacts and the frequently little motivators for broadband suppliers to supply rustic regions due to significant expenses and low incomes recommend that public drives and monetary guide ought to be considered as instruments to accomplish expanded broadband turn of events, especially in nations with an enormous portion of the populace living beyond metropolitan regions.

The positive impact mobile broadband services can have on societies and national economies are well documented. Bangladesh is already seeing some of these benefits, but there are still actions the government can take to further improve the lives of its citizens. Bangladesh performs near the provincial midpoints across measurements of portable market improvement, notwithstanding having lower pay than adjoining nations. Outstandingly, Bangladesh is over the local normal in supporter entrance, while just somewhat beneath in portable web and in the extents of 3G and 4G as well as 5G connections. Teletalk Bangladesh Limited, the solitary state-possessed portable administrator, was consolidated in 2004 meaning to guarantee media transmission administrations for varying backgrounds and make fair contest in the area.

The public authority additionally advantaged the administrator with utilizing its SIM cards obligatory in profiting different essential administrations and giving need in the radio recurrence (range) designation for both 4G and 5G, so it can become quicker.

Bangladesh is now the eighth-biggest mobile marketplace in the world in phrases of unique subscribers and the sector now contributes nearly 1.8% or more than of the overall GDP. The broadcast/ Telecommunications area comprises of three fundamental sub-areas: telecom gear (the biggest), telecom administrations (next biggest), and remote correspondence. The significant fragments inside these sub-areas incorporate the accompanying: Wireless interchanges. Interchanges gear.

Government should take more proper steps to enrich this sector and monitor the overall scenario that’s why this sector can contribute highly than as before in our national economy.

Jayed Bin Murshed

Instructor

Department of Telecommunication

Daffodil Polytechnic Institute

Baitur Rauf Mosque-31

Baitur Rauf Mosque

Location :   Fayedabad, Uttora, DhakaBangladesh

Municipality : Dhaka

Geographic coordinates : 23.8811395, 90.414576

Architect : Marina Tabassum

Type : Mosque

Completed : 2012

Construction Cost : USD 150000

Capacity : 400 person

Dome : No dome

The Baitur Rauf Mosque is a distinctive urban mosque located in an economically-challenged area of DhakaBangladesh. Designed by Bangladeshi architect Marina Tabassum and completed in 2012, it has been called a refuge of spirituality in urban Dhaka and received recognition for its beautiful use of natural light and for challenging the status quo of traditional mosque design. Instead of traditional symbolism such as domes and minarets, the mosque relies on open space and the rich interplay of light and shadow to create a prayer space that elevates the spirit.

Bangladesh’s rich mosque-building history dates back to the 13th century’s Turkish invasion. The earliest mosques incorporated elements from local building traditions, such as small domes that span the roof and brick walls. The architect combined this unique traditional Sultanate mosque architecture with a modern approach to create a design that challenges the status quo.

The building is located in a flood-prone area, and is designed along an axis angled 13 degrees to the Qibla direction. To compensate for this angle, the building is raised on a plinth with a cylinder inside of a square. This allowed the designer to rotate the prayer hall to the correct direction and created light courts on four sides with room for other functions.

The mosque’s prayer hall has no columns inside, instead relying on eight peripheral columns for support. Dozens of random, circular openings in the ceiling and walls allow natural light to enter the building, creating shifting patterns of light and shadow to enhance the spiritual atmosphere.

The small-footprint, one-storey building has no domesminarets, or decorative panels, and fits in with its surroundings. Handmade terracotta brick walls, provide natural ventilation, helping keep the building cool even on hot days. 

Without using the usual mosque symbolism, the architect created a space of spirituality with simplicity and the use of natural light prompting deep reflection and contemplation in prayer.

Architectural Plan, Elevation & Section :

                                                                                                                                                                 Source : Google

Writer – Shanta Islam

Instructor

Architecture Technology

Daffodil Polytechnic Institute

IoT-তে কর্মজীবন (ইন্টারনেট অফ থিংস)-31

IoT-তে কর্মজীবন (ইন্টারনেট অফ থিংস)

পরবর্তী পাঁচ বছরে, আমরা অনুমান করতে পারি যে বিশ্বব্যাপী কর্মীবাহিনী প্রায় 149 মিলিয়ন নতুন প্রযুক্তি-ভিত্তিক চাকরি গ্রহণ করতে পারে। এই পূর্বাভাসের সবচেয়ে বড় একক শেয়ারের জন্য সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাউন্ট। 1G থেকে 5G-তে অগ্রসর হতে আমাদের মাত্র 40 বছর লেগেছে, এবং, 2030 সালের মধ্যে, বিশ্ব 6G গ্রহণ করবে যা ইতিমধ্যে আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বের আরও উন্নত সংযুক্ত সমাধান নিয়ে আসবে! বেশিরভাগ নতুন প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করে, এবং, ইন্টারনেট অফ থিংস প্রযুক্তি উদ্ভাবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

IoT কি?

IoT, সাধারণ মানুষের শর্তে, জিনিসগুলিকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করা এবং আপনার অবস্থান নির্বিশেষে যেকোনো পরিস্থিতিতে কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ বা নিরীক্ষণ করতে সক্ষম হওয়া। 5G বিকাশের অধীনে, ইন্টারনেট অফ থিংসের চাকরিগুলি শীঘ্রই হটকেকের মতো বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ 

ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) সেন্সর, প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা, সফ্টওয়্যার এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সাথে ভৌত বস্তু (বা এই জাতীয় বস্তুর গোষ্ঠী) বর্ণনা করে যা ইন্টারনেট বা অন্যান্য যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্যান্য ডিভাইস এবং সিস্টেমের সাথে সংযোগ এবং ডেটা বিনিময় করে। ইন্টারনেট অফ থিংস একটি ভুল নাম হিসাবে বিবেচিত হয়েছে কারণ ডিভাইসগুলিকে সর্বজনীন ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করার প্রয়োজন নেই, তাদের শুধুমাত্র একটি নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে এবং পৃথকভাবে ঠিকানাযোগ্য হতে হবে।

অ্যাপলিকেশন:

  • Smart Homes
  • Smart City
  • Self-driven Cars
  • IoT Retail Shops
  • Farming
  • Wearables
  • Smart Grids
  • Industrial Internet
  • Telehealth
  • Smart Supply-chain Management
  • Traffic management
  • Water and Waste management

IoT চাকরি এবং কাজের ভূমিকা বিভিন্ন ধরনের কি?

  1. ক্লাউড ইঞ্জিনিয়ার – এটি একটি কাজের ভূমিকা যেখানে একজন ব্যক্তিকে IoT ডিভাইসগুলি থেকে ডেটা সংগ্রহ করতে মিডলওয়্যার এবং NoSQL ডাটাবেস স্থাপন এবং স্থাপন করতে হবে।
  1. ডিজাইনার – CAD ডিজাইনাররা IoT শিল্পকে পরিধানযোগ্য যন্ত্রের মতো ডিভাইসটিকে আরও ভালোভাবে ডিজাইন করতে সাহায্য করতে পারে।
  1. ম্যাটেরিয়াল স্পেশালিস্ট – এই কাজের ভূমিকায় থাকা লোকেরা বুঝতে এবং খুঁজে বের করতে পারে যে কোন উপাদান ব্যবহার করা উচিত যা এতে একটি সেন্সর এম্বেড করতে পারে।
  1. এমবেডেড ইঞ্জিনিয়ার – এই ইঞ্জিনিয়াররা এমবেডেড ডিভাইসগুলির সফ্টওয়্যার তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য দায়ী।
  1. নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার – যারা একটি কম্পিউটিং নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করতে বা একটি উপযুক্ত গেটওয়ে বেছে নিতে এবং আরও অনেক কিছু করতে সহায়তা করে।
  1. ডেটা সায়েন্টিস্ট – তারা ইন-মেমরি কম্পিউটিং বা ব্যাচ প্রসেসিং ব্যবহার করে সংগৃহীত ডেটা বিশ্লেষণ করতে এবং এটিকে দরকারী তথ্যে রূপান্তর করতে সহায়তা করে।
  1. ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন বিশেষজ্ঞ – এই প্রোফাইলগুলির কাজ হল তথ্যগুলিকে আরও বোধগম্য করার জন্য একটি ভিজ্যুয়াল পদ্ধতিতে উপস্থাপন করা।

একটি IoT Specialist হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উল্লেখযোগ্য দক্ষতা: 

  1. এমবেডেড-সি/সি++ এবং পাইথনের মতো একাধিক প্রোগ্রামিং ভাষার সাথে কোডিং অনুশীলন করা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে, লোকেদের ডিএসএ দক্ষতার অভাব রয়েছে এবং তাই গ্রেট লার্নিং ইন ডিএসএ, GeeksForGeeks এর DSA স্ব-শিক্ষা কোর্স এবং আরও অনেক কিছুর মতো কোর্সগুলি বেছে নিতে পারে।
  2. লিনাক্স-ওএস এবং ফাইল পরিচালনা/ব্যবস্থাপনা এবং প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন প্রক্রিয়া বোঝা অনেক সাহায্য করতে পারে।
  3. 32-বিট ARM কর্টেক্স M3/M4 কন্ট্রোলারের সাথে কাজ করার জন্য আপনার গভীর প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা উচিত।
  4. জিগবি বা থ্রেড বা BLE-মেশের মতো ওয়্যারলেস স্ট্যাকের সাথে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং RTOS এবং নন-RTOS প্ল্যাটফর্মে পরীক্ষা-চালিত পদ্ধতি ব্যবহার করে এমবেডেড পরিবেশে ব্যবসায়িক যুক্তি লেখার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ জ্ঞান থাকতে হবে।
  5. আপনার I2C, SPI, 1-wire, UART, MODBUS, DALI সহ যোগাযোগ প্রোটোকলগুলিতে দক্ষ হতে হবে এবং আপনার চমৎকার যোগাযোগ, সমস্যা সমাধান এবং বিশ্লেষণাত্মক চিন্তা করার ক্ষমতা থাকতে হবে।

একজন IOT ইঞ্জিনিয়ারের জন্য আনুমানিক মোট বেতন হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর $114,445, যার গড় বেতন $97,468। আনুমানিক অতিরিক্ত বেতন প্রতি বছর $16,977। অতিরিক্ত বেতনের মধ্যে নগদ বোনাস, কমিশন, টিপস এবং লাভ ভাগাভাগি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই ভূমিকার জন্য উপলব্ধ সমস্ত বেতন ডেটার 25 তম এবং 75 তম শতাংশের মধ্যে বিদ্যমান মানগুলিকে “সবচেয়ে সম্ভাব্য পরিসর” উপস্থাপন করে।

কে এইচ মেহেদি হাসান

ইন্সট্রাক্টর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

থ্রি-ওয়ে লাভ অব ক্যাপাসিটর-29

থ্রি-ওয়ে লাভ অব ক্যাপাসিটর

এটি মূলত একটি ত্রিকোণ প্রেমের গল্প। যেখানে প্রেমিকার নাম ক্যাপাসিটর আর দুই প্রেমিকের নাম এসি এবং ডিসি। এসি এবং ডিসি দুজনেই ক্যাপাসিটরকে ভালবাসে। অর্থাৎ, তার কাছে যেতে চায়। কিন্তু নায়িকা ক্যাপাসিটর গ্রহণ করে একজনকেই যার নাম এসি। ওদিকে ডিসি বেচারা তো হায়হুতাশই শুরু করে দিল ক্যাপাসিটরকে না পেয়ে। কেন তার প্রতি এই অবিচার। চলুন জেনে নেয়া যাক।

ক্যাপাসিটর কেন ডিসিকে বাধা দেয় এবং এসি প্রবাহকে যেতে দেয়?

কোন ক্যাপাসিটিভ সার্কিটে যখন ডিসি সোর্স এপ্লাই করার হয় তখন তা ওপেন সার্কিটের ন্যায় আচরণ করে। অর্থাৎ সার্কিটের ক্যাপাসিটিভ রিয়েক্ট্যান্স অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। আহারে!! ক্যাপাসিটরের মনে ডিসির জন্য কি ঘৃণাটাই না জন্মেছে। এই কথার গাণিতিক প্রমাণ দেয়া যাক। আমরা জানি, ডিসি প্রবাহে কোন ছন্দ নেই। সোজা সরল প্রবাহ। আর সরল মানুষেরই আসলে জগতে দাম নাই। এক্ষেত্রে, ফ্রিকুয়েন্সি f = 0


আমরা জানি, কোন ক্যাপাসিটিভ সার্কিটে ক্যাপাসিটিভ রিয়েক্ট্যান্স,

Xc = 1/2πfC = 1/2π0*C =1/0 = ∞ ohms
আর অসীম রোধে সার্কিটে বিদ্যুৎ প্রবাহ থাকেনা বললেই চলে।

আর যখন ক্যাপাসিটরে ব্যাটারি সংযুক্ত করা হয় তখন ব্যাটারির পজিটিভ প্রান্ত থেকে পজিটিভ চার্জ ক্যাপাসিটরের প্লেটের এক প্রান্তে এবং নেগেটিভ টার্মিনাল থেকে ইলেকট্রন ক্যাপাসিটরের অপর প্রান্তে মজুদ হয়। এখন এই ডাই-ইলেকট্রিক ফিল্ডের দরুণ বিদ্যুৎ প্রবাহ সহজে হতে পারে। রোড ব্লক থাকলে যেমন গাড়ি যেতে পারেনা ব্যাপারটাও এখানে সেইম।

তাহলে এসি প্রবাহের এমন কি গুণ আছে যে ক্যাপাসিটর তাকে পছন্দ করে?

এসি কারেন্ট ছন্দময়ী কারেন্ট। যে দিক পরিবর্তন করে। তার ফিক্স পোলারিটি থাকেনা৷ এসি পজিটিভ সাইকেলে ক্যাপাসিটর চার্জ এবং নেগেটিভ সাইকেলে ডিসচার্জ হয়। তাই এসি প্রবাহ সহজেই ক্যাপাসিটরের মন ছুয়ে যেতে পারে।


তাহলে বাজারে ডিসি ভোল্টে রেটিং করা ক্যাপাসিটর পাওয়া যায় কেন?

বাজারে যেগুলো ডিসি ভোল্টে রেটিং করা ক্যাপাসিটর থাকে ওগুলো হল পোলার ক্যাপাসিটর। আর নন-পোলার গুলো এসি প্রবাহে ব্যবহৃত হয়। আর ডিসি ক্যাপাটিভ সার্কিটে বিদ্যুৎ প্রবাহ তৈরি করতে না পারলেও আপনার ব্যাটারির সমপরিমাণ চার্জ লুফে ঠিকই মজুদ রাখছে।

মোঃ আল আমিন হোসেন

জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Weaving Machine-28

উইভিং মেশিনের তৃতীয় পর্যায়ের গতি

উইভিং মেশিন বা তাঁতের নিদিষ্ট কিছু গতি রয়েছে যার সাহায্যে উক্ত মেশিনে কাপড় বুনন সম্পন্ন হয়ে থাকে। উইভিং মেশিন অথবা তাঁতের গতি প্রধানত ৩ প্রকার। যথাঃ

১) প্রাথমিক গতি বা Primary Motion
২) মাধ্যমিক গতি বা Secondary Motion
৩) তৃতীয় পর্যায়ের গতি বা Tertiary Motion।



আজকের ব্লগ থেকে আমরা জানব উইভিং মেশিন বা তাঁতের তৃতীয় পর্যায়ের গতি বা Tertiary Motion এবং পড়েন পরিবর্তন গতি বা Weft Changing Motion সম্পর্কে সম্পর্কে।

তৃতীয় পর্যায়ের গতি বা Tertiary Motion:
তৃতীয় পর্যায়ের গতি বা Tertiary Motion মূলত  প্রাথমিক গতি বা Primary Motion ও মাধ্যমিক গতি বা Secondary Motion এর সমন্বিত রূপ৷ ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী মানসম্পন্ন কাপড় বুননের জন্য প্রাথমিক গতি বা Primary Motion ও মাধ্যমিক গতি বা Secondary Motion ব্যতিত অতিরিক্ত যে সমস্ত গতির প্রয়োজন হয় সেই সমস্ত গতি বা  Motion কে তৃতীয় পর্যায়ের গতি বলা হয়।

উইভিং মেশিন বা তাঁতের তৃতীয় পর্যায়ের গতি বা Tertiary Motion এর তালিকা

১) ওয়ার্প প্রোটেকটর মোশন
২) ওয়েফট প্রোটেকটর মোশন
৩) ওয়ার্প স্টপ মোশন
৪) ওয়েফট স্টপ মোশন
৫) ওয়েফট মিক্সিং মোশন
৬) ওয়েফট চেইঞ্জিং মোশন ইত্যাদি

পড়েন পরিবর্তন গতি বা Weft Changing Motion
উইভিং মেশিন বা তাঁতের  তৃতীয় পর্যায়ের গতি বা সাহায্যকারী গতি গুলোর মধ্যে অন্যতম আরো একটি গতি হচ্ছে পড়েন পরিবর্তন গতি Weft Changing Motion যার  সাহায্যে কাপড়ের ডিজাইন অনুযায়ী পড়েন সুতা হিসেবে একাধিক রঙের, একাধিক কাউন্টের বা ভিন্ন পাক বা টুইষ্টের পড়েন সুতা ব্যবহৃত হয়। 

পড়েন পরিবর্তন গতি বা Weft Changing Motion এর সংজ্ঞা:
 
কাপড় বুনন প্রক্রিয়ায় পড়েন বরাবর ভিন্ন গুনাবলীর যেমন একাধিক রঙের, একাধিক কাউন্টের বা ভিন্ন পাক বা টুইষ্টের পড়েন সুতার  ধারাবাহিক সরবরাহ বজায় রাখার জন্য যে গতি ব্যবহার করা হয় তাকে পড়েন পরিবর্তন গতি বা Weft Changing Motion বলে।

উক্ত গতির মাধ্যমে কাপড় উৎপাদনে সময় অপচয় রোধ করা, অল্প সময়ে অধিক উৎপাদন সম্ভব হয়।

পড়েন পরিবর্তন গতি বা Weft Changing Motion এর উদ্দেশ্য
ক)  বিভিন্ন রঙ, ফাইবার ও বৈশিষ্ট্যের পড়েন সুতা ব্যবহার করা।
খ) আকর্ষণীয় এবং বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের কাপড় উৎপাদন করা।

গ) নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে উইভিং মেশিন বা তাঁত চালনা অব্যাহত রাখা।

ঘ) উৎপাদনের গতি বৃদ্ধি করা।

ঙ) সময়ের অপচয় কমানো।

চ) উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি করা।

লেখকঃ

মোঃ জায়েদুল হক

বিভাগ প্রধান

ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Calculas-27

ক্যালকুলাস পরিচিতি

গণিত শিক্ষায় ক্যালকুলাস দ্বারা প্রাথমিক গাণিতিক বিশ্লেষণের পাঠ্যক্রমকে বোঝায়, যা মূলত ফাংশন এবং লিমিট অধ্যয়নের জন্য নিবেদিত। ক্যালকুলাস (বহুবচনে ক্যালকুলাই) শব্দটি লাতিন ভাষা থেকে এসেছে এবং এর অর্থ “নুড়িপাথর”।

আধুনিক ক্যালকুলাস ১৭শ শতাব্দীতে ইউরোপে আইজাক নিউটন এবং গট‌ফ্রিড ভিলহেল্ম লাইব‌নিৎস (একে অপরের সাথে আলাদাভাবে, তবে একই সময়ে প্রকাশিত) কর্তৃক বিকশিত হয়েছে তবে এর উপাদানগুলি প্রাচীন গ্রিসে, এরপর চীনে, এরপর মধ্যপ্রাচ্য এবং পুনরায় মধ্যযুগীয় ইউরোপ ও ভারতে আবির্ভাব হয়েছিল।

প্রাচীন:

আর্কিমিডিস পরাবৃত্ত দ্বারা আবৃত ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের জন্য নি:শেষ পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন।

প্রাচীন আমলে কিছু ধারণা প্রবর্তিত হয়েছিল যা সমাকলন ক্যালকুলাসের দিকে পরিচালিত হলেও এই ধারণাগুলি যথাযথ এবং রীতিবদ্ধ পদ্ধতিতে বিকশিত হয়নি। আয়তন এবং ক্ষেত্রফল নির্ণয় হলো সমাকলন ক্যালকুলাসের একটি লক্ষ্য, যা মিশরীয় মস্কোর পাপিরাসগুলিতে (১৩তম রাজবংশ, আনু. ১৮২০ খ্রিষ্টপূর্ব) পাওয়া গিয়েছে; তবে সূত্রগুলি কেবল সাধারণ নির্দেশাবলী, পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত নেই এবং এগুলির কয়েকটিতে প্রধান উপাদানের ঘাটতি রয়েছে।

গ্রিক গণিতের যুগে ইউডক্সাস (আনু. ৪০৮–৩৫৫ খ্রিষ্টপূর্ব) নিঃশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন যা ক্ষেত্রফল ও আয়তন নির্ণয়ের ক্ষেত্রে লিমিটের ধারণাকে পূর্বসূরিত করে। আর্কিমিডিস (আনু. ২৮৭–২১২ খ্রিষ্টপূর্ব) এই ধারণাকে সম্প্রসারিত করে হিউরিস্টিক আবিষ্কার করেছিলেন যা সমাকলন ক্যালকুলাসের পদ্ধতিগুলির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

পরে খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে চীনের লিউ হুই বৃত্তের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের জন্য নিঃশেষ হওয়ার পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছিলেন। খ্রিস্টীয় ৫ম শতাব্দীতে জু চঙঝির পুত্র জু গেঞ্জি একটি পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন  যা পরবর্তীকালে গোলকের আয়তন নির্ণয়ের কাভালিরির নীতি হিসেবে পরিচিত হয়েছিল।

মধ্যযুগীয়:

মধ্যপ্রাচ্যে হাসান ইবনে আল-হাইসাম, লাতিন ভাষায় আল-হাইজেন (আনু. ৯৬৫ – আনু. ১০৪০ খ্রিষ্টাব্দ) চতুর্থ ঘাতের ফাংশনের যোগফলের সূত্র তৈরি করেছিলেন। এই যোগফলকে তিনি প্যারাবলোইডের ক্ষেত্রফল গণনার জন্য ব্যবহার করেছিলেন, যা বর্তমানে ওই ফাংশনের সমাকলন হিসেবে পরিচিত হয়েছে।

চতুর্দশ শতাব্দীতে ভারতীয় গণিতবিদগণ কিছু ত্রিকোণমিতিক ফাংশনে প্রযোজ্য, আন্তরকলনের অনুরূপ একটি যথাযথ পদ্ধতি দিয়েছেন। সঙ্গমগ্রমার মাধব এবং কেরালা স্কুল অব অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স ক্যালকুলাসের বিষয়বস্তু বর্ণনা করেছিলেন। এই বিষয়বস্তু সংবলিত একটি সম্পূর্ণ তত্ত্ব বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বে টেলর ধারা হিসাবে পরিচিত। তবে তারা “পৃথক পৃথক ধারণাগুলিকে অন্তরজ এবং সমাকলনের অধীনে এনে উভয়ের মধ্যে সংযোগ প্রদর্শন করতে এবং বর্তমানে সমস্যা সমাধানের দুর্দান্ত সরঞ্জাম ক্যালকুলাসে পরিণত করতে সক্ষম ছিল না”।

আধুনিক

ইউরোপে, বোনাভেনতুরা কাভালিয়েরির লেখা একটি গ্রন্থ ছিল মূল ভিত্তি, যেখানে তিনি যুক্তি দিয়েছিল যে আয়তন এবং ক্ষেত্রফলকে প্রস্থচ্ছদের ক্ষুদ্রতম খন্ডের আয়তন এবং ক্ষেত্রফল গণনা করে যোগ করার মাধ্যমে নির্ণয় করা উচিত। পদ্ধতিগুলি আর্কিমিডিসের মত ছিল, তবে এই গ্রন্থটি ১৩তম শতাব্দীতে হারিয়ে গেছে বলে মনে করা হয় এবং এটি কেবল বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে আবিষ্কার করা হয়েছিল, এবং তাই কাভালিয়েরির কাছে এই বিষয়টি অজানা ছিল। কাভালিয়েরির কাজটি ভালভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি কারণ তার পদ্ধতিগুলি দ্বারা ভুল ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এবং তিনি যে অনীয়ান পরিমাণগুলি প্রবর্তন করেছিলেন তা প্রথমে বিতর্কযোগ্য ছিল।

প্রায় একই সময়ে ইউরোপে ক্যালকুলাসের আনুষ্ঠানিক অধ্যয়ন সসীম পার্থক্যের ক্যালকুলাসের সাথে কাভালিয়েরির অনীয়ানকে একত্রিত করেছিল। পিয়ের দ্য ফের্মা দাবি করেছিলেন যে তিনি দাওফান্তাসের কাছ থেকে নিয়ে পর্যাপ্ততার ধারণাটি চালু করেছিলেন, যা সাম্যকে একটি অনীয়ান ত্রুটি শর্ত পর্যন্ত উপস্থাপন করেছিল। সংমিশ্রণটি জন ওয়ালিস, আইজাক ব্যারো এবং জেমস গ্রেগরি অর্জন করেছিলেন, পরবর্তী দুইজন ১৬৭০ সালের দিকে ক্যালকুলাসের দ্বিতীয় মৌলিক উপপাদ্য  প্রমাণ করেছিলেন।

আইজাক নিউটন তার গতি এবং মহাকর্ষ সূত্রে ক্যালকুলাস ব্যবহার করেছিলেন।

আইজাক নিউটন গুণন বিধি এবং চেইন বিধিউচ্চতর অন্তরজ  এবং টেলর ধারার ধারণাগুলি এবং বিশ্লেষণমূলক অপেক্ষক  গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োগ করেছিলেন। নিউটন তার রচনাগুলিতে তাত্পর্যকে সেই সময়ের গাণিতিক ইডিয়মের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পুনর্বিবেচনা করেছিলেন, গণনার পরিবর্তে অসীম যুক্তির দ্বারা সমতুল্য জ্যামিতিক যুক্তি দিয়ে গণনা প্রতিস্থাপন করেছেন যা নিন্দনের বাইরেও বিবেচিত হয়েছিল। তিনি গ্রহের গতি, ঘূর্ণনশীল তরলের পৃষ্ঠের আকৃতি, পৃথিবীর তির্যকতা, একটি সাইক্লয়েডের উপরে ওজনের সরে যাওয়া এবং তার প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেমেটিকায় (১৬৮৭) আলোচিত আরও অনেক সমস্যা সমাধানের জন্য ক্যালকুলাসের পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করেছিলেন। অন্য কাজের মধ্যে, তিনি ভগ্নাংশ এবংঅযৌক্তিক ঘাতের ফাংশনের জন্য সিরিজ বিস্তৃতি গড়ে তুলেছিলেন এবং এটি স্পষ্ট যে তিনি টেলর ধারার নীতিগুলি বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি এই সমস্ত আবিষ্কার প্রকাশ করেন নি, এবং ঐ সময়ে অনীয়ান পদ্ধতিগুলি তখনও অপ্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হয়েছিল।

গট‌ফ্রিড ভিলহেল্ম লাইব‌নিৎসই  সর্বপ্রথম ক্যালকুলাসের সুত্রসমুহ ব্যাখ্যা করেছিলেন।

নিউটন কর্তৃক প্লেজারিজমের অভিযোগে অভিযুক্ত  গট‌ফ্রিড ভিলহেল্ম লাইব‌নিৎস  এই ধারণাগুলিকে অনীয়ানের সত্যিকার ক্যালকুলাসে সাজিয়েছিলেন। তিনি এখন ক্যালকুলাসের একজন স্বাধীন উদ্ভাবক এবং অবদানকারী হিসাবে বিবেচিত। তাঁর অবদান হলো অসীম পরিমাণের সাথে কাজ করার জন্য দ্বিতীয় এবং উচ্চতর ডেরাইভেটিভগুলির গণনা করার অনুমতি দেওয়া এবং তাদের বিভেদযুক্ত এবং অবিচ্ছেদ্য রূপগুলিতে পণ্য বিধি এবং শৃঙ্খলা বিধি সরবরাহ করার জন্য একটি স্পষ্ট নিয়ম সরবরাহ করা। নিউটনের বিপরীতে, লাইবানিজ আনুষ্ঠানিকতার প্রতি প্রচুর মনোযোগ দিয়েছিলেন, প্রায়শই ধারণার জন্য উপযুক্ত প্রতীক নির্ধারণে দিন কাটাতেন।

বর্তমানে লাইব‌নিৎস এবং নিউটন উভয়কেই স্বতন্ত্রভাবে ক্যালকুলাসের আবিষ্কার এবং বিকাশের জন্য কৃতিত্ব প্রদান করা হয়। নিউটন সর্বপ্রথম সাধারণ পদার্থবিজ্ঞানে ক্যালকুলাস প্রয়োগ করেছিলেন এবং লাইবনিৎস বর্তমানে ক্যালকুলাসে ব্যবহৃত অনেক নোটেশন বিকশিত করেছিলেন। নিউটন এবং লাইবনিৎস উভয়ই যে প্রাথমিক ধারণা দিয়েছিলেন তা হলো অন্তরকলন ও সমাকলনের সূত্র, দ্বিতীয় এবং উচ্চতর অন্তরজ এবং একটি প্রায় বহুপদী ধারার ধারণা। নিউটনের সময়ে ক্যালকুলাসের মৌলিক উপপাদ্যটি জানা ছিল।

নিউটন এবং লাইবনিৎস যখন প্রথম তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছিলেন, তখন কোন গণিতবিদ (এবং কোন দেশ) কৃতিত্ব পাওয়ার যোগ্য তা নিয়ে প্রচণ্ড বিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। প্রথমে নিউটন সমাধান বের করেছিলেন (যা পরে তার মেথড অব ফ্লাক্সে প্রকাশিত হয়েছিল), তবে লাইবনিজ তার “নোভা মেথডাস প্রো ম্যাক্সিমিস এট মিনিমিস” আগে প্রকাশ করেছিলেন। নিউটন দাবি করেছিলেন যে লাইবনিৎস তার অপ্রকাশিত নোট থেকে ধারণা চুরি করেছেন, যা নিউটন রয়্যাল সোসাইটির কয়েকজন সদস্যের সাথে শেয়ার করেছেন। এই বিবাদটি বহু বছর ধরে মহাদেশীয় ইউরোপীয় গণিতবিদদের থেকে ইংরেজীভাষী গণিতবিদদের বিভক্ত করে দিয়েছিলো, যা ইংরেজি গণিতের ক্ষতিসাধন করেছিল। লাইবনিৎস এবং নিউটনের কাগজগুলি যত্ন সহকারে পরীক্ষা করে দেখা যায় যে তারা স্বাধীনভাবে তাদের ফলাফলে এসেছিলেন। লাইবনিৎস সমাকলন এবং নিউটন অন্তরকলন দিয়ে প্রথমে শুরু করেছিলেন। যদিও লাইবনিৎস এই নতুন শৃঙ্খলাটির নামকরণ করেছিলেন। নিউটন তাঁর ক্যালকুলাসকে “প্রবাহের বিজ্ঞান” বলেছিলেন।

লাইবানিৎস এবং নিউটনের সময় থেকে অনেক গণিতবিদ ক্যালকুলাসের অব্যাহত বিকাশে অবদান রেখেছেন। মারিয়া গায়তানা অগ্নেসি ১৭৪৮ সালে অনীয়ান এবং সমাকলন ক্যালকুলাস উভয়ের উপর প্রথম সবচেয়ে সম্পূর্ণ রচনা লিখেছিলেন।

রাবেয়া আলম

ইন্সট্রাক্টর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Acrylic-fibre-26

এক্রাইলিক ফাইবারের আদ্যপ্রান্ত

এক্রাইলিক ফাইবার:

এক্রাইলিক ফাইবার হল একটি সিন্থেটিক ফাইবার যা তার চরিত্রে উলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ।  আইএসও (ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন) এবং বিআইএসএফএ (ইন্টারন্যাশনাল সিন্থেটিক ফাইবার স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অফিস) এর সংজ্ঞা অনুসারে, যেসব ফাইবার তাদের রাসায়নিক গঠনে ন্যূনতম 85% অ্যাক্রিলোনিট্রাইল থাকে তাদের বলা হয় “এক্রাইলিক ফাইবারস”।

ইতিমধ্যে নাইলনের উন্নয়ন এবং মূলধারার জন্য বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে

 অন্যান্য অনেক সিন্থেটিক টেক্সটাইল ফাইবারের মতো, আমেরিকান ডুপন্ট কর্পোরেশন মূলত এক্রাইলিক ফাইবার তৈরি করেছিল।  এই পলিয়েস্টার উৎপাদন, এবং যখন 1940-এর দশকে এক্রাইলিক ফাইবার উদ্ভাবিত হয়েছিল, তখন বিশ্ব এই বিকাশটিকে সহজভাবে দেখেছিল না।

 বিশ্বের টেক্সটাইল বাজারে প্রভাবশালী অবস্থানে ডুপন্টের দ্রুত আরোহনের পরবর্তীতে তা আরো বেশি সহজতর  হয়ে ওঠে।

 যাইহোক, এক্রাইলিক ফাইবার 1950 এর দশক পর্যন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি।  এটা সম্ভব যে ডুপন্টের অন্যান্য সিন্থেটিক টেক্সটাইলের সাফল্য এক্রাইলিক ফাইবারের এই ধীর মূলধারায় অবদান রেখেছে;  এই কোম্পানি ইতিমধ্যেই নাইলন দিয়ে সিল্ক এবং পলিয়েস্টার দিয়ে তুলা প্রতিস্থাপন করেছে, যা এই কোম্পানির  নতুন একটি সফলতা হিসাবে বিবেচিত হয় ।

 উল প্রতিস্থাপন হিসেবে এক্রাইলিক ফাইবার কে বিবেচনা করা হয়।

একটি উৎপাদিত ফাইবার যাতে ফাইবার-গঠনকারী পদার্থটি অ্যাক্রিলোনিট্রিল ইউনিট [-CH2-CH(CN)-] (FTC সংজ্ঞা) এর ওজন দ্বারা কমপক্ষে 85% গঠিত যেকোন দীর্ঘ চেইন সিন্থেটিক পলিমার।  এক্রাইলিক ফাইবারগুলি স্পিনিং (এক্সট্রুশন), শুকনো এবং ভেজা দুটি মৌলিক পদ্ধতি দ্বারা উৎপাদিত হয়।  শুষ্ক স্পিনিং পদ্ধতিতে, উপাদান দ্রবীভূত হয়।  স্পিনারেটের মাধ্যমে এক্সট্রুশনের পরে, দ্রাবকটি বাষ্পীভূত হয়, ক্রমাগত ফিলামেন্ট তৈরি করে যা পরে ইচ্ছা হলে প্রধান অংশে কাটা যেতে পারে।  ভেজা স্পিনিং-এ, স্পিনিং দ্রবণকে তরল জমাট বাঁধার পদ্ধতি থেকে বের করে ফিলামেন্ট তৈরি করা হয়, যা টানা, শুকানো এবং প্রক্রিয়াজাত করা হয়।

এক্রাইলিক ফাইবার হল একটি পলিমার (পলিঅ্যাক্রিলোনিট্রিল) থেকে তৈরি কৃত্রিম তন্তু যার গড় আণবিক ওজন ~100,000, প্রায় 1900 মনোমার ইউনিট।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাক্রিলিক এর ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে যে, পলিমারটিতে কমপক্ষে 85% অ্যাক্রিলোনিট্রিল মনোমার থাকতে হবে।  সাধারণ কোমোনোমার হল ভিনাইল অ্যাসিটেট বা মিথাইল অ্যাক্রিলেট।  Dupont কর্পোরেশন 1941 সালে প্রথম এক্রাইলিক ফাইবার তৈরি করে এবং “Orlon” নামে ট্রেডমার্ক করে।

কাঁচামাল:

 অ্যাক্রিলোনিট্রিল হল অ্যাক্রিলিক তৈরির প্রধান প্রধান কাঁচামাল।  অ্যাক্রিলোনিট্রাইল, অর্থাৎ অ্যাক্রিলিক নাইট্রাইল, ভিনাইল সায়ানাইড, CH2=CHCN, একটি বর্ণহীন, বিষাক্ত তরল, যার স্ফুটনাঙ্ক 78°C।

 পানি এবং জৈব দ্রাবক সঙ্গে মিশ্রিত.  অ্যাক্রিলোনিট্রিল হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিড এবং অ্যাসিটিলিন বা হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং ইথিলিন অক্সাইড থেকে সংশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়।  এটি প্লাস্টিক এবং সিন্থেটিক ফাইবার শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল হয়ে উঠেছে।  এটি সিন্থেটিক ফাইবার, সিন্থেটিক রাবার, নাইট্রিল অ্যাসিড উৎপাদনের প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হয়।  যখন ফাইবারগুলিতে অ্যাক্রিলোনিট্রাইলের ভর দ্বারা কমপক্ষে 85% থাকে তখন তাকে পলিঅ্যাক্রিলোনিট্রিল বলা হয়, যখন অ্যাক্রিলোনিট্রাইলের পরিমাণ কম থাকে, তখন এটিকে কপোলিয়াক্রাইলোনিট্রাইল বা মোডাক্রাইলিক ফাইবার হিসাবে উল্লেখ করা হয়। পদার্থেরনিজস্ব কম্পোজিশন এর উপর ভিত্তি করে তাদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সাধারণভাবে এক্রাইলিক ফাইবারগুলি পলিমাইড এবং পলিয়েস্টার ফাইবারের তুলনায় প্রসারিত,

বাঁকানো এবং মোচড়ানোর জন্য কম প্রতিরোধী, তারা ঘর্ষণ প্রতিরোধী নয়, যখন তারা আলোর প্রতি দুর্দান্ত প্রতিরোধ দেখায়, তারা প্রভাবিত হয় না।  অনেক জৈব দ্রাবক (যেমন, ক্লোরোফর্ম), পোকামাকড় এবং অণুজীব তাদের আক্রমণ করে না; এক্রাইলিক ফাইবারগুলি সহজেই রঙিন হয়, একটি নরম গ্রিপ থাকে, উলের মতো হয়, খারাপভাবে আর্দ্রতা শোষণ করে; এগুলি প্রধানত প্রধান তন্তুর আকারে ব্যবহৃত হয়, বোনা এবং পোশাকের কাপড়, পর্দা, কৃত্রিম পশম, কম্বল তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

 এটি বিভিন্ন পদ্ধতি দ্বারা তৈরি করা হয়।  একটি বাণিজ্যিক পদ্ধতিতে, হাইড্রোজেন সায়ানাইডকে অ্যাসিটিলিন দিয়ে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। নিম্নে পদ্ধতি সমূহ উল্লেখ করা হলো:

১ম পদ্ধতি:

 অ্যাসিটিলিন + হাইড্রোজেন সায়ানাইড- –> অ্যাক্রিলোনিট্রাইল

 ২য় পদ্ধতি:

 ইথিলিন–এয়ার অক্সিডেশন–> ইথিলিন অক্সাইড + HCN–> ইথিলিন সায়ানাহাইড্রিন–300 ডিগ্রি সেলসিয়াসে ডিহাইড্রেশন (অনুঘটক)–> অ্যাক্রিলোনিট্রাইল

 এক্রাইলিক ফাইবার উৎপাদন প্রক্রিয়া

 নিম্নলিখিত প্রধান বৈশিষ্ট্য সহ উৎপাদনের সময় এগুলো প্রভাবক হিসেবে কাজ করে

 1. দ্রবণে পলিমারাইজেশন।

 2. স্পিনিং করার জন্য ডোপ সরাসরি feed করানো হয়।

 3. ভেজা স্পিনিং বা সিক্ত  স্পিনিং বলা হয়ে থাকে।

 4. পলিমারাইজেশন এবং স্পিনিং উভয়ের জন্য দ্রাবক হিসাবে DMF

ক্রমাগত পলিমারাইজেশন প্রক্রিয়ায়, 95% অ্যাক্রিলোনিট্রিল এবং 6% মিথাইল অ্যাক্রিলেট (400 অংশ) K2S208 এর 0.25% জলীয় দ্রবণ (600 অংশ), 0.50% Na2S2O5 দ্রবণ (600 অংশ) এবং 2N সালফিউরিক অ্যাসিড (2.5 অংশে বিক্রিয়া হয়)।  নাইট্রোজেন বায়ুমণ্ডলের অধীনে 52 ডিগ্রি সেলসিয়াসে জাহাজটি 67% পলিমার সহ  প্রক্রিয়া চলমান থাকে। , ফিল্টার করা হয় এবং ধুয়ে ফেলা হয় যতক্ষণ না এটি লবণ থেকে মুক্ত হয় এবং শুকিয়ে যায়।

 অ্যাক্রিলোনিট্রিল শুকনোএর পরে কাটা হয়। উপাদানটি ডাইমিথাইল ফরমামাইডে দ্রবীভূত হয়, সমাধানটিতে 10-20 পলিমার রয়েছে।  এটি উত্তপ্ত এবং উত্তপ্ত স্পিনিং কোষে থেকে বের হয়ে যাই।  একটি উত্তপ্ত বাষ্পীভবন মাধ্যম যেমন বায়ু, নাইট্রোজেন বা বাষ্প কাউন্টার কারেন্টকে ফিলামেন্টের রূপে রূপান্তরিত হয় এটিকে পুনরুদ্ধার ইউনিটে নিয়ে যাওয়ার জন্য দ্রাবককে সরিয়ে দেয়।  ফিলামেন্টগুলি গরম অঞ্চলে যোগাযোগের সময়ের উপর নির্ভর করে 100 থেকে 250 C তাপমাত্রায় প্রসারিত হয়, তাদের মূল দৈর্ঘ্যের কয়েকগুণ।

নিম্নে মাইক্রোস্কোপের নিচে এই ফাইবার কে দেখতে কেমন লাগে তা নিম্নোক্ত উল্লেখ করা হয়েছে।

সোর্স ও ইমেজ: গুগল

লেখক

মোঃ আশিকুর রহমান

ইন্সট্রাক্টর (টেক্সটাইল এবং জিডিপিএম)

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

ফ্লোর বা মেঝে-25

ফ্লোর বা মেঝে

ঘরের যে অংশে মানুষ বসবাস করে অর্থাৎ ঘরের মধ্যে থাকার জন্য, জিনিসপত্র রাখার জন্য, প্রয়োজনীয় ব্যবহারযোগ্য পায়ের নিচের জায়গাকেই মেঝে বলে। বর্তমানে দালানে অনেকগুলো মেঝে থাকে। ভূমিতলে অবস্থিত ভূমির উপর অর্থাৎ প্লিন্থ লেভেলে যে মেঝে নির্মাণ করা হয়, তাকে এক তলার মেঝে বা গ্রাউন্ড ফ্লোর বলে। এর প্রতি উপরের তলার মেঝে নিচের তলার ছাদ হিসাবে কাজ করে। যেমন-এক তলার ছাদ দু’তলার মেঝে,দু’তলার ছাদ তিন তলার মেঝে ইত্যাদি। দালানের সর্বোচ্চ তলার মেঝের উপরে যে ছাদ থাকে তাকে দালানের ছাদ বলে।

টেরাজো ফ্লোরিং: সাধারণ পাথরের পরিবর্তে যদি মার্বেল পাথরের ছোট ছোট দানা দিয়ে মেঝের গাত্র করা হয়, তখন সেই কৃত্রিম পাথরের মেঝেকে টেরাজো ফ্লোরিং বলে। এ ধরনের মেঝে দেখতে সুন্দর এবং ঘর্ষণজনিত ক্ষয় প্রতিরোধী বলে বর্তমানে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। আবাসিক ভবন, অফিস, স্কুল, হাসপাতাল, ব্যাংক ইত্যাদি জায়গায় ব্যবহৃত হয়। একে ডেকোরেটিভ মেঝে-ও বলে। সাদা অথবা রঙিন সিমেন্ট এবং বিভিন্ন রং- এর মার্বেল পাথরের ছোট দানা (৩ থেকে ৬ মিমি আকারের) ১:৩ অনুপাতে মিশিয়ে সিসি ফ্লোরের নিয়মে প্রস্তুতকৃত কংক্রিট বেইজের উপরে ৩৪ মিমি পুরু সিমেন্ট কংক্রিটের (১:২:৪) স্তর স্থাপন করে এর ৬ মিমি পুরু মার্বেল পাথরকুচির টপিং নির্মাণ করাকে টেরাজো ফ্লোরিং বলে।

টেরাজো ফ্লোরিং নির্মাণ পদ্ধতিঃ কংক্রিট বেইজের উপর টপিং বা ফ্লোরিং নির্মাণের পূর্বে সমস্ত জায়গাটিকে অ্যালুমিনিয়াম, ব্রাস বা কাচের সর পাত দ্বারা কতকগুলো ছোট ছোট প্যানেলে বিভিন্ন ডিজাইনে বিভক্ত করা হয়। একে সেপারেটরও বলে। সেপারেটর পাতের চওড়া ১.৫ থেকে ২ মিমি এবং উচ্চতা ফ্লোর এর চেয়ে সামান্য বেশি হবে। যাতে টেপিং তৈরি এবং ঘষার পরে একই সমতলে থাকতে পারে। কংক্রিট বেইজের উপরিভাগের ধুলাবালি পরিষ্কার করে পানি দ্বারা ভিজাতে হবে। ভিজাপৃষ্ঠে সিমেন্ট গ্রাউট প্রয়োগ করে। ১:২:৪ এ অনুপাতের মসলা দ্বারা অল্টারনেট প্যানেলগুলোর ঢালাই এর কাজ সমাধান করতে হবে। উপরিতল শক্ত হলে টেরাজো মিশ্রণ (পাথরকুচি, সিমেন্ট এবং পানি) বিছিয়ে সমতল করে দিতে হবে। রোলিং এবং টেম্পিং কার্য চলাকালীন সময়ে কিছু মার্বেল দানা ছড়িয়ে দেয়া যেতে পারে। যাতে মেঝের ৮০% জায়গাতে মার্বেল দানা দেখা যায়। পাট্টা ও কর্ণিক দ্বারা সমতল করে ১২ থেকে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত শুকাতে দেয়া হয়। শুকানোর পর ২-৩ দিন পর্যন্ত কিউরিং করা হয়। মেঝে ঢালাই এর ৭ দিন পর ঘষার কাজ আরম্ভ করতে হয়। যার জন্য সে কৃত্রিম পাথর ব্যবহার করা হয় তাকে কার্বোরান্ডাম বা ঘষা পাথর বলে। তিন প্রকার ঘষা পাথর পাওয়া যায়। যেমন-মোটা, মাঝারি এবং সরু দানার পাথর। প্রথমে মেঝেকে পানি দ্বারা ধুয়ে পানি সহযোগে মোটা দানার (৬০নং) পাথর দ্বারা ঘষতে হবে। কোথাও বেশি ঘষা হলে অথবা ছিদ্র অথবা গর্ত দেখা দিলে একই রংয়ের ঘন সিমেন্ট গ্রাউট প্রয়োগ করতে হবে। ৭ দিন পর একইভাবে মাঝারি দানা (১২০ নং) পাথর দ্বারা হতে হবে। এর ৪ থেকে ৬ দিন পর সরুপানা (৩২০নং) পাথর দ্বারা একইভাবে যথা হয়। সরু দানা পাথর যারা মেঝে ঘষা শেষ হলে মেঝেকে ভালভাবে পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনবোধে সাবান পানির পাতলা দ্রবণ ব্যবহার করা যায়। তারপর অবরোলিক অ্যাসিডের পাতলা দ্রবণ (অ্যাসিড + দ্রবণ) মেঝেতে ছিটিয়ে দিয়ে কাঠের উসা দিয়ে মেঝে ঘষতে হবে। পরের দিন পরিষ্কার ও অল্প ভিজা ন্যাকড়া দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। তারপর তিনভাগ তারপিন তৈল এবং এক ভাগ মোম মিলিয়ে গরম করে মসলা তৈরি করা হয় এবং ন্যাকড়া দ্বারা মেঝে ঘষে পরে মুছে নিতে হয়। প্রতি দশ বর্গমিটার মেঝের জন্য ১০ গ্রাম মোম এবং পেইন্ট তার্পিন তৈল ব্যবহার করতে হয়। এ মেঝে খুব নয়নাভিরাম ও মসৃণ হয় কিন্তু খরচ বেশি পড়ে।

মোজাইক মেঝে : সাধারণ পাথরের পরিবর্তে মার্বেল পাথরের স্লাব অথবা ছোট ছোট পাথরের টুকরা দ্বারা তৈরি টাইলযুক্ত কৃত্রিম পাথরের মেঝেকে মোজাইক ফ্লোর বলে। এ ধরনের মেঝে বিভিন্ন রং – এর এবং দেখতে সুন্দর ও ঝকঝকে হয়। খরচ ও টেরাজো মেঝের মতোই। এখানে মার্বেল কুচির টাইল আগেই তৈরি করা থাকে। সেগুলোই মেঝের উপর বসান হয়। এ মোজাইক টাইলের মাপ ২০*২০ সেমি. বা ২৫*২৫ সেমি. ।

 

মোজাইক মেঝ নির্মাণ পদ্ধতিঃ মোজাইক ফ্লোর নির্মাণের জন্য প্রথমে সাব-বেইজ তৈরি করা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে সাব- বেইজ তৈরির জন্য প্রথমে ব্রিক ফ্লাট সোলিং করে এটির উপর ১ : ৩৮৬ অনুপাতের মসলা দ্বারা কংক্রিট ঢালাই করা হয়। এর পুরুত্ব ৪ থেকে ১০ সেমি হতে পারে। মোজাইক করার জন্য ৬ মিমি আকারের মার্বেল কুচি, রঙিন সিমেন্টের মসলা কংক্রিট বেইজের উপর বিছিয়ে তৈরিকৃত মোজাইক টাইলগুলো বসান হয়। অথবা কংক্রিট বেইজের উপর ৫-৮ সেমি পুরু লাইম- সুরকি মর্টার্ বিছিয়ে সমতল করা হয়। তারপর শুকানোর পূর্বেই ২ ভাগ চুন, ১ ভাগ পাউডার মার্বেল এবং ভাগ পাজোলানা পদার্থ দ্বারা তৈরিকৃত মসলা ৩ মিমি পুরুত্বে বিছাতে হবে। প্রায় ৪ ঘণ্টা পরে মোজাইক টাইল একটু আঘাত করে এর উপর বসান হয়। টাইলগুলো ফ্যাক্টরি থেকে কাটাই করে পাঠান হয়। ফলে মোজাইক ফ্লোর খুব তাড়াতাড়ি করা যায়। টাইল বসানোর ৩/৪ দিন পর থেকে পিউমিক স্টোন দ্বারা ঘষা কাজ আরম্ভ করতে হয়। এর ঘষার কাজ টেরাজো ফ্লোর এর মতো।

 টাইল ফ্লোরিং: টাইল পূর্ব ঢালাইকৃত কংক্রিট বা টেরাজো এর হতে পারে অথবা কুমোরের তৈরি মাটির হতে পারে। প্রিকাস্ট বা পূর্ব ঢালাইকৃত টেরাজো টাইলকে মোজাইক টাইল বলে। এ টাইল বসানোর পর পালিশ করা হয়। হোয়াইট গেø­ইজড টাইল কুমোরেরা মাটি দ্বারা তৈরি করে। যা মেঝে, ওয়াটার ক্লোসেট, বাথরুম, সুইমিংপুল এবং অন্যান্য স্যানিটারি বøক রূপে ব্যবহার করা হয়। ক্লে নির্মিত টাইল বিভিন্ন পুরুত্বে এবং বিভিন্ন আকারে তৈরি করা হয়। আবাসিক গৃহ, অফিস, স্কুল , হাসপাতাল এবং অন্যান্য পাবলিক বিল্ডিং- এ দ্রæত মেঝে নির্মাণ করতে টেরাজো মেঝের পরিবর্তে টাইল মেঝে তৈরি করা হয়।

উচিংলা মারমা
ইন্সট্রাক্টর
ডিপার্টমেন্ট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।