A Very Old Man With Enormous Wings-24

“A Very Old Man With Enormous Wings”

Gabriel Garcia Marquez, a 20th-century Latin American author who was awarded the Noble Prize, vastly praised for his work, wrote ‘A Very Old Man with Enormous Wings’ to depict the religious furuncle and human moral shallowness of that contemporary society. To imprint that he has used two kinds of settings combining the realistic details of Pelayo and Elisenda’s life with fantastic elements such as a flying old man and a cursed spider who has the head of a maid to create a tone of equal parts local yet a-magical supernatural story.

Religious practices: In “A Very Old Man with Enormous Wings”, Christianity has been described as a religion that has shown as a hollow set of habits, rather than a genuine moral framework. ‘But the fruit of the Spirit is love, joy, peace, patience, kindness, goodness, faithfulness, gentleness, self-control; against such things, there is no law”- Galatians 5:22-23 shows the virtues a Christian should have. What we see, during a hazardous storm, Pelayo finds a weak old lying face down in the mud of his courtyard,’ in spite of his tremendous efforts, couldn’t get up’ impeded by his enormous wings. An angel falls to earth, and he finds himself among Christians who should be delighted but the picture is quite ironic because traditional angels have wings and they are magnificent creatures with majestic faces who don’t sense sickness and decay and can-do miracles instant according to religion. But here, the angel is aged, vulnerable with dirty and half-plucked buzzard wings. The funny thing is, they find the man quite “familiar” and acknowledge him as an angel but instead of his felicitation, they didn’t even show any sympathy or humanity but rather confined him in a dirty chicken coop. Even Father Gonzaga, the priest, fails to recognize that he is sacred.” Father Gonzaga went into the chicken coop and said good morning to him in Latin”- this line shows the so-called religious phenomena. When he saw that the angel did not understand the language of God or know how to greet His ministers, he stigmatized him as an imposter and suggested that the angel might actually be a “carnival trick” that the devil was using to ‘confuse the unwary. Father Gonzaga’s failure to understand the angel bashes him as a rogue representative of a Church that is overall respectable. When he promises to write to Church officials for a second opinion, their reaction is equally arresting like the letter will go to “his bishop so that the latter would write his primate so that the latter would write to the Supreme Pontiff in order to get the final verdict from the highest courts”. – This showed furuncle system which had no sense of urgency. They spent them if his dialect had any connection with Aramaic, how many times he could fit on the head of a pin, or whether he wasn’t just a Norwegian with wings.” Clearly, Church priests and people, instead of being delighted in the appearance of an angel, have found themselves jagged in unfuming questions that have no relation to genuine faith.

Human shallowness: The townspeople all are greedy. Instead of treating him better, the townspeople either want something from him or see him as a curiosity. Pelayo and Elisenda used him as a kind of circus pet to earn money and become rich but didn’t care about him at all. Humans pulled out his feathers to touch their defective parts, even the most merciful threw stones at him, and burned his side with an iron. His hermetic language and tears in his eyes did not make them Human. Elisenda cursed him as if she was in hell surrounded by angels. When he flew away, she was relieved. What they didn’t notice was that the child recovered from his illness, they became rich, etc. These characteristics show how shallow nature humans have.

The previous statements prove that if the heads have maggots, the townspeople will definitely lack humanism.

Zareen Tasnim

Instructor

Daffodil Polytechnic Institute

Bounce rate-23

গুগল এ বাউন্স রেট (Bounce Rate) কমিয়ে নাম্বার ওয়ান  হওয়ার উপায়

Search Engine Optimization (SEO) এর জন্য বাউন্স রেট (Bounce Rate) কমানো অতন্ত জরুরী । তাই  যেকোনো ওয়েবসাইট কে গুগোলের নাম্বার অন পেজ এ নিয়ে আসতে অনেক গুলো SEO টেকনিক এর মধ্যে বাউন্স রেট (Bounce Rate) কমানো হয় । SEO নিয়ে  ধারাবাহিক ব্লগের জন্য  “ বাউন্স রেট (Bounce Rate) কমিয়ে গুগল এ নাম্বার ওয়ান  হওয়ার উপায় “ বিষয় টি বেছে নিয়েছি। আমি মনে করি বিষয় টি যুগ উপ যুগী- তাই যারা ওয়েবসাইট কে গুগল এর প্রথম পেজ এ আনতে চান বাউন্স রেট (Bounce Rate) কমানোর উপায় জানা থাকলে সহজে গুগল এর প্রথম পেজ এ আনতে পারা যায়। বাউন্স রেট (Bounce Rate) কমানোর বিষয়টি যেমন টি কর্পোরেট ওয়েব সাইট এর জন্য প্রোয়জন তেমনটি বাক্তি গত ওয়েব সাইট এর জন্য ও প্রয়োজন।

একটি ওয়েবসাইট সঠিক ভাবে চলছে কিনা এটি বিবেচনা করার অন্যতম একটি মাধ্যম ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট (Bounce Rate)। ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট দেখে  পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যেতে পারে যে, সাইট টি কেমন করছে এবং ভবিষৎ এ কেমন করবে। চলুন  জেনে নেই বাউন্স রেট কি?

বাউন্স রেট (Bounce Rate) ?

​​গুগল এ্যানালাইটিক্স এর একটি অন্যতম  মেট্রিক হল বাউন্সরেট ​। বাউন্স এর সাথে ​​বাউন্সরেট এর সম্পর্ক   তাই বাউন্স বোঝার আগে ​​বাউন্স কি? তা একটু বুঝে নেই। 

​যখন কোন ​ওয়েবসাইটে ভিজিটর প্রবেশ করে এবং সে ঐ সাইট এ থাকাকালীন সময়ে  ​ওয়েবসাইটের সাথে কোনো প্রকার এনগেজমেন্ট এ যায় না অর্থাৎ, ভিজিটর অন্য কোনো বাটন এ ক্লিক করে না, অন্য কোনো পেজের লিংকে ক্লিক করে না, অন্য কোন মেনুতে ক্লিক করে না, অন্য কোনো পেজ ভিজিট না করেই সরাসরি ​ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে আসে। তখন ভিজিটর এর জন্য গুগল এ্যানালাইটিক্স এর সার্ভার ঐ ভিজিটরের কাছ থেকে কোনো প্রকার ট্রিগার লাভ করে না। এটি ক্রিকেট এর বল বাউন্স এর মত হঠাৎ লাফিয়ে ওঠার মত, ভিজিটর এভাবে অল্প সময়ের জন্য কোন ওয়েবসাইটে ভিজিট করার ফলে গুগল এ্যানালাইটিক্স এ শুধুমাত্র একটি পেজ ভিজিট কাউন্ট হয়। এটিকেই ​​বাউন্স (Bounce) বলে।

তাহলে বাউন্সরেট কি

উদাহরণস্বরূপ, যদি 100 জন লোক হোমপেজে এ প্রবেশ করে এবং এই লোকগুলির মধ্যে 50 জন অন্য কোনও ওয়েবপেজ না দেখে চলে যায় তবে হোমপেজের বাউন্স রেট 50% হবে।

সুত্রটি হবে, 

বাউন্সরেট = (১ টি পেজ ভিজিট করে বের হয়ে যাওয়া ভিজিটর এর সংখ্যা / ঐ পেজ এর  মোট ভিজিটর সংখ্যা ) * ১০০

বাউন্সরেট = (৫০/১০০)*১০০ = ৫০%

অর্থাৎ ঐ ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট ৫০%। নিচে বাউন্সরেটের একটি স্ক্রিনশট দেয়া হলো, যেটি কোন গুগল এনালিটিক্স টুল এর মাধ্যমে জানতে পারবেন।

স্টান্ডার্ড বাউন্স রেট কত % ?

​এখন প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে আমরা কি টার্গেটে কাজ করবো? আমাদের ওয়েবসাইটের বাউন্সরেটের স্টান্ডার্ড কিরকম হওয়া উচিত? ইন্ডাস্ট্রি ভেদে বাউন্সরেটের স্টান্ডার্ড বেশি কম হয়ে থাকে যেমন:

আমি মনে করি, যেকোনো ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ৩০% বাউন্স রেট হওয়াটা সহনীয়। এমনকি ৪০-৫৫% বাউন্সরেট ও এভারেজ হিসেব আমার মনে হয়। তবে সাইটের বাউন্সরেট যদি ৬০% এর বেশি হয় তবে এটা চিন্তার বিষয় এবং ঐ ওয়েবসাইট নিয়ে তাহলে SEO এর কাজ করা উচিত।

​বাউন্স রেট বেশি হলে কি হয় ?

​যদি সাইটের বাউন্স রেট বেশি হয় তাহলে কি হতে পারে? খুব সাধারন একটা ব্যাপার চিন্তা করুন। গুগল সব সময়ই চায় সার্চ কোয়েরিতে সব থেকে রিলেভেন্ট রেজাল্ট টাকে দেখাবে। যদি কোন ওয়েবসাইটের বাউন্সরেট হয় ৮০% তার মানে অধিকাংশ ভিজিটর ঐ সাইটে প্রবেশ করে সাথে সাথেই আবার বের হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ সে কাংখিত রেজাল্ট টি পায়নি। গুগল তখন বুঝতে পারে এই সার্চ কোয়েরির জন্য আপনার ওয়েবপেজটি আপ টু দা মার্ক না। তখন গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টে পেছনে ফেলে অন্য ওয়েবসাইট কে যায়গা দিবে।

আবার যদি উল্টোটা হয়, অর্থাৎ বাউন্সরেট যদি ৩০% হয় তারমানে ঐ পেজে ভিজিটর প্রবেশ করে আরো কিছু পেজ ভিজিট করছে। তাহলে গুগল বুঝতে পারে যে ভিজিটর তার কাংখিত রেজাল্ট টি খুজে পেয়েছে। অর্থাৎ কম বাউন্সরেট সার্চ ইঞ্জিনকে এই জিনিসটা বুঝাতে সমর্থ হয় যে সার্চ কোয়েরির জন্য এই রেজাল্ট টি  রিলেভেন্ট।

ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানোর উপায়

​০১. ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড

​লোডিং স্পিড, ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোনো ওয়েবসাইট ৩ সেকেন্ডের মধ্যে লোড না নিলে ৩০% ভিজিটর ওই পেজ ভিজিট না করেই চলে যায়। অর্থাৎ ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমাতে হলে শুরুতেই ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড ৩ সেকেন্ডের নিচে নিয়ে আসতে হবে।

০২. কন্টেন্ট লেখার ব্যাপারে অধিক সতর্ক থাকা

​অনলাইন এবং SEO নিয়ে আমরা যারা কাজ করি তারা এই টার্ম টির সাথে খুব পরিচিত যে “Content is King” পুরো ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।যে কোন সাইটের কন্টেন্ট ভালো হলে ডিজাইন কোয়ালিটি মোটামুটি মানের হলেও ভিজিটর সাইটে থাকবে।

​তাই কন্টেন্ট লেখার সময় সতর্ক থাকা উচিত। কঠিন এবং দূর্বোধ্য শব্দ এড়ি চলা, এর সাথে লেখা সহজ ভাবে লেখা উচিত। তা না হলে ভিজিটর পোষ্ট পড়ে বিরক্ত হয়ে চলে যেতে পারে। যার ফলে সাইটের বাইন্সরেট বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। 

বিষয়বস্তুকে কম ভীতি প্রদর্শন করার জন্য কিছু উপায় অবলোকন করা যেতে পারে :

  • শিরোনামের যথাযথ ব্যবহার
  • ঘন ঘন সাবহেডিংস
  • উপযুক্ত চিত্র
  • বুলেটযুক্ত তালিকা

​০৩. ইরিলেভেন্ট কীওয়ার্ড ব্যবহার না করা

​একটা সময় ছিলো যখন ব্লাক হ্যাট টেকনিক ইউজ করে ইরিলেভেন্ট (অপ্রাসঙ্গিক) কীওয়ার্ডে সাইট র‌্যাংক করানো যেতো। এটা এখনো যায়, তবে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ধরা যাক, অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কিত একটি ব্লগ নিয়ে কাজ করছেন, কারো কাছে শুনলেন হেলথ রিলেটেড প্রোডাক্ট সেল করলে বেশ ভালো লাভ করা সম্ভব। এরপর যদি আপনি আপনার অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কিত ব্লগে হেলথ রিলেটেড কন্টেন্ট পোষ্ট করেন তাহলে হিতে বিপরিত হওয়ার সম্ভবনা ১০০%। কারন ভিজিটর আপনার ব্লগে আসবে অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে এসে হেলথ সম্পর্কিত লেখা দেখলে ভিজিটর বাউন্সব্যাক করে চলে যাওয়ার সম্ভবনাই বেশি। এর ফলে আপনার বাউন্সরেট বেড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভবনা থাকে।

০৪. ইউজার এক্সপেরিয়েন্স

​ইউজার এক্সপেরিয়েন্স যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ন। পুরো সাইটের ডিজাইন অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলি হওয়া চাই। যাতে করে একজন ভিজিটর কোনো ঝামেলা ছাড়াই ওয়েবপেজটি নেভিগেট করতে পারেন। কোনো কারনে ইউজার ইন্টারফেস খারাপ হলে ভিজিটর বেশি সময় ঐ পেজে থাকবে না, যার ফলে ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট বেড়ে যাবে।

০৫. ইন্টার্নাল লিংকিং তৈরি করা

​ভিজিটরকে সাইটে বেশি সময় আটকে রাখার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ইন্টার্নাল লিংকিং। ধরা যাক, কোন ওয়বেসোইটে SEO ক্যাটাগরিতে ৪টা পোষ্ট।

  • ​বেসিক এসইও
  • আউটরিচ
  • গেষ্টপোষ্ট
  • ব্যাকলিংক

​এখন যদি বেসিক SEO আর্টিকেলে রিলেভেন্ট ওয়েতে লিংক তৈরি করা, অন্যপোষ্টগুলো যেমন আউটরিচ, গেষ্টপোষ্ট এবং ব্যাকলিংকের পোষ্ট গুলো ইন্টার্নাল লিংক করে দিলে। এরফলে যেটা হবে, ভিজিটর বেসিক SEO এর পাশাপাশি অণ্য ব্যাপার গুলো সম্পর্কেও জানতে আগ্রহী হয়ে লিংকে ক্লিক করবেন এবং আরো বেশি সময় সাইটে থাকবেন।

০৬. অতিরিক্ত অ্যাড ব্যবহার না করা 

​বিজ্ঞাপন জিনিসটা সবসময়ই বিরক্তিকর। আপনি নিজের কাছেই নিজেকে জিজ্ঞেস করুন। বিজ্ঞাপন দেখতে আপনার কেমন লাগে? অবশ্যই উত্তর হবে বিরক্তিকর। অনেক সাইড দেখা যায় যারা হেডার, ফুটার, পোষ্ট সাউডবার থেকে শুরু করে সাইটে ২-৩ ইঞ্চি পর পর বিজ্ঞাপন দেয়। যা ভিজিটরের জন্য বিরক্তিকর। ওয়েবসাইটে যত কম বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা যায় তত ভালো।

​তারপর ও ইনকাম এর দিক থেকে বিজ্ঞাপন প্রয়োজন হলেও সেটা যেনো ভিজিটরের বিরক্তির কারন না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি সাইটে পপ-আপ অ্যাড রাখার পক্ষপাতী না, এতে বাইন্সরেট বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

০৭. ভিজিটরদের অংশগ্রহনের ব্যবস্থা রাখা

​যেকোনো ভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটদের অংশগ্রহনের ব্যবস্থা রাখলে সাইটের বাউন্স রেট বাড়ার চান্স কমে যায়। তা হতে পারে বিভিন্স পোল/সার্ভের মাধ্যমে। সাইটে কমেন্ট অপশন চালুর মাধ্যমেও ভিজিটর অংশগ্রহন বাড়ানো যায়। এতে ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানো যাবে।

০৮. সাইটটিকে অনুসন্ধান করা সহজ করন

সাইটটিকে অনুসন্ধান করা সহজ করতে হবে। বাউল রেড কমিয়ে আনা অন্যতম আরেকটি বিষয় হচ্ছে ওয়েবসাইটকে খুব সহজেই খুঁজে পাওয়ার উপযোগী করে তৈরি করা।এতে ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমানো যাবে।

০৯. মোবাইলের জন্য সাইটটিকে অপ্টিমাইজ করন

ওয়েবসাইটটি যাতে যে কোন ডিভাইস বা মোবাইলে খুব সহজেই দেখা যায় তার উপযোগী করে তৈরি করন। আজকাল সবাই মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই যেকোন ওয়েব সাইটকে মোবাইলে ব্যবহার উপযোগী করে তৈরি করলে। ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট অনেক কমানো যাবে।

এছাড়াও বাউন্স রেট কমানোর আরো অনেক উপায় আছে । তবে এই উপায়গুলি ফলো করলে আশা করা যায় গুগলের এক নম্বর পেজ এ আসা সম্ভব এবং এটাকে কন্টিনিউ প্রসেসে যদি রাখা যায় তাহলে যে কোন ওয়েবসাইটকে বাউন্স রেট কমিয়ে খুব দ্রুত গুগলের এক নম্বরে অবস্থান করা এবং ধরে রাখা সম্ভব। আশা করি এই উপায়গুলি ফলো করে উপকৃত হবেন ।

​ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকুন

সোর্স ঃ [wikipedia,Google,Md.Faruk khan ]

মুহাম্মাদ সহিদুল ইসলাম

ইনস্ট্রাক্টর(কম্পিউটার)

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন-22

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন

মহাবিশ্বের সৃষ্টি বা সূচনা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই! কোথা হতে এলো এই মহাবিশ্ব? উত্তর যদি হয় বিগ ব্যাং, এরপরেও প্রশ্ন থেকেই যায় বিগ ব্যাং এর পূর্বে কি ছিল? শূন্য থেকেই কি মহাবিশ্বের সৃষ্টি? সময়টাই যে বিন্দু থেকে শুরু হয়েছে সেই বিন্দুর আগে বা সময় তৈরির সূচনার বিন্দুর আগে কি-ই বা থাকতে পারে? এই পরম প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা অতি ক্ষুদ্র কণিকার জগতে প্রবেশ করলেন এবং অবাধ্য ক্ষুদ্র কণিকাগুলোর অপরিচিত আচরণ বোধগম্য ও ব্যাখ্যা করার জন্য “কোয়ান্টাম ফিজিক্স” নামে পদার্থবিজ্ঞানের একটি স্বতন্ত্র শাখা প্রতিষ্ঠিত করা হলো। কোয়ান্টাম ফিজিক্স মহাবিশ্বের উৎপত্তির ধারণা দিতে গিয়ে “কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন” নামক এক চমকপ্রদ বিষয় আবিষ্কার করলো।

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন নিয়ে আলোচনার পূর্বে “শূন্যতা” নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। সাধারণত কোন কিছুর উপস্থিতি না থাকাকেই আমরা শূন্যতা বলি। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় সেখানে কোন বাহ্যিক কণিকা থাকতে পারবেনা, তবে সর্বদা শক্তির উপস্থিতি থাকবে। কোয়ান্টাম তত্ত্ব অনুসারে যাকে কোয়ান্টাম শূন্যতা বলে। এই শূন্যতার প্রতিটি সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম স্তরে সবসময়ই ঘটে চলেছে নানান প্রক্রিয়া। কিন্তু কী সেই নানান কর্মকান্ড যা কিনা শূন্যতাকে প্রতিনিয়ত এতটা অশান্ত করে রেখেছে? আসলে শুন্যস্থানের সূক্ষ্মস্তরে প্রতিনিয়ত শক্তি ও ভরের অদল-বদল ঘটছে। এবং এর ফলে সেখানে প্রতি মুহূর্তে শক্তি রুপান্তরিত হচ্ছে ভরে তথা কণায়।

প্রকৃতিতে এমন এক কণার অস্তিত্ব আছে যা আমাদের পরিচিত কণা ইলেকট্রনের সম্পূর্ণ বিপরীত। আর একটি কনাকে আমরা অন্য একটি কণার বিপরীত তখনই বলি যখন তাদের মধ্যকার ভর সমান কিন্তু চার্জ পরস্পরের বিপরীত। অর্থাৎ ইলেকট্রনের ক্ষেত্রে এর বিপরীত কণিকাটি হবে ধনাত্মক চার্জ বিশিষ্ট, যাকে পজিট্রন বলে। এই প্রতিকণার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে,একে যদি কোনো কণার সংস্পর্শে নিয়ে আসা হয় তাহলে এটি সেই কণার সাথে মিলিত হয়ে উভয়কে ধ্বংস করে দেয় এবং বিনিময়ে তাদের ভরের সমতুল্য পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে (আইনস্টাইনের বিখ্যাত ভর শক্তি সমীকরণ E‌=mc2 অনুসারে)।

পদার্থবিজ্ঞানে শূন্যস্থান হতে কণা সৃষ্টির এই বিষয়টিকে বলা হয় “কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন” বা “ভ্যাকুয়াম ফ্লাকচুয়েশন”। কিন্তু এই কণা স্থায়ী হতে পারে না,সাথে সাথে ধ্বংস হয়ে গিয়ে আবার শক্তিতে পরিণত হয় ও শুন্যতার সাথে মিশে যায়। কারণ শূন্যস্থান থেকে যখন কণা সৃষ্টি হয় তখন সে কখনোই একলা একলা উৎপন্ন হতে পারে না। তার সাথে প্রতিকণাও যুগপৎ ভাবে উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ শূন্যতার মধ্যেই কিন্তু এক ধরণের শক্তি লুকিয়ে আছে; আর সেটাই তৈরি করে ভ্যাকুয়াম ফ্লাকচুয়েশনের মাধ্যমে পদার্থ তৈরির প্রাথমিক ক্ষেত্র। হাইজেনবার্গের বিখ্যাত অনিশ্চয়তা তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে ‘রহস্যময়’ এই শূন্য শক্তি কিংবা ভ্যাকুয়াম ফ্লাকচুয়েশনের বৈজ্ঞানিক ভিত্তিটি গড়ে উঠেছে। হাইজেনবার্গ গাণিতিকভাবে প্রমাণ করে দেখান যে, কোন বস্তুর অবস্থান এবং ভরবেগ যুগপৎ একসাথে নিশ্চিত ভাবে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করতে গেলে ভরবেগ নির্ণয় করা সম্ভব হয় না, আবার ভরবেগ পরিমাপ করতে গেলে বস্তুর অবস্থান অজানাই থেকে যাবে। কাজেই হাইজেনবার্গের এই সূত্রানুসারে, ‘পরম শূন্যে’ও একটি কণার ‘ফ্লাকচুয়েশন’ বজায় থাকার কথা, কারণ কণাটি নিশ্চল হয়ে যাওয়ার অর্থই হবে এর অবস্থান এবং ভরবেগ সম্বন্ধে আমাদেরকে নিশ্চিত তথ্য জানিয়ে দেওয়া,যা প্রকারান্তরে হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা তত্ত্বের লঙ্ঘন। বিজ্ঞানীরা কিন্তু ব্যবহারিক ভাবেই এর প্রমাণ পেয়েছেন। একটি প্রমাণ হচ্ছে ‘ল্যাম্ব শিফট’, যা আহিত পরমাণুর মধ্যস্থিত দুটো স্তরে শক্তির তারতম্য প্রকাশ করে। আরেকটি প্রমাণ হল টপ কোয়ার্কের ভরের পরিমাপ।তবে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের সবচেয়ে জোরদার প্রমাণ পাওয়া গেছে বিখ্যাত ‘কাসিমিরের প্রভাব’ থেকে।

শূন্যস্থানে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন ঘটার ফলে শূন্য হতেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কণা-প্রতিকণা সৃষ্টি হয়। গবেষকদের ধারণা, সৃষ্টির আদিতে মহাজাগতিক শূন্যতায় কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের ফলে যেসকল কণার সৃষ্টি হয়েছিল,সেগুলিই গঠন করেছে আমাদের আজকের এই মহাবিশ্ব। এখানে একটি প্রশ্ন থেকে যায়, কণা এবং প্রতিকণা পরস্পরকে ধ্বংস করে দিলে আর কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকার কথা নয়। কিন্তু কোয়ান্টাম তত্ত্ব বলছে, কিছু কণা কোন ভাবে প্রতিকণার সাথে সংস্পর্শ এড়িয়ে যায় এবং এদের থেকেই পরবর্তীতে বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে মহাবিশ্বের সূচনা হয়। প্রতিনিয়ত মহাশূন্যে এভাবেই হয়তো আরও হাজারো নতুন নতুন মহাবিশ্বের সৃষ্টি হচ্ছে!

রাফসান বিন আতা
ইন্সট্রাক্টর
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

Brand Identity-21

কিভাবে একটি নতুন ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি ডিজাইন করবেন?

আপনার ব্যবসার জন্য একটি ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি ডিজাইন করা একটি মজার এবং সৃজনশীল প্রক্রিয়া, কিন্তু এমন একটি ডিজাইন তৈরি করার চাপ যা আপনার ব্যবসার মূল্যবোধ এবং বাণিজ্যিক আবেদন উভয়ই একটি লম্বা প্রসেস মনে হতে পারে।

একটি কাঠামোগত পরিকল্পনা অনুসরণ করা আপনাকে ব্রেইন-ড্রেইন এড়াতে এবং আপনার ধারণাগুলিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। এখানে আমি একটি ব্র্যান্ড ডিজাইন প্রকল্পের কাছে যাওয়ার জন্য  প্রয়োজনীয় নয়টি পদক্ষেপের নির্দেশনা শেয়ার করছি, যা আপনার ব্যবসার পরিচয়কে অনন্য, উন্নত এবং পেশাদার বোধ করতে সাহায্য করবে।

একটি ব্র্যান্ড ডিজাইন করার সময়, আবশ্যক কাজের সংখ্যা (লোগো! ওয়েবসাইট! স্টেশনারী!) অপ্রতিরোধ্য মনে হতে পারে। প্রক্রিয়াটিকে পরিচালনাযোগ্য অংশে ভেঙ্গে দিলে আপনি সৃজনশীল এবং প্রশাসনিক কাজের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন, যা প্রকৃত উন্নতির দিকে নিয়ে যায়।

এখন আপনার ব্যবসার জন্য একটি নতুন ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি ডিজাইন তৈরি করার জন্য এই নয়টি ধাপে ডুব দেওয়া যাক।

1. আপনার গবেষণা নিজে করুন

শূন্যে কোনো ব্যবসা নেই, এটা স্পষ্ট। কিন্তু এটা আশ্চর্যজনক যে কতজন ব্যবসার মালিকরা যখন তারা একটি ব্র্যান্ড ডিজাইন প্রকল্প শুরু করে তখন এটি সম্পূর্ণরূপে ভুলে যায়। অনেকেই অবিলম্বে ডিজাইনের ধারণাগুলিতে ডুব দেবে, এই সত্যটিকে উপেক্ষা করে যে তাদের ব্র্যান্ডটি একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অনিবার্যভাবে বিদ্যমান থাকবে।

আপনার ব্র্যান্ডটি কোনও এলিয়েন দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে এমন চেহারা এড়াতে বা আরও খারাপভাবে, একটি বিদ্যমান নকশাকে ভুলভাবে অনুকরণ করা এড়াতে (একটি চরম উদাহরণ হিসাবে দুর্ভাগ্যজনক টোকিও 2020 লোগো বিতর্ক দেখুন), আপনাকে আপনার প্রতিযোগীদের ব্র্যান্ড সম্পর্কে কিছু গবেষণা করতে হবে।

আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্স ক্রিয়েটিভ হন, তাহলে স্থানীয় ডিজাইন ফার্ম এবং বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলি কীভাবে অনলাইনে এবং তাদের অফিসে নিজেদের উপস্থাপন করে তা দেখে নিন। একটি পণ্যের জন্য একটি ব্র্যান্ড ডিজাইন করছেন? শিল্পের ব্র্যান্ডগুলির জন্য কোনটি উপযুক্ত (পড়ুন: বিক্রিযোগ্য) বলে বিবেচিত তা বোঝার জন্য সেক্টরে Google এবং চিত্রগুলি গবেষণা করুন ৷ Pinterest একটি বিশেষ ওয়েবসাইট যেখানে বিভিন্ন সেক্টরে কোন ব্র্যান্ডগুলিকে তাদের ডিজাইন অনুসারে তাদের ব্রান্ড কিভাবে প্রকাশ করেছে তা নিয়ে গবেষণা করুন।

একটি নোটপ্যাড নিন এবং আপনি যে ব্র্যান্ডগুলি নিয়ে গবেষণা করছেন সেগুলির  সবচেয়ে সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলির কয়েকটি লিখুন ৷ 

প্রসাধনী গবেষণা? 

বেশ কয়েকটি স্কিনকেয়ার এবং মেকআপ ব্র্যান্ডগুলিতে ব্যবহৃত সাধারণ রঙ বা ফন্টের শৈলীগুলির জন্য সন্ধান করুন । 

এই মোটামুটি তালিকাটি বৃহত্তর বাণিজ্যিক বাজারে আপনার নোঙ্গর হবে কারণ আপনি আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ড ডিজাইন করতে আগ্রহী। আপনি যখন নকশা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন, এই তালিকায় ফিরে যান। আপনার নকশা তালিকাভুক্ত বৈশিষ্ট্য কোনো আছে? যদি তা না হয় তবে এটি একটি চিহ্ন হতে পারে যে আপনার ব্র্যান্ড একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ভাল করার জন্য খুব অপ্রচলিত হবে। 

2. আপনার Niche জানুন

আপনি প্রতিযোগিতাটি দেখেছেন এবং তারা কীভাবে তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড ডিজাইনের সাথে যোগাযোগ করেছেন তা ব্রেক ডাওন করেছেন। এখন আপনাকে এই জ্ঞানটি আপনার মস্তিষ্কের পিছনে ফাইল করতে হবে এবং আপনার ব্র্যান্ডের লক্ষ্যে ফোকাস করতে হবে।

আপনি কীভাবে নিশ্চিত করতে পারেন যে আপনার ব্র্যান্ডটি সঠিক বাজার সেক্টরে ফিট করে এবং কিছু উপায়ে প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলির সাথে প্রাসঙ্গিক দেখায়, তবে আপনার ব্র্যান্ডটি শুধুমাত্র অনন্য নয় কিন্তু এই প্রতিযোগীদের থেকেও উচ্চতর তা নিশ্চিত করবেন?

এখন আপনি আপনার প্রতিযোগী ব্র্যান্ড গবেষণার তালিকা একসাথে রেখেছেন, আপনি এটিকে আপাতত একদিকে রাখতে পারেন। চিন্তা করবেন না—আপনি ভুলে যাবেন না যে প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলি দেখতে কেমন ছিল এখন আপনি তাদের গবেষণার জন্য সময় ব্যয় করেছেন। যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল আপনি একটি ব্র্যান্ড ডিজাইন তৈরি করার অবস্থানে আছেন যা তাজা এবং অনন্য মনে হয়। একটি ডিজাইন যা এই প্রতিযোগী ব্র্যান্ডগুলির বিরুদ্ধে আপনার অবস্থানকে উল্লেখ করে ৷

আপনাকে এখন আপনার ইউএসপি (ইউনিক সেলিং পয়েন্ট) এর উপর ফোকাস করতে হবে। কী আপনার ব্যবসার অফারকে আপনার প্রতিযোগীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে তোলে? মনে করেন আপনি একটি ছোট ফটো এজেন্সির জন্য একটি ব্র্যান্ড ডিজাইন করছেন। আপনি স্থানীয় ফটোগ্রাফারদের দেখেছেন এবং দেখেছেন তারা কী অফার করে। আপনি অন্যদের থেকে আলাদা কোনো উপায়ে বাজারকে কাজে লাগাতে পারেন , সেটা না জেনেই আপনি ব্যবসা শুরু করবেন না। সম্ভবত আপনি উচ্চতর পোস্ট-এডিটিং পরিষেবা অফার করেন। এটি আপনার ইউএসপি এবং এটি আপনার ব্র্যান্ড ডিজাইনে উল্লেখ করা প্রয়োজন।

আপনার ব্র্যান্ডের মানগুলি জানা আপনাকে আপনার ব্যবসা প্রকৃতপক্ষে গ্রাহকদের কী অফার করছে সে সম্পর্কে আরও আত্মবিশ্বাসী বোধ করতে সাহায্য করতে পারে ।

3. Put Pencil to Paper

যখন একজন ভোক্তা প্রথমবারের মতো কোনো ব্র্যান্ডের সংস্পর্শে আসে, তখন তারা প্রথম যে দৃশ্যের মুখোমুখি হতে পারে তা হল ব্র্যান্ডের লোগো। দোকানের চিহ্নে আপনি প্রথম কী দেখতে পান? হ্যাঁ, লোগো। আপনি যদি অন্ধভাবে কোনো পণ্যের মুখোমুখি না হন—উদাহরণস্বরূপ আপনি এমন কোনো পণ্য ব্যবহার করে দেখেন যা একজন বন্ধু ইতিমধ্যেই এর ব্র্যান্ড না জেনেই কিনেছেন—যে কোম্পানির লোগোটি তৈরি করা হয় তার লোগো না দেখে কোনো পণ্যের সাথে যোগাযোগ করা প্রায় অসম্ভব।

বেশির ভাগ ব্র্যান্ডের জন্য, তাদের লোগো হল ব্র্যান্ডের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা সমস্ত কিছুর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা। আপনি শুধুমাত্র তাদের লোগো থেকে একটি ব্যবসা সম্পর্কে অনেক তথ্য ব্যাখ্যা করতে পারেন। তারা হয়ত একটি সেরিফ ফন্ট বেছে নিয়েছিল যাতে আরও আনুষ্ঠানিক দেখা যায়, যেখানে একটি স্ক্রিপ্ট ফন্ট একটি ব্র্যান্ডকে আরও কারুশিল্প-ভিত্তিক বোধ করতে পারে। রঙের মনোবিজ্ঞানও খেলতে পারে—কমলা আশাবাদী এবং ভাল-মান, নীল শান্ত এবং প্রযুক্তিগত বোধ করে। সোনা বা তামার মতো ধাতব টোন আনা বিলাসবহুল ফ্যাক্টরকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং একটি ব্র্যান্ডকে আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষী বোধ করাতে পারে। 

যেহেতু একটি লোগো শুধুমাত্র গ্রাহকদের জন্য আপনার ব্র্যান্ডের সাথে পরিচিতির মাধ্যমই নয় , বরং এটি আপনার ব্র্যান্ডটির সবকিছুর একটি চাক্ষুষ সারাংশও, তাই লোগোটি আপনার ব্র্যান্ড পরিচয় ডিজাইন তৈরি করার জন্য একটি স্বাভাবিক সূচনা পয়েন্ট।

একটি লোগো তৈরি করা শুরু করতে আপনাকে আপাতত কম্পিউটার থেকে দূরে সরে যেতে হবে৷ একটি কলম বা পেন্সিল এবং একটি বড় স্কেচপ্যাড নিন। প্রাথমিক ধারণাগুলি উপস্থাপন করে এমন দ্রুত ডুডল তৈরি করা শুরু করুন। 

এমন কিছু ধারণার জন্য লক্ষ্য করুন যেগুলির একটি প্রতীকী জোর রয়েছে (আরো চিত্র-ভিত্তিক) এবং অন্যগুলি যা ব্যবসার নামের টাইপ-স্টাইলের সাথে খেলা করে। কোনো একক ধারণায় বেশিক্ষণ থাকবেন না; প্রতিটির জন্য কয়েক মিনিট যথেষ্ট হবে। রঙ, শৈলী বা ধারণাটি উন্নত করার সম্ভাব্য উপায় সম্পর্কে আপনার যে কোনও ধারণা পরে নিজেকে মনে করিয়ে দিতে নোটের সাথে প্রতিটি ধারণা লিখে রাখুন ।

আপনি পৃষ্ঠাটি পূরণ করার পরে, এটিকে একপাশে রাখুন এবং পরবর্তী পৃষ্ঠায় যান। 2-3টি পৃষ্ঠাগুলিকে প্রচুর ভিন্ন, আকর্ষণীয় ধারণা দিয়ে পূরণ করার লক্ষ্য রাখুন। চিন্তা করবেন না যদি আপনি মনে করেন যে কিছু ধারণা অন্যদের তুলনায় দুর্বল, আপনি কখনই জানেন না কোন স্কেচ একটি আশ্চর্যজনক ধারণার জন্য একটি স্প্রিংবোর্ড হবে।

আপনার আকা শেষ হয়ে গেলে, আপনার স্কেচপ্যাড থেকে দূরে সরে যান এবং একটি কফির জন্য একটু বিরতি নিন। আপনি যখন আপনার কাজে ফিরে আসবেন তখন আপনি একটি নতুন মন নিয়ে আপনার ধারণাগুলিকে নতুন আলোতে দেখতে সক্ষম হবেন। 

4. তিনটি লোগো ধারণাকে চূড়ান্ত করুন

পরিমার্জন করুন, তারপর বাইরের মতামত সন্ধান করুন। বুদ্ধিমত্তার প্রক্রিয়াটিকে মূল্য দিন এবং খুব তাড়াতাড়ি একটি ধারণার প্রতি আবেগগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া এড়িয়ে চলুন।

আপনি যখন আপনার লোগোর স্কেচগুলিতে ফিরে আসেন তখন সতেজ বোধ করবেন, আপনার ডিজাইনগুলিকে সমালোচনামূলকভাবে দেখুন ৷ কোন স্কেচ অবিলম্বে অন্যদের তুলনায় শক্তিশালী প্রদর্শিত হবে? আপনার কিছু প্রতীকী ধারণা কি খুব জটিল একজন বহিরাগতের পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা যায়? তিনটি ডিজাইন চিহ্নিত করুন যেগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে—সম্ভবত তাদের একটি শক্তিশালী থিম্যাটিক ধারণা বা সহজভাবে একটি শক্তিশালী ভিজ্যুয়াল শৈলী রয়েছে—এবং প্রতিটি ধারণাকে নিজস্ব একটি পৃষ্ঠায় দিয়ে বিভিন্ন স্কেচে তাদের আরও পরিমার্জন করুন।

এই পর্যায়ে শুধুমাত্র একটি ধারণা এড়িয়ে চলা অনেক ভালো। এমনকি যদি আপনি মনে করেন যে তিনটির মধ্যে একটি ধারণা সবচেয়ে শক্তিশালী, আপনাকে এই পর্যায়ে আপনার বিকল্পগুলি খোলা রাখতে হবে। একবার আপনার পরিমার্জিত স্কেচ হয়ে গেলে, বাইরের মতামত সন্ধান করুন। কয়েকজন বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা সহকর্মীদের ধরুন এবং তাদের তিনটি ডিজাইন দেখতে বলুন। আপনি দেখতে পাবেন যে তারা এমন একটি নকশা পছন্দ করে যা আপনার ব্যক্তিগত পছন্দের নয়, তবে হতাশ হবেন না। এটি নিশ্চিত করবে যে আপনার ব্র্যান্ডের বাণিজ্যিক আবেদন রয়েছে এবং এটি শুধুমাত্র আপনার ব্যক্তিগত রুচির উপর ভিত্তি করে নয়।

অন্যদের পাশাপাশি আপনার নিজের মতামতের উপর ভিত্তি করে আপনার শক্তিশালী ডিজাইনে স্কেচগুলিকে সংকুচিত করুন। নকশাকে আরও পরিমার্জিত করার সুযোগ ব্যবহার করে কালো কালিতে স্কেচের একটি অনুলিপি তৈরি করুন। আপনি নকশাটিকে আরও ন্যূনতম এবং সিলুয়েটেড করেছেন কিনা তা বিচার করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত অনুশীলন।

সমস্ত লোগোকে সাধারণ কালো এবং সাদা রঙে সমানভাবে কাজ করতে হবে যেমন তারা সম্পূর্ণ রঙে করে। তারপর আপনি আপনার লোগো ডিজাইনটি কম্পিউটারে ভেক্টরাইজ করার জন্য স্থানান্তর করতে প্রস্তুত। আপনার কাছে থাকলে একটি স্ক্যানার ব্যবহার করে কালো কালির স্কেচটি স্ক্যান করুন, অথবা একটি উচ্চ-রেজোলিউশন ছবি তুলতে একটি ক্যামেরা বা ফোন ব্যবহার করুন৷

5. রঙ সম্পর্কে চিন্তা করুন

একবার আপনি আপনার কম্পিউটারে আপনার কালো-সাদা স্কেচ আপলোড করলে এটি ভেক্টরাইজ করার সময়! আপনি চূড়ান্ত ভেক্টর লোগো তৈরি করার জন্য একটি টেমপ্লেট হিসাবে আপনার স্ক্যান করা নকশা ব্যবহার করতে পারেন।

আপনার পছন্দের প্রোগ্রামে (যেমন Adobe Illustrator বা CorelDRAW) একটি লক করা স্তরে আসল নকশাটি রাখুন এবং এর উপরে আপনার ভেক্টর তৈরি করুন, চিত্রটিকে ট্রেসিং সহায়তা হিসাবে ব্যবহার করে৷ যদিও এটি আদর্শ নয়, আপনার যদি ভেক্টর সফ্টওয়্যারের সাথে আত্মবিশ্বাসের অভাব হয় তবে ‘প্রতারণা’ করার উপায় রয়েছে — অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটরে ইমেজ ট্রেস ফাংশন (উইন্ডো > ইমেজ ট্রেস) ব্যবহার করে দেখুন।

এখন সময় এসেছে রঙ নিয়েও পরীক্ষা শুরু করার। আপনার বাজার গবেষণায় ফিরে চিন্তা করুন – আপনার ব্র্যান্ডের সেক্টরে ঘন ঘন ক্রপ করা কোন রং কি ছিল? আপনি রঙের মনোবিজ্ঞানের নীতিগুলিও ট্যাপ করতে পারেন। আপনার লোগোর রঙ পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন এবং এটি কীভাবে সামগ্রিক প্রভাব পরিবর্তন করে তা বিচার করুন। একটি আংশিক রঙ আপনাকে কেমন অনুভব করে? আপনি আপনার ব্র্যান্ডের সাথে যা অর্জন করার চেষ্টা করছেন তার সাথে কি এই মানসিক টান মানায়?

উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি সোনার রঙ এই জিমের লোগোটিকে বিলাসবহুল বোধ করে তবে আপনার জিমের ইউএসপি গ্রাহকদের জন্য সস্তায় যোগদানের ফি প্রদান করা হলে এটি ভুল বার্তা পাঠাতে পারে। সেই ক্ষেত্রে, আরও শান্ত, দক্ষ-সুদর্শন নীল একটি ভাল পছন্দ হবে।

আপনার নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড এবং পণ্যগুলির সাথে দীর্ঘমেয়াদী রঙের সংযোগের প্রভাবগুলিও বিবেচনা করা উচিত। 

6. আপনার ব্র্যান্ড প্রসারিত করুন:

একবার আপনি আপনার লোগোকে ভেক্টরাইজ করে এবং একটি উপযুক্ত রঙের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে আপনি আপনার ব্র্যান্ড প্রসারিত করতে প্রস্তুত। আপনার ব্র্যান্ডের ব্যক্তিত্বকে সংজ্ঞায়িত করার মূল উপায়গুলির মধ্যে একটি হল টাইপফেসগুলি বেছে নেওয়া যাতে আপনি আপনার ব্র্যান্ডের পরিচয় দিতে চান এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

বেশিরভাগ ব্র্যান্ড দুটি ‘ব্র্যান্ড টাইপফেস’ গ্রহণ করে, একটি হেডার এবং স্লোগানের জন্য এবং অন্যটি বডি টেক্সটের জন্য। কিছু বড় ব্র্যান্ড একটি কাস্টম ফন্ট কমিশন করতে পারে যা তাদের কাছে সম্পূর্ণ অনন্য, কিন্তু বেশিরভাগ ব্যবসা কেবল তাদের ব্র্যান্ডের সাথে মানানসই ফন্ট গ্রহণ করবে। Adobe তাদের ব্র্যান্ড পরিচয়ের জন্য ক্লিন এবং মিনিয়ন ফন্ট ব্যবহার করে ।

আপনার নিজের ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি ডিজাইনের সাথে কী মানানসই হতে পারে সে সম্পর্কে কিছু ধারণা পেতে ফন্টের একটি বিস্তৃত পরিসর ব্রাউজ করুন।

বড় হাতের সান সেরিফরা আত্মবিশ্বাসী এবং আধুনিক বোধ করে। একটি আরও তীক্ষ্ণ, গ্রাফিক চেহারার জন্য একটি গোলাকার শৈলী প্রতিস্থাপন করা একটি ব্র্যান্ডকে আরও দৃঢ় এবং পুরুষালি বোধ করতে পারে।

কয়েকটি বিকল্পের প্রিন্ট-আউট তৈরি করুন এবং তাদের তুলনা করুন। টাইপফেসের প্রতিটি শৈলী আপনার ব্র্যান্ডে কী ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে? আপনি কি একটি সেরা ফিট সনাক্ত করতে পারেন, যা আপনার লোগো ডিজাইনের পরিপূরক এবং এটির জন্য সঠিক ব্যক্তিত্ব রয়েছে?

7. আপনার ব্র্যান্ড প্রসারিত করুন: ফটোগ্রাফি এবং গ্রাফিক্স

একটি ব্র্যান্ড পরিচয় শুধুমাত্র একটি লোগো এবং টাইপ দিয়ে তৈরি হয় না। ফটোগ্রাফি এবং গ্রাফিক্সের মতো অন্যান্য ভিজ্যুয়াল উপাদানগুলি সম্পর্কে চিন্তা করে আপনার ব্র্যান্ড প্রসারিত করা চালিয়ে যান। যদিও আপনার লোগো, রঙ এবং টাইপফেসগুলি আপনার স্টেশনারি, বিপণন এবং ওয়েবসাইটে স্থির থাকতে পারে, বিশেষ ডিল, বিজ্ঞাপন বা পণ্য-নির্দিষ্ট প্যাকেজিংয়ের মতো নির্দিষ্ট বার্তাগুলিকে যোগাযোগ করতে আপনি যে ছবিগুলি ব্যবহার করেন তা অবশ্যম্ভাবীভাবে পরিবর্তিত হবে৷

আপনি যখন বিভিন্ন চিত্র ব্যবহার করছেন তখন আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের মধ্যে সামঞ্জস্যের একটি উপাদান রয়েছে। এটি আপনার ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের জন্য শুধুমাত্র একটি স্টাইল ফটো ব্যবহার করার কথা বলার মতো সহজ হতে পারে। ধরা যাক আপনি একটি খাদ্য ব্যবসার জন্য একটি ব্র্যান্ড পরিচয় ডিজাইন করছেন। আপনার ব্র্যান্ডের একটি নিয়ম হতে পারে যে আপনি শুধুমাত্র ওভারহেড শট ব্যবহার করবেন।

ধরা যাক আপনি একাধিক অফিস সহ একটি লাইফস্টাইল কোম্পানি ব্যবহার করার জন্য একটি ব্র্যান্ড ডিজাইন করছেন। আপনি ইমেজ সম্পর্কিত আরও কিছু নিয়ম তৈরি করতে চাইতে পারেন যাতে সমস্ত বিপণন আউটপুট সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ব্র্যান্ডের জন্য আপনার সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ দেখায়। আপনি বলতে পারেন যে সমস্ত চিত্রগুলি মানুষের ফটো হতে হবে, তবে শুধু তাই নয়, সেগুলিকে সাদা-কালো প্রতিকৃতি হতে হবে এবং ব্যক্তিকে ক্যামেরার দিকে মুখ দেখাতে হবে৷

8. আপনার ব্র্যান্ড প্রয়োগ করুন

আপনি একটি লোগো এবং ফন্ট বাছাই করেছেন, এবং চিত্রগুলি ব্যবহার করার জন্য আপনার নিয়মগুলি সেট করুন৷ এখন মুদ্রণ এবং ডিজিটাল মিডিয়াতে আপনার ব্র্যান্ড প্রয়োগ করা শুরু করার সময়। গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আপনার ব্যবসা প্রতিদিনের ভিত্তিতে যে মিডিয়া ব্যবহার করে তা অগ্রাধিকার দিন—আপনি যদি দূর থেকে কাজ করেন তবে এর অর্থ হতে পারে আপনার ওয়েবসাইটকে অগ্রাধিকার দেওয়া সর্বোত্তম, এবং আপনার ইমেল স্বাক্ষরেও আপনার লোগো যোগ করতে ভুলবেন না। আপনি যদি অনেক নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট বা কনফারেন্সে যোগ দেন, তাহলে একটি ব্র্যান্ডেড বিজনেস কার্ড আপনাকে ভালো জায়গায় রাখবে।

তবে আপনার ব্র্যান্ডকে মুদ্রণ স্টেশনারিও প্রসারিত করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন সম্ভাব্য নতুন ক্লায়েন্টদের সাথে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতে চান তখন আপনি একটি ব্র্যান্ডেড লেটারহেড (এবং একটি খামও, যদি আপনার সময় থাকে) দিতে পারেন।

আপনার ব্যবসার যদি অনেক কর্মী বা অফিস থাকে তবে আপনাকে একটি ব্র্যান্ড নির্দেশিকা ম্যানুয়াল তৈরি করার দিকেও নজর দিতে হবে। স্টাফ এবং ঠিকাদারদের যেকোন কিছুর জন্য আপনার ব্র্যান্ডিং প্রয়োগ করার সঠিক উপায় দেখানোর জন্য এটি একটি নথি হবে—স্টেশনারি, ফ্লায়ার এবং বিপণন সামগ্রীর মতো ছোট আকারের আইটেম থেকে শুরু করে কোম্পানির প্রকাশ্যে কীভাবে প্রতিনিধিত্ব করা হয় তার বড় আকারের ব্যাখ্যা, যেমন অফিস ডিজাইন, বিজ্ঞাপন এবং ওয়েবসাইট ডিজাইন হিসাবে।

9. আপনার ব্র্যান্ড পর্যালোচনা করুন

আপনি আপনার ব্র্যান্ড পরিচয় ডিজাইন শেষ করেছেন, অভিনন্দন! এখন কি?

ঠিক আছে, আপনি শেষ কাজটি করতে চান বলে মনে হতে পারে, তবে আপনার ব্র্যান্ডটি এখন ব্যবহার করা হচ্ছে তা পর্যালোচনা করার জন্য আপনাকে আপনার মন উন্মুক্ত রাখতে হবে।

এর প্রথম অংশটি গবেষণা ভিত্তিক। গ্রাহকরা ব্র্যান্ডের প্রতি কীভাবে সাড়া দেয় তা লক্ষ্য করুন। আপনার যদি একটি ফিজিক্যাল স্টোর থাকে তবে এটি করা সহজ হতে পারে এবং আপনার কাছে ব্যক্তিগতভাবে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে সমীক্ষা পরিচালনা করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে।

যদি আপনার ব্যবসা অনলাইন ভিত্তিক হয়, তাহলে আপনি সমীক্ষা চালানোর জন্য ইমেল তালিকা ব্যবহার করতে চাইতে পারেন (প্রতিক্রিয়া দেওয়ার জন্য ডিসকাউন্ট এবং অফারগুলি ব্যবহার করুন) বা আপনার নতুন ব্র্যান্ড লুক চালু করার কয়েক সপ্তাহ এবং মাসগুলিতে বিক্রয় কর্মক্ষমতা বিশ্লেষণ করতে পারেন। যদি আপনার বিক্রয়ের উন্নতি হয়, তবে এটি একটি শক্তিশালী লক্ষণ যে আপনার ব্র্যান্ড ভাল পারফর্ম করছে। যদি আপনার বিক্রয় আগের মতোই থাকে বা আরও খারাপ হয়, তাহলে এটি একটি চিহ্ন হতে পারে যে আপনার ব্র্যান্ডটি ভালভাবে গ্রহণ করা হচ্ছে না।

যদি আপনার ব্র্যান্ডটি পুরোপুরি কাজ না করে তবে আপনার হতাশ হওয়া উচিত নয়। এটি সত্যিই সাধারণ কারণ ব্যবসাগুলি তাদের চাক্ষুষ পরিচয় এবং বাজারে অনন্য স্থান খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান তা আরও গুরুত্বপূর্ণ।

এখনই সময় আপনার ব্র্যান্ড পর্যালোচনা করার, এবং হয় বিদ্যমান পরিচয়ের উপাদানগুলিকে টুইক করা (রঙের মতো সাধারণ উপাদানগুলি পরিবর্তন করা একটি ব্র্যান্ড কীভাবে কার্য সম্পাদন করে তার উপর বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে) বা স্ক্র্যাচ থেকে একটি নতুন পরিচয় তৈরি করার সময়। বাজার গবেষণা পর্যায়ে ফিরে যান এবং দেখুন যে আপনি কিছু মিস করতে পারেন কিনা। আপনি কি আপনার শিল্প গবেষণার সাথে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ হতে পারেন? আপনি কি আপনার লোগো ডিজাইন সম্পর্কে আরও বাইরের পরামর্শ চাইতে পারেন?

একটি ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি ডিজাইন করা একটি সুনির্দিষ্ট বিজ্ঞান নয়, তবে একটি পদ্ধতিগত, পরিমাপিত পদ্ধতির সাহায্যে, আপনি এমন কিছু তৈরি করতে সত্যিই ভাল শট নিতে পারেন যা একটি আবেগগত এবং বাণিজ্যিক স্তরে মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।

আব্দুল্লাহ আল নুমান

ইন্সট্রাক্টর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক কলেজ

Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Tunnel-20

Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Tunnel

Important Information

  • Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Tunnel or Bangabandhu Tunnel or Karnaphuli Tunnel is an under-construction road tunnel under the Karnaphuli River.
  • This tunnel will connect the two bank areas of Karnaphuli river.
  • Through this tunnel Dhaka-Chittagong-Cox’s Bazar highway will be connected.
  • 3.43 km is the total length of Bangabandhu Tunnel.

  • If constructed, the tunnel will be Bangladesh’s first under-river road tunnel and the first and longest under-river road tunnel in South Asia.
  • The Chinese company China Communication and Construction Company Limited (CCCC) is implementing this tunnel construction project.
  • Bangabandhu tunnel starts from the Chittagong suburbs beside the Naval Academy and end through the Karnaphuli Fertilizer Limited and Chittagong Urea Fertilizer Limited factories at the Anwara of the southern end of the river.
  • At the depth of 150 feet of the river this tunnel is located.

  • On October 14, 2016, Prime Minister of Bangladesh and President of China Xi Jinping laid the foundation stone of the project.
  • Prime Minister Sheikh Hasina officially inaugurated the construction of the Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Tunnel on February 24, 2019.
  • The construction of the tunnel will cost 9 thousand 880 crores.
  • In October 2016, during the visit of Chinese President Xi Jinping to Dhaka, the loan agreement for the construction of the Karnaphuli Tunnel was signed.
  • According to the agreement, Exim Bank of China is giving Tk 5 thousand 913 crore as a 20-year loan. The rest of the funding is being done by the Bangladesh government. Exim Bank’s financing interest rate is 2 percent.
  • The construction of the river tunnel has been taken over by the Chinese construction company. The estimated completion time of this construction is 2022. Although the original length of the tunnel is 3.43 km, more than 5 km connecting road will be connected with it.

  • On February 24, 2019 the boring work of the tunnel inaugurated by Prime Minister Sheikh Hasina.
  • The construction of the dream tunnel will be completed in December 2022.
  • Karnaphuli Tunnel Project Director Harunur Rashid Chowdhury
  • Bangladesh government is providing financial assistance of 4 thousand 461 crore 23 lakh taka in this project built at the cost of 10 thousand 374 crore taka. Exim Bank of China is supporting the remaining 5 thousand 913 crore 19 lakh rupees of the project, which Bangladesh has to pay at 2 percent interest rate.
  • While the total length of the tunnel is 9.39 km, the length of the main tunnel is 3.32 km. The tunnel has two tubes with a diameter of 10.80 meters, each of which is 2.45 kilometers long.
  • Out of 382.08 acres of land required for the project, 362.32 acres have been acquired. The rest of the land is being rapidly acquired.
  • Authorities expect around 5 million vehicles to travel through the tunnel in its first year of operation.

Author

Md. Asaduzzaman Russel

Architecture and Civil Technology

Daffodil Polytechnic Institute

Static Electricity-19

স্থির বিদ্যুৎ

“বিদ্যুৎ” এই শব্দটি যেন আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বিদ্যুৎ বলতেই কেবল পরিবাহী তারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত চলবিদ্যুৎকেই বুঝে থাকে। কিন্তু স্থির বিদ্যুৎও যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে সে কথা হয়ত অনেকেই উপলব্ধি করতে পারিনা। আর এজন্যই আজকের আর্টিকেল নিয়ে উপস্থিত হলাম আপনাদের মাঝে। চলুন স্থির বিদ্যুৎ এর কিছু ব্যবহারিক প্রয়োগক্ষেত্র নিয়ে আড্ডা জমানো যাক।

স্থির বিদ্যুৎ বলতে কি বোঝায়?

অনেকেই ভাবছেন এ আর এমন কি? যে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারেনা, স্থির থাকে তাকেই স্থির বিদ্যুৎ বলে। আর এই বিদ্যুৎ তৈরি হয় ঘর্ষণের মাধ্যমে। কিন্তু দুটো বস্তু ঘর্ষণের কারণেই কেন স্থির বিদ্যুৎ তৈরি হবে? ঘর্ষণের সময় কি এমন ঘটে যে স্থির বৈদ্যুতিক আধান তৈরি হয়।

ঘর্ষণের ফলে স্থির বিদ্যুৎ তৈরি হবে কেন?

এই রহস্য লুকিয়ে ছিল বহু বছর পূর্বে পাইন গাছের এম্বার আঠার মধ্যে। ৬০০ খ্রিস্টপূর্বে গণিতবিদ থ্যালিসের জাগল এক আজব ইচ্ছা। কি সেই ইচ্ছা? তিনি এম্বার গাছ থেকে আঠা সংগ্রহ করলেন এবং তা পশুর লোমের সাথে ঘষতে লাগলেন। ঘর্ষণের পরে তিনি পশুর লোমকে অন্য একটি হালকা বস্তুর সংস্পর্শে আনেন। তখন হালকা বস্তুটি পশুর লোম কর্তৃক আকৃষ্ট হতে থাকে। এমন কিছু শক্তি ত আছেই যার কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে।

শুধুমাত্র থ্যালিসই নয়, খেলার ছলে আপনিও তৈলাক্ত মাথায় কলম ঘষে কাগজকে আকর্ষণ করে স্থির বিদ্যুতের প্রয়োগ করেছেন। বস্তুত এখানে হচ্ছেটা কি? খুবই সিম্পল ব্যাপার। সবই ইলেকট্রনের খেলা। আমরা জানি, পদার্থ হল ইলেকট্রনের আধার। এক এক পদার্থের ইলেকট্রন আসক্তি একেক ধরনের। কেউ ইলেকট্রন গ্রাস করে। পক্ষান্তরে কেউ হাজী মুহাম্মদ মহসীনের ন্যায় ইলেকট্রন দান করে। আর এই গ্রহণ বা ত্যাগের ফলেই তার মধ্যে ইলেকট্রনের ঘাটতি বা বাড়তি হতে পারে। মজার ব্যাপার এই যে, ইলেকট্রন বাড়তি কমতির ঘটনায় প্রোটন মহাশয়ের কোনরুপ পরিবর্তন ঘটেনা। ফলশ্রুতিতে, দুটো বস্তুর মধ্যে একটি ধনাত্নক আধানে আরেকটি ঋনাত্নক চার্জে চার্জিত হয়ে পড়ে।

খুব বেশি বকবক করে ফেলছি। আসল পয়েন্টে ফিরে যাই। বাস্তবজীবনে এই স্থির বিদ্যুতের কিছু ব্যবহারিক ক্ষেত্র দেখে নেয়া যাকঃ

ভ্যান ডি গ্রাফ জেনারেটর

জেনারেটর নাম শুনেই হয়ত চমকে গেলেন? আমরা ত জানি, জেনারেটর কেবলই এসি ভোল্টেজ তৈরি করে থাকে। জেনারেটরের সাহায্যে স্ট্যাটিক চার্জ বা স্থির বিদ্যুৎও তৈরি করে সম্ভব। এই জেনারেটরে সাধারণত উচ্চধরনের ফ্রিকশান ব্যবহার করে একটি গোলকের এরিয়াকে অধিকমাত্রায় চার্জিত করে হাই ভোল্টেজ তৈরি করা হয়ে থাকে। এই জেনারেটরের মাধ্যমে ৫০ লক্ষ ভোল্ট ভোল্টেজ তৈরি করা সম্ভব।

জেরোগ্রাফি

পরীক্ষার হলে আপনি আপনার বন্ধুর খাতা হুবহু কপি করে নিজের খাতায় পেস্ট করলেন। এই কপিবিদ্যাই হল জেরোগ্রাফি। একটু সিরিয়াস ভাষায় বলতে গেলে, আমরা ফটোকপি মেশিনের সাহায্যে যে জেরোক্স কপি বের করি সেই জেরোক্স কপি বের করার প্রক্রিয়াই হল জেরোগ্রাফি। “Xeros” এবং “Graphy” এই দুই শব্দ নিয়েই জেরোগ্রাফি শব্দটি গঠিত। “Xeros” শব্দের অর্থ হল কপি/নকল আর “Graphy” শব্দের অর্থ হল লিখা।

ফটোকন্ডাক্টিং একটি ড্রামকে চার্জিত করে সুপার রেজুলেটেড লেন্স গ্লাস ব্যবহার করে স্ট্যাটিক ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার করে জেরোক্স কপি বের করে নেয়া হয়।

লেজার প্রিন্টার

অত্যাধুনিক লেজার প্রিন্টারে হাই লুমিন্যান্সের লেজার সিগন্যালের সাহায্যে ইলেকট্রোস্ট্যাটিক সিস্টেমে যে লেজার প্রিন্ট করা হয় সেক্ষেত্রে স্ট্যাটিক/স্থির বিদ্যুৎ এর ব্যবহার অত্যাবশ্যক।

তবে এক্ষেত্রে লেজার লাইট লুমিন্যান্স বা ইন্টেন্সিটি যত ভাল হবে প্রিন্ট কোয়ালিটি তত ভাল হবে।

এয়ার ক্লিনিং প্রিসিপিটাটর

উন্নত দেশগুলোতে ইলেকট্রোস্ট্যাটিক প্রসেসে ইন্ডাস্ট্রি বা পাওয়ার প্লান্টে ধূলাবালি, ধোয়াযুক্ত বাতাস পরিষ্কার করা হয়। এক্ষেত্রে একটি ইলেকট্রোস্ট্যাটিক প্রিসিপিটাটোর ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

এই প্রক্রিয়ায় বাতাসের চার্জযুক্ত ধূলাবালি, ধোয়া অন্যান্য পার্টিকেল নিম্নোক্ত উপায়ে দূর করা হয়ঃ

  • প্রাথমিক ফিল্টারিং
  • গ্রীডকে পজিটিভ চার্জে চার্জিত করা
  • নেগেটিভ চার্জে চার্জিত করা
  • অবশেষে নিউট্রালাইজ করে পরিপূর্ণভাবে ফিল্টারিং করা

লেখকঃ মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

স্প্যানডেক্স ফাইবার এর আদ্যোপান্ত-18

স্প্যানডেক্স ফাইবার এর আদ্যোপান্ত

স্প্যানডেক্স ফাইবার মূলত কী?

আমাদের অনেকের মাঝেই স্প্যানডেক্স  সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই,স্প্যানডেক্স একটি সিন্থেটিক পলিমার।একে ইলাস্টেন ফাইবারও বলা হয়। রাসায়নিকভাবে, এটি একটি সংক্ষিপ্ত ডাই-আইসোসায়ানেটের সাথে মিলিত একটি দীর্ঘ-চেইন পলিগ্লাইকোল দ্বারা গঠিত এবং এতে কমপক্ষে 85% পলিউরেথেন থাকে।এটি একটি ইলাস্টোমার, যার মানে এটি একটি নির্দিষ্ট ডিগ্রী পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে এবং এটাকে আবার আগের অবস্থায় ছেড়ে দিলে প্রায় সম্পূর্ণ আগের অবস্থাতেই ফিরে আসে। এই ফাইবারগুলি রাবারের চেয়ে উচ্চতর কারণ তারা শক্তিশালী, হালকা এবং আরও বহুমুখী। আসলে, স্প্যানডেক্স ফাইবারগুলি তাদের দৈর্ঘ্যের প্রায় 500% পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে।স্প্যানডেক্স ফাইবারগুলির এই অনন্য ইলাস্টিক বৈশিষ্ট্যগুলি উপাদানটির রাসায়নিক গঠনের সরাসরি ফলাফল।ফাইবারগুলি অসংখ্য পলিমার স্ট্র্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত। এই স্ট্র্যান্ড দুই ধরনের সেগমেন্ট নিয়ে গঠিত: লম্বা, নিরাকার সেগমেন্ট এবং ছোট, অনমনীয় সেগমেন্ট। তাদের প্রাকৃতিক অবস্থায়, নিরাকার কণাগুলির একটি এলোমেলো আণবিক গঠন রয়েছে।এগুলি মিশে যায় এবং তন্তুগুলিকে নরম করে তোলে। পলিমারের কিছু শক্ত অংশ একে অপরের সাথে বন্ধন করে এবং ফাইবার গঠন দেয়।যখন তন্তুগুলিকে প্রসারিত করার জন্য একটি বল প্রয়োগ করা হয়, তখন অনমনীয় অংশগুলির মধ্যে বন্ধনগুলি ভেঙে যায় এবং নিরাকার অংশগুলি সোজা হয়ে যায়।এটি নিরাকার অংশগুলিকে দীর্ঘতর করে তোলে, যার ফলে ফাইবারের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়।যখন ফাইবার তার সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্যে প্রসারিত হয়, তখন অনমনীয় অংশগুলি আবার একে অপরের সাথে বন্ধন তৈরি করে।নিরাকার অংশগুলি একটি দীর্ঘায়িত অবস্থায় থাকে। এটি ফাইবারকে শক্ত এবং শক্তিশালী করে তোলে।বল অপসারণের পরে, নিরাকার অংশগুলি পিছিয়ে যায় এবং ফাইবার তার শিথিল অবস্থায় ফিরে আসে। স্প্যানডেক্স ফাইবারগুলির স্থিতিস্থাপক বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যবহার করে, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গণ এমন কাপড় তৈরি করতে পারেন যা পছন্দসই প্রসারিত এবং শক্তি বৈশিষ্ট্যযুক্ত।

স্প্যানডেক্স ফাইবারের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ইয়ার্ন এবং পরবর্তীতে তা ফেব্রিকে রূপ নেয়। এই ফাইবার বিভিন্ন কারণে দরকারী। প্রথমত, এগুলি বারবার প্রসারিত করা যেতে পারে এবং প্রায় ঠিক আসল আকার এবং আকারে ফিরে আসবে।দ্বিতীয়ত, তারা হালকা, নরম এবং মসৃণ। উপরন্তু, তারা সহজে রঙ্গিন হয়।তারা স্থিতিস্থাপক কারণ তারা ঘর্ষণ এবং শরীরের তেল, ঘাম এবং ডিটারজেন্টের ক্ষতিকারক প্রভাব প্রতিরোধী।এগুলি অন্যান্য উপকরণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, এবং অনন্য কাপড় তৈরি করতে অন্যান্য ধরণের তন্তুগুলির সাথে কাটা যেতে পারে, যা উভয় ফাইবারের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।স্প্যানডেক্স বিভিন্ন ধরণের পোশাকে ব্যবহৃত হয়।যেহেতু এটি হালকা ওজনের এবং চলাচলে বাধা দেয় না, এটি প্রায়শই অ্যাথলেটিক পরিধানে ব্যবহৃত হয়।এর মধ্যে রয়েছে সাঁতারের পোষাক, সাইকেল প্যান্ট এবং ব্যায়াম পরিধানের মতো পোশাক।স্প্যানডেক্সের ফর্ম-ফিটিং বৈশিষ্ট্য এটিকে আন্ডার গার্মেন্টে ব্যবহারের জন্য একটি ভাল করে তোলে। অতএব, এটি কোমর ব্যান্ড, সমর্থন পায়ের পাতার মোজাবিশেষ, ব্রা, প্রসারণশীল পোশাক ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়।

আণবিক গঠন:

স্প্যানডেক্স একটি পলিমার; এর ম্যাক্রোমলিকুলার গঠনটি গঠনের বন্ধনীর পাশে x এবং n দ্বারা চিহ্নিত পুনরাবৃত্তিকারী একক (ভর) দ্বারা গঠিত।প্রতিটি স্প্যানডেক্স ফাইবার x এবং n এর সঠিক মানের উপর নির্ভর করে দৈর্ঘ্য এবং গঠনে কিছুটা আলাদা হবে।

স্প্যানডেক্সের বৈশিষ্ট্য:

স্প্যানডেক্সের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল এর প্রসারিত ক্ষমতা। এটি একটি দুর্দান্ত দৈর্ঘ্যে প্রসারিত হতে পারে এবং তারপরে এটি আসল আকারের কাছাকাছি পুনরুদ্ধার করা যায়।এটি আসলে, এর দৈর্ঘ্যের প্রায় 500% পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। এটি লাইটওয়েট, নরম, মসৃণ, নমনীয় এবং আরও টেকসই এবং রাবারের চেয়ে বেশি প্রত্যাহার করার ক্ষমতা রয়েছে।যেমন, স্প্যানডেক্স যখন কোনো পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, তখন এটি সর্বোত্তম ফিট এবং আরাম দেয় এবং পোশাকের ব্যাগিং এবং ঝুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে। এটি তাপ-নিয়ন্ত্রণযোগ্য যার অর্থ হল এটি  কাপড়কে ফ্ল্যাট কাপড়ে বা ফ্ল্যাট কাপড়কে স্থায়ী বৃত্তাকার আকারে রূপান্তরিত করে।স্প্যানডেক্স ফাইবার বা কাপড় সহজেই রঞ্জিত করা যায় এবং তারা শরীরের তেল, ঘাম, লোশন বা ডিটারজেন্ট দ্বারা ক্ষতি প্রতিরোধ করে। এই কাপড়গুলিও ঘর্ষণ প্রতিরোধী।যখন স্প্যানডেক্স সেলাই করা হয়, তখন পুরানো ধরণের স্থিতিস্থাপক পদার্থের ধরনের হবার কারণে সুইং বা কাটিং এ সামান্য বা কোন ক্ষতি করে না।স্প্যানডেক্স ফাইবারের ব্যাস 10 denier থেকে 2500 denier এবং পরিষ্কার এবং অস্বচ্ছ উভয় ক্ষেত্রেই পাওয়া যায়।

স্প্যানডেক্সের মাইক্রোস্কোপিক ভিউ:

ক্রস সেকশন- স্প্যানডেক্স ফিলামেন্টগুলি সাধারণত বৃত্তাকার থেকে বের করা হয়, তবে দ্রাবকের বাষ্পীভবন বা শুকানোর প্রভাব অ-বৃত্তাকার ক্রস-বিভাগীয় আকার তৈরি করতে পারে। এটি বিভিন্ন রূপ নিতে পারে। মাল্টি-ফিলামেন্ট সুতাগুলিতে, পৃথক ফিলামেন্টগুলি প্রায়শই জায়গায় একত্রিত হয়। একটি সুতার ফিলামেন্টের সংখ্যা 12 বা 50 এর মতো হতে পারে; ফিলামেন্টের রৈখিক ঘনত্ব 0.1 থেকে 3 টেক্স (g/কিমি) পর্যন্ত।

সোর্স ও ইমেজ: গুগল

লেখক

মোঃ আশিকুর রহমান

ইন্সট্রাক্টর (টেক্সটাইল এবং জিডিপিএম)

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Blog Poster-17

ডিজাইনের মৌলিক উপাদান

চারুকলা থেকে আধুনিক ওয়েব ডিজাইন এমনকি ছোট বিবরণ,প্রতিটি ভিজ্যুয়াল মাধ্যম এর ডিজাইনের মৌলিক বিষয়গুলো কিন্তু সেইম। এই মৌলিক ভিত্তি গুলো হলঃ

  • লাইন
  • আকৃতি
  • ফর্ম
  • টেক্সচার
  • ভারসাম্য

এদের  আলাদা ভাবে দেখলে আপনার তেমন কিছু  মনে হতে নাও পারে ,কিন্তু একসাথে তারা প্রায় সবকিছুরই অংশ যা আমরা দেখি এবং তৈরি করি। মৌলিক বিষয়গুলো ভীতিকর হতে পারে, বিশেষ করে

আপনি যদি নিজেকে শিল্পী মনে না করেন।যাইহোক, এই মৌলিক জিনিস আপনাকে অনেক কিছু শেখাতে পারে যখন আপনি স্ক্র্যাচ থেকে মৌলিক উপাদান গুলু নিয়ে কাজ করা এবং তৈরি করতে যাবেন। চলুন শুরু করা যাক; 

লাইনঃ

প্রথম মৌলিক উপাদান হল  লাইন । একটি রেখা হল একটি আকৃতি যা দুই বা ততোধিক পয়েন্টকে সংযোগ করে এটা মোটা বা পাতলা হতে পারে ;হতে পারে তরঙ্গায়িত বা জিকজাক।প্রতিটি লাইন ভিন্ন অনুভূতি বা সম্ভাবনা প্রকাশ করে।লাইন নকশায় ঘন ঘন প্রদর্শিত হয়; উদাহরণ স্বরূপ,

অঙ্কন এবং চিত্রে এবং গ্রাফিক উপাদান গুলুতে , টেক্সচার এবং প্যাটার্ন এবং পাঠ্য রচনাগুলিতেও লাইনের ব্যাবহার করা হয় ,লাইনের মাধ্যমে কোন কিছুতে জোর দিতে পারে ,ভাগ বা সংগঠিত করতে, এমনকি দর্শকের চোখকে গাইড করতে লাইনের ব্যাবহার করা হয় । লাইনের সাথে কাজ করার সময়, মনোযোগ দিন ওজন, রঙ, গঠন, এবং শৈলী মত জিনিস এর উপর । এই সূক্ষ্ম গুণাবলী বড় প্রভাব ফেলতে পারে। লাইনগুলি লুকিয়ে আছে এমন জায়গাগুলি সন্ধান করুন ৷ উদাহরণস্বরূপ, ছবি , লেটার কম্পজিশন । লাইন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে হবে কারন লাইনের এক একটা গুণাবলী আপনাকে খুব ভিন্ন ফলাফল দিতে পারে ।

আকৃতিঃ

একটি আকৃতি হল যে কোনো 2-মাত্রিক এলাকা যার একটি স্বীকৃত সীমানা রয়েছে ।এর মধ্যে রয়েছে বৃত্ত, বর্গক্ষেত্র, ত্রিভুজ, এবং ইত্যাদি । আকৃতিকে দুটি বিভাগে ভাগ করা যায় :

জ্যামিতিক (বা নিয়মিত) এবং প্রাকৃতিক (যেখানে আকারগুলি আরও ফ্রিফর্ম এর হয় )।আকারগুলি ধারণা যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । তারা চিত্রগুলিকে উচ্চতা দেয় এবং তাদের স্বীকৃত করে তোলে।

আমরা রাস্তার চিহ্ন, এবং বিমূর্ত শিল্প চিনতে পারি মূলত আকৃতির কারণে। দৈনন্দিন নকশা বা ডিজাইন এ আকৃতির আশ্চর্যজনক ব্যবহার বিদ্যমান রয়েছে। তারা আপনাকে কন্টেন্ট সাজাতে বা আলাদা করতে সাহায্য করতে পারে । আপনার কাজের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।আকারগুলি গুরুত্বপূর্ণ কারণ তারা হল ডিজাইন এর ভিত্তি।অন্যান্য ডিজাইনে তাদের সন্ধান করতে শিখুন, এবং শীঘ্রই, আপনি তাদের সর্বত্র দেখা শুরু করবেন।

ফর্ম বা অবস্থাঃ

যখন একটি আকৃতি 3D হয়ে যায়, তখন আমরা তাকে একটি ফর্ম বলি। ফর্মগুলি 3-মাত্রিক হতে পারে এবং এটি বিদ্যমান বাস্তব জগতে অথবা এতি ইমপ্লিমেন্ট করা যেতে পারে আলো, ছায়া, এবং দৃষ্টিকোণ 

গভীরতার বিভ্রম ব্যবহার করে । 2-মাত্রিক নকশায়, ফর্ম বাস্তবতা তৈরি করে । এটি ছাড়া, একটি লাফানো রাবার বল ঠিক যেন একটি বৃত্ত ; একটি 3D বিল্ডিং আয়তক্ষেত্রের একটি সিরিজ মাত্র। এমনকি সমতল নকশাতেও সূক্ষ্ম কৌশল ব্যবহার করে ফর্ম গভীরতা ইঙ্গিত করাতে পারে। দৈনন্দিন ডিজাইন গুলিতে ফর্ম এর উদ্দেশ্য একই কিন্তু একটি ছোট স্কেলে।

উদাহরণস্বরূপ, একটি সাধারণ ছায়া তৈরি করতে পারে স্তরের বিভ্রম  অথবা একটি বস্তু কোন অবস্থায় আছে তার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে । মৌলিক ফর্ম বাস্তবতা্র একটি স্পর্শ আনতে পারেন

আপনার কাজে।

টেক্সচারঃ

টেক্সচার হল একটি পৃষ্ঠের শারীরিক গুণ। ফর্মের মতো, এটি 3-মাত্রিক-কিছু হতে পারে যা আপনি দেখতে এবং স্পর্শ করতে পারেন – অথবা এটি তৈরি করা যেতে পারে।যার টেক্সচার আছে তার মানে এটা বাস্তব জীবনে বিদ্যমান ছিল। টেক্সচার আপনার ডিজাইনে, গভীরতা এবং কৌশলতা যোগ করে অন্যথায় আপনার ডিজাইনকে ফ্ল্যাট ইমেজ মনে হবে । কোন বস্তু মসৃণ, রুক্ষ, কঠিন  বা প্রদর্শিত হতে পারে

নরম যা বস্তুতির উপাদানের উপর নির্ভর করে।

টেক্সচারগুলি দুর্দান্ত পটভূমি তৈরি করে আপনার ডিজাইনে; যা নতুনদের জন্য আগ্রহ অনেক যোগ করতে পারে । ঘনিষ্ঠভাবে দেখুন, এবং আপনি টেক্সচার খুঁজে পেতে পারেন অপ্রত্যাশিত স্থানে, যেমন দুরূহ হরফ এবং মসৃণ, চকচকে আইকনে।

ওভারবোর্ডে না যাওয়ার জন্য শুধু সতর্ক থাকুন । একটি একক নকশায়  জমিন বা ব্যাকগ্রাউন্ডে টেক্সচার ব্যবহার করতে হবে ।

ভারসাম্যঃ

ভারসাম্য হল চাক্ষুষ ওজনের সমান বন্টন (অন্য কথায়, কোন এক জিনিস কত দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে)। ভারসাম্য অনেক কিছু দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে রঙ, আকার, সংখ্যা, এবং নেতিবাচক স্থান। নতুনদের জন্য ব্যালেন্স আয়ত্ত করা কঠিন হতে পারে,কারণ এটি কিছু অন্তর্দৃষ্টি নেয়।সৌভাগ্যবশত, ডিজাইন বিশ্ব উদাহরণে পূর্ণ ,যাতে আপনি এর ভিন্নতা বুঝতে সাহায্য করতে পারেন। প্রতিসম নকশা একই বা অনুরূপ একটি অক্ষের উভয় পাশে হয়। তারা ভারসাম্য বোধ করে কারণ প্রতিটি দিক কার্যকরভাবে একই (যদি অভিন্ন না হয়)।অপ্রতিসম নকশা ভিন্ন, কিন্তু ওজন এখনও সমানভাবে বিতরণ করা হয়। এটি আপনার কাজের ক্ষেত্রকে ভাগ করে কল্পনা করেন একটি 3×3 গ্রিড। ছবির ফোকাল পয়েন্ট উপর স্থাপন করা হয় অথবা এই লাইনগুলির একটির কাছাকাছি, ভিজ্যুয়াল তৈরি করে

বাকি স্থানের সাথে ভারসাম্য বজায় রাখুন। আমরা এই ধরনের রচনা আকর্ষণীয় মনে করি কারণ, গবেষণা অনুযায়ী, মানুষের চোখ স্ক্যান করার সময় স্বাভাবিকভাবেই এই পথ অনুসরণ করে ।

একটি নকশা বা ডিজাইনের মৌলিক বিষয়টি হল বড় ছবিতে খেয়াল করা—অন্য কথায়, শেখা

যে অনেক ছোট বিবরণ প্রতিটি রচনা তৈরি করে।এই অন্তর্দৃষ্টি প্রয়োগ করা যেতে পারে নিজস্ব গ্রাফিক্স… অথবা শুধু সহজ খুঁজছেন আপনার কাজ উন্নত করার উপায়।

Abdullah Al Numan

Instructor

Daffodil Polytechnic Institute

ত্রিকোণমিতি-16

ত্রিকোণমিতি

ত্রিকোণমিতি, কোণের নির্দিষ্ট ফাংশন এবং গণনায় তাদের প্রয়োগের সাথে সম্পর্কিত গণিতের শাখা।  ত্রিকোণমিতিতে সাধারণত ব্যবহৃত একটি কোণের ছয়টি ফাংশন রয়েছে।  তাদের নাম এবং সংক্ষিপ্ত রূপ হল sine (sin), cosine (cos), tangent (tan), cotangent (cot), secant (sec), এবং cosecant (csc)। 

ত্রিকোণমিতি জ্যোতির্বিদ্যা, মানচিত্র তৈরি, জরিপ এবং আর্টিলারি রেঞ্জ অনুসন্ধানের মতো ক্ষেত্রে কোণ এবং দূরত্ব গণনা করার প্রয়োজন থেকে বিকশিত হয়েছে।  একটি সমতলে কোণ এবং দূরত্ব জড়িত সমস্যা সমতল ত্রিকোণমিতিতে আচ্ছাদিত হয়।  ত্রিমাত্রিক স্থানের একাধিক সমতলে অনুরূপ সমস্যার প্রয়োগগুলিকে গোলাকার ত্রিকোণমিতিতে বিবেচনা করা হয়।

ত্রিকোণমিতি শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ trigonon (ত্রিভুজ) এবং মেট্রন (পরিমাপ করতে) থেকে।  প্রায় 16 শতক পর্যন্ত, ত্রিকোণমিতি প্রধানত একটি ত্রিভুজের অনুপস্থিত অংশগুলির সংখ্যাসূচক মান গণনার সাথে সম্পর্কিত ছিল (বা ত্রিভুজগুলিতে বিচ্ছিন্ন করা যেতে পারে এমন কোনও আকৃতি) যখন অন্যান্য অংশগুলির মান দেওয়া হয়েছিল।  উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি ত্রিভুজের দুটি বাহুর দৈর্ঘ্য এবং আবদ্ধ কোণের পরিমাপ জানা যায়, তাহলে তৃতীয় বাহু এবং দুটি অবশিষ্ট কোণ গণনা করা যেতে পারে।  এই ধরনের গণনাগুলি জ্যামিতি থেকে ত্রিকোণমিতিকে আলাদা করে, যা প্রধানত গুণগত সম্পর্কগুলি তদন্ত করে।  অবশ্যই, এই পার্থক্যটি সর্বদা নিখুঁত নয়: উদাহরণস্বরূপ, পিথাগোরিয়ান উপপাদ্যটি একটি সমকোণী ত্রিভুজের তিনটি বাহুর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে একটি বিবৃতি এবং তাই প্রকৃতিতে পরিমাণগত।  তারপরও, তার আসল আকারে, ত্রিকোণমিতি ছিল জ্যামিতির একটি বংশধর;  ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত দুটি গণিতের পৃথক শাখায় পরিণত হয়নি।

বেশ কিছু প্রাচীন সভ্যতা – বিশেষ করে, মিশরীয়, ব্যাবিলনীয়, হিন্দু এবং চীনা- ব্যবহারিক জ্যামিতির যথেষ্ট জ্ঞানের অধিকারী ছিল, যার মধ্যে কিছু ধারণা ছিল যেগুলি ত্রিকোণমিতির একটি ভূমিকা ছিল।  Rhind papyrus, প্রায় 1800 BCE থেকে পাটিগণিত, বীজগণিত এবং জ্যামিতির 84টি সমস্যার একটি মিশরীয় সংকলন, এতে সেকেডের সাথে মোকাবিলা করা পাঁচটি সমস্যা রয়েছে।  পাঠ্যটির একটি ঘনিষ্ঠ বিশ্লেষণ, এর সহগামী পরিসংখ্যান সহ, প্রকাশ করে যে এই শব্দের অর্থ হল একটি ঝোঁকের ঢাল—পিরামিডের মতো বিশাল নির্মাণ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান।  উদাহরণস্বরূপ, সমস্যা 56 জিজ্ঞাসা করে ;যদি একটি পিরামিড 250 হাত উঁচু হয় এবং এর ভিত্তির দিকটি 360 হাত লম্বা হয়, তাহলে এটির সন্ধান কী? দ্রবণটি প্রতি হাত 51/25 খেজুর হিসাবে দেওয়া হয়, এবং যেহেতু এক হাত 7 পামের সমান, এই ভগ্নাংশটি বিশুদ্ধ অনুপাত 18/25 এর সমতুল্য।  এটি আসলে প্রশ্নে থাকা পিরামিডের রান-টু-রাইট অনুপাত – কার্যত, ভিত্তি এবং মুখের মধ্যে কোটের কোট্যানজেন্ট।  এটি দেখায় যে মিশরীয়দের একটি ত্রিভুজের সংখ্যাগত সম্পর্ক সম্পর্কে অন্তত কিছু জ্ঞান ছিল, এক ধরণের প্রোটো-ত্রিকোণমিতি।

আধুনিক অর্থে ত্রিকোণমিতির সূচনা হয়েছিল গ্রিকদের মাধ্যমে। হিপারকাস (সি. 190-120 খ্রিস্টপূর্বাব্দ) ত্রিকোণমিতিক ফাংশনের জন্য মানগুলির একটি টেবিল তৈরি করেছিলেন। তিনি প্রতিটি ত্রিভুজ-প্লানার বা গোলাকার-কে একটি বৃত্তে খোদাই করা হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন, যাতে প্রতিটি পাশে একটি জ্যা হয়ে যায় (অর্থাৎ, একটি সরল রেখা যা একটি বক্ররেখা বা পৃষ্ঠের দুটি বিন্দুকে সংযুক্ত করে, যেমনটি চিত্রে খোদাই করা ত্রিভুজ ABC দ্বারা দেখানো হয়েছে।) ত্রিভুজের বিভিন্ন অংশ গণনা করার জন্য, একজনকে কেন্দ্রীয় কোণের একটি ফাংশন হিসাবে প্রতিটি জ্যার দৈর্ঘ্য খুঁজে বের করতে হবে যা একে সাবটেন করে—অথবা, সমতুল্যভাবে, সংশ্লিষ্ট চাপের প্রস্থের ফাংশন হিসাবে একটি জ্যার দৈর্ঘ্য।  এটি পরবর্তী কয়েক শতাব্দীর জন্য ত্রিকোণমিতির প্রধান কাজ হয়ে ওঠে।  একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসাবে, হিপারকাস মূলত গোলাকার ত্রিভুজগুলিতে আগ্রহী ছিলেন, যেমন মহাকাশীয় গোলকের তিনটি তারা দ্বারা গঠিত কাল্পনিক ত্রিভুজ, তবে তিনি সমতল ত্রিকোণমিতির মৌলিক সূত্রগুলির সাথেও পরিচিত ছিলেন।  হিপারকাসের সময়ে এই সূত্রগুলিকে সম্পূর্ণরূপে জ্যামিতিক ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছিল বিভিন্ন জ্যা এবং কোণগুলির (বা আর্কস) মধ্যে সম্পর্ক হিসাবে যা তাদের সাবটেন করে;  ত্রিকোণমিতিক ফাংশনের জন্য আধুনিক চিহ্নগুলি 17 শতক পর্যন্ত চালু হয়নি।

ত্রিকোণমিতির উপর

প্রথম প্রধান প্রাচীন কাজটি অন্ধকার যুগের পরে অক্ষত ইউরোপে পৌঁছেছিল টলেমি (আনুমানিক 100-170 সিই) এর আলমাজেস্ট।  তিনি হেলেনিস্টিক বিশ্বের বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র আলেকজান্দ্রিয়াতে বাস করতেন, কিন্তু তার সম্পর্কে অন্য কিছু জানা যায় না।  যদিও টলেমি গণিত, ভূগোল এবং আলোকবিদ্যার উপর কাজ লিখেছিলেন, তিনি মূলত আলমাজেস্টের জন্য পরিচিত, জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর একটি 13-বইয়ের সংকলন যা মানবজাতির বিশ্ব চিত্রের ভিত্তি হয়ে ওঠে যতক্ষণ না নিকোলাস কোপার্নিকাসের সূর্যকেন্দ্রিক সিস্টেম টলেমির ভূকেন্দ্রিক সিস্টেমকে প্রতিস্থাপন করা শুরু করে।  16 শতকের মাঝামাঝি।  এই বিশ্ব চিত্রটি বিকাশ করার জন্য – যার সারাংশ ছিল একটি স্থির পৃথিবী যার চারপাশে সূর্য, চাঁদ এবং পাঁচটি পরিচিত গ্রহ বৃত্তাকার কক্ষপথে চলে – টলেমিকে কিছু প্রাথমিক ত্রিকোণমিতি ব্যবহার করতে হয়েছিল।  আলমাজেস্টের প্রথম বইয়ের অধ্যায় 10 এবং 11 জ্যাগুলির একটি সারণী নির্মাণের সাথে সম্পর্কিত, যেখানে একটি বৃত্তে একটি জ্যার দৈর্ঘ্য কেন্দ্রীয় কোণের একটি ফাংশন হিসাবে দেওয়া হয় যা এটিকে সাবটেন করে, 0° থেকে কোণগুলির জন্য  এক-অর্ধ ডিগ্রি ব্যবধানে 180° পর্যন্ত।  এটি মূলত সাইনের একটি সারণী, যা c = 2r sin A/2 পেতে ব্যাসার্ধ r, চাপ A, এবং সাবটেন্ডেড জ্যা c এর দৈর্ঘ্য নির্দেশ করে দেখা যায়।  যেহেতু টলেমি ব্যাবিলনীয় সেক্সজেসিমাল সংখ্যা এবং সংখ্যা পদ্ধতি (বেস 60) ব্যবহার করেছিলেন, তিনি r = 60 এককের ব্যাসার্ধের একটি আদর্শ বৃত্তের সাথে তার গণনা করেছিলেন, যাতে c = 120 sin A/2 হয়।  এইভাবে, আনুপাতিকতা ফ্যাক্টর 120 ব্যতীত, তার ছিল sin A/2 এর মানগুলির একটি সারণী এবং তাই (চাপ দ্বিগুণ করে) sin A এর। তার টেবিলের সাহায্যে টলেমি বিশ্বের বিদ্যমান জিওডেটিক পরিমাপের উন্নতি করেছিলেন এবং হিপারকাসের পরিমার্জন করেছিলেন।  স্বর্গীয় সংস্থার গতির মডেল।

ত্রিকোণমিতির পরবর্তী প্রধান অবদান ভারত থেকে এসেছে।  সেক্সজেসিমাল পদ্ধতিতে, 120 (দুইবার 60) দ্বারা গুণ বা ভাগ করা হয় দশমিক পদ্ধতিতে 20 (দুইবার 10) দ্বারা গুণ বা ভাগের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।  এইভাবে, টলেমির সূত্রটিকে c/120 = sin B হিসাবে পুনঃলিখন, যেখানে B=A/2, সম্পর্কটি অর্ধ-জ্যাকে আর্ক B এর ফাংশন হিসাবে প্রকাশ করে যা এটিকে সাবটেন করে — অবিকল আধুনিক সাইন ফাংশন।  সাইনের প্রথম সারণীটি আর্যভটিয়ায় পাওয়া যায়।  এর লেখক, আর্যভট্ট I (c. 475-550), অর্ধ-জ্যা-এর জন্য অর্ধ-জ্যা শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যা তিনি মাঝে মাঝে জ্যা-অর্ধ (জ্যা-অর্ধ) তে ঘুরেছেন;  যথাসময়ে তিনি এটিকে ছোট করে জ্যা বা জীব।  পরে, যখন মুসলিম পণ্ডিতরা এই কাজটি আরবি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন, তখন তারা এর অর্থ অনুবাদ না করেই জীব শব্দটিকে ধরে রেখেছেন।  সেমিটিক ভাষায় শব্দগুলি বেশিরভাগ ব্যঞ্জনবর্ণ নিয়ে গঠিত, অনুপস্থিত স্বরগুলির উচ্চারণ সাধারণ ব্যবহার দ্বারা বোঝা যায়।  এইভাবে জিবাকে জিবা বা জাইব হিসাবেও উচ্চারণ করা যেতে পারে এবং আরবীতে এই শেষ শব্দটির অর্থ ভাঁজ ।  যখন আরব অনুবাদটি ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করা হয়, তখন জাইব হয়ে ওঠে সাইনাস, বে-এর ল্যাটিন শব্দ।  সাইনাস শব্দটি সর্বপ্রথম ক্রেমোনার ঘেরার্ডো (c. 1114-87) এর লেখায় আবির্ভূত হয়েছিল, যিনি আলমাজেস্ট সহ অনেক গ্রীক পাঠ্য ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন।  অন্যান্য লেখকরা অনুসরণ করেন এবং শীঘ্রই সাইনাস বা সাইন শব্দটি সমগ্র ইউরোপ জুড়ে গাণিতিক সাহিত্যে ব্যবহৃত হয়।  সংক্ষিপ্ত চিহ্ন sin প্রথম 1624 সালে এডমন্ড গুন্টার, একজন ইংরেজ মন্ত্রী এবং যন্ত্র নির্মাতা দ্বারা ব্যবহার করা হয়েছিল।  অবশিষ্ট পাঁচটি ত্রিকোণমিতিক ফাংশনের জন্য স্বরলিপি খুব শীঘ্রই চালু করা হয়েছিল।

রাবেয়া আলম

ইন্সট্রাক্টর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Plastering-15

প্লাস্টারিং

ইট অথবা পাথর দ্বারা তৈরি কাঠামো যেমন- দেওয়াল,কলাম, সিঁড়ি এবং অন্যান্য উপাংশ এর ভিতর বা বাইরের অসমান পৃষ্ঠদেশকে সমতল, মসৃণ, শোভনীয় এবং আদ্রর্তারোধী করার জন্য মসলার সাহায্যে যে পাতলা স্তর দ্বারা আচ্ছাদিত বা ঢেকে দেয়া হয় তাকে প্লাস্টার বলে। প্লাস্টারিং করার পর কাঠামো মজবুত এবং পৃষ্ঠদেশ মসৃণ ও সুন্দর দেখায়।

প্লাস্টার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন কারিগরি শব্দের বর্ণনা। যথা-

প্লাস্টারের প্রথম কোট দেওয়ালের যে পৃষ্ঠে দেয়া হয়, উক্ত সারফেস বা পৃষ্ঠকে গাত্রস্তর বা ব্যাকগ্রাউন্ড বলে। প্লাস্টারকৃত সমতল পৃষ্ঠের মধ্যে ফোসক সৃষ্টি হওয়াকে ব্লিস্টারিং বলে। মসলার সঠিক সংবন্ধন না হওয়ায় ফলে প্লাস্টার এর দুই স্তরের মধ্যে ঠিকমতো জোড়া লাগে না। ফলে উপরের প্লাস্টার স্তর মাঝে মাঝে উঠে যায়। এটিকে ফ্লেকিং বলে। মূল গা থেকে প্লাস্টার খসে পড়াকে প্লাস্টার চ্যুতি বা পিলিং বলে। কর্নিক বা উঠলো বেশি মাত্রায় ঘষে প্লাস্টারকে মসৃণ করার চেষ্টা করলে মসলার সিমেন্টের সূক্ষ্ম দানাগুলো পানির সাথে প্লাস্টারের উপরে উঠে একটি পাতলা স্তর গঠন করে। এই স্তরকেই লেইট্যান্স বলে। প্লাস্টারকৃত দেওয়ালের নিম্ন অংশকে ড্যাডো বলে। এখানে প্লাস্টারকে অধিকতর প্রতিরোধী ক্ষমতা সম্পন্ন করার জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অন্যকথায়, দেওয়ালের নিম্ন অংশে প্লাস্টারকে মেঝের তলের সঙ্গে মিলানোর জন্যে বিশেষভাবে তৈরিকৃত অংশকে ড্যাডো বলে।

প্লাস্টার এর সমাপক স্তরে এলোমেলোভাবে মে সরু সরু ফাটল দেখা যায় তাকে ক্রেজিং বা হেয়ার ক্র্যাক বলে। কোন কাঠামোর দুই পাশে যখন আলো-বাতাস অথবা উত্তাপের তারতম্যের প্রভাব বেশি হয়, তখন কাঠামোর দুই পাশে ধীরে ধীরে ছোপ ছোপ দাগ ফুটে উঠে। এটিকেই গাত্র দাগ বা স্ট্রেইনিং বলে। প্লাস্টার শেষে প্লাস্টারের গায়ে মাঝে মাঝে গভীর ফাটল দেখা দেয় এটিকে ক্রাকিং বলে। সাধারণত দেওয়ালের বা কাঠামোর নড়া-চড়ার ফলে এই প্রকার গভীর ফাটলের সৃষ্টি হয়। দেওয়াল গাঁথুনির মাঝে মাঝে ভারা বাঁধার জন্য ফাঁকা রাখা হয়, প্লাস্টার করার পূর্বে ঐ ফাঁকাগুলোকে ইটের টুকরা দিয়ে বা ঢালাই করে বন্ধ করা হয়, একেই ফাঁকা বন্ধন বলে। প্লাস্টার সারফেসকে ব্যাক গ্রাউন্ড বা দেওয়ালের জয়েন্টের নমুনায় প্রদর্শন করানোকে গ্রাইনিং বলে। প্লাস্টারকে দেওয়ালে আটকানোর জন্য মূল দেওয়ালকে অমসৃণ বা ক্ষত করার পদ্ধতিকে হ্যাকিং বলে। স্ক্রিড স্থাপন করার জন্য ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর প্লাস্টার মসলার ছোট ছোট প্রকেজশন নির্মাণ করাকে ডটস বলে। এর আকার ১৫ সেমি x ১৫ সেমি হয়ে থাকে। মসলার খাড়া স্ট্রিপকে ক্রিড বলে। মসলার বিভিন্ন উপাদানকে তাদের নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশ্রণের পদ্ধতিকে গেজিং বলে। প্রাইমারি ফিনিশিংকে আবদ্ধ করার জন্য যে সমস্ত কাঠের স্ট্রিপ ব্যাক গ্রাউন্ডে লাগানো হয়। তাদেরকে গ্রাউন্ড বা ধারকপাত বলে। প্লাস্টারের মেকানিক্যাল বন্ড সৃষ্টির জন্য ব্যাক গ্রাউন্ডে যে সমস্ত ফাঁকা, গর্ত, ঢেউ ইত্যাদি রাখা হয় তাকে কী বলে। মূল গায়ে কিছু ফাঁকা এবং উঁচু নিচু জায়গা থাকে। এটি মসলার বন্ডিং – এর কাজ করে। যার উপর প্রারম্ভিক স্তরের মসলাকে চেপে বসিয়ে দেওয়া হয়। এই উঁচু নিচু বা ফাঁকা জায়গাগুলোকে প্লাস্টার বন্ধক বলে।

উচিংলা মারমা

ইন্সট্রাক্টর

ডিপার্টমেন্ট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।