সঠিক চার্জার নির্বাচন করা কেন জরুরী-03

সঠিক চার্জার নির্বাচন করা কেন জরুরী

আধুনিক যুগে আমরা মোবাইল ফোন ছাড়া চলতে পারি না। একটি মোবাইল বা আপনি বলতে পারেন মোবাইলের ব্যাটারি ভালো পারফরম্যান্স এবং ব্যাকআপ দিতে পারে যদি একটি সঠিক মোবাইল চার্জার দ্বারা সঠিকভাবে চার্জ করা হয়। ভূল মোবাইল ফোন চার্জার দিয়ে মোবাইল চার্জ করার কারণে বেশিরভাগ মানুষ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন। যেমনঃ

  • চার্জারটি মোবাইল চার্জ করতে অনেক সময় নেয়।
  • মোবাইল চার্জার খুব গরম হয়ে যায়।
  • কয়েক মাস ব্যবহারের পর চার্জার নষ্ট হয়ে যায়।
  • মোবাইলের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অরজিনাল চার্জার নষ্ট হলে দেখা যায় হাতের কাছে অন্য কোন চার্জার পেলে সেটি দিয়েই চার্জ করা শুরু করে। এছাড়াও মোবাইল দোকানে গিয়ে যেন তেন একটা চার্জার কিনে নিয়ে আসেন। কিন্তু আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের মোবাইল ফোন চার্জার কেনার সময় যেসব বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরি তা নিয়ে আলোকপাত করব।

চার্জার কেনার সময় মোবাইল চার্জারের যে রেটিংগুলো বিবেচনা করা উচিত তা হলঃ

  • ইনপুট ভোল্টেজ রেটিং
  • আউটপুট ভোল্টেজ রেটিং
  • আউটপুট কারেন্ট রেটিং
  • ইন্সুলেশন সিম্বল
  • চার্জারের কোয়ালিটি

এই প্রতিটি টার্ম নীচে ব্যাখ্যা করা হলঃ

ইনপুট ভোল্টেজ রেটিং

আপনি যখন মোবাইল চার্জার কিনতে যাবেন তখন দেখবেন কিছু মোবাইল চার্জার আছে যার ইনপুট ভোল্টেজ রেটিং 200-240V এবং কিছু চার্জার 100-240V। কখনও কখনও আমাদের বাড়িতে বা অফিসে কিছু সময়ের জন্য লো ভোল্টেজ দেখা দেয়। কিন্তু আপনাকে ত অবিলম্বে মোবাইল চার্জ করতেই হবে। এই ক্ষেত্রে, আপনি আপনার মোবাইল চার্জার দ্বারা চার্জ করতে পারবেন না যার ইনপুট ভোল্টেজ রেটিং 200-240V। আপনার এক্ষেত্রে শুধু 100-240V রেটিং এর মোবাইল চার্জার দরকার। 100-240V রেটিং বেছে নেওয়ার অন্য সুবিধা হল যে আমরা ইতিমধ্যেই জানি যে USA 120V এর স্ট্যান্ডার্ড ভোল্টেজ রেটিং। তাই আপনি যদি 100-240V রেটিং চার্জার নির্বাচন করেন তাহলে আপনি USA তেও আপনার মোবাইল চার্জ করতে পারবেন। তাই সর্বদা ইনপুট ভোল্টেজ রেটিং বেছে নিন যা 100-240V।

আউটপুট ভোল্টেজ রেটিং

সাধারণত বেশিরভাগ মোবাইল চার্জারের আউটপুট ভোল্টেজ রেটিং 5V DC থাকে। বেশিরভাগ মোবাইল ফোন 5V ডিসি ভোল্টেজ কনজিউম করে। তাই আউটপুট ভোল্টেজ রেটিং 5V ডিসি নির্বাচন করুন। কিন্তু মনে রাখবেন যে আপনার ফোনের যদি আলাদা ভোল্টেজ রেটিং থাকে তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার ফোনের ভোল্টেজ রেটিং হিসাবে একই ভোল্টেজ রেটিং চার্জার কিনতে হবে। লো ভোল্টেজ রেটিং চার্জার আপনার মোবাইল বা অন্যান্য গ্যাজেট সঠিক সময়ে চার্জ করতে পারে না। হাই ভোল্টেজ রেটিং চার্জার আপনার মোবাইলের ক্ষতি করতে পারে।

চার্জারের কোয়ালিটি

একটি ভালো মানের চার্জারে ভালো আউটপুট ভোল্টেজ রেগুলেশন, কম হিটিং, ভালো ইনসুলেশন, ভালো আউটপুট পোর্ট ইত্যাদি থাকে। ভালো মানের চার্জারটির কিছু সার্টিফিকেশন থাকে যা মোবাইল চার্জারে CE, MFI, RoHS চিহ্ন দ্বারা চিহ্নিত করা যায়।

ইন্সুলেশন সিম্বল

নিরাপত্তা আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। মোবাইল চার্জার কেনার সময় মোবাইল চার্জারের ইনসুলেশন সিম্বল দেখে নিন। ইন্সুলেশন সিম্বল যা নীচে দেখানো হয়েছে তা নির্দেশ করে যে চার্জার ক্লাস  বা ডাবল ইনসুলেটেড। ডিসি আউটপুট তারগুলো এসি ইনপুট থেকে ইন্সুলেশনযুক্ত। এই সিস্টেম আপনাকে বৈদ্যুতিক শক থেকে নিরাপত্তা দেবে।

মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Paint Chalking-02

পেইন্ট চকিং

আপনি কি কখনও একটি দেয়াল স্পর্শ করেছেন, এবং আপনার হাত পাউডার দিয়ে নোংরা হয়ে গেছে? এটি পেইন্ট চকিং নামক একটি পেইন্ট ত্রুটির কারণে হয়। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে।

পেইন্ট চকিং এমন একটি ঘটনা যা পেইন্ট করা পৃষ্ঠে একটি গুঁড়ো পদার্থ তৈরি করে। এটি পেইন্টের অবনতি ঘটায় এবং একটি অপ্রীতিকর অভ্যন্তরীন ফিনিস তৈরি করে।

অতিথির সামনে আপনার দেয়ালে গুঁড়ো পদার্থের জন্য আপনাকে বিব্রতকর মুহুর্তের মুখোমুখি হতে হতে পারে। এই নিবন্ধটি পেইন্ট চকিং, এর কারণ, সনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং সংশোধন পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে।

পেইন্ট চকিং কি?

পেইন্ট চকিং হল পেইন্ট করা দেয়ালে খুব সূক্ষ, হালকা রঙের, গুঁড়ো অবশিষ্টাংশের গঠন। এটি বায়ুমন্ডলের সংস্পর্শে থাকা দেয়ালে, অর্থাৎ, ভবনের বাইরের অংশে পরিলক্ষিত হয়।

বাহ্যিক পৃষ্ঠে পেইন্টগুলি চক করা একটি সাধারণ ঘটনা। তবে এটি অভ্যন্তরীন দেয়ালেও ঘটতে পারে। পেইন্ট চকিংয়ের পিছনে প্রধান কারণ হল সময়ের সাথে সাথে রঙের পরিধান।  

পেইন্ট চকিং পেইন্টের উল্লেখযোগ্য ত্রুটিগুলির মধ্যে একটি। পেইন্টের অন্যান্য প্রধান ত্রুটিগুলি হল খোসা

ছাড়ানো, ফ্লেকিং, বিবর্ণতা, ক্রেটারিং, ফোসকা পড়া, ফ্রস্টিং এবং ল্যাপিং।

পেইন্ট চকিং এর কারণ

পেইন্ট চকিংয়ের প্রাথমিক কারণ হল সূর্যের আলোতে বাইরের দেয়ালের সংস্পর্শ। পেইন্ট বাইন্ডার এবং রঙ্গক

গঠিত হয়. সূর্যালোকের অতিবেগুনী রশ্মি পেইন্টের বাইন্ডারকে বিচ্ছিন করে এবং এটি থেকে রঙ্গককে আলাদা করে।

পেইন্ট চকিংয়ের অন্য কারণ হল পেইন্ট অক্সিডেশন। এটি বায়ুমন্ডলের অক্সিজেনের সাথে পেইন্ট বাইন্ডারের প্রতিক্রিয়ার একটি প্রক্রিয়া। রঙ্গক পৃথকীকরণ এবং পেইন্ট অক্সিডেশনের একযোগে ঘটনা পেইন্ট চকিং সৃষ্টি করে।

পেইন্ট চকিং উপর পেইন্ট মানের প্রভাব

পেইন্ট চকিং পেইন্টের গুণমান দ্বারা গুরুতরভাবে প্রভাবিত হয়। সব রং শেষ পর্যন্ত চক; যাইহোক, সস্তা পেইন্ট তাড়াতাড়ি খড়ি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ব্যয়বহুল পেইন্টগুলিতে উচ্চ-মানের বাইন্ডার এবং রঙ্গক রয়েছে।  

যেহেতু বাইন্ডার এবং পিগমেন্ট পেইন্টের দুটি প্রধান উপাদান, তাই উচ্চ-মানের বাইন্ডার এবং পিগমেন্ট থাকা প্রয়োজন। আরেকটি কারণ যা চকিংকে প্রভাবিত করে তা হল পেইন্ট বাইন্ডার। অয়েল বেস পেইন্ট বেশিরভাগ এক্রাইলিক এবং ল্যাটেক্স পেইন্টের চেয়ে দ্রুত অক্সিডাইজ করে।

অতএব, তেল-ভিত্তিক পেইন্টের চেয়ে বাহ্যিক পেইন্টিংয়ের জন্য আপনার এক্রাইলিক পেইন্ট বেছে নেওয়া উচিত। এক্রাইলিক এবং ল্যাটেক্স সংমিশ্রণ সহ পেইন্টের চেয়ে ১০০% অ্যাক্রিলিক পেইন্ট বেছে নেওয়া সবচেয়ে ভাল বিকল্প।

জয়ন্ত চন্দ্র ইন্সট্রাকটর

সিভিল টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

মহাবিশ্বে সময়ের ভৌত ও আধিভৌতিক ধারণা

মহাবিশ্বে সময়ের ভৌত ও আধিভৌতিক ধারণা

প্রায় ১৩.৭ বিলিয়ন বছরের এই মহাবিশ্বে ২.৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে মানুষের আবির্ভাব। মহাবিশ্বের সূচনা থেকে পরিবর্তন দৃষ্টিগোচর হলেও অনুভূতি প্রবণ প্রাণী হিসেবে মানুষ তার আবির্ভাবের পর থেকে জীবনের গতিময়তা ও জীবন প্রবাহের পরিবর্তন নিয়ে ভাবতে শুরু করে। কালক্রমে চিন্তাশক্তির উত্তোরণে মানুষ এই গতিময় জীবন প্রবাহের পরিবর্তনকে সময়” নামকরণ করে অনুধাবন ও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে। আর এই সময় পরিমাপের জন্য আবিষ্কার হয় ঘড়ি। কিন্তু চিন্তাশীল মানব মননে প্রশ্ন থেকেই যায়, ঘড়িতে আমরা যা দেখি তা কি আসলেই প্রকৃত সময়? সময়কে আমরা যেভাবে হিসেব করি বা অনুভব করি, সময় কি আসলেই তাই? এরই ধারাবাহিকতায় সময়ের গতিশীলতা প্রকৃত বাস্তবতা নাকি অভিজ্ঞতার অংশ বা মহাজাগতিক সচেতনতা, তা নিয়ে রয়েছে অনেক মতবাদ, চলছে নানান ধরনের গবেষণা।

পরম স্থান-কালের ধারণাটি প্রথম অ্যারিস্টোটেলিয়ান পদার্থবিজ্ঞানে পরিলক্ষিত হয়েছিল। সময়কে চিরায়ত  পদার্থবিজ্ঞানেও পরম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। নিউটন পরম স্থান এবং সময়ের জন্য তাত্ত্বিক ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। নিউটনের মতে, পরম সময় স্বাধীনভাবে বিদ্যমান এবং মহাবিশ্ব জুড়ে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ গতিতে চলে।

সমসাময়িক পদার্থবিজ্ঞানে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সময়ের শ্রেষ্ঠত্বের ধারণাকে খ-ন করে এবং একটি চার-মাত্রিক মহাবিশ্বের ধারণা দেয়। চতুর্থ মাত্রা হিসাবে তিনি সময়কে বোঝায় যা স্থানের সাথে আপেক্ষিক এবং অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। কোয়ান্টাম মডেল অনুসারে, স্থান সময় হল কঠিন এবং শূন্য  স্থানের একটি জালক। কোয়ান্টাম স্তরে সবকিছুই চেতনার অংশ। তাই সবকিছুই একক সত্তা। কোনো বস্তুরই স্থানিক নির্দিষ্টতা নেই। সুতরাং, আপেক্ষিক পদার্থবিদ্যা নির্দেশ করে যে দুটি স্থানের সমসাময়িক ক্রমের বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলি আপেক্ষিক। তাই কোনো পরম বর্তমান মুহূর্ত নেই, যা পরম স্থান-কালের সাথে মিনকোভস্কি স্থান-কালের বৈপরীত্যের দ্বারা স্পষ্ট হয়।

অন্যদিকে, সময়ের স্বত্তাতাত্ত্বিক প্রকৃতি ব্যাখ্যা করার জন্য দুটি দার্শনিক পদ্ধতি রয়েছে-‘প্রেজেন্টিজম’ এবং ‘ইটারনালিজম’। যেগুলি সময়ের A-তত্ত্ব এবং সময়ের  B-তত্ত্ব হিসাবেও পরিচিত। সময়ের ­­A- এবং B- তত্ত্বগুলিকে সময়ের ‘টেন্সড” এবং ‘টেন্সলেস’ তত্ত্ব হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। সময়ের দর্শনের একটি কেন্দ্রীয় বিতর্ক A-তাত্ত্বিক এবং B-তাত্ত্বিকদের মাঝে এখনো বিদ্যমান। সময়ের A-তত্ত্ব (প্রেজেন্টিজম) সাধারণত এই ধারণার সাথে যুক্ত যে বর্তমানকে অতীত ও ভবিষ্যৎ কাল থেকে কোনো না কোনোভাবে আধিভৌতিকভাবে বিশেষাধিকার বা একক আউট করা হয়। বাস্তবতা হচ্ছে গতিশীল ও ক্ষুদ্রের পাশাপাশি ক্রমাগত পরিবর্তনের একটি প্রক্রিয়া। A-তত্ত্বকে সময়ের একটি গতিশীল তত্ত্ব হিসাবেও বর্ণনা করা হয়েছে কারণ, অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের মধ্যে একটি বাস্তব পার্থক্য স্বীকৃত। অ-তাত্ত্বিকদের অ-নির্ধারণবাদীও বলা যেতে পারে। এই তত্ত্বটি একটি উন্মুক্ত মহাবিশ্বকে অনুমান করে। হেরাক্লিটাস বলেছিলেন, “আপনি একই নদীতে দুইবার অবগাহন করতে পারবেন না, কারণ পানি ক্রমাগত প্রবাহিত হয়।” [২] এই বিবৃতিটি তার মতবাদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যে, সবকিছু ক্রমাগত পরিবর্তনশীল। অতএব, A-তত্ত্ববিদদের অনির্ধারণবাদীও বলা যেতে পারে। এর বিপরীতে, সময়ের B-তত্ত্ব কেবলমাত্র সময়ের অস্থায়ী সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেয়, যেমন “পূর্বে” এবং “পরবর্তীতে”, কিন্তু প্রবাহমান বর্তমানকে নির্দেশ করে না(McTaggart 1980; Dummett 1978; Oaklander 2004)। এই তত্ত্বটি সময়ের  এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি যা অনুসারে সমস্ত ঘটনা (অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত) সমানভাবে বাস্তব। আমরা অতীতকে স্মরণ করি এবং ভবিষ্যতের দিকে তাকাই। ভবিষ্যত অতীতের চেয়ে কম বাস্তব নয়, আমরা এটি সম্পর্কে কম জানি। এটা স্পষ্ট যে পদার্থবিজ্ঞানের অনেক দিক B-তত্ত্বের সাথে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ, বিশেষ করে মিনকোস্কির আপেক্ষিকতায় স্থান-কালের পুনর্ব্যাখ্যা। প্রকৃতপক্ষে যখনই পদার্থবিদ্যায় স্থান-কালকে একটি ধারণা হিসাবে ব্যবহার করা হয় তখন আমরা একটি অ তত্ত্বের দৃষ্টিকোণ ব্যবহার করি। এটি লক্ষ্যণীয় যে, সমসাময়িক পদার্থবিজ্ঞানের সাথে এই দার্শনিক পদ্ধতির মিল থাকা সত্ত্বেও, যথেষ্ট উদ্দেশ্যমূলক সমৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়নি।

সময়ের প্রবাহ মহাবিশ্বের একটি বিষয়গত বৈশিষ্ট্য, ভৌত বর্ণনার কোন বস্তুনিষ্ঠ অংশ নয়। পদার্থবিজ্ঞান সময়ের চলমান অংশ সম্পর্কে আলোকপাত করে। কিন্তু অবশ্যই চলমান বৈশিষ্ট্যের একটি পরম শুরু আছে. যদি এই পরম শর্তটি বিবেচনা করা হয়, তাহলে আমাদের অবশ্যই নিউটনীয় পদার্থবিজ্ঞানে ফিরে যেতে হবে, যা সমসাময়িক পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্বকে হুমকির সম্মুখীন করে। সময়কে সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে, পদার্থবিজ্ঞানও সময়কে তার সাধারণ পদ্ধতির অংশ হিসেবে বিবেচনা করেছে (JAN-KYRRE BERG OLSEN 2008, p.381)। তাই এটি শুধুমাত্র কিছু গাণিতিক নিশ্চয়তা দেয় কিন্তু সঠিকভাবে সময়ের মৌলিক উৎস অনুসন্ধান করে না। পদার্থবিদ্যা নিজেই একটি গতিশীল বা পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, যেখানে সবসময় সম্ভাবনা থাকে। তাই সময়ের সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, মেটাফিজিক্স, তার জ্ঞানতাত্ত্বিক ব্যাখ্যামূলক প্রকল্পের মাধ্যমে, এমন কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করে যা সময়ের প্রকৃত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারে কিন্তু এটিকে ভৌত জগতের সাথে সংযুক্ত করতে ব্যর্থ হয়। সময়ের বিশ্লেষণাত্মক মেটাফিজিশিয়ানরা প্রাথমিকভাবে পদার্থবিদদের উদ্দেশ্যমূলক সময়ের প্রতি আগ্রহী (REYNOLDS 2012, p. 66) । যাইহোক, প্রাকৃতিক বস্তুর বাস্তবতা এর বৈজ্ঞানিক অধ্যয়নের মাধ্যমে শেষ হয় না, বরং উপলব্ধির জগতকে এর সাথে যুক্ত করতে হবে। অতএব, আলোচনায় যে বৈপরীত্য লক্ষ্য করা যায় তা এড়াতে ভৌত ও আধিভৌতিক চিন্তার সমন্বয় প্রয়োজন।

রাফসান বিন আতা

ইন্সট্রাক্টর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

Rutherford Atomic Model-01

রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল

পরমাণুর মডেল সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানী তাদের নিজস্ব পরীক্ষালব্ধ মতবাদ প্রদান করেছেন । তাদের এই মতবাদগুলো পরমাণুর মডেল নামে পরিচিত। আজকে আমরা পরমাণুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মডেল রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল নিয়ে আলোচনা করব।

১৯১১ সালে বিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ড তার আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষার মাধ্যমে পরমাণুর গঠন সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রদান করেন।  যা পরবর্তীতে রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল নামে পরিচিতি লাভ করে।

এই মডেল সম্পর্কে তিনি যা যা বলেন-

১.  পরমাণুর কেন্দ্রস্থলে একটি ভারী বস্তু বিদ্যমান।  যাকে তিনি পরমাণুর কেন্দ্র/ নিউক্লিয়াস নামে অভিহিত করেন।

২. একটি পরমাণুর মোট আয়তনের তুলনায় তার নিউক্লিয়াসের আয়তন খুবই ছোট। যেমন আমাদের  দেহের মোট আয়তনের তুলনায় মস্তিষ্কের আয়তন খুবই নগণ্য।

৩. পরমাণু সামগ্রিকভাবে চার্জ নিরপেক্ষ হয় কারণ একটি পরমাণু তে যে পরিমাণ ধনাত্মক চার্জ রয়েছে ঠিক তার সমপরিমাণ বিপরীত ধর্মী  ইলেকট্রন রয়েছে।

৪. সূর্যের চারদিকে যেমন বিভিন্ন গ্রহ গুলো ঘুরছে ঠিক তেমনি একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসের চারদিকে ইলেকট্রন গুলো  ঘুরছে ।  পরমাণুর এরূপ আচরণের জন্য  রাদারফোর্ড তার মডেলটিকে সৌর মডেল বলে বিবেচনা করলেন।

৫. ধনাত্মক চার্জবিশিষ্ট নিউক্লিয়াস ও ঋণাত্মক চার্জবিশিষ্ট ইলেকট্রনের মধ্যে একটি স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল বিদ্যমান। এ আকর্ষণ বল ও ঘূর্ণনের ফলে তৈরি কেন্দ্রবিমুখী বল সমান। ফলে পরমাণুটি স্থিতিশীল হয়।

রাদারফোর্ডের পরমাণুর মডেলেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

১। এ মডেলের সাহায্যে পরমাণুর বর্ণালির কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।

২। এ মডেলে ইলেকট্রনের কক্ষপথের আকার ও আকৃতি সম্পর্কে কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি।

৩। রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল শুধু একটি ইলেকট্রন কিভাবে পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘোরে, তা বর্ণনা করতে পারলেও একাধিক ইলেকট্রন কিভাবে পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরবে তা বর্ণনা করতে পারেনি।

৪। ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগ সম্পর্কে কোনো ধারণা দেয়নি।

৫। রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলে পরমাণুর নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রনকে সৌরজগতে সূর্য ও গ্রহের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কিন্তু সৌরজগতের সূর্য ও গ্রহগুলো সাধারণ চার্জনিরপেক্ষ। অন্যদিকে পরমাণুর নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রন চার্জযুক্ত। তাই চার্জহীন বস্তুর সঙ্গে চার্জযুক্ত বস্তুর তুলনা করা ঠিক হয়নি।

Ref. Link- https://www.youtube.com/watch?v=TbAa9K41PVM

লেখক
মোঃ আলামিন হোসেন
লেকচারার
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

এক এর শুরু ছয় এ (One's Start at Six)-01-01

এক এর শুরু ছয় এ

খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করে লাফাতে লাফাতে সজীব তার ঘুমন্ত বড় ভাইকে জাগিয়ে তোলে। আচমকা ঘুম ভাঙ্গায় বেশ বিরক্ত হয়ে পিঠে একটা কিল উপহার পেলো সজীব। তারপরেও ভালোবাস পূর্ন সম্মানে ছোট ছোট দাত গুলো বের করে হাসি দিয়ে বললো ওই ওঠরে আমাকে স্কুলে নিয়ে চল। চোখ কচলাতে কচলাতে বড় ভাই বললো হুম যাবিতো কিন্তু এতো লাফানোর কিছু নাই। গেলে বুঝবি পড়ার কি চাপ তখন এমনি পালাবি। বড় ভাই ঘুম থেকে উঠে মা কে ডেকে সজীব কে রেডি করতে পাঠিয়ে দিলো। ওহ, হ্যা কথার শুরুতে বলে রাখি, আজ সজীবের প্রথম দিন স্কুলে। ক্লাস ওয়ানে সে আজ প্রথম ক্লাস করতে যাবে। চিরো চেনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই সাদা শার্ট আর নীল রঙ্গের প্যান্ট ইন করে মাথায় হাল্কা সরিষার তেল দিয়ে সুন্দর করে সেজে রেডি সে। ছোট ছোট ইদুরের মত দাতের কোনায় দুটা বাঁকা দাঁতের হাসিটা যেন বাধ ভেঙ্গে বের হয়ে আসছে। এদিকে সজীবের বড় ভাই আর দশ টা দিনের মত রেডি। তবে আজ সাথে মা আর ছোট আদুরে ভাইটাও যাবে। ছোট বিড়াল ওয়ালা বেগুনি নীল  ব্যাগ আর তাতে খাতা পেন্সিল আর বই আছে সজীবের। বড় ভাইয়ের একটি হাত আর মা এর একটি হাত ধরে দোল খেতে খেতে হেটে চলেছে সে। চিকোন পাতলা হাড্ডিসার সজীব এই পথ হেটে আসতে আসতেই দু বার হোঁচট খেয়ে মাখামাখি অবস্থা। স্কুলের অফিস রুমে বসে থাকা প্রধান শিক্ষিকা সজীবকে দেখে কেমন আছো আর দু চারটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে আয়া আন্টির সাথে পাঠিয়ে দিলো ক্লাস ওয়ানের কক্ষে। এদিকে বড় ভাই তার নিজ পঞ্চম শ্রেনীর ক্লাসে চলে এসেছে। একই স্কুলে দু ভাই পড়ার মূহুর্তটাই অন্য রকমের। স্কুলের প্রথম দিনের বাংলা ক্লাস টি বেশ মজায় মজায় কাটলো সজীবের। ছড়া কবিতা আর ক্লাসের নতুন বন্ধুর সাথে। প্রথম ক্লাসেই সে জুটিয়ে নিয়েছে একটা বন্ধু যদিও সেটা নাকি তার মা ঠিক করে দিয়েছিলো। প্রথম দিনের এতো সব মজার মধ্যেও প্রথম বিপত্তিটা ঘটলো ইংলিশ ক্লাসে। ম্যাডাম এসে সবাইকে বললো ছোট হাতের a b c d লিখতে। ব্যাস, সে বড় হাতের লিখে জমা দিলো। যদিওবা তার আর কি দোষ, এই টুকু বয়সে ভাষায় আবার বড় হাত ছোট হাত কিসের তা না বুঝাও স্বাভাবিক। অবশ্য সে শুধু বড় হাতের টা শিখেই ভর্তি হয়েছিলো। তাই ছোট হাতের লিখার সাথে পরিচিত তো নয়ই বরং তার কাছে এটা আজবও ছিলো। তো লিখা জমা দেয়ার পর যা হওয়ার তাই হলো, কপালে শনির নজর মানে ম্যাডামের কাছে বেতের পিটুনি। বেচারা সরল মনা, কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলোনা তার ভুলটা কোথাই। হাতটা ঝারা দিতে দিতে বেঞ্চে এসে বসার কিছুক্ষন পর ঘটলো দ্বিতীয় বিপত্তি। প্রচণ্ড প্রসাব পেয়ে বসে তাকে। লাজুক গলাইয় ম্যাডামকে বলে অনুমতিতো নিলো কিন্তু বাচ্চা মানুষ ভুলে গিয়েছে কোথায় টয়লেট। প্রসাবের চাপের কারনে আর কিছু না ভেবেই দু তলা থেকে নেমে দিলো দৌড় স্কুল এর একমাত্র মাঠটিতে। কি ভেবে যেন সে আর আগে পিছে না তাকিয়েই পতাকা স্ট্যান্ডের পাশে থাকা বড় ঘাস গুলোতে কাজ টি সেরে ফেললো। ওদিকে অন্যান্য ক্লাসের সবাই তাকিয়ে অবাক এই ম্যাজিক্যাল মূহুর্তের দৃশ্যে। ক্লাসে ফিরে দেখে সবাই ওর দিকে হা করে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। ইংলিশ ম্যাডাম একটু সদয় ভঙ্গিতে তাকে কাছে ডেকে জিজ্ঞাসা করলো কি সমস্যা। বেচারা আরো লাজুক কণ্ঠে বললো সে টয়লেট চিনে না। আজ তার প্রথম দিন স্কুলে। ম্যাডাম একজন ক্লাসমেটকে সাথে দিয়ে তাকে টয়লেট টা চিনিয়ে দিলো। ইংলিশ ক্লাস শেষে গণিত ক্লাসে ঘটলো আরেক মজার কান্ড। যোগের অংকে ৯+৯=১৮ না লিখে লিখলো ১৯। তার মতে দুটা ৯ এর মধ্যে একটাও ৯ থাকবেনা এটা কেমন কথা যেখানে ১০ আর ১০ যোগে ২০ হয় সেখানে একটা শূন্য আছে অন্তত। দিনের শেষ পিটুনিটাও সেদিন জুটলো তার। স্কুল শেষে ফেরার সময় প্রধান শিক্ষক সজীব আর তার বড় ভাইকে ডেকে মাঠে প্রসাব করার বিষয় টা জানিয়ে সব কিছু বুঝিয়ে দিলো যেহেতু প্রথম দিন তার। বাসায় ফিরে সারাদিনের এসব কাজ নিয়ে অনেক হাসা হাসি হলো নিজেদের মধ্যে, বড় ভাই তো কিছুটা রাগ করেছিলো মাঠের বিষয় নিয়ে। একটু লজ্জা শরমের বিষয় বলে কথা। দিন যায় সপ্তাহ যায় এইভাবে সজীব প্রতিদিন কিছুনা কিছু একটা ঘটাতই। পড়াশুনায় খুব ভালো ছিলোনা। ফাঁকিবাজিটা খুব জানতো। অবশ্য ছোট বেলায় সবাই একটু আরটু এমন হয় কিন্তু সজীবের বিষয় টা অন্য রকম। প্রায়োশই এমন টিচারের হাতে পিটুনি খেতে খেতে অনেকটা স্কুল থেকেই দূরে সরে যেতে থাকলো। আসলে সে স্কুলের পড়া আর বাসায় পড়ার বিষয় টা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলোনা। একে তো তার বড় ভাই নিজের পড়া আর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যাস্ত ছিলো ওদিকে তার মা ছিলো অফিসের কাজে ব্যাস্ত, সারাদিন কাজ ,কিছুটা উপরি ইনকামের জন্য ওভার টাইম সব মিলিয়ে এক্সট্রা পড়ায় তাকে হেল্প করার সুযোগ খুব কম ছিলো। অবশ্য সে ফাঁকিবাজ থাকায় এই সুযোগ টা কাজেও লাগায়। গল্পে এই অংশে অনেকেই বলতে পারেন তাহলে সজীবের বাবা কোথায়? আসলে তার বাবা অনেক ছোট বেলায় মারা যায়। এক মা একার হাতে সংসার আর কর্ম জীবন সামলায়। হ্যা সজীবের ভাই সব সময় তার একজন ভালো বন্ধু ভালো অভিভাবক হিসেবেই ছিলো। যদিও সে নিজেও তো ছোট। আসলে দায়িত্বটা বয়সে আসেনা, সময়ের প্রয়জনে হয়। যাইহোক অনেকটা অগোচরেই কেটে যাচ্ছিলো সজীবের স্কুল লাইফ। কখনো ঘুড়ি ওড়ানো, কখনো বর্শি সুতায়  মাছ ধরা, কখনো সারা দিন ক্রিকেট, মার্বের, লাটিম খেলা। একবার তো শোনা যায় ক্লাসের ম্যাডামের হাতের পিটুনির ভয়ে ক্লাস থ্রিতে ২ মাস স্কুলে যায়নি, শখের দুধ ওয়ালা হয়ে দুধ দিতো মানুষের বাসায়। কখনো কখনো মহল্লার নির্মানাধীন বাড়ির রাজমিস্ত্রীদের সাথে সারা দিন কাটাত। স্কুলে যাওয়ার নাম শুনলেই শুরু হতো নানান বাহানা, পেট ব্যথা বুক ব্যাথা জ্বর মাথা ঘোরা আর কত কি। স্কুল তাকে টানেনি সে সময় দুটা কারনে, স্কুলের শেখানোর চাইতে শিক্ষার্থীদের থেকে রেডিমেড পড়া প্রাপ্তিতে আগ্রহো বেশি যার ফলে প্রাইভেট টিউশন এর বেশি উদ্ভোব, শিক্ষার্থীর ধরনের উপর শিক্ষা না দেয়ায় শেখার গতি কম ও আরো দুর্বলতা সৃষ্টি হওয়া আরেক কারন। অবশ্যই এখানে তার ক্লাসে নিয়মিত না আসাটা বড় একটা কারন তবে পড়া না পাড়ায় পিটুনির ভয়টাও তাকে পেয়ে বসেছিলো এটাও বলতে হয়। যাইহোক এভাবেই তার বিশেষ বিবেচনায় পাস এ চলছিলো স্টুডেন্ট লাইফ। দেখতে দেখতে ক্লাস ফাইভে এসে সমাপানি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলো। পাস তো করলো কিন্তু ডি গ্রেডে। ডি গ্রেডের মানে কি আর এতে কি হয় না বোঝা ছেলেটির দিকে এইবার একটু বেশিই নজর পরলো তার বড় ভাইয়ের। রাতের খোলা আকাশের নিচে দু ভাই বসে অনেক গল্প করতে থাকলো নিজেদের করনীয় নিয়ে। একে একে সজীব তার অংকের দুর্বলতা ভয় এর কথা জানালো। ক্লাসে টিচারের পিটুনির আতংক আর স্কুল মুখির অনিহার কথাও জানালো। পড়াশোনার গুরুত্ব, সম্মান, জীবন এসব নিয়ে বাস্তবতার জ্ঞান দিলো তার বড় ভাই। গল্পে গল্পে জানালো আলেকজেন্ডার ফ্লেমিং এর কথা। ফ্লেমিং কিভাবে কোন দিন স্কুল ফাঁকি দেয়নি একটা দিনের জন্যেও। ঝর বৃষ্টি যাইহোক তবু সে স্কুলে উপস্থিত থাকতো। ব্যাস এই ওষুধটা কাজ করলো সজীবের উপর। সে বললো, হয়তো কখনো আলেকজেন্ডার ফ্লেমিং এর রেকোর্ড ভাংতে পারবোনা, তবে এই টা আমার লক্ষ্য পন আজ থেকে কোন দিন একটা ক্লাসও মিস করবনা। পরিবর্তন তখন থেকেই। একজন মানুষ কখন কিভাবে পাল্টে যায় বা বিবেক উদিত হয় বুঝা কঠিন। দুটা কথা কিংবা একটা মুহুর্তই পাল্টে দিতে পারে অনেক কিছু। ক্লাস সিক্সের প্রথম দিন হতে ক্লাস টেনের শেষ ক্লাস পর্যন্ত যতই ঝর বৃষ্টি হরতাল , জ্বর অসুখ থাকুক কোন একটা সিংগেল দিন তার অনুপস্থিতি নাই ক্লাসে। একেবারে ১০০% তে ১০০% উপস্থিতি। মজা করে অনেক টিচার তো বলতো ভুল করে ক্লাসে না আসতে। এই জন্য প্রতি বছর সর্বোচ্চ উপস্থিতির পুরোস্কার তো পেতই আর রেকোর্ড টাও এখন পর্যন্ত তারই। সব চেয়ে মজার বিষয় তার এই নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতিটাই তাকে সব চেয়ে পিছনের গ্রেডের স্টুডেন্ট থেকে টপ স্টুডেন্ট এ রুপান্তর করেছে।

মূলত, আজকের এই গল্পটা সেই সকল ভাই বোনদের জন্য যারা ক্লাসে উপস্থিত কম থাকায় দুর্বল শিক্ষার্থীতে রুপান্তরিত হয়েছে। একটা শিক্ষার্থী পড়া করুক আর নাই করুক, বুঝুক আর নাই বুঝুক তবু  ক্লাসে শতভাগ  উপস্থিত থাকা আবশ্যক। এতে বিবেকের তারনায় হলেও সে পড়া শোনা করে আসে বা সেই টপিকস নিজে থেকে বুঝে আসে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে।

আর হ্যা, এটা কোন গল্প না। এটা বাস্তব ঘটনা। সজীব আমার আপন এক মাত্র ভালোবাসার স্নেহের ছোট ভাই। এই ঘটনা লিখা পর্যন্ত তার বর্তমান সর্বশেষ হলো সে এখন পর্যন্ত কোন ক্লাস অনুপস্থিত নেই ক্লাস সিক্স হতে। আলহামদুলিল্লাহ সে এরই প্রেক্ষিতে ফুল ফ্রি স্কলারশিপে দেশের বাহিরে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং(ইলেক্ট্রিক্যাল) লাস্ট ইয়ার এর একজন টপ শিক্ষার্থী। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই ঘটনা উপলব্ধি করার তৌফিক দান করুক।

সকল শিক্ষার্থীর প্রতি রইলো শুভ কামনা।

কপি রাইটঃ এস. এম. রাজিব আহম্মেদ

ইন্সট্রাকটর, কম্পিউটার সাইন্স টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Basic-Circular-Curve-Elements-01 (1)

উল্লম্ব বাঁক

উল্লম্ব বাঁকের সংজ্ঞা: সড়ক বা রেলপথের উপরের তলের এলিভেশনে যখন আকস্মিক পরিবর্তন ঘটে , তখন উল্লম্ব বাঁক প্রয়োগ করা হয় । সাধারণত রাস্তা যখন চূড়া বা উপত্যকা অতিক্রম করে তখন উল্লম্ব বাঁক প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় । চূড়ার ক্ষেত্রে রাস্তা ঊর্ধ্বমুখী ঢালে অগ্রসর হয়ে নিম্নমুখী ঢালে বা ঢালের হার পরিবর্তন করে রাস্তার স্বাভাবিক তলে ফিরে আসে । আবার উপত্যকার ক্ষেত্রে রাস্তা নিম্নমুখী ঢালে অগ্রসর হয়ে ঊর্ধ্বমুখী ঢালে ক্রমান্বয়ে স্বাভাবিক তলে ফিরে আসে । উল্লম্ব বাঁক রাস্তার এলিভেশন পরিবর্তন সহজতর করে এবং এলিভেশন পরিবর্তনকালে যাত্রীদের অস্বস্তি দূর করে । রেলপথ বা সড়কপথে বিপরীত দু’টি ঢাল বা নিম্নমুখী বা ঊর্ধ্বমুখী দু’টি ঢাল একত্রে মিলিত হলে সংযোগস্থলে খাড়া কোণের সৃষ্টি করে ।

এরূপ অবস্থায় এক ঢাল হতে অন্য ঢালে ক্রমান্বয়ে অবতরণ বা আরোহণ করার জন্য বৃত্ত বা অধিবৃত্তীয় চাপ আকৃতির বাঁকের মাধ্যমে গোলাকার করে দেয়া হয় । উল্লম্ব তলে এ বৃত্তীয় বা অধিবৃত্তীয় চাপ আকৃতির বাঁককে উল্লম্ব বাঁক  বলা হয় । তবে সংস্থাপনের সুবিধা ও হিসাবনিকাশে সহজতর বিধায় সাধারণত অধিবৃত্তীয় উল্লম্ব বাঁকই ব্যবহৃত হয় । অধিবৃত্তীয় বাঁকে ঢাল পরিবর্তনের হার ধ্রুব । ফলে এ জাতীয় বাঁক নিরাপদ ও আরামদায়ক এবং এটা দেখতেও সুন্দর । পাহাড় চূড়ার ক্ষেত্রে উল্লম্ব বাঁকের উপরিতল উত্তল এবং উপত্যকার ক্ষেত্রে উপরিতল অবতল হয় । সচরাচর ডানদিক হতে অগ্রসরমান ঊর্ধ্বমুখী ঢালকে ( + ) এবং নিম্নমুখী ঢালকে ( – ) চিহ্নে প্রকাশ করা হয় ।

উল্লম্ব বাঁকের প্রয়োজনীয়তা  : সড়ক , জনপথ , রেলপথ বা যে – কোন ধরনের পথে দু’টি ভিন্ন হারের ঢালকে সংযোগ দেয়ার প্রয়োজনেই উল্লম্ব বাঁক প্রয়োগ করা হয় । এতে ঢালের আকস্মিক পরিবর্তন , দুর্ঘটনা ও অস্বস্তিকর ঝাঁকুনি হতে যানবাহন ও যাত্রী রক্ষা পায় । সাধারণত নিম্নোক্ত ক্ষেত্রগুলোতে উল্লম্ব বাঁকের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়ঃ

 ১। দুটি ভিন্ন ঢালের সড়কপথকে বা দুটি ভিন্ন ঢালের রেলপথকে বা দুটি ভিন্ন ঢালের অন্য কোন পথকে সংযোগ দেওয়ার জন্য উল্লম্ব বাঁকের প্রয়োজন হয় ।

২। পাহাড়ি এলাকার সড়ক বা রেলপথ নির্মাণে মাটি ভরাট ও খননের পরিমাণ কমানোর জন্য উল্লম্ব বাঁক প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় ।

৩। সমতল এলাকায় ব্রিজ , কালভার্ট ইত্যাদি নির্মাণের স্থলে সড়ক বা রেলপথকে ক্রমন্বয়ে উঁচু করে এদের সাথে সংযোগ দেওয়ার জন্যও উল্লম্ব বাঁকের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় ।

৪। সড়ক পৃষ্ঠ ও এর পার্শ্বস্থ ভূপৃষ্ঠের পানি বিশেষ করে সমতল এলাকার ক্ষেত্রে নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে সড়ক পাশের লম্বালম্বি নালার গভীরতা কমানোর জন্য সমতল ভূমি এলাকার সড়কেও উল্লম্ব বাঁক প্রয়োগের প্রয়োজন হয় ।

সাজ্জাদ হুসাইন

জুনিয়র ইন্সট্রাকটর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

Rooppur Nuclear Power Plant Info

Rooppur Nuclear Power Plant

Rooppur Nuclear Power Plant is one of the national project of 10 Fast Track project of the present government of Bangladesh. Here we are going to explore some important information of this mega project.

Rooppur Nuclear Power Plant:

  • Rooppur Nuclear Power Plant is a planned nuclear power plant with a capacity of 2.4 GW
  • Being built at Rooppur in Ishwardi Upazila of Pabna District, Bangladesh.
  • It is going to be Bangladesh’s first nuclear power plant with the first unit to start generating electricity in 2023.
  • Russia’s Rosatom State Atomic Energy Corporation is building the Rooppur Nuclear Power Plant
  • Rooppur nuclear power plant is being built in Rooppur village of Pakshi union under Ishwardi upazila of Pabna, 200 km northwest of Dhaka, the capital city of Bangladesh.
  • The project is located on the river bank next to Hardinge Bridge and Lalon Shah Bridge over the Padma River.
  • Construction work started on 30 November 2017
  • Construction cost BDT 1,13,092,91 crore
  • Owner – Bangladesh Atomic Energy Commission
  • Director – Nuclear Power Plant Bangladesh Limited
  • Type of reactor – Pressurized water reactor
  • Reactor supplier – Rosatom
  • Cooling source – Padma river
  • In 1961, the initiative to build the first nuclear power plant was taken.
  • In 1962/1963, Rooppur on the banks of Padma river in Ishwardi police Plant of Pabna district was selected as the site for nuclear power plant.
  • 260 acres of land is acquired for this project and 32 acres for residential area.
  • According to a 2008 estimate by Synapse Energy, the estimated cost of an 1,100 MW nuclear power plant is $9 billion.
  • According to a 2012 report by the famous Forbes magazine, the cost of a 1000 MW nuclear power plant is $7 billion.
  • Rooppur nuclear power plant with two units of 2400 MW capacity is costing a little over $12 billion.
  • Ninety percent of the total cost will be provided by the Russian Federation as a loan. The remaining 10 percent will be financed by Bangladesh.
  • A unit of 1200 MW will start power generation in 2023.
  • By 2024 two reactors will add 2,400 MW of nuclear power to our national grid.
  • Rooppur nuclear power plant debt is around 11 billion dollars. A grace period has been given for interest payments on the loans given by Russia. So the loan installments have to be paid from March 2027.
  • This loan has to be repaid in two installments every year.
  • 565 million dollars to be repaid every year at 4 percent interest rate. If the electricity produced is assumed to be 5 taka per unit, even if 90 percent of the 2400 megawatt capacity is produced, the net income will be 770 million dollars in one year.

Author

Md. Asaduzzaman Russel

Architecture & Civil Technology

Daffodil Polytechnic Institute

WORKING PROCEDURE OF OSI MODEL-01

Working Procedure of OSI Model

OSI এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে Open Systems Interconnection. নেটওয়ার্কে যখন এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসের মধ্যে যোগাযোগ হয়, তখন OSI মডেলের প্রতিটি লেয়ার পার হতে হয়। OSI মডেলে মোট সাত (০৭) টি লেয়ার থাকে এবং তিনটি (০৩) ভাবে বিভক্ত। উপরের তিনটি (০৩) লেয়ারকে বলা হয় সফটওয়্যার লেয়ার, নিচের তিনটি (০৩) লেয়ার কে বলা হয় হার্ডওয়্যার লেয়ার, আর মাঝের লেয়ার কে বলা হয় কোর (Core) লেয়ার। নেটওয়ার্কে আমরা যত অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করি তার সবই ব্যবহার হয় উপরের তিনটি লেয়ারে (Application), আর নেটওয়ার্কে যত হার্ডওয়্যার (Router, Switch, Firewall) ব্যবহার করা হয়, তার সবই নিচের তিনটি (০৩) লেয়ারে ব্যবহার করা হয়, আর সফটওয়্যার লেয়ার এবং হার্ডওয়্যার লেয়ারের মাঝে ইন্টারফেসিং করে ট্রান্সপোর্ট লেয়ার।

লেয়ার সহজেই মনে রাখার জন্য এই বাক্যটি মনে রাখতে পারেন।

Please Do Not Touch Steve’s Pet Alligator

Layer 1: Physical = P.

Layer 2: Data Link = D.

Layer 3: Network = N.

Layer 4: Transport = T.

Layer 5: Session = S.

Layer 6: Presentation = P.

Layer 7: Application = A.

৭. এপ্লিকেশন লেয়ার :

এটি হলো ওএসআই মডেলের সপ্তম লেয়ার। এপ্লিকেশন লেয়ার ইউজার ইন্টারফেস প্রদান করে এবং নেটওয়ার্ক ডাটা প্রসেস করে।এপ্লিকেশন লেয়ার যে কাজ গুলো করে থাকে রিসোর্স শেয়ারিং, রিমোট ফাইল একসেস, ডিরেক্টরী সার্ভিস ইত্যাদি। এপ্লিকেশন লেয়ারের কিছু প্রটোকল এর পোর্ট এড্রেস দেওয়া হলো

প্রটোকল এফটিপি টিএফটিপি টেলনেট ডিএইচসিপি ডিএনএস পপ আইম্যাপ এসএমটিপি এইচটিটিপি

পোর্ট এড্রেস ২০/২১ ৬৯ ২৩ ৬৭/৬৮ ৫৩ ১১০ ১৪৩ ২৫ ৮০

৬.প্রেজেন্টেশন লেয়ার :

এই লেয়ার নেটওয়ার্ক সার্ভিসের জন্য ডাটা ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করে। এই লেয়ার যে কাজ গুলো করে থাকে ডাটা কনভার্শন,ডাটা কমপ্রেশন, ডিক্রিপশন ইত্যাদি। এই লেয়ারে ব্যবহিত ডাটা ফরম্যাট গুলো হলো .জেপিজি, .এমপিইজি ইত্যাদি।

৫. সেশন লেয়ার :

সেশন লেয়ারের কাজ হলো উৎস এবং গন্তব্য ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলা , সেই সংযোগ কন্ট্রোল করে এবং প্রয়োজন শেষে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা। ডাটা পাঠানোর জন্য ৩ ধরনের কন্ট্রোল ব্যবহার করা হয় ।

সিম্পলেক্স : সিম্পলেক্স এ ডাটা একদিকে প্রবাহিত হয়।

হাফ ডুপ্লেক্স : হাফ ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে একদিকের ডাটা প্রবাহ শেষ হলে অন্যদিকের ডাটা অন্য দিকের ডাটা প্রবাহিত হয়ে থাকে।

ফুল ডুপ্লেক্স : ফুল ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে একইসাথে উভয়দিকে ডাটা প্রবাহিত হতে পারে।

৪. ট্রান্সপোর্ট লেয়ার :

ওএসআই মডেলের চতুর্থ লেয়ার ট্রান্সপোর্ট লেয়ার । এই লেয়ারের কাজ হলো সেশন লেয়ারের কাছ থেকে পাওয়া পাওয়া ডাটা নির্ভরযোগ্যভাবে অন্য ডিভাইসে পৌছানো নিশ্চিত করে। এই লেয়ারে ডাটা পৌছানোর জন্য দু’ধরনের ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে:

কানেকশন ওরিয়েন্টেড:

কানেকশন ওরিয়েন্টেড এ ডাটা পাঠানোর আগে প্রেরক গ্রাহক এর সাথে একটি একুনলেজ সিগন্যাল এর মাধ্যাম কানেকশন তৈরি করে থাকে। ইহা টিসিটি এর ক্ষেত্রে ঘটে থাকে।

কানেকশনলেস:

কানেকশনলেস ওরিয়েন্টেড এ ডাটা পাঠানোর আগে প্রেরক গ্রাহক এর সাথে কোন একুনলেজ সিগন্যাল এর মাধ্যাম কানেকশন তৈরি করে থাকে না। ইহা ইউডিপি এর ক্ষেত্রে ঘটে থাকে।

৩. নেটওয়ার্ক লেয়ার :

নেটওয়ার্ক লেয়ারের কাজ হলো এড্রেসিং ও প্যাকেট ডেলিভারি। এই লেয়ারে ডাটা প্যাকেটে নেটওয়ার্ক এড্রেস যোগ করে এনক্যাপসুলেশনের মাধ্যমে। এই লেয়ারে রাউটার ব্যবহিত হয়ে থাকে এবং রাউটিং টেবিল তৈরি করে থাকে।

২. ডাটালিংক লেয়ার :

OSI Model এর দ্বিতীয় লেয়ার হলো; ডাটা লিঙ্ক লেয়ার। ডাটা লিঙ্ক লেয়ার অনেকটা নেটওয়ার্ক লেয়ার এর মতো করে ,কাজ করে। নেটওয়ার্ক লেয়ার ডাটা ট্রান্সফার করে থাকে, একই নেটওয়ার্ক এর বাহিরে। কিন্তু ডাটা লিঙ্ক লেয়ার ডাটা প্যাকেট ট্যান্সফার করে থাকে একই নেটওয়ার্ক এর ভিওরে। অথ্যার্ৎ দুটি ডিভাইস যদি, একই নেটওয়ার্ক এর আন্ডারে থাকে ,তাহলে ডাটা লিঙ্ক লেয়ার এর সাহায্যে ডাটা প্যাকেট ট্রান্সমিট করা সম্ভব। ডাটা লিঙ্ক লেয়ার >নেটওয়ার্ক লেয়ার থেকে ডাটা প্যাকেট নেয় এবং ডাটা গুলোকে ছোট ছোট আকারে ভাগ করে, যেটিকে বলা হয় ফ্রেম। নেটওয়ার্ক লেয়ার এর মতোই , এই ডাটা লিঙ্ক লেয়ার , ডাটা প্রবাহ, ডাটা নিয়ন্ত্রন, এরর কন্ট্রোল ইত্যাদি করে থাকে।বলতে পারেন, এই লেয়ার , দুটি ডিভাইসের মধ্যে লজিক্যাল লিঙ্ক তৈরি করে।

১. ফিজিক্যাল লেয়ার :

ফিজিক্যাল লেয়ার OSI Model এর প্রথম লেয়ার যেটি কিনা, সর্বনিম্নে অবস্থান করে। এই লেয়ার দুটি ফিজিক্যাল ডিভাইস এর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে। এবং ফিজিক্যাল কানেকশণ (কোন ক্যাবল এর সাহায্যে) এর সাহায্যে ডাটা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে প্রেরণ করা হয়। এই লেয়ার ডাটাকে বিট স্ট্রিমে রুপান্তর করে থাকে অর্থাৎ ডাটাকে 0 এবং 1 এ .রুপান্তর করে থাকে। ডাটাকে বিট টু বিট আকারে ট্রান্সফার করা হয়ে থাকে।

Reference’s

Toushif Ahmed

Instructor

Daffodil Polytechnic Institute

Artboard 1

Let off Motion

উইভিং মেশিন বা তাঁতের নিদিষ্ট কিছু গতি রয়েছে যার সাহায্যে উক্ত মেশিনে কাপড় বুনন সম্পন্ন হয়ে থাকে। উইভিং মেশিন অথবা তাঁতের গতি প্রধানত ৩ প্রকার। যথাঃ 
১) প্রাথমিক গতি বা Primary Motion
২) মাধ্যমিক গতি বা Secondary Motion
৩) তৃতীয় পর্যায়ের গতি বা Tertiary Motion।

কাপড় জড়ানো গতি বা Take-up Motion এর মত সুতা ছাড়ার গতি ও মাধ্যমিক গতি বা Secondary Motion এর অন্তর্ভুক্ত।

েট-অফ মোশনের সংজ্ঞা (Defination of Let-off motion)

যে গতির সাহায্যে টানা সুতার বীম বা  উইভার্স বীম হতে প্রয়োজনীয় পরিমান টানা সুতাকে একটি নির্দিষ্ট হারে বুনন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় এবং যার ফলে টানা সুতা ও কাপড়ের মধ্যে একটি সমটেনশন বজায় থাকে তাকে সুতা ছাড়ার গতি বলে।

লেট-অফ মোশনের কাজ (Function of Let-off motion)

ক) টানা সুতার উপর প্রয়োজনীয় টেনশন প্রয়োগ করে শেড গঠন করা।
খ) টানা সুতার যাতে না ছিড়ে যায় সেই উদ্দেশ্যে বুনন এলাকায় প্রয়োজনীয় পরিমান টানা সুতা ছেড়ে টানা সুতার স্ট্রেস(Stres)  হ্রাস করা।

গ) সুষম PPI পেতে সহায়তা করা।

ঘ) ক্লথ রোলারে কাপড় জড়াতে সহায়তা করা।

ঙ) উইভার্স বীম থেকে বুননের সময় যে পরিমাণ টানা সুতা ছেড়ে দেওয়া হয় তা নিয়ন্ত্রণ করা।

চ) কাপড়ের একক স্পেসে সমান সংখ্যক পিকের জন্য টেক-আপ মোশনের সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করা।

ভালো লেট-অফ মোশনের শর্ত  (Condition of good let-off motion)


ক) বুননের সময় সর্বদা টানা সুতায় সমান ও সুষম টেনশন বজায় রাখা

খ) বুননের সময় উইভার্স বীমের ব্যাস নিয়মিত হ্রাসের এর ব্যবস্থা করা।

গ) টানা সুতা প্রয়োজনে পেছনে টেনে নেওয়ার সুব্যবস্থা থাকা।

ঘ) উইভার্স বীমে সমটেনশন বজায় থাকা।

মোঃ জায়েদুল হক
বিভাগ প্রধান
ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Textile Fiber

টেক্সটাইল ফাইবার এর আদ্যোপান্ত পর্ব: ১ম

ফাইবার মূলত কী?

ফাইবার একটি উদ্ভিদ বা প্রাণী বা অন্যান্য পদার্থের টিস্যুগুলির সূক্ষ্ম বা টিস্যুর ন্যায় ক্ষুদ্রতম একক, চুলের অংশগুলির মত একটি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যেগুলির দৈর্ঘ্যের তুলনায় ব্যাস খুব ছোট এই বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ পদার্থকে ফাইবার হিসেবে গণ্য করা হয়।

ফাইবার এবং টেক্সটাইল ফাইবার এর ভিতরে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে তাহলে মূলত, টেক্সটাইল ফাইবার কী?

সমস্ত ফাইবারই টেক্সটাইল ফাইবার নয়। কারণ টেক্সটাইল ফাইবার হতে হলে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ হতে হবে।

“টেক্সটাইল ফাইবার” শব্দের অর্থ হল, পদার্থের একক যা একটি সুতা তৈরি করতে বা বন্ডিং বা বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইন্টারলেস করে ফ্যাব্রিক বা সিটের আকার ধারণ করতে সক্ষম।

বুনন, নিটিং,ব্রেডিং, ফেল্টিং, টুইস্টিং সহ, যা টেক্সটাইল পণ্যগুলির মৌলিক কাঠামোগত উপাদান।

অনেক তন্তুযুক্ত উপাদান কাপড় তৈরির জন্য উপযুক্ত নয়, যেমন, কর্ন সিল্ক বা কাঠের স্লিভার। টেক্সটাইল ফাইবার অবশ্যই নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে:

১. নমনীয়, পাতলা (কিন্তু খুব পাতলা নয়)

২. যথোপযোগী দৈর্ঘ্য বুননের জন্য থাকতে হবে।

৩. বুনন হবার সময় টুইস্ট নেবার সব ক্ষমতা থাকতে হবে।

টেক্সটাইল ফাইবার নমনীয় হতে হবে। সহজে পাকানো যায় না এই ধরনের  তন্তু (প্রক্রিয়াজাত না হলে, পরবর্তী প্রসেসের জন্য প্রস্তুত হবে না) সহজে বাঁকে না, এগুলো টেক্সটাইল ফাইবার এর অন্তর্ভুক্ত হবে না।টেক্সটাইল ফাইবারগুলিও খুব পাতলা – ব্যাসের সাথে দীর্ঘ। যান্ত্রিকভাবে ন্যূনতম টুইস্ট বা পাক প্রদান করানো যায়- টানা এবং পাকানো – প্রধান তন্তুগুলির যথেষ্ট দৈর্ঘ্য, শক্তি এবং সমন্বয় থাকতে হবে (ফাইবার থেকে ফাইবার ঘর্ষণ যেন অতিরিক্ত স্থির বিদ্যুৎ উৎপন্ন না হয় এমন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হওয়া আবশ্যক)।

টেক্সটাইল ফাইবার স্টেপল বা ফিলামেন্ট উভয় রকমেরই হতে পারে।স্ট্যাপল ফাইবারগুলি তুলনামূলকভাবে ছোট, মিলিমিটার বা ইঞ্চিতে পরিমাপ করা হয়।ফিলামেন্ট ফাইবারগুলি অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ, মিটার বা গজে পরিমাপ করা হয়।

একমাত্র প্রাকৃতিক ফিলামেন্ট ফাইবার হল রিলড বা চাষকৃত রেশম।অপরদিকে সমস্ত মানুষের তৈরি ফাইবার স্টেপল অথবা ফিলামেন্ট হতে পারে, কোন ধরনের কাপড় উৎপাদন করা হবে বা কোন বিষয়ে প্রয়োগ করা হবে তার উপর ভিত্তি করে ম্যান মেড ফাইবার তৈরি করা হয় এবং মানুষের তৈরি ফাইবারের ভিতরেও নানা রকমের শ্রেণি বিভাগ রয়েছে।

তন্তুর বা ফাইবার এর শ্রেণীবিন্যাস:

টেক্সটাইল সুতা এবং কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত মৌলিক একক হল ফাইবার।এটি একটি পৃথক, সূক্ষ্ম, চুলের মতো পদার্থ।তন্তুগুলিকে সাধারণত গোষ্ঠীবদ্ধ করা হয় এবং একত্রে একত্রিত করে সুতা বলা হয়।ফাইবার গুলো প্রাকৃতিক উৎস থেকেও হতে পারে আবার মানুষের তৈরিও হতে পারে।

টেক্সটাইল ফাইবার সাধারণত দুটি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত:

1. প্রাকৃতিক ফাইবার

2. মানুষের তৈরি ফাইবার

প্রাকৃতিক ফাইবার:

সমস্ত ফাইবার যা প্রাকৃতিক উৎস থেকে আসে (প্রাণী, খনিজ, গাছপালা, ইত্যাদি) নতুন করে ফাইবারের গঠন বা ডিএনএ তে কোন সংস্করণের প্রয়োজন হয় না তাকে প্রাকৃতিক ফাইবার হিসেবে গণ্য করা হয়। অর্থাৎ যা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে এসেছে।প্রাকৃতিক ফাইবারগুলির মধ্যে রয়েছে প্রোটিন ফাইবার যেমন উল এবং সিল্ক, সেলুলোজ ফাইবার যেমন তুলা এবং লিনেন এবং খনিজ ফাইবার অ্যাসবেস্টস।

মানুষের তৈরি ফাইবার:

মনুষ্যসৃষ্ট ফাইবার হল এমন ফাইবার যেখানে হয় মৌলিক রাসায়নিক একক রাসায়নিক সংশ্লেষণের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে এবং ফাইবার তৈরি হয়েছে অথবা প্রাকৃতিক উৎস থেকে পলিমারগুলি দ্রবীভূত হয়েছে এবং ফাইবার গঠনের জন্য একটি স্পিনারেটের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরে পুনরায় তৈরি হয়েছে।রাসায়নিক সংশ্লেষণ দ্বারা তৈরি সেই তন্তু বা ফাইবারগুলোকে সিনথেটিক ফাইবার বলা হয়। প্রাকৃতিক পলিমার ফাইবারের উৎস থেকে পুনরুৎপাদিত ফাইবার কে সেমি সিন্থেটিক হিসেবে গণ্য করা হয় কিন্তু সেটা কখনোই প্রাকৃতিক শ্রেণীবিভাগ এর অন্তর্গত হিসেবে বিবেচিত হবে না।কৃত্রিম মানবসৃষ্ট তন্তুগুলির মধ্যে রয়েছে পলিমাইডস (নাইলন), পলিয়েস্টার, অ্যাক্রিলিক্স, পলিওলিফিন, ভিনাইল এবং ইলাস্টোমেরিক ফাইবার, পুনরুত্থিত ফাইবারগুলির মধ্যে রয়েছে রেয়ন, সেলুলোজ অ্যাসিটেট, পুনরুত্পাদিত প্রোটিন, গ্লাস এবং রাবার ফাইবার।আমি বোঝার সুবিধার্থে নিম্নে একটি ফাইবার এর শ্রেণীবিভাগ উল্লেখিত।

লেখক,

মোঃ আশিকুর রহমান

ইন্সট্রাক্টর (টেক্সটাইল এবং জিডিপিএম)

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট