dns-01

DNS এর ময়নাতদন্ত!

আমরা সাধারণত কাউকে মনে রাখার জন্য সর্ব প্রথম যে কাজটি করি, তার নাম এবং চেহারা মনে রাখি।  এর ফলে আমরা সহজে তাকে চিনতে পারি।  একটা মেশিন এই বেপারটা কিভাবে বুঝবে ??? তার উপর যন্ত্রটা যদি হয় কম্পিউটার, তাহলে বেপারটা কেমন হবে! আমরা জানি কম্পিউটার জিরো(0) এবং ওয়ান(1) ছাড়া কিছুই বুঝে না।  কম্পিউটার এ আমরা যাই দেই, সেটা হোক নাম্বার, শব্দ, বাক্য কম্পিউটার জিরো এবং ওয়ান ই বুঝবে।  তাহলে স্মার্ট কে হলো ? মানুষ না কম্পিউটার ? এর ব্যাখ্যা আমরা সামনে করবো।  চলেন এবার  DNS  এ একটু ফিরে আসি। এখন কেউ যদি আপনাকে তার বাসার ঠিকানা জিরো(0), ওয়ান(1) দিয়ে লিখে আপনাকে বাসায় আসতে বলে তাহলে বেপারটা কেমন হবে? বিষয়টা নিয়ে একটি ভাবতে থাকুন। কিন্তু একটা মেশিন এই জিরো এবং ওয়ান এর বেপারটা সহজে বুঝতে পারবে। 

কম্পিউটার এ আমরা কোনো ওয়েবসাইট সার্চ করি, তখন তার একটা নাম ধরে সার্চ করি।  যেমন: ব্রাউজার এ bdjobs.com  লিখে সার্চ করলে সে আমাকে চাকুরী সম্পর্কৃত বিষয় আমার সামনে তুলে ধরবে।  কিন্তু এই  লেখার অনন্তে রয়েছে রহস্যের ঘনঘটা।  এর জন্যই আমাদের এই ময়না তদন্ত।  এই ঘটনার পেছনে অন্যতম কারণ হলো DNS প্রক্রিয়া।  যার সম্পূর্ণ রূপ Domain Name Server।  আমরা যে ডোমেইন নামটি লিখলাম, কম্পিউটার এটা বুঝে না। কম্পিউটার চিনে IP।  তাহলে কম্পিউটার কিভাবে বুঝে গেলো, আমি bdjobs.com এ ঢুকতে চাচ্ছি।  আমরা যখন bdjobs.com  লিখে সার্চ করি , ব্রাউজার তখন তার IP(internet protocol) খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।  সর্বপ্রথম যে কাজটা ব্রাউজার করবে , ক্যাশ মেমরি চেক করবে।  ক্যাশ হলো C ড্রাইভ এ জমে থাকা কিছু ডাটা।  আমরা যখন কোনো কিছু সার্চ করি , তার মধ্যে কিছু না কিছু ডাটা সি ড্রাইভ এ জমে থাকে। 

মনে করুন আপনি নতুন কোনো ব্রাউজার ইনস্টলেশন করছেন।  এখন আপনার তো কোনো কাশে ডাটা জমা নাই। এখন কাজ তা কিভাবে হবে? যখন দেখলো ব্রাউজার নামটা চিনতে পারছে না, তখন ব্রাউজার এই ডোমেইনকে (RESOLVER SERVER)  বা আমরা সাধারণত একে  বলি (ISP) সার্ভার নামে নতুন আর একটা সার্ভার এ অনুরোধ পাঠাবে এর জন্য।  মনে করুন সে সার্ভার  IP পেলো না।  তখন  ISP সার্ভার তাকে ROOT-SERVER নামে আর একটা সার্ভার এর কাছে রিকোয়েস্ট পাঠাবে। ROOT-SERVER  হলো এমন একটা সার্ভার যেখানে পৃথিবীর সব ডোমেইন গুলো শ্রেণীবিন্যাস করে রাখা।  সারা পৃথিবীতে তেরোটি  সার্ভার রয়েছে। বারোটি সংগঠন এই সার্ভার গুলো নিয়ে কাজ করে।  মনে করুন সার্ভার এ সে খুঁজে পেলো না, তখন TDL সার্ভার নামে আরেকটা সার্ভারে পাঠাবে। TDL হলো  (top-level domain ) ডোমেইন সার্ভার।  এই সার্ভার এ উচ্চ মানের ডোমেইন  গুলো এক্সটেনশন রেকর্ড করে রাখে।  যেমন .com , .org, .edu, .gov,  এইগুলো হলো TDL(TOP LEVEL DOMAIN) ডোমেইন এর উদাহরণ।  তবে মজার বেপার হলো – এই সার্ভার এ ডোমেইন এর ইনফরমেশন আছে কিন্তু IP এড্রেস জমা থাকে না।  তখন আরেকটি AUTHORITATIVE NAME SERVER এ ইনফরমেশন টি পাঠায়।  এই সার্ভার এ সকল ডোমেইন এর ইনফরমেশন এবং IP থাকে।  এই ওয়েব সার্ভার তখন TDL রিকোয়েস্ট পর্যবেক্ষণ করে ডোমেইন এর  IP ADDRESS ISP এর সার্ভার এ দিয়ে দেয়। ISP এর সার্ভার  যখন IP পেয়ে যায়, তখন ব্রাউজার এ দিয়ে দেয়।  ব্রাউজার এ ক্যাশ গুলো সেভ করে রাখে, যাতে এতগুলি স্টেপ পার হতে না হয়।  এইভাবে IPবেরকরে ডোমেইন নেইম হতে।

তওসিফ আহমেদ

ইন্সট্রাক্টর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Use-of-Lighting-Arrester-01

Use of Lighting Arrester

Lighting Arrest or Surge diverter is a type of protective device that transmits high voltage surge directly to the ground in the power system. Homes, factories, transmission lines, transformers, switchgears, power stations and other equipment are damaged if the lighting arrester is not used. Proper use of lighting arresters is very important for this.

Lighting arrest or surge diverter is a kind of protective device. In the power system, the Surge diverter transmits high voltage surge to the ground. The overhead lines are in the open under the sky so that thunderstorms can occur on these lines at any time of the day or night. Thunderstorms or surges increase the line voltage at multiples. Lighting Arrester is a device that is used along the line to protect all homes, factories or other machinery that is supplied with electricity from overhead lines due to the harmful effects of this excess voltage.

Since the main function of a lighting arrester is to send lightning directly to the ground when lightning strikes the line, the lighting arrester has to be earthed by an earthling lead.

Arresters are mostly installed near critical appliances of entry. Examples like an electrical panel or near a generator. When potentially dangerous lightning strikes, the arrester rise and diverts the lightning to the ground. Where the arrester will disperse harmlessly. It’s important to remember that an arrester doesn’t stop lightning, since that would be dangerous. It does, in fact, limit and mitigate the electrical charge power, but divert is the accurate term, as it needs to give the lightning a safe route to travel, rather than through your personal important electrical devices. You can kind of think of it as a detour for very dangerous electricity, which actually wouldn’t be far off at all. 

Md. Husne Fahad

Instructor

Daffodil Polytechnic Institute

Organic Chemistry (Part-2)-01

Organic Chemistry (Part-2)

বদ্ধশিকল জৈব যৌগ:

যে সকল জৈব যৌগের অণুতে কার্বন শিকলের প্রান্তগুলো নিজেদের মধ্যে সরাসরি যুক্ত হয়ে অথবা ভিন্ন কোন পরমাণু  যেমন- N, O, S এদের সাথে যুক্ত হয়ে বলয় গঠন করে সেসকল জৈব যৌগকে বদ্ধশিকল জৈব যৌগ বলা হয়। যেমন:

বলয় গঠনকারী পরমাণুর প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে বদ্ধ শিকল জৈব যৌগ সমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

  • কার্বোসাইক্লিক বা হোমোসাইক্লিক যৌগ বা সুষমচাক্রিক যৌগ।
  • বিষম চাক্রিক হেটারোসাইক্লিক যৌগ ।

১. কার্বোসাইক্লিক বা হোমোসাইক্লিক যৌগ: যে সকল জৈব যৌগের বলয় গঠনকারী চক্রটি শুধুমাত্র কার্বন পরমাণু দ্বারা গঠিত হয় তাদেরকে কার্বোসাইক্লিক বা হোমোসাইক্লিক যৌগ বলা হয়। যেমন:

ধর্মের উপর ভিত্তি করে কার্বোসাইক্লিক যৌগসমূহকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়-

  • অ্যালিসাইক্লিক যৌগ এবং
  • অ্যারোমেটিক যৌগ

 অ্যালিসাইক্লিক যৌগ:  যে সকল জৈব যৌগ গঠনের দিক দিয়ে সাইক্লিক বলয় আকার কিন্তু   ধর্মের দিক দিয়ে মুক্ত শিকল যৌগের ন্যায় আচরণ করে তাদেরকে অ্যালিসাইক্লিক যৌগ বলা হয়। যেমন-

.অ্যারোমেটিক যৌগ: বেনজিন এবং বেনজিন বলয়যুক্ত এক বা একাধিক জৈব যৌগ সমূহকে অ্যারোমেটিক যৌগ বলা হয়। যেমন-

২.হেটারোসাইক্লিক বা বিষম চাক্রিক যৌগ:  যেসকল বন্ধ শিকল যৌগের বলয় কার্বন পরমাণুসহ ভিন্ন পরমাণু যুক্ত থাকে তাদেরকে বিষম চাক্রিক যৌগ বলা হয়।

ধর্মের উপর ভিত্তি করে হেটারোসাইক্লিক যৌগ সমূহকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

১. হেটারো অ্যালিসাইক্লিক যৌগ।

২. হেটারো অ্যারোমেটিক যৌগ।

মোঃ আলামিন হোসেন

লেকচারার

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

how to design logo blog post-01

How To Design a Logo

কিভাবে logo ডিজাইন করবেন ?

আপনি আপনার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি লোগো ডিজাইন করতে চান। আপনার বাজেট থাকলে, আমার প্রথম পরামর্শ হল একজন ডিজাইনার হায়ার করা। একটি লোগো ডিজাইন করা হয়ত অনেকের কাছে সহজ মনে হতে পারে, কিন্তু যে কোন ভাল ডিজাইনারকে জিজ্ঞাসা করুন এবং তারা আপনাকে বলবে এটা মোটেও সহজ নয় ।

আপনি যদি আপনার ব্র্যান্ডের ভিজ্যুয়াল আইডেন্টিটি তৈরি করা শুরু করতে চান এবং একজন ডিজাইনার নিয়োগ করা আপনার জন্য সম্বভ  না হয়,তাহলে এই ব্লগটি আপনার জন্য

সহায়ক হবে ।

একটি লোগো কি?

এই প্রশ্নটি সম্ভবত আপনাকে একটি বিখ্যাত কামড় দেয়া আপেলের  ছবি মনে করায় । সর্বোপরি, আমরা সবাই জানি লোগো কী।

একটি লোগো হল একটি প্রতীক বা নকশা যা একটি কোম্পানি বা সংস্থার পাশাপাশি এর পণ্য, পরিষেবা, কর্মচারী ইত্যাদি সনাক্ত করতে সাহায্য করে ।

অর্থাৎ সহজ সংজ্ঞায়, একটি লোগো সনাক্ত করে কীভাবে আপনার কোম্পানিকে অন্যদের মধ্যে স্বীকৃত এবং মনে রাখা হয়। এটি আপনার ব্যবসার পরিচিতি হিসাবেও কাজ করে।

আপনার লোগো আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটি সাধারন ধারনা দেওয়ার সুযোগ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামাজনের স্মাইলি তীরটি প্রকাশ করে যে কোম্পানিটি “A-Z” থেকে সবকিছু বিক্রি করে এবং গ্রাহকরা যখন তাদের সাথে কেনাকাটা করে তখন তারা কতটা খুশি হয় তাও উপস্থাপন করে।

একটি সতর্কতা হল যে যদিও একটি লোগো একটি গভীর অর্থ প্রকাশ করতে পারে,আবার ব্যাপারটা এতটা সিরিয়াস হওয়ারও প্রয়োজন নেই। প্রকৃতপক্ষে, বেশিরভাগ সংস্থাগুলি একটি লোগো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনেক ধিদা বোধ করে কেবল এটি নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার ফলে । অভিজ্ঞ  ডিজাইনাররা এই বেপারে একমত যে বেশিরভাগ লোকেরা লোগোতে খুব বেশি আবদার রাখে ।

তাই মনে রাখবেন, একটি লোগো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, কিন্তু তার মানে এটিই সবকিছু নয়।

একটি লোগো  যা নয়:

  • আপনার ব্র্যান্ডঃ 

এটি একটি সাধারণ ভুল ধারনা , আসলে আপনার লোগোটি আপনার ব্র্যান্ড নয়। এবং আপনার ব্র্যান্ড আপনার লোগো নয়। আপনার ব্র্যান্ড হল আপনার খ্যাতি—লোকেরা আপনার নাম শুনে কী ভাবে, তারা আপনার সম্পর্কে অন্যদের কী বলে এবং আপনি তাদের কেমন অনুভব করেন। আপনার ব্র্যান্ড তৈরি হয় আপনার গ্রাহকদের হাজারও ছোট ছোট কন্ট্রিভিউশন থেকে – আপনার লোগো থেকে নয়।

  • আপনার বাহ্যিক পরিচয়ঃ

যখন নতুন কোম্পানি বা সংস্থা একটি লোগোর জন্য অনুরোধ করে , একজন ভাল ডিজাইনার বলবেন, “আপনার শুধু একটি লোগো দরকার নেই, আপনার একটি ব্র্যান্ড পরিচয় প্রয়োজন।” লোগো হল আপনার কোম্পানির বড় পরিচিতির ছোট্ট একটি অংশ , কিন্তু তা  আপনার কোম্পানির সম্পূর্ণ চিত্রটি নয়। লোগো হল আপনার কোম্পানির বৃহত্তর ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের মধ্যে একটি ছোট চিত্র যা আপনার কোম্পানির রঙ, টাইপোগ্রাফি, ফটোগ্রাফি, ভিজ্যুয়াল, লেআউট ইত্যাদির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

  • সাফল্যের একটি সূচকঃ

আপনার লোগো আপনার ব্যবসা তৈরি বা ভাঙতে যাচ্ছে না। ENRON কোম্পানির লোগো ভালো ছিল, কিন্তু কোম্পানির নৈতিক কোড ছিল না। যার ফলে ব্যবসাটি ব্যর্থ হয় । আবার TWO MEN AND A TRUCK একটি বিলিয়ন-ডলারের কোম্পানি কিন্ত এর লোগো হল একটি স্টিক ফিগার যা প্রতিষ্ঠাতাদের মা একটি ন্যাপকিনে ডিজাইন করেছিল। বিশ্বের সেরা লোগো কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসাকে বাঁচাতে পারে না, বা খারাপ লোগো কোনও সৎকে আটকে রাখতে পারে না।

লোগো কী করতে পারে এবং কী করতে পারে না সে সম্পর্কে এখন আমরা পরিষ্কার হয়েছি, আসুন ডিজাইন প্রক্রিয়া শুরু করি।

কিভাবে একটি লোগো ডিজাইন করবেনঃ

আমাদের ডিজাইনের সময় দুটি জিনিস মনে রাখতে হবে:

ডিজাইন মুলত নির্ভর করে আপনার strategy এর উপর । হ্যাঁ, আপনাকে কিছু সময় ভিজুয়াল কিছু তৈরি করতে হবে। কিন্তু কাজের সিংহভাগ নির্ভর করে কৌশল/ strategy এর উপর, বিশেষ করে কাজের শুরুতে।তাই আঁকার চেয়ে আরও বেশি চিন্তাভাবনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানুষিকতা রাখুন।

আপনি শুধু একটি লোগো ডিজাইন করছেন না। মনে রাখবেন যে লোগোটি একটি বৃহত্তর ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের শুধুমাত্র একটি অংশ, এবং এর পৃথক অংশগুলিকে একসাথে কাজ করতে হবে।

এটি সঠিকভাবে করতে আপনাকে পর্যায়ক্রমে কাজ করতে হবে। যদিও প্রতিটি ডিজাইনারের প্রক্রিয়া আলাদা দেখায়, আমরা আপনাকে যেটির মাধ্যমে গাইড করতে যাচ্ছি তার পাঁচটি ধাপ রয়েছে:

  • আবিষ্কার 
  • অন্বেষণ
  • ডিজাইন
  • পরিমার্জন
  • সংজ্ঞায়ন

প্রতিটি পর্যায়ের নিজস্ব লক্ষ্য, প্রক্রিয়া এবং ফলাফল রয়েছে। আমরা উপস্থাপন করব কেন প্রতিটি ধাপ গুরুত্বপূর্ণ, কি পদক্ষেপগুলি আপনাকে নিতে হবে এবং চূড়ান্ত ফলাফল যে দিকে আপনি কাজ করছেন—যা পরবর্তী পর্যায়ের জন্য আপনার প্রয়োজন হবে।

প্রথম ধাপ: আবিষ্কার করুন

  • গোল

আবিষ্কারের পর্যায়টি হল “প্রশ্ন” পর্ব। ডিজাইনাররা তাদের ক্লায়েন্টের কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান, এর মান, ব্যবসা, ব্র্যান্ডের বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য যতটা সম্ভব প্রসঙ্গ এবং পটভূমিকে বুঝার জন্য এই সময়টি ব্যবহার করেন। যার মধ্যে আলোচনা করা হয় একটি পছন্দসই আকৃতি এবং অনুভূতি সম্পর্কে প্রাথমিক স্কেচ , সমস্ত সম্ভাব্য ব্যবহারের ক্ষেত্র ইত্যাদি নিয়ে।

আপনার জন্য, এটি একটি স্ব-আবিষ্কারের পর্ব হবে। আপনার লক্ষ্য হল বের করা ; আপনার কোম্পানি/সংস্থা কে, আপনি কী বিশ্বাস করেন, আপনি কী অর্জন করতে চান এবং আপনি কীভাবে সেখানে যেতে চান সে সম্পর্কে একটি দৃঢ় বোঝাপড়া। মনে রাখবেন, আপনি শুধু একটি লোগো ডিজাইন করছেন না। আপনি আপনার ব্র্যান্ড পরিচয় গঠন করছেন।

যদিও আপনি ভাবতে পারেন যে আপনি এই জিনিসগুলি জানেন, আমি আপনাকে আপনার উত্তরগুলি লেখার অনুশীলনের মধ্য দিয়ে যেতে উত্সাহিত করি।

প্রক্রিয়া

নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন:

  • কেন আপনি একটি  লোগো চান এবং/বা প্রয়োজন? এই নকশা জন্য অনুপ্রেরনা কি?
  • আপনার কোম্পানির নামের পিছনে অর্থ/গল্প কি?
  • আপনার লক্ষ্য শ্রোতা কারা?
  • আপনার প্রধান প্রতিযোগীদের কারা?
  • এই লোগোর জন্য আপনার লক্ষ্য কি? কিভাবে “সাফল্য” পরিমাপ করা হবে?
  • আপনার 3-5 শীর্ষ ব্র্যান্ড “রোল মডেল?” কার চেহারা এবং অনুভূতি আপনি প্রশংসা করেন?
  • লোকেরা আপনার লোগো দেখে আপনি কী অনুভব করতে চান?
  • আপনি আপনার ব্র্যান্ড  কি benifit প্রকাশ করতে চায়?
  • আপনার ব্র্যান্ডের ব্যক্তিত্বের অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
  • উদাহরণস্বরূপ: আপনার ব্র্যান্ড কি স্বয়ংসম্পূর্ণ, কৌতূহলী, নস্টালজিক, প্রাণবন্ত ইত্যাদি?
  • লোগো/ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের প্রধান ব্যবহার-ক্ষেত্রগুলি কী হবে? সামাজিক? ওয়েবসাইট? টি-শার্ট?
  • কোন বিশেষ অনুরোধ বা নকশা অন্তর্ভুক্ত থাকা আবশ্যক? যদি  পূর্ববর্তী পুনরাবৃত্তি থেকে কিছু বজায় রাখার প্রয়োজন হয় তখন ।

বিতরণযোগ্য

আপনি এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়ার পরে, আপনি একটি সৃজনশীল কৌশলে উত্তরগুলিকে সংক্ষিপ্ত করবেন যা আপনার ব্যবসার একটি সাধারণ ওভারভিউ প্রদান করে। আপনি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন: ডিজাইন প্রক্রিয়ার জন্য আপনার উদ্দেশ্য এবং ডিজাইন সিস্টেম এবং লোগোর জন্য একটি প্রাথমিক দৃষ্টিভঙ্গি, যেকোন থিম ।

 এই টেকনিক শুধু আপনার পরবর্তী ধাপকে গাইড করতে ব্যবহার করবেন না বরং আপনি পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে আপনার সাফল্যের বিচার করতেও এটি ব্যবহার করবেন। প্রতিটি পর্বের শেষে, সৃজনশীল কৌশলে প্রতিষ্ঠিত দৃষ্টিভঙ্গি কতটা ভালোভাবে পূরণ করে তা দ্বারা আপনার বিতরণযোগ্যতা  মূল্যায়ন করুন। যখন ব্যক্তিগত মতামত এবং পছন্দগুলি মনে আশে , তখন উদ্দেশ্য ঠিক রাখার জন্য আবার এই ধাপে ফিরে যান।

দ্বিতীয় পর্যায়: অন্বেষণ

উদ্দেশ্য 

এটি আপনার গবেষণা করার পর্ব, কিন্তু যদিও “অন্বেষণ”  শব্দটি আরও উত্তেজনাপূর্ণ শোনায় । অন্বেষণের পর্যায়টি সবচেয়ে মজাদার হতে পারে এবং—যদি কেউ একা প্রথমবারের মতো এই নকশা প্রক্রিয়া শুরু করছেন, তাদের জন্য এই ধাপটি সবচেয়ে সহায়ক।

মূলত, আপনি বিশ্বের অনেক ডিজাইন এবং প্রাসঙ্গিক অন্বেষণ করতে মনোযোগ দিবেন । এখানে আপনার লক্ষ্য হল : জানা এবং অনুপ্রাণিত হওয়া।

প্রক্রিয়া

বেসিক ডিজাইন নীতিগুলো গুগল এ সার্চ করুন। রঙ এবং টাইপোগ্রাফির মত মৌলিক বিষয়গুলি পড়ুন।

 ডিজাইনাররা উল্লেখ করেছেন যে কালার থেওরির কিছু নিয়ম লোগো ডিজাইনের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হতে পারে। বিভিন্ন রঙ বিভিন্ন আবেগ এবং আচরণের উদ্রেক করে, আপনাকে আপনার দর্শকদের কাছ থেকে পছন্দসই মানসিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে সহায়তা করে।

উদাহরণস্বরূপ, নীল রঙ  বিশ্বাস, নির্ভরযোগ্যতা এবং কর্তৃত্বকে অনুপ্রাণিত করে। তাই নীল রঙ ব্যাঙ্ক, ক্রেডিট কার্ড এবং সফ্টওয়্যারগুলির জন্য একটি জনপ্রিয় রঙ। সবুজ শান্তি, বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। তাই হোল ফুডস এবং বিপির মতো কোম্পানিগুলি তাদের ব্র্যান্ডিংয়ে সবুজ ব্যবহার করে।

আবিষ্কার করুন কোন রঙ ? আপনি আপনার গ্রাহকদের কাছ থেকে কেমন অনুভূতি প্রকাশ করাতে চান।

প্রথমে আপনার তাৎক্ষণিক প্রতিযোগীদের, তারপর আপনার বৃহত্তর শিল্পের দিকে তাকান। শুধু লোগো দেখবেন না। একাধিক চ্যানেল জুড়ে ব্র্যান্ডগুলি পর্যবেক্ষণ করে সমগ্র ভিজ্যুয়াল সিস্টেমের অভিজ্ঞতা নিন, যেমন। ওয়েবসাইট, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক ইত্যাদি; নোট নিন। ভাল এবং খারাপ উভয় উপাদান আপনার লক্ষ্য করতে হবে ।

পরবর্তী, আপনার ইন্ডাস্ট্রির বাইরে তাকান। ডিজাইন কমিওনিটির মধ্যে কী ট্রেন্ড রয়েছে তা অন্বেষণ করুন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনারদের সাম্প্রতিক কাজ দেখার জন্য Dribbble, Behance এবং Brand New এর মতো ওয়েবসাইটগুলি দেখুন৷ ইনস্টাগ্রামে #logodesign বা অন্যান্য সম্পর্কিত হ্যাশট্যাগ অনুসন্ধান করুন।   

বিতরণযোগ্য

সমস্ত ছবি, ডিজাইন, রঙের সংমিশ্রণ, ফটো, চিত্র এবং হ্যাঁ, লোগো সংগ্রহ করতে একটি মুড বোর্ড তৈরি করুন, যার প্রতি আপনি আকৃষ্ট হয়েছেন এবং আপনার ব্র্যান্ড পরিচয়ের জন্য আপনি যে চেহারা এবং অনুভূতি চান তা উপস্থাপন করুন।

আপনি যদি চান তবে আপনি প্রিন্ট করা ছবিগুলি কেটে এবং পেস্ট করে একটি আসল বোর্ড তৈরি করতে পারেন। তবে বেশিরভাগ ডিজাইনাররা এটি ডিজিটাল রাখেন। সংগ্রহ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল Pinterest, কিন্তু আপনি যদি সহজে শেয়ার/পর্যালোচনা করতে চান তবে আপনার ছবিগুলিকে একটি ফাইলে কপি করে পেস্ট করুন।

আপনি যদি বেশ কয়েকটি ডিজাইনের প্রতি আকৃষ্ট হন তবে প্রতিটির জন্য আলাদা মুড বোর্ড তৈরি করুন। প্রতিটি বোর্ডের ভিজ্যুয়াল পছন্দগুলি কীভাবে আপনার ব্র্যান্ডের বৈশিষ্ট্যগুলিকে প্রকাশ করে সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না। আপনি এই বোর্ডগুলি আপনার টিমের অন্যান্য সদস্যদের বা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর কাছে উপস্থাপন করবেন এবং তারা আপনাকে একটি দিক  নিরধারন করতে সহায়তা করবে।

তৃতীয় পর্যায়: ডিজাইন

গোল

এখন আমাদের লক্ষ্যটি বেশ সহজবোধ্য: প্রথম দুটি পর্যায় থেকে সমস্ত বিবেচনা থেকে ইনপুট নিন এবং কিছু লোগো ডিজাইন তৈরি করা শুরু করুন৷

প্রক্রিয়া

কিভাবে একটি লোগো ডিজাইন করতে হয় তা বিবেচনা করার জন্য অনেক কিছু আছে:

টুলস

আপনি শুরু করার আগে, ডিজাইন করার জন্য আপনার যা প্রয়োজন তা নিশ্চিত করুন:

পেন্সিল এবং কাগজ

কিছু প্রাথমিক ধারণা স্কেচ করা একটি দুর্দান্ত জায়গা। এটিকে অতিরিক্ত জটিল করবেন না। ডিজাইন একটি পুনরাবৃত্তিমূলক প্রক্রিয়া। এমনকি যদি আপনি মনে করেন যে আপনি আঁকতে পারবেন না, আপনার মাথায় আইডিয়াগুলির রুক্ষ স্কেচ তৈরি করুন। আপনার মস্তিষ্ককে সৃজনশীলভাবে চিন্তা করতে বাধ্য করাতে হবে ।

ভেক্টর গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যার

ভেক্টর গ্রাফিক্স সফ্টওয়্যারের জন্য সবার পছন্দ হল Adobe Illustrator—কিন্তু এটি সস্তা নয় এবং বিগিনার-ফ্রেন্ডলি নয়। আপনি Inkscape এবং Vectr এর মত অনুরূপ বিনামূল্যের টুল ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

কেন ভেক্টর? সমস্ত লোগো হল ভেক্টর চিত্র, তারা গাণিতিক সূত্র দ্বারা সংজ্ঞায়িত লাইন দিয়ে তৈরি। ভেক্টর পরিবর্তন করা এবং স্কেল করা সহজ।

অক্ষর

আপনি কিছু অতিরিক্ত ফন্ট ডাউনলোড করার দিকে নজর দিতে পারেন। বিনামূল্যের ফন্ট রিসোর্সের মধ্যে রয়েছে গুগল ফন্ট লাইব্রেরি এবং ফন্ট স্কুইরেল। এছাড়াও আপনি MyFonts এবং FontShop এর মত সাইটে ফন্ট কিনতে পারেন।

বিনামূল্যে লোগো ডিজাইন টুল

আপনার যদি সময়, অর্থ এবং ডিজাইনের দক্ষতার অভাব হয় তবে প্রচুর অনলাইন টুল রয়েছে যা কাজটি সম্পন্ন করবে। এই সাইটগুলির বেশিরভাগই কাস্টমাইজযোগ্য টেমপ্লেট অফার করে, যা পেশাদার দেখায় এমন একটি লোগো তৈরি করার দ্রুততম উপায় হবে৷ শুধু মনে রাখবেন, আপনি মৌলিকত্ব বলি দেওয়ার ঝুঁকি চালান।

সেরা 5টি অনলাইন লোগো ডিজাইন টুল:

লোগোর প্রকারভেদ

আপনি স্ক্র্যাচ থেকে আপনার লোগো ডিজাইন বা একটি টেমপ্লেট ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিন না কেন, সাত ধরনের লোগোর সাথে নিজেকে পরিচিত করা একটি ভাল সূচনা পয়েন্ট:

Word mark

কিছু ব্র্যান্ডের কোন গ্রাফিক চিহ্ন নেই এবং পরিবর্তে তাদের কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের নামকে কেন্দ্রে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ক্ষেত্রে, টাইপোগ্রাফি সবকিছু। আপনার ফন্ট পছন্দ যাই হোক না কেন, এটি পাঠযোগ্য হতে হবে।

ব্র্যান্ড মার্ক

ব্র্যান্ডের মার্ক হল একটি লোগোতে যে গ্রাফিক প্রতীক থাকে। এই প্রতীকগুলি সাধারণত আপনার শ্রোতাদের মনে একটি অবিলম্বে সংযোগ তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ডেন্টিস্টের জন্য একটি দাঁত, একটি আউটডোর কোম্পানির জন্য পর্বত ইত্যাদি।

আপনাকে শুরুতে আপনার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে একটি ব্র্যান্ড চিহ্ন যুক্ত করতে হবে। কিন্তু সময়ের পরে, শুধুমাত্র প্রতীকটি একটি সুপরিচিত ব্র্যান্ডের জন্য একটি শক্তিশালী, ভিজ্যুয়াল শর্টহ্যান্ড হিসাবে কাজ করতে পারে।

Combination mark

এই ধরনের লোগো একটি প্রতীক এবং একটি শব্দ চিহ্ন উভয়কে একত্রিত করে। যতক্ষণ না আপনি আপনার পছন্দের একটি লেআউট খুঁজে পান ততক্ষণ পর্যন্ত প্রতিটি উপাদান ওলট পালট করে বসিয়ে দেখুন। আপনি নির্দিষ্ট প্রসঙ্গে দুটি ভিন্ন সংমিশ্রণের লেআউট দিতে পারেন, যা আমরা “ডিফাইন” পর্বে আলোচনা করব।

Abstract logo mark

এই লোগো চিহ্নগুলি কম স্বীকৃত এবং সাধারণত বেশি জ্যামিতিক। আপনি যখন আপনার ব্র্যান্ডের জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু চান এবং যা দেখতে দুর্দান্ত। আবার, আমরা দৃঢ়ভাবে এই চিহ্নগুলিকে আপনার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে যুক্ত করার পরামর্শ দিই না যতক্ষণ আপনি আপনার প্রতীককে পর্যাপ্ত ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি না মনে করছেন।

লেটার মার্ক

একটি অক্ষর চিহ্ন, যাকে “মনোগ্রাম” লোগোও বলা হয়, যদি আপনার নামটি দীর্ঘ হয় তবে দুর্দান্ত। আপনি আপনার নাম সংক্ষিপ্ত করতে পারেন বা শুধু আপনার কোম্পানির নামের প্রথম অক্ষর ব্যবহার করতে পারেন। টাইপোগ্রাফিতে একটি অক্ষর যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি এটি একটি শব্দ চিহ্নেও সমান গুরুত্বপূতপুরনআপনি আরও সৃজনশীল স্টাইলিং ব্যবহার করতে পারেন।

মাসকট

আপনার ব্র্যান্ড ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে, একটি মাসকট মজাদার হতে পারে। এছাড়াও, তারা আপনার আদর্শ চিহ্নের চেয়ে বেশি নমনীয় কারণ তাদের অভিব্যক্তি এবং প্রসঙ্গ পরিবর্তন হতে পারে। আপনি যে বার্তা এবং আবেগের সাথে যোগাযোগ করতে চান তার সাথে মিল রেখে গ্রাফিক উপাদান ব্যবহার করতে ভুলবেন না। 

প্রতীক

প্রতীক লোগোতে একটি প্রতীকের ভিতরে মেসেজ অন্তর্ভুক্ত থাকে। প্রতীক, “ক্রেস্ট” নামেও পরিচিত, দীর্ঘকাল ধরে রয়েছে এই ধরনের লোগোর রয়েছে খ্যাতি এবং ঐতিহ্য ।

প্রতীক

আপনি যদি সিদ্ধান্ত নেন যে আপনি আপনার লোগোতে একটি প্রতীক চান – যা ঐতিহ্যগত – আপনাকে কিছু চিন্তাভাবনা করতে হতে পারে। আপনার ব্র্যান্ডের জন্য সঠিক একটি প্রতীক তৈরি করতে আমাদের কয়েকটি টিপস :

  • সংযোগ তৈরি করুনঃ আপনার কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের নাম বিবেচনা করুন, এবং যতগুলি সম্পর্কিত শব্দ আপনি ভাবতে পারেন তা লিখুন। একটি উদাহরণ হিসাবে স্প্রাউট ব্যবহার করে, আমরা বৃদ্ধি, বাগান, গাছ, বন, পাতা, শাখা, গ্রিনহাউস ইত্যাদির মতো শব্দগুলি লিখব৷ এই শব্দগুলি তাদের নিজস্ব চিত্রগুলির সেট তৈরি করে যা একটি ব্র্যান্ড চিহ্নের জন্য কার্যকর পছন্দ হতে পারে৷
  • রূপকভাবে চিন্তা করুনঃ এখানেই “আবিষ্কার” পর্বের প্রশ্নগুলি কার্যকর হয়৷ আমাদের অ্যামাজনের উদাহরণের উল্লেখ করে, হাসিটি প্রতিনিধিত্ব করে যে আমাজন ক্রেতারা কতটা খুশি এবং সন্তুষ্ট। আপনি আপনার শ্রোতাদের কেমন অনুভব করতে চান, তা বিবেচনা করুন।

আপনি কি মেসেজ জানাতে চান এবং যা আপনার মনে কোন প্রতীক বা চিনহ?

যদিও  ডিজাইনাররা সবচেয়ে সুস্পষ্ট পছন্দের সাথে বিরুদ্ধে যাওয়ার বেপারে সতর্ক করেন, আপনি এখন আপনার ব্র্যান্ডের বার্তাটির আক্ষরিক ব্যাখ্যা বিবেচনা করতে পারেন। শুধু এটির সাথে নতুন কিছু যোগ ভয় পাবেন না। আরও রূপক কিছুর সাথে একটি আক্ষরিক প্রতীক একত্রিত করার চেষ্টা করুন।

এই পর্যায়ে, কোন নিয়ম নেই। বাক্সের বাইরে যতটা আপনি চান চিন্তা করুন। এটি এমন কী হতে পারে যা বিজয়ী ধারণাটিকে আনলক করে।

তৈরি করুন, মূল্যায়ন করুন, পুনরাবৃত্তি করুন। আপনার বিকল্পগুলিকে সংকুচিত করার জন্য যতবার প্রয়োজন ততবার এটি করুন। বেশিরভাগ ডিজাইনাররা ভাল জিনিসে পৌঁছানোর আগে একাধিক রাউন্ডের মধ্য দিয়ে যান। এবং সাহায্যের জন্য বন্ধুকে জিজ্ঞেশ করতে ভুলবেন না। কখনও কখনও আপনাকে কনফিওসন দূর করার জন্য তাজা চোখ দরকার হয়।

অক্ষর

আপনি যদি একটি শব্দ চিহ্ন বা অক্ষর চিহ্ন দিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তবে টাইপোগ্রাফি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা মনে রাখবেন। রঙের মতো, বিভিন্ন ফন্ট আপনার ব্র্যান্ড ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন ব্যাখ্যা প্রকাশ করে।

অগণিত ফন্টের ধরন রয়েছে, তবে সেগুলি তিনটি পরিবারের একটিতে পড়ে (এটিকে টাইপফেসও বলা হয়): সেরিফ, সান সেরিফ এবং স্ক্রিপ্ট।

সেরিফ ফন্ট

সেরিফ ফন্টে একটি অক্ষর বা প্রতীকে বড় স্ট্রোকের শেষে ছোট লাইন বা স্ট্রোক সংযুক্ত থাকে। এই ফন্টগুলি ক্লাসিক এবং আপনি যখন বিশ্বাস, ঐতিহ্য এবং পরিশীলিততার সাথে যোগাযোগ করতে চান তখন এটি একটি ভাল পছন্দ হতে পারে।

Sans serif ফন্ট

এগুলি এমন ফন্ট যা অক্ষরের সাথে কোন সেরিফ সংযুক্ত নেই। ফলাফলটি একটি খাস্তা, পরিষ্কার লাইন যা মসৃণ এবং আধুনিক দেখায়। সান সেরিফ ফন্টগুলি ডিজিটালের জন্য পছন্দের ফন্ট পরিবার কারণ সেগুলি পড়তে সহজ। আপনি যদি একটি মিনিমাল ডিজাইনের জন্য যাচ্ছেন, তবে সান সেরিফ ফন্টগুলি ব্যবহার করবেন।

লিপি

স্ক্রিপ্ট ফন্টগুলি অবিকল হাতের লেখা নকল করে, একটি স্বাক্ষরের প্রভাব তৈরি করে। 

এখন যেহেতু আপনার কাছে একটি লোগো ডিজাইন করার সমস্ত তথ্য আছে, ভুলে যাবেন না: তৈরি করুন, মূল্যায়ন করুন, পুনরাবৃত্তি করুন৷

বিতরণযোগ্য

মূল্যায়ন করার জন্য আপনাকে অন্তত একটি লোগো ডিজাইন দিয়ে শেষ করা উচিত। এই পর্যায়ে দুটি বা তিনটি লোগো বেছে নেওয়ার জন্য এটি সাধারণ। পরবর্তী পর্বে, আমরা আপনার ডিজাইনগুলিকে কীভাবে মূল্যায়ন করতে হয় সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

পর্যায় চার: পরিমার্জিতকরন

গোল

আপনি যদি বিভিন্ন বিকল্পের সাথে শেষ পর্যায়টি শেষ করেন তবে এখন সময় সিধান্ত নেয়ার। ইতিমধ্যে একটি চূড়ান্ত পছন্দ আছে? দারুণ! এর পরীক্ষা করা যাক.

প্রক্রিয়া

নিজেকে এই প্রশ্নগুলি জিজ্ঞাসা করে আপনার ডিজাইনগুলি মূল্যায়ন করুন:

একটি সফল লোগো হল:

  • সরল
  • স্মরণীয়
  • উদ্দীপনাময়

আপনি এই লোগো কোথায় ব্যবহার করবেন?

আপনার প্রাথমিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে—যেমন আপনার ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল—সেইসাথে আপনার সেকেন্ডারি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেমন প্রিন্টেড মার্কেটিং উপকরণ, নিয়োগ এবং ইভেন্ট ব্যানার ইত্যাদি বিবেচনা করুন।

বিবেচনায় থামবেন না। ছবি, শব্দ এবং সামগ্রিক বার্তা প্রতিটি মাধ্যমে অনুবাদ করা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পটভূমিতে এটিকে যাচাই করুন।

আপনি এখন থেকে 5, 10, 15, এমনকি 20 বছর পর্যন্ত আপনার লোগো দেখতে পাচ্ছেন কিনা তা বিবেচনা করুন।

এছাড়াও, আপনার সম্পূর্ণ ভিজ্যুয়াল পরিচয়ের প্রসঙ্গে লোগোটি বিবেচনা করুন। এটি একটি অতিরিক্ত চর্চা হতে পারে. আপনার লোগো ডিজাইনের বিভিন্ন উপাদান নিন, যেমন রং, ফন্ট এবং শৈলী, এবং দেখুন কিভাবে আপনি সেগুলিকে আপনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্য কোথাও অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।

অবশেষে—আপনার লোগোর একটি একক-রঙের, কালো এবং সাদা সংস্করণ তৈরি করুন এবং নিশ্চিত করুন যে এটি গাঢ় রঙে বিপরীত হতে পারে। যদি আপনি না করেন, তাহলে আপনি ভবিষ্যতে সমস্যার জন্য নিজেকে সাইন আপ করতে পারেন।

বিতরণযোগ্যতা

এখন পর্যন্ত, আপনার পছন্দের একটি চূড়ান্ত লোগো ডিজাইন থাকা উচিত। এবং সম্ভবত, প্রতিটি উপাদানকে সঠিকভাবে পেতে আপনার যথেষ্ট সময় লেগেছে। আমাদের পঞ্চম এবং শেষ পর্যায় আপনাকে এটি সেইভাবে থাকে তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

পর্যায় পাঁচ: সংজ্ঞায়িত করুন

গোল

যখন এটি আপনার ব্র্যান্ড পরিচয়ের অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য আসে, তখন গুণমান এবং সামঞ্জস্যতা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার লোগোটি কতগুলি জায়গায় থাকবে—এবং কত লোকেদের এটি ব্যবহার করতে হবে—তার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার লোগোটি কীভাবে ব্যবহার করা যায় তার জন্য নিয়ম এবং নির্দেশিকাগুলির একটি সেট সংজ্ঞায়িত করা গুরুত্বপূর্ণ৷

প্রক্রিয়া

শুরু করতে, আপনার লোগোর আকার, রঙ, বিন্যাস, চিকিত্সা, অবস্থান, অভিযোজন ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার কাছে থাকা যেকোনো নির্দেশিকা বিবেচনা করুন।

নিজেকে জিজ্ঞাসা করার জন্য কিছু প্রশ্ন:

  • আপনার লোগোটি কি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডের বিরুদ্ধে স্থাপন করা উচিত?
  • আপনার লোগো ফটোগ্রাফির উপরে ব্যবহার করা যেতে পারে? যদি তাই হয়, আপনি এটি পপ সাহায্য করার জন্য রঙ পরিবর্তন করতে পারেন?

আপনার যদি একটি সংমিশ্রণ লোগো চিহ্ন থাকে তবে উপাদানগুলিকে কি নির্দিষ্ট প্রসঙ্গে আলাদা করা যায়?

আপনার লোগো একটি শক্তিশালী প্রভাব বজায় রাখে তা নিশ্চিত করতে, আপনার লোগোতে কোনো পরিবর্তন  করতে  “কখনই নয়” আইন অন্তর্ভুক্ত করতে ভয় পাবেন না।

বিতরণযোগ্য

আপনাকে আপনার ব্র্যান্ডের মান রাখার জন্য একেবারে নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে না। শুধু নিশ্চিত করুন যে তারা আপনার দলের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ করেছে এবং সকলের কাছে সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য। বেশিরভাগ ডিজাইনাররা একটি পিডিএফ তৈরি করে এবং তাদের কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ সম্পদ লাইব্রেরিতে শেয়ার করে।

উপসংহার

এত কিছুর পরে, আপনি হয়তো বলছেন, “বাহ, এই কাজে কৌশল অনেক।” আমরা জানি কিভাবে আপনি মনে। একটি লোগো ডিজাইন করতে কতটা কাজ করতে হয় তা  আপনি লোগো ডিজাইন না করলে বুজতে  পারবেন না । ডিজাইনাররা সাধারণত সমস্ত পর্যায়ে কাজ করতে কয়েক সপ্তাহ সময় নেয়। সুতরাং আমাদের পরামর্শের শেষ অংশটি হল: তাড়াহুড়ো করবেন না। প্রতিটি পর্বে আমরা যে চর্চাগুলি বর্ণনা করেছি তার মধ্য দিয়ে যেতে সময় নিন। আপনার চূড়ান্ত নকশাটি প্রতিফলিত হবে আপনার প্রচেষ্টার  উপর ভিত্তি করে ।

এবং মনে রাখবেন, দিনের শেষে, আপনার লোগো আপনার ব্র্যান্ড তৈরি করে না-আপনার লোকেরা করে।

আব্দুল্লাহ আল নুমান

ইন্সট্রাক্টর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

fire alarm system-01

Fire Alarm System

আগুন লাগলে ভবনের ভেতরে অবস্থানরত লোকদের নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য যে সতর্কতা সংকেত দেয়া হয় বা বাজানো হয় তাকে ফায়ার এলার্ম সিস্টেম বা অগ্নি হুশিয়ারী সংকেত বলে।

ফায়ার এলার্ম সিস্টেম হলো মূলত আগুনের অবস্থান নির্দেশ এবং ঘোষণা করার একটি সম্মিলিত মাধ্যম। এ এলার্ম সিস্টেমকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. অটোমেটিক এলার্ম সিস্টেম

২. ম্যানুয়াল এলার্ম সিস্টেম

অটোমেটিক এলার্ম সিস্টেম

স্বয়ংক্রিয় এলার্ম সিস্টেম হলো এমন এলার্ম সিস্টেম যেটি কয়েকটি ডিটেকটরের সম্মিলিত রূপ যা একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে এবং তারের উভয় দিকে কন্ট্রোল প্যানেলে সংযোগ দেয়া হয়।এ সিস্টেমে প্রত্যেক ডিটেকটরের একটি নির্দিষ্ট লোকেশন থাকে যাতে যে ডিটেকটরটি সংকেত দেয় তাকে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। বহুতল ভবন বা ক্যাম্পাসের জন্য এ সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এ এলার্ম ব্যবস্থা দু ধরনের। যথাঃ সিংগেল ষ্টেজ ও টু ষ্টেজ।

সিংগেল ষ্টেজঃ যে ক্ষেত্রে সমগ্র ভবনের এর এলার্ম বাজার নির্দিষ্ট সময় পর তা নিজে নিজে বন্ধ হয়ে যায় তাকে সিংগেল ষ্টেজ ফায়ার এলার্ম বলে।

টু ষ্টেজঃ যে ক্ষেত্রে সমগ্র ভবনের এর এলার্ম বাজার নির্দিষ্ট সময় পর তা নিজে নিজে বন্ধ হয় না তাকে সিংগেল ষ্টেজ ফায়ার এলার্ম বলে।

ম্যানুয়াল এলার্ম সিস্টেম

সাধারনত ছোট স্থানের জন্য ম্যানুয়াল এলার্ম সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। এই এলার্ম সিস্টেমে

সাধারন কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় ফলে তা অটোমেটিক এলার্ম সিস্টেমের তুলনায় খরচ খুব কম। এতে সুইচ,এলিডি ও বেল ব্যবহার করা হয়। স্বয়ংক্রিয় এলার্ম সিস্টেম সহজলভ্য ও জনপ্রিয় হওয়ায় এর ব্যবহার অনেক কমে গেছে।

ফায়ার এলার্ম বা অগ্নি হুশিয়ারী সংকেত ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় আইন

  • ম্যানুয়াল ফায়ার এলার্ম বক্সগুলো এক্সিট ডোরের ৫ মিটারের মধ্যে স্থাপন করতে হবে।
  • দুটি ম্যানুয়াল ফায়ার এলার্ম বক্সের মধ্যে ২০০ ফুটের কম দূরত্ব হতে হবে,
  • এলার্ম ঘোষনার জন্য প্রত্যেকটি ফ্লোরে আলাদা আলাদা ডিটেকটর থাকতে হবে,
  • ম্যানুয়াল ফায়ার এলার্ম বক্সগুলো এমন ভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে তা ৪২ ইঞ্চির উপরে এবং ৪৮ ইঞ্চির উপরে না হয়,
  • এলার্ম সিস্টেমের ঘোষণা এমন হতে হবে যেন তা চোখে দেখা যায় ও কানে শোনা যায়,
  • এলার্ম সিস্টেমের মাইক গুলো ফ্লোর থেকে ৯০ ইঞ্চির উপরে ও ছাদ থেকে ৬ ইঞ্চির নিচে স্থাপন করতে হবে,
  • গংবেল ও অটোমেটিক এলার্ম সিস্টেম সংরক্ষণ করতে হবে।

স্মোক ডিটেক্টর সিস্টেম

স্মোক ডিটেক্টর এমন একটি সেন্সর যা কোথাও আগুন লাগলে সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয় ভাবে আগুন নির্ণয় করে ও এলার্ম দিয়ে সকলকে জানিয়ে দেয়। সব সময় এটি সঠিক সংকেত দেয় না। ভুল সংকেত দিয়ে স্মোক ডিটেক্টর মাঝে মধ্যে মারাত্বক ঝামেলায় ফেলে।

যে সব কারনে এটি ভুল সংকেত দিয়ে থাকে তা হলোঃ

  • ডিটেক্টরের ভিতরের শর্ট সার্কিট,
  • পানি প্রবেশ করা বা এর কাছাকাছি স্থান স্যাঁতস্যাঁতে হওয়া,
  • ধূলা-বালি প্রবেশ করলে,
  • আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তন ঘটা,
  • সঠিক ভাবে স্থাপন না করা,
  • পর্যাপ্ত রক্ষনাবেক্ষনের অভাব ইত্যাদি।

 ভুল সংকেত প্রতিরোধে করনীয়

  • এর ভেতরে যাতে ধূলা-বালি না ঢোকে খেয়াল রাখতে হবে,
  • বিধান অনুযায়ী স্থাপন করতে হবে,
  • মাঝে মাঝে খুলে পরিষ্কার করতে হবে,
  • নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন ও ১ বছর পরপর সব ডিটেক্টর চেক করতে হবে,
  • পানি যাতে প্রবেশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা ও স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দূর করা,

স্মোক ডিটেক্টর ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় আইন

  • প্রয়োজন অনুসারে প্রত্যেক ফ্লোরে স্মোক ও হিট ডিটেক্টর স্থাপন করতে হবে,
  • ২২৫ বর্গ ফিট বা প্রস্তুতকারকের নির্দিষ্টকরণ এর মধ্যে যেটি ছোট তার উপর ভিত্তি করে স্মোক ডিটেক্টর ব্যবহার করতে হবে,
  • এটি সিলিং এ ব্যবহার করতে হবে,
  • ওয়ালের ক্ষেত্রে সিলিং থেকে ১২ ইঞ্চির মধ্যে স্থাপন করতে হবে,
  • দুটি স্মোক ডিটেক্টরের মধ্যে দূরত্ব হবে ৩০ ফিট,
  • স্থাপন করার পর থেকে ১ বছর পরপর ডিটেক্টরগুলো চেক করতে হবে এবং ৫ বছরের মধ্যে সকল স্মোক ডিটেক্টর চেক করতে হবে।

লেখকঃ মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

The Overall Effect Of Fast Fashion (Part-2)-01

The Overall Effect Of Fast Fashion: Part:02

Why is fast fashion so popular?

Even 15 years ago, when people buy clothes, they have to keep in mind that the clothes can be worn for a long time and its quality is good enough.In that case, how comfortable the garment is to the people and how long it can be used is very important.But as more and more people are celebrities in the social media entertainment world, and not only that, but also the micro-celebrities on social media, the kind of clothes and trends that influence each other psychologically, such fashions marginalized people emotionally to nurture that fashion within themselves.Which is why we often notice that if a social media celebrity wears a T-shirt with a tag or a message, we also think that we might want to buy a T-shirt like this.It is not uncommon for a person to follow a particular fashion but also to feel comfortable wearing different fashions in different seasons.The content plug is one of the few organizations that analyzes various contemporary issues. According to them, there is a strong link between the fashion industry and social media.

Picture Credits: The content plug

What is the main role of social media in this case?

In the US, over 60 per cent of clothing and fashion sales are still centered around social media trends.

The Zara fashion company is now, for the most part, thinking of ways to bring a variety of outfits to the market, such as the kind of celebrities seen on social media, and not only that, but it should be able to do so much faster than other companies. There are a number of medium-sized fashion company that send out clothes on social media to those who are fairly celebrity or have micro-celebrities, and are asked to publish a positive review on their YouTube channel or Facebook to increase their demand for clothing in the market. Statistically, many more have now started clothing lineups on a personal level and those micro-celebrities are publishing messages if they have a message through their t-shirts or clothes and in this way they market it as fast fashion which is part of it.

The most striking thing about fast fashion is that the fashion moves very fast and is developed very fast and it is sent to the consumer so that the quality of the fashion is not very good and the quality of the clothes is not very good but a message is provided by that fashion.  There are more thoughts to do which are always active on social media. Social media addiction makes people more dependent on fashion and they are more concerned with expressing any message or personality with fashion than with quality in fashion. Due to the above, the demand for fashion is easily met by the consumers through social media and they never think much about spending less money or spending more money to buy that fashion whether they need it or not.  Is done and plays a direct role in wasting money as well as environmental damage.

Source: Self-content with Google searching

Author

Md Ashikur Rahman

Instructor (Textile & GDPM)

Department of Textile Engineering

Buttonhole Machine Operaration-01

Buttonhole Machine Operation(Part-1)

বাটনহোল মেশিন অপারেশনঃ

এই ব্লগটি সম্পন্ন করার পর একজন শিক্ষার্থী বাটনহোল মেশিন দ্বারা সেলাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক ও ব্যবহরিক দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। সেলাইয়ের জন্য বাটনহোল মেশিন প্রস্ত্তুত করণ, মেশিনের যন্ত্রাংশ সেট করণ,বাটনহোল মেশিন সেলাইয়ে দক্ষতা অর্জন করণ,মেশিন পরিষ্কার করণ এই ব্লগ এর অন্তর্ভূক্ত ।

Buttonhole Machine

বৈদ্যুতিন বোতাম হোল সেলাই মেশিনের বৈশিষ্ট্যঃ


1. সর্বোচ্চ  উচ্চ উৎপাদন দক্ষতা সম্পন্ন
2. সুন্দর সেলাই, নিদর্শন নির্ভুলতা সম্পন্ন
৩. বড় মেশিনের মুখ বাটনহোল  সুবিধাজনক অপারেশন বুঝতে পারে।
৪. নিম্ন নয়েস সঙ্গে সুন্দর সেলাই।
৫. সহজ রক্ষণাবেক্ষণ ও খরচ কম ।

বাটনহোল মেশিন অপারেশন

                      

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ

১.তৈরি পোশাক শিল্প (আর এম জি) কর্মক্ষেত্রে পোশাক তৈরিতে বাটনহোল সংশ্লিষ্ট প্রোপারটিজ, কম্পোনেন্ট ও যন্ত্রপাতির ধারনা লাভ ওব্যবহার করতে পারবে।

২.আর এম জি কর্মক্ষেত্রে হেলথ, সেফটি অ্যান্ড ইথিকস প্রাকটিস এর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

৩. বাটনহোল সেলাই এর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

প্রত্যাশিত শিখনফলঃ (১) কাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে

পারদর্শিতা নির্ণায়ক / মানদন্ড

১.১ কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী আত্নরক্ষামূলক সরঞ্জমাদি (PPE) সংগ্রহ ও পরিধান করবে।

১.২ পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (OSH) নিম্চিত করবে।

১.৩ স্পেসিফিকেসন অনুযায়ী টুলস ও ম্যাটারিয়াল নির্বাচন ও সংগ্রহ করবে।

১.৪ কর্মক্ষেত্রে জরুরী প্রয়োজনে নিরাপদ বর্হিগমন পথ সনাক্ত করবে। 

বিভিন্ন ধরনের বাটনহোল মেশিন অপারেশন

             

প্রত্যাশিত শিখনফলঃ (২) সেলাইয়ের জন্য মেশিন সেট করতে পারবে

পারদর্শিতা নির্ণায়ক / মানদন্ড

২.১ বাটনহোল মেশিন পরিষ্কার করবে।

২.২ বাটনহোল মেশিনের যন্ত্রাংশ চেক করবে।

২.৩ বাটনহোল সেলাইয়ের ম্যাটারিয়ালস, কাস্টমারের চাহিদা ও সুয়িং ম্যনুয়েল অনুযায়ী নিডেল নির্বাচন করবে।

২.৪ হোল টু হোল ডিসটেন্স নির্ধারণ করবে।

২.৪ সেলাইয়ের টেনশন ও এস পি আই (স্টিচ পার ইঞ্চি  নির্ধারণ করবে।

সোর্সঃ গুগল উইকিপিডিয়া ও বিকিউএফ

Asfakur Rahman Togor

Instructor (Textile & GDPM)

Department of Textile Engineering

Daffodil Polytechnic Institute, Dhaka.                                      

fitra-01

Fitra

ভূমিকা :

ফিতরা বা ফেতরা আরবী শব্দ। যা ইসলামে যাকাতুল ফিতর নামে পরিচিত। ফিতরা বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে। রোজা বা উপবাস পালনের পর সন্ধ্যায় ইফতার বা সকালের খাদ্য গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষে এই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকাল‌ের আহারের যাকাত বলা হয়।

নারী-পুরুষ, স্বাধীন-পরাধীন, শিশু-বৃদ্ধ, ছোট-বড়, সামর্থবান সকল মুসলিমের জন্য ফিতরা প্রদান করা ওয়াজিব। ইবনে উমর থেকে জানা যায়ঃ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক স্বাধীন-ক্রীতদাস, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় মুসলমানের যাকাতুল ফিতর এক ‘সা’ পরিমাণ খেজুর বা যব ওয়াজিব করেছেন। তিনি লোকদের ঈদের নামাযে বের হওয়ার পূর্বেই তা আদায় করার আদেশ দিয়েছেন।

সা এবং র্অধ সা :

ফিতরা প্রদানের পরিমাপ সংক্রান্ত আলোচনায় সা বহুল আলোচিত শব্দ। সা হচ্ছে আরবদেশে ওজন বা পরিমাপে ব্যবহৃত পাত্র। বাংলাদেশে যেমন ধান পরিমাপের জন্য একসময় কাঠা ব্যবহৃত হত। একজন মাঝামাঝি শারীরিক গঠনের মানুষ অর্থাৎ অধিক লম্বা নয় এবং বেঁটেও নয়, এই রকম মানুষ তার দুই হাত একত্রে করলে যে অঞ্জলি গঠিত হয়, ঐরকম পূর্ণ চার অঞ্জলি সমান হচ্ছে এক সা

ফিতরা পাবে যারা

গরীব, দুঃস্থ, অসহায়, অভাবগ্রস্থ ব্যক্তিকে ফিতরা প্রদান করা যাবে। সামর্থ্যবান মুমিন নারী-পুরুষের ওপর ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। সামর্থ্যবানদের অধীনস্ত পরিবারের সব সদস্যদের ফিতরাও দায়িত্বশীল ব্যক্তি আদায় করবেন। অর্থাৎ পরিবারের শিশু-কিশোর যদি অর্থের মালিক না হয় তবে বাবাই পরিবারের লোকদের ফিতরা আদায় করবেন।

এক কথায় সামর্থ্যবান নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সব স্বাধীন, পরাধীন এমনকি হিজড়া সম্প্রদারে ওপরই ফিতরা আদায় করা আবশ্যক। বালেগ সন্তান যদি পাগল হয় তবে পিতার পক্ষ থেকে তা আদায় করা ওয়াজিব ৷

বেতনভুক্ত কাজের ব্যক্তির পক্ষে ফিতরা প্রদান করা মালিকের উপর আবশ্যক নয়। তবে মালিক ইচ্ছে করলে কাজের লোককে ফিতরা প্রদান করতে পারবেন। তবে তিনি বেতন বা পারিশ্রমিক হিসেবে ফিতরা প্রদান করতে পারবেন না ।

ফিতরা যা দিয়ে দেয়া যাবে

১.টাকা দিয়ে ফিতরা

২.খাদ্য দ্রব্য দিয়ে ফিতরা

১.টাকা দিয়ে ফিতরা

মুহাম্মদ সাঃ এর যুগে মুদ্রা হিসেবে দিরহাম প্রচলিত ছিলো। দিরহামের দ্বারা কেনা কাটা, দান খয়রাত করা হতো। তবু সাহাবী খুদরী রাঃ হতে বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায় মুহাম্মদ সাঃ খাদ্য বস্তু দিয়ে ফিতরা প্রদান করতেন। এজন্য মুসলমান পন্ডিতদের বড় অংশ টাকা দিয়ে ফিতরা প্রদানের ব্যাপারে ভিন্নমত পোষন করেন। ইমাম আহমদ রহঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নতের বরখেলাফ হওয়ার কারণে আমার আশঙ্কা হচ্ছে যে, তা যথেষ্ট হবে না।

২.খাদ্য দ্রব্য দিয়ে ফিতরা

  বর্তমান মূল্য :  ইসলামি শরীয়াহ মতে, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলাের যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। উন্নতমানের আটা বা গম দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬শ’৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭৫ (পঁচাত্তর) টাকা প্রদান করতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৩০০ (তিনশ) টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৪২০ (এক হাজার চারশ বিশ) টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৬৫০ (এক হাজার ছয়শ পঞ্চাশ) টাকা ও পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২,৩১০ (দুই হাজার তিনশ দশ) টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে। দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা/গম, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরােক্ত পণ্যগুলাের যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। উল্লেখ্য, উপরােক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশােধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।।

   ইসলামি  ‍মতবাদ : প্রত্যেকের জন্য মাথাপিছু এক ছা‘ খাদ্যশস্য যাকাতুল ফিৎর হিসাবে বের করতে হবে। ‘ছা’ হচ্ছে তৎকালীন সময়ের এক ধরনের ওযন করার পাত্র। নবী করীম (ছাঃ)-এর যুগের ছা‘ হিসাবে এক ছা‘-তে সবচেয়ে ভাল গম ২ কেজি ৪০ গ্রাম হয়। বিভিন্ন ফসলের ছা‘ ওযন হিসাবে বিভিন্ন হয়। এক ছা‘ চাউল প্রায় ২ কেজি ৫০০ গ্রাম হয়। তবে ওযন হিসাবে এক ছা‘ গম, যব, ভুট্টা, খেজুর ইত্যাদি ২ কেজি ২২৫ গ্রামের বেশি হয়। ইরাকী এক ছা‘ হিসাবে ২ কেজি ৪০০ গ্রাম অথবা প্রমাণ সাইজ হাতের পূর্ণ চার অঞ্জলি চাউল। বর্তমানে আমাদের দেশে এক ছা‘তে আড়াই কেজি চাউল হয়।

অর্ধ ছা‘ ফিতরা আদায় করা সুন্নাত বিরোধী কাজ। মু‘আবিয়া -এর যুগে মদীনায় গম ছিল না। সিরিয়া হ’তে গম আমদানী করা হ’ত। তাই উচ্চ মূল্যের বিবেচনায় তিনি অর্ধ ছা‘ গম দ্বারা ফিৎরা দিতে বলেন। কিন্তু বিশিষ্ট ছাহাবী আবু সাঈদ খুদরী সহ অন্যান্য ছাহাবীগণ মু‘আবিয়া -এর এই ইজতিহাদী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এবং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নির্দেশ ও প্রথম যুগের আমলের উপরেই কায়েম থাকেন। যারা অর্ধ ছা‘ গম দ্বারা ফিৎরা আদায় করেন, তারা মু‘আবিয়া -এর রায়ের অনুসরণ করেন মাত্র। ইমাম নবভী বলেন, সুতরাং অর্ধ ছা‘ ফিৎরা আদায় করা সুন্নাহর খেলাপ। রাসূল (ছাঃ) যাকাতের ও ফিতরার যে হার নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা রদবদল করার অধিকার কারো নেই।এ ব্যাপারে ওমর একটি ফরমান লিখে আমর ইবনে হাযম -এর নিকটে পাঠান যে, যাকাতের নিছাব ও প্রত্যেক নিছাবে যাকাতের যে, হার তা চির দিনের জন্য আল্লাহ তার রাসূলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এতে কোন যুগে, কোন দেশে কমবেশি অথবা রদবদল করার অধিকার কারো নেই।

ফিতরার নিয়ম

ঈদের দিন সুবহে সাদিকের পর সব সামর্থ্যবান মুমিনের ওপর ফিতরা আদায় করা আবশ্যক। এ সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে যদি কারো বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয় তবে ওই বাচ্চার জন্যও ফিতরা আদায় করতে হবে। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিজ্ঞা নেই।তরা আদায় করা সর্বোত্তম। তবে আগে থেকে ফিতরা আদায়ে কোনো নিষেধ নেই।

ফিতরা আদায়ের সেসব নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো-

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী ২ পরিমাপে ৫ জিনিস দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। আর তাহলো গম, যব, কিসমিস, খেজুর, পনির। এসব গুলোর মধ্যে গমের পরিমাপ হলো অর্ধ সা আর বাকিগুলোর পরিমাপ এক সা। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোনো একটি দিয়ে এ ফিতরা আদায় করতে পারবেন। বর্তমান বাজারমূল্য হিসেবে তা তুলে ধরা হলো-

  •  গম/আটা : গম বা আটার পরিমাপ হবে অর্ধ সা। যা ৮০ তোলা সেরের মাপে ১ সের সাড়ে বারো ছটাক। আর কেজির হিসাবে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম। তবে ন্যূনতম পূর্ণ ২ সের/কেজির মুল্য আদায় করা উত্তম ৷ যার বর্তমান বাজার মূল্য ৭০ টাকা।
  • যব : যবের পরিমাপ হবে এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য- ২৭০ টাকা।
  •  কিসমিস : এর পরিমাপও এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য- ১ হাজার ৫০০ টাকা।
  •  খেজুর : এর পরিমাপ এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য- ১ হাজার ৬৫০ টাকা।
  • পনির : পনিরের পরিমাপও এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য- ২ হাজার ২০০ টাকা।

তবে যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির-এর ক্ষেত্রে ৪ কেজির মূল্য পরিশোধ করাই উত্তম।

( তবে আমার মতে যব অর্ধ সা হওয়ার পরিবর্তে এক সা হওয়া উচিত।কারণ আমাদের দেশে যব খুব সহজে পাওয়া যায় ,আর খেজুর পাওয়া দূর্লভ তাই খেজুর অর্ধ সা হওয়া উচিত। )

ফিতরা ওয়াজিব হওয়ার শর্ত

ঈদুল ফিতরের দিন কোনো স্বাধীন মুসলমানের কাছে জাকাতের নিসাব তথা সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ কিংবা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা অথবা তার সমমুল্যের নগদ অর্থ কারো কাছে থাকলেই ওই ব্যক্তির জন্য ফিতরা ওয়াজিব।

এ সম্পদ ঋণ এবং মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত হতে হবে। তবে ব্যতিক্রম হলো- জাকাতের জন্য এ সম্পদ পূর্ণ এক বছর মালিকানায় থাকতে হবে, আর ফিতরার ক্ষেত্রে এক বছর থাকা শর্ত নয়। আর এসব ব্যক্তির জন্য ফিতরা গ্রহণ করাও হারাম।

আবার বাড়ি-ঘর, আসবাবপত্র, স্থাবর সম্পদের মূল্য (যদি ব্যবসার জন্য না হয়) জাকাতের নিসাবের অন্তর্ভূক্ত নয় ৷ কিন্ত ফিতরার ক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্র,ঘর-বাড়ি ও স্থাবর সম্পদ, ভাড়া বাড়ি, মেশিনারীজ, কৃষিযন্ত্র ইত্যাদি (উপার্জনের জন্য না হলেও) এসবের মূল্যের হিসাবও ফিতরার নেসাবে অন্তর্ভূক্ত হবে ৷

ফিতরা যখন ওয়াজিব হয়

ঈদের দিন সুবহে সাদিকের পর সব সামর্থ্যবান মুমিনের ওপর ফিতরা আদায় করা আবশ্যক। এ সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে যদি কারো বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয় তবে ওই বাচ্চার জন্যও ফিতরা আদায় করতে হবে।

ফিতরা কখন আদায় করতে হয়

ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করা সর্বোত্তম। তবে আগে থেকে ফিতরা আদায়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আর যদি কেউ কোনো কারণে ঈদের নামাজের আগে আদায় করতে না পারে তবে ঈদের পরেও তা আদায় করা যাবে। তবে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করতেন। কেননা গরিব-অসহায় এ টাকায় কেনাকাটা করে ধনীদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবে।

সূত্র : গুগল,

শাহনেওয়াজ সেরাজ সুবর্ণা

ইন্সট্রাক্টর অফ আর এস ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

Civil engineer-01

Difference Between Architecture and Civil Engineering

আর্কিটেকচার এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং উভয়ই পরিকল্পনা এবং অবকাঠামোগত ডিজাইনের সাথে জড়িত। আর্কিটেকচার নির্মাণ কাজের কার্যকারিতা এবং নান্দনিকতার উপর বেশি গুরুত্ব প্রদান করে থাকে এবং নকশার শৈল্পিকতা, সৌন্দর্য, অনুভূতি এবং কার্যকারিতার উপর বেশি জোর দিয়ে থাকে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নকশার কাঠামোগত উপাদানগুলিতে বেশি গুরুত্ব প্রদান করে, এবং নিশ্চিত করে নির্মাণ কাজটি স্বাভাবিক এবং চরম অবস্থা সহ্য করে যেকোনো পরিস্থিতিতে অটুট ও নিরাপদ থাকবে।

যদিও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারগণ নকশা প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত, তথাপি স্থপতিরা কাঠামোর নকশার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে। একজন স্থপতি নির্মাণ কাজের আকৃতি, রঙ এবং স্থানসহ পরিপূর্ণ নকশাটি করেন এবং তারপর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পেশাদাররা নির্মাণ কাজের নকশাটি বাস্তবে নির্মাণ করার সম্ভাব্য উপায়গুলি বিশ্লেষণ পূর্বক বের করে থাকেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারগণ নির্মাণ কাজের জন্য উপযুক্ত উপকরণ নির্বাচন, নকশায় পরিবর্তন ও পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়া এবং স্থপতির নকশাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য কাঠামোগত মূল্যায়ন করে থাকেন।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, স্থাপত্যের প্রাথমিক কাজ হল নির্মাণ কাজের ডিজাইন করা এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর দায়িত্ব হল নকশাটি নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং স্থপতিরা কখনও কখনও একই ধরণের কাজ করে থাকেন এবং এই দুটি পেশার মধ্যে একটি ভাল সম্পর্ক নির্মাণ কাজকে আরও কার্যকর, সফল এবং নিরাপদ করে তুলে। স্থপতিরা সকল কাজের উৎকৃষ্ট, নির্ভুল এবং নান্দনিক নকশা প্রণয়ন নিশ্চিত করেন, কারণ তারা বোঝেন যে কোনো নির্মাণ প্রকল্পের সাফল্যের জন্য দলগত প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কাজের ক্ষেত্রে প্রধান পার্থক্যসমূহঃ

আর্কিটেকচার

১। আর্কিটেকচার কাজের কার্যকারিতা এবং নান্দনিকতার উপর বেশি গুরুত্ব প্রদান করে এবং নকশার শৈল্পিকতা, নান্দনিকতা এবং কার্যকারিতার উপর বেশি জোর দেয়।

২। স্থপতিরা কাজের প্রাক-নির্মাণ পর্যায়ের সাথে গভীরভাবে জড়িত থাকে।

৩। স্থপতিরা তাদের কাজ সম্পন্ন করার জন্য বেশিরভাগ সময় অফিসে অতিবাহিত করেন।

৪। স্থপতিদের কিছু বিষয়ের উপর খুবই পারদর্শী হতে হয় যেমন নকশা প্রণয়নের দক্ষতা, উচ্চতর গণিত, যোগাযোগ এর দক্ষতা, কম্পিউটার এর উপর দক্ষতা, নির্মাণ কাজের কোড সম্পর্কে ভাল জ্ঞান এবং ব্যবসায়িক কাজের দক্ষতা। 

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

১। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নকশার কাঠামোগত উপাদানগুলিতে বেশি গুরুত্ব প্রদান করে, এবং নিশ্চিত করে নির্মাণ কাজটি স্বাভাবিক এবং চরম অবস্থা সহ্য করে যেকোনো পরিস্থিতিতে অটুট ও নিরাপদ থাকবে।

২। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প পরিচালনা করে থাকেন যেমন রাস্তা ও মহাসড়ক প্রকল্প, সেতু নির্মাণ প্রকল্প, পরিবহণ অবকাঠামোগত প্রকল্প, এবং আরও নানাবিধ নির্মাণ অবকাঠামোগত প্রকল্প।

৩। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা সরাসরি নির্মাণ কাজের সমস্ত পর্যায় তত্ত্বাবধান করে থাকেন।

৪। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মীদের তত্ত্বাবধান করে থাকেন।

৫। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা তাদের সময়কে ডেস্কের কাজ এবং সরাসরি সাইট তত্ত্বাবধানের মধ্যে ভাগ করে নেন।

আর্কিটেকচার এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মধ্যে কিছু পার্থক্য কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিদ্যমান কিন্তু এই দুই বিভাগই যেকোনো নির্মাণ এবং নির্মাণ প্রকল্পসমূহ বাস্তবে রূপ প্রদান করার কারিগর এবং একে অপরের কাজের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত। আমরা অনেকেই আর্কিটেকচারকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অংশ মনে করি বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংকে আর্কিটেকচার এর অংশ মনে করি। যার কারণ হল এই দুই বিভাগের কাজের ক্ষেত্রও একই এবং আমরা তাদের কাজ গুলকে একই মনে করি। এটি একটি ভুল ধারণা। কাজের ক্ষেত্রে এই দুই বিভাগ একসাথে কাজ করলেও তারা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র দুটি বিভাগ।

লেখকঃ

মোঃ আসাদুজ্জামান রাসেল

বিভাগীয় প্রধান

আর্কিটেকচার এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

Roles and responsibilities of merchandiser 3

Roles and responsibilities of merchandiser in apparel industry Part :01

What does a merchandiser actually do?

An industry’s job is to produce and that product must be made for a buyer or a consumer.On the other hand an Apparel Merchandising or Readymade Garments Merchandiser assumes all the responsibility of making this product at the right time and sending it to the buyer.Since an apparel merchandising completes all the processes of making a product and delivering it to the buyer within the desired time, an apparel merchandiser is often said to act as a bridge between the buyer and the industry.Starting from raw material collection or after raw material processing are required to finish the product, making the garment, finishing the garment, preparing documentation, and finally shipping all is done by a merchandiser.n my today’s series blog, I will focus on internal and external communication as well as sampling in a few words.

Picture Credits: The business standard

What and how internal and external communication is done?

It is said that one of the best qualities of a merchandiser is that his communication system can be verbal, verbal, written or even the right price.A merchandiser communicates not only with the buyer but also with the nominated factory owner, the fabric manufacturing company, the trimming and accessories supplier, and the ability to communicate must be accompanied by the utmost effort to maintain the right price and quality. A good quality buyer prefers to trust those merchandisers who have the ability to deliver the product in a timely manner as well as provide the guaranteed merchandiser to maintain the desired quality of the product.

Why is sampling time considered to be the most Important and challenging time in receiving the order?

A merchandiser agrees to take up the challenge if the merchandiser thinks that the sample can be developed in a similar way by his company or outside third party.But before accepting a sample, a merchandiser must consider exactly how much he will be able to do, because without a preconceived notion it will never be possible for the merchandiser to succeed.

initially if the sample is in the mind of the buyer or if it is slightly variable but if it is acceptable then later different types of samples should be developed here such as proto sample, fit sample, fit sample, photoshoot sample, salesman sample, size set sample, etc.The focus of the merchandiser is always on how to develop the exact sample before the casting as to how the exact sample is to be developed by the buyer because the initial development of the sample will depend on whether the order will be available.

Source: Self-content with Google searching

Author

Md Ashikur Rahman

Instructor (Textile & GDPM)

Department of Textile Engineering