blogweb-webs-2

How the Web works ?

আমরা যখন কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে একটি ব্রাউজার থেকে একটি ওয়েব পেইজ দেখি তখন জিনিসগুলি আসলে কীভাবে কাজ করে। এবং কিভাবে ওয়েব এত সহজ এবং এত সুন্দরভাবে একটা জিনিস আমাদের সামনে তুলে ধরে?

ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারঃ

আমরা ক্লায়েন্ট যারা ডিভাইসের (কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ..) মাধ্যমে সার্ভারের সাথে সংযুক্ত থাকি।

  1. আরেকটু ভালভাবে বলতে গেলে, ক্লায়েন্ট হচ্ছে যেসব ডিভাইস ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত থাকে (যেমনঃ Wi-Fi এর সাথে কানেক্টেড  কম্পিউটার, মোবাইল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত থাকা মোবাইল ফোন) এবং সেসব ডিভাইস যেসব সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইন্টারনেটে এক্সেস করে (যেমনঃ ইন্টারনেট ব্রাউজার – Firefox/Chrome )
  1. সার্ভার হচ্ছে একধরনের কম্পিউটার যে ওয়েব পেইজ, ওয়েবসাইট অথবা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলো জমা থাকে।  যখন কোন ক্লায়েন্টের ডিভাইস ওয়েব পেইজে এক্সেস নিতে যায় তখন সার্ভার থেকে সেই ওয়েব পেইজের একটা কপি Client এর ডিভাইসে ডাউনলোড হয়ে যায়, যেতা পরে ক্লায়েন্ট দেখতে পায়।

টুলবক্সের অন্যান্য অংশঃ

এত দিন ধরে ক্লায়েন্ট এবং সার্ভার সম্পর্কে যা জানা গেছে তা আসলে তাদের সম্পূর্ণ চেহারা নয়। পুরো প্রক্রিয়ায় আরও কয়েকটি বিষয় জড়িত।

এতক্ষণ ক্লায়েন্ট এবং সার্ভার নিয়ে যা জানা হলো সেটা অাসলে তাদের পুরো চেহারা না। পুরো প্রসেসটা  তাদের সাথে আরো কিছু জিনিস যুক্ত থাকে।

আপাতত, ওয়েব জিনিসটাকে একটা রাস্তা হিসেবে নেওয়া যাক। রাস্তার একেবারে শেষ প্রান্তে, বিচ্ছিন্ন প্রেমিক (ক্লায়েন্ট) দিবাস্বপ্নে তার ঘরে ভিবর। আর রাস্তার ওপাশে প্রেমিকা (সার্ভার) বসে রসগোল্লা খাচ্ছে।

ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে সহজ সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে বোঝার আগে এখানে কিছু জিনিস জানা দরকার:

• ইন্টারনেট সংযোগঃ ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে ডেটা লেনদেনের সুবিধার্থে একটি মাধ্যম থাকতে হবে।

• TCP/IP: Transmission Control Protocol এবং Internet Protocol । এগুলি হল যোগাযোগের প্রোটোকল যা ওয়েব নামক সমুদ্র পার হয়ে সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টের কাছে কীভাবে ডেটা পেতে হয় তা বলে।

• DNS: ডোমেইন নেম সার্ভার হল একটি বাস স্ট্যান্ডের মত (ওয়েব ঠিকানার সংগ্রহ) যেখানে সব জায়গায় বাস আছে। ব্রাউজারে যখন কোনো সাইটের ঠিকানা দেওয়া হয়, তখন DNS সেই সাইটের আসল ঠিকানা খুঁজে পায়। কারণ ব্রাউজার জানতে হবে ঠিক কোন হোমে (সার্ভার) কাঙ্খিত ওয়েবসাইট পাওয়া যাবে।

•HTTP ঃ সাত সমুদ্র, তেরো নদী পেরিয়ে অবশেষে ওয়েবসাইটটির বাড়িতে এলাম। এবার আমি টাকা-গাছ চাইব, জানতে চাইলে বলতে হবে, তাকে কীভাবে বাংলা বোঝাব বুঝতে পারছি না। হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল হল DragoMan (দোভাষী) যা ক্লায়েন্টকে সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়।

• কম্পোনেন্ট ফাইল ঃ একটি সাইটের প্রচুর ডাটা ফাইল আকারে সাজানো থাকে। দুটি প্রধান ধরনের ফাইল আছে:

• কোড ফাইল: সাধারণত HTML, CSS, এবং JavaScript-এ কোড থাকে। আরো অনেক ধরনের কোড থাকতে পারে।

# অ্যাসেটসঃ কোড ছাড়াও আরও অনেক ধরনের ফাইল আছে যেমন ইমেজ, অডিও, ভিডিও, টেক্সট এবং পিডিএফ।

তাই ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে কি ঘটেছে?

যখন একটি সাইটের ঠিকানা ব্রাউজারে টাইপ করা হয়:

1. ব্রাউজারটি DNS সার্ভারে যায় এবং সাইটের আসল ঠিকানা খুঁজে পায়।

2. ব্রাউজারটি মূল ঠিকানা সহ HTTP এর মাধ্যমে সাইটের একটি অনুলিপি পাওয়ার অনুরোধ করে৷ এর মধ্যে কিছু লেনদেন ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে এবং TCP/IP এর নিয়ম অনুযায়ী করা হয়।

3. সার্ভার ক্লায়েন্টের অনুরোধ গ্রহণ করে এবং একটি “200 ওকে” টাইপ সংকেত পাঠায় যার অর্থ “হ্যাঁ, আপনি সাইটটি দেখতে পারেন” এবং তারপর প্যাকেট আকারে ক্লায়েন্টের কাছে ডেটা পাঠায়।

4. ক্লায়েন্টের ব্রাউজার সেই ডেটা প্যাকেটগুলিকে পুনরায় সাজায় এবং পুরো সাইটটি প্রদর্শন করে।

DNS কি?

ওয়েবসাইটের আসল ঠিকানা দেখা মোটেও সুবিধাজনক নয়, এবং মনে রাখা খুবই কঠিন। সাইটের ঠিকানা অনেকটা 173.194.121.32 এর মত যাকে IP ঠিকানা বলা হয়। এই আইপি ঠিকানাটি একমাত্র ওয়েব ঠিকানা যা অনন্য। আর আইপি নামক এই সমস্যা থেকে মানুষকে বাঁচাতেই ডিএনএসের আবির্ভাব। DNS হল একটি বিশেষ সার্ভার যা ওয়েবসাইটের নাম তার ঠিকানায় নিয়ে যায়। এবং হ্যাঁ, আমরা IP ঠিকানা সহ ওয়েবসাইটের ঠিকানায়ও যেতে পারি, উদাহরণস্বরূপ: 173.194.121.32 ব্রাউজারের ঠিকানা বারে http://www.google.com টাইপ না করে, আমরা সরাসরি এর ওয়েব পেজে যেতে পারি।

Johir Ahemmod Chowduri

Instructor, Computer Technology

Daffodil Polytechnic Institute 

blog-archiectures-2

Top Architectural Styles Which Influenced the Architecture Most (Part – 1)

The world is well familiar with the word Architecture because they saw every day different types of creative architectural marvels all around the world from the very beginning of human civilization. Yes, of course, Architecture flourished from the need of humans for shelter and a safe resting place but it also shows the humans’ love for the beauty and desire to create something new. For this reason, we have seen different types of styles of architecture in different regions of the world from time to time. 

Adaptation is one of the main key factors of Architecture. This field never loses any ideas and tactics from any of the styles. Instead of losing or removing something Architecture always adopts them and presents another new creative creation to the world. So, it may be a question of which Architectural styles influenced Architecture most? It’s a question of controversy because all the experts are not agreed on the same answer. Here we are going to explore the top influencer Architectural styles agreed upon by most of the experts.

  • Victorian Architectural Style

Victorian Architectural Style is a newer style considering the age of Architecture in human civilization. It flourished in Europe in the nineteenth century combining the components of the Asian, Muslim, Romanesque, Tudor, and Gothic Revival architectural styles. This style was so popular at that time and still, now we can see many buildings in Victorian-style around the world.

  • Renaissance Architectural Style

This Architectural style flourished in Italy in the fifteenth century which adopts components from the ancient architectural styles and represents the clarity, vigour, and harmony among the components. We know that Rome the capital city of Italy once the center of the Roman Empire developed one of the most famous architectural styles, the Roman Architectural Style and in the Renaissance style we have seen clear heavy influence and adoption of Roman architecture. Duomo Santa Maria del Fiore, Basilica of Santa Maria Novella, St. Peter’s Basilica Vatican City, and Tempietto del Bramante are a few examples of this style of building.

  • Islamic Architectural Style

This architectural style influences the architecture heavily date back from the seventh century and flourished in the desert of middle-east, Persia, Africa, and later in Spain under the rulers of Islam. Later this style spreads all over the world with the expansion of Islamic empires and the increasing presence of Muslims around the world. Islamic style is also responsible to develop a few other architectural styles like the Mughal Architectural style. The most important characteristics of this style are the use of geometrical forms, use of water, open garden, screens, enclose area concentration, and the big number of uses of horseshoe arches. 

Author

Md. Asaduzzaman Russel

Department Head

Architecture & Civil Technology

Daffodil Polytechnic Institute

blowg-web-architecture-colours

স্থাপত্যিক ডিজাইনে রঙের প্রয়োজনীয়তা

আলো এবং রঙ একে অপরের পরিপূরক। কোন বস্তুতে আলোর যে রঙটি প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে সেই রঙটি আমরা দেখতে পাই।

স্থাপত্য ডিজাইনে সাধারণত রঙ সহযোগী হিসেবে কাজ করে। প্রতিটি বস্তুর নিজস্ব চরিত্র অনুযায়ী নিদিষ্ট রঙ আছে। স্থাপত্য ডিজাইনে ইমারতের বাহিরে এবং অভ্যন্তরে সুন্দর ভাবে সজ্জিত করার জন্য রঙ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রঙ ব্যবহার করার জন্য কোন নিয়ম মানতে হয় না, একজন স্থপতি তার ডিজাইনকে সুন্দর ভাবে সজ্জিত করার জন্য রঙ ব্যবহার করে থাকেন।বয়সের ক্রম অনুসারে রঙ পছন্দের  মধ্যে কিছুটা ভিন্নতা দেখা যায়। যেমন -কিশোর, যুবক, বৃদ্ধের মধ্যে ভিন্নতা দেখা যায় আবার একজন ছেলে ও মেয়ের মধ্যে ও রঙ পছন্দের মধ্যে ভিন্নতা দেখা যায়। এক এক বয়সের মানুষ এক একটি রঙের প্রতি আসক্ত থাকেন।

   চিএঃ কালার হুইল

                                                           

বিভিন্ন ধরনের রঙের তালিকা

সাধারণত রঙকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। তা হল-

১) প্রাথমিক রঙ

২) মাধ্যমিক রঙ

৩) টারশিয়ারি রঙ

প্রাথমিক রঙঃ

লাল,নীল এবং হলুুদ এই তিনটি রঙকে প্রাথমিক রঙ বলা হয়।এই তিনটি রঙ অন্য যে কোন রঙের মাধ্যমে তৈরি করা সম্ভব নয়, অন্যান্য যত রঙ আছে,  তা সবই এই তিনটি রঙের মাধ্যমে তৈরি হয়ে থাকে।

মাধ্যমিক রঙঃ

সবুজ, কমলা এবং বেগুনি এই রঙগুলো হল মাধ্যমিক রঙ।এই রঙগুলো প্রাথমিক রঙের সংমিশ্রণে তৈরি। যেমন- লাল এবং নীল মিশিয়ে বেগুনী,  নীল এবং হলুদ মিশিয়ে সবুজ, হলুদ এবং লাল মিশিয়ে কমলা।

টারশিয়ারি রঙঃ

এই রঙগুলো প্রাথমিক রঙ এবং মাধ্যমিক রঙের সমন্বয়ে তৈরি হয়ে থাকে। বিভিন্ন টারশিয়ারি রঙগুলো হল-

লাল+কমলা = লাল-কমলা

কমলা+হলুদ = হলুদ -কমলা

হলুদ+সবুজ =হলুদ -সবুজ

সবুজ +নীল= নীল- সবুজ

উপরে উল্লেখিত রঙ ছাড়া আরো অনেক রঙ আছে

   চিএঃ কালার হুইল

রঙের ভাষা

রঙ মানুষের মনের উপর প্রভাব ফেলে। রঙ মানুষের মনে যেমন উত্তপ্ততার অনুভূতি জাগাতে পারে, তেমনি শীতলতার অনুভূতি ও জাগাতে পারে। নিচে বিভিন্ন রঙের ভাষা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো-

সাদা রঙঃ

সাদা রঙ মানুষের মনে পবিত্রতার ভাব নিয়ে আসে এবং  সব সময় মনে শান্তি ভাব আনে।

কালো রঙঃ

কালো রঙ মানুষকে শোকাভিভূত করে তোলে। বিভিন্ন দেশে কারোর মৃত্যু হলে তারা কালো পোশাক পরিধান করে। কালো রঙ শোকের প্রতীক।

লাল রঙঃ

লাল রঙ রক্ত, আগুন, উদ্যম,সাহস,হিংসা, যুদ্ধ, শক্ত, গতি ইত্যাদির প্রতীক হিসাবে কাজ করে। গাঢ় লাল রঙের ব্যবহার মানুষকে অস্বস্থিকর করে তোলে।

হলুদ রঙঃ

হলুদ রঙ আনন্দময়, আশাবাদী, সচ্ছলতা ও সফলতার প্রতীক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ও হলুদ রং মানুষকে সম্ভ্রমপূর্ণ মানসিকতা সৃষ্টিতে সাহায্য করে।

সবুজ রঙঃ

সবুজ রঙ শান্তি, প্রশান্ত, সজীবতা, তৃপ্তি, ঠান্ডা ও নরম ইত্যাদির প্রতীক হিসেবে কাজ করে। সবুজ রঙ আমাদের চোখকে আরাম দেয়।

কমলা রঙঃ

লাল ও হলুদের সংমিশ্রণে কমলা রঙ তৈরী করা যায়। এটি আনন্দ, আতিথ্য, আশা ও আন্তরিকতা প্রকাশ করে।

বেগুনি রঙঃ

লাল ও নীল রঙের সংমিশ্রণে তৈরী। এটি অনিশ্চয়তা,বৈষম্য ও রহস্যময়তা প্রকাশ করে।

গোলাপি রঙঃ

সাদা ও সামান্য লাল রঙের মিশিয়ে এই রঙ তৈরী করা হয়। গোলাপি রঙ আনন্দ আতিশয্যের সৃজনশীল রঙ। এ ধরনের রঙ সাধারণত মেয়েদের কাছে খুব পচ্ছন্দের বলে মনে করা হয়ে থাকে। এইজন্য এই রঙকে মেয়েলি রঙ ও বলা হয়ে থাকে।

নীল রঙঃ

নীল রঙ ঠান্ডা ভাব অনুভব করে।এছাড়া ও নীল রঙ প্রশস্ততা, বিশ্রাম, সৌম্যতা ও মনকে সংযত নরম রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কম বয়সী ছেলেরা এই রঙ টি খুব পচ্ছন্দ করে থাকে।

স্থাপত্যিক ডিজাইনে রঙের ব্যবহার

ক) ইমারতের বাহিরের দেয়ালে যদি গাঢ় রঙ ব্যবহার করা হয়, তবে ইমারতটিকে একটি ঘনবস্তু বলে মনে হবে।

খ) ইমারতের অভ্যন্তরে বিভিন্ন রঙ ব্যবহারের ফলে সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়। যা ব্যবহারকারীদের জন্য সুন্দর ও সাচ্ছন্দ্যময় হবে।

গ) ইমারতের অভ্যন্তরে দেয়ালে গাঢ় রঙ ব্যবহার করলে রুমটি অনেক ছোট দেখায় আবার হালকা রঙ ব্যবহার করলে রুমটি তুলনামূলক অনেক বড় দেখায়।

এইজন্য ইমারতে রঙ ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখতে রঙটি যেন চোখের জন্য আরামদায়ক ও শান্তিময় হয়।

                                                                                                                  চিএঃ গুগল থেকে সংগৃহীত

লেখিকা

শান্তা ইসলাম

জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ১০০% ইন্টার্নশীপ প্রদানের নিশ্চয়তা

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ১০০% ইন্টার্নশীপ প্রদানের নিশ্চয়তা

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গতানুগতিক পড়াশুনার পাশাপাশি সবসময় শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে দক্ষ করে তোলার চেষ্টা করে। তাই ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ডিগ্রী শেষে শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজারের জন্য যোগ্য করে তুলতে অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ইন্ডাষ্ট্রিতে ইন্টার্নশীপ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তাই বাংলাদেশের সকল সরকারী, বেসরকারী পলিটেকনিকের ৮ম পর্বের ছাত্র-ছাত্রীদের ইন্ডাস্ট্রিতে ১০০% Internship নিশ্চিত করতে প্রতি বছর ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট আয়োজন করে Internship Fest for Diploma Engineering. 

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ইন্টার্নশিপ ফেস্ট ২০২১। চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর অষ্টম পর্বের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ নিশ্চিত করতে আয়োজন করা হয় এই  ইন্টার্নশিপ ফেস্ট। অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ বিকর্ণ কুমার ঘোষ (ম্যানেজিং ডিরেক্টর, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি)। ১৯শে ডিসেম্বর সকাল ১০ টায়  আমন্ত্রিত অতিথিগণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং উদ্বোধনী সেশনের শিক্ষার্থীদের মাঝে অতিথিগন বিভিন্ন ক্যারিয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।

ইন্টার্নশিপ ফেস্টে বেশকিছু ক্যারিয়ার সেশনের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে ড্যাফোডিল  পলিটেকনিকের আয়োজনে এই ফেস্টে দেশের স্বনামধন্য ৩০+ প্রতিষ্ঠান সরাসরি অংশ নেয় এবং দেশের সরকারি-বেসরকারি সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা তাদের ইন্টার্নশিপ নিশ্চিত করতে ফেস্টে  অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগন  শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি মতবিনিময় করেন এবং ক্যারিয়ার নিয়ে তাদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

 Internship Fest এ শিক্ষার্থীরা তাদের সিভি এবং অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হয় এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ সিভি জমা দেয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ষ্টলগুলোতে সিভি জমা দেয়ার পর প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের সিভি বাছাই করে এবং তাদের যোগ্য পার্থীকে ইন্টারভিউর জন্য ডাকেন।

এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে  শিক্ষার্থীরা একই সাথে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পায় এবং বেশ কিছু শিক্ষার্থী তাদের ইন্টার্নশিপ নিশ্চিত করতে সমর্থ হয়। এই আয়োজন এর ফলে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উভয়ই উপকৃত হয়।এই ইন্টার্নশীপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিতে হাতে-কলমে দক্ষতা অর্জন করতে পারে। যা তাদেরকে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ করার পাশাপাশি পরবর্তীতে তাদেরকে দ্রুত কর্মক্ষম হতে সাহায্য করবে। 

নাজমুন নাহার 

ডিজিটাল মার্কেটিং অফিসার

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

ak-aksa-mosjid-blog-web

Al- Aqsa Mosque

আল-আকসা মসজিদ জেরুসালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। এটির সাথে একই প্রাঙ্গণে কুব্বাত আস সাখরা, কুব্বাত আস সিলসিলা ও কুব্বাত আন নবী নামক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। স্থাপনাগুলো সহ এই পুরো স্থানটিকে হারাম আল শরিফ বলা হয়। এছাড়াও স্থানটি “টেম্পল মাউন্ট” বলে পরিচত এবং ইহুদি ধর্মে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়।

ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী মুহাম্মদ (সা) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন। 

ইতিহাসবিদ পণ্ডিত ইবনে তাহমিয়ার মতে, আসলে সুলায়মান এর তৈরি সম্পূর্ণ উপাসনার স্থানটির নামই হল মসজিদুল আল-আকসা। সহীহ আল বোখারীর আবু যর গিফারী ব‌র্ণিত হাদীস থে‌কে জানা যায় এ‌টি সর্ব প্রথম আদম(আলাইহিস সালাম) তৈরি করেছিলেন এবং এ‌টি ছিল পৃ‌থিবীর দ্বিতীয় মস‌জিদ। রাসূল (সাঃ‌) কে হা‌দি‌সে জি‌জ্ঞেস করা হ‌য়ে‌ছে এ‌টি বায়তুল্লাহ নির্মা‌ণের কত দিন পর নির্মাণ করা হ‌য়ে‌ছিল? তি‌নি ব‌লে‌ন,চ‌ল্লিশ বছর পর। মুসলমানরা বিশ্বাস করে, নির্মাণের পর থেকে এটি ঈসা (আঃ) (খ্রিস্টধর্মে যিশু) সহ অনেক নবীর দ্বারা এক আল্লাহকে উপাসনার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এই স্থান মুসলিমদের প্রথম কিবলা (প্রার্থনার দিক)। হিজরতের পর কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণে কাবা নতুন কিবলা হয়। বর্তমানে “আল-আকসা” মসজিদ বলতে বোঝাায় কিবলি মসজিদ, মারওয়ানি মসজিদ ও বুরাক মসজিদ (৩টির) এর সমন্বয়  যা “হারাম আল শরীফ” এর চার দেয়াল এর মধ্যেই অবস্থিত।

খলিফা উমর বর্তমান মসজিদের স্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিকের যুগে মসজিদটি পুনর্নির্মিত ও সম্প্রসারিত হয়। এই সংস্কার ৭০৫ খ্রিষ্টাব্দে তার পুত্র খলিফা প্রথম আল ওয়ালিদের শাসনামলে শেষ হয়। ৭৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ভূমিকম্পে মসজিদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুর এটি পুনর্নির্মাণ করেন। পরে তার উত্তরসুরি আল মাহদি এর পুনর্নির্মাণ করেন। ১০৩৩ খ্রিষ্টাব্দে আরেকটি ভূমিকম্পে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফাতেমীয় খলিফা আলি আজ-জাহির পুনরায় মসজিদটি নির্মাণ করেন যা বর্তমান অবধি টিকে রয়েছে।

বিভিন্ন শাসকের সময় মসজিদটিতে অতিরিক্ত অংশ যোগ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে গম্বুজ, আঙ্গিনা, মিম্বর, মিহরাব, অভ্যন্তরীণ কাঠামো। ১০৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ক্রসেডাররা  জেরুজালেম দখল করার পর তারা মসজিদটিকে একটি প্রাসাদ এবং একই প্রাঙ্গণে অবস্থিত কুব্বাত আস সাখরাকে গির্জা হিসেবে ব্যবহার করত। সুলতান সালাহউদ্দিন  জেরুজালেম পুনরায় জয় করার পর মসজিদ হিসেবে এর ব্যবহার পুনরায় শুরু হয়। আইয়ুবী, মামলুক, উসমানীয়, সুপ্রিম মুসলিম কাউন্সিল ও জর্ডানের তত্ত্বাবধানে এর নানাবিধ সংস্কার করা হয়। বর্তমানে পুরনো শহর ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তবে মসজিদটি জর্ডা‌নি/ফিলিস্তিনি নেতৃত্বাধীন ইসলামি ওয়াকফের তত্ত্বাবধানে রয়েছে

প্রচলিত তথ্যমতে, আল-আকসার প্রথম নির্মাণ খ্রিস্টপূর্ব ৯৫৭ সালে। সৌদি আরবের মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববীর পরই মুসলমানদের কাছে পবিত্র স্থান এই আল-আকসা মসজিদ। খ্রিস্টপূর্ব ১০০৪ সালে মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময় এর সংস্কার করা হয়। মসজিদটি ৩৫ একর জমির ওপর নির্মিত। এই মসজিদটির নির্মাণশৈলী মুসলিম ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি

এটি ইহুদিদের কাছে পবিত্র ভূমিখ্যাত ‘টেম্পল মাউন্ট’ বা ‘ঈশ্বরের ঘর’। টেম্পল মাউন্টকে ঘিরে থাকা ‘ওয়েস্টার্ন ওয়াল’ ইহুদিদের কাছে ‘পৃথিবীর ভিত্তিপ্রস্তর’ হিসেবে স্বীকৃত। ইহুদিদের দাবি, পবিত্র এই ভূমির নিচেই রয়েছে তাদের দুটি প্রাচীন মন্দির। এখানে নিয়মিত প্রার্থনায় অংশ নেয় লাখো ইহুদি। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছেও পবিত্রতার দিক থেকে সমান গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গা। তাদের বিশ্বাস, এখানেই ক্রশ বিদ্ধ করা হয়েছিল যিশুকে। তাই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর শহর জেরুজালেম।

১৯৬৭ সালে পুরো জেরুজালেম দখলে নেওয়ার পর থেকেই আল-আকসা মসজিদ নিয়ন্ত্রণ করে আসছে ইসরাইল। এরপর নানা বিধিনিষেধ আর শর্ত পূরণের মাধ্যমে সেখানে ইবাদতের সুযোগ পেতেন সাধারণ মুসল্লিরা। তিন সম্প্রদায়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় প্রতিবছরই রমজান মাসে আল-আকসা ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়।

আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর আল-আকসা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল ইসরাইল। এমনকি ১৯৬৯ সালে পবিত্র মসজিদটিতে দখলদাররা অগ্নিসংযোগ করেছিল বলেও জানা যায়। এরপর নানা বিধিনিষেধ আর শর্ত পূরণের মাধ্যমে সেখানে ইবাদতের সুযোগ পেতেন সাধারণ মুসল্লিরা। এরপরও কয়েকবার বিভিন্ন অজুহাতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী আল-আকসা মসজিদ ফিলিস্তিনিদের জন্য বন্ধ করে দেয়।

২০০৩ সালে জেরুজালেমে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের আল-আকসায় প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরাইল। এরপর থেকে সংকট আরও গভীর হতে থাকে। বিভিন্ন সময় ইহুদিরা মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে নিরীহ মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানো শুরু করে। 

ইসলামে আল-আকসা মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। প্রথম দিকে মুসলমানরা এই স্থানকে কিবলা (দিক) হিসেবে ব্যবহার করত। হিজরতের পরে কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ায় এর পরিবর্তে কাবা নতুন কিবলা হয়। মসজিদ আল কিবলাতাইনে নামাজের সময় এই আয়াত নাজিল হয়। এরপর থেকে কাবা কিবলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রথম দিকের মুফাসসিরদের (কুরআনের ব্যাখ্যাকারী) মতে , ৬৩৮ সালে জেরুসালেম বিজয়ের পর উমর ( রাঃ ) প্রবেশের সময় কাব আল আহবারের থেকে পরামর্শ নিয়েছিলেন (মসজিদ তৈরির জন্য সবচেয়ে উত্তম জায়গা কোনটি হতে পারে ?)। তিনি ছিলেন একজন ইহুদী থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত  ব্যক্তি  যিনি মদিনা থেকে তার সাথে এসেছিলেন । তিনি পরামর্শ   দিয়েছিলেন যে এটি  কুব্বাত আস-সাখরার (ডোম অব দ্য রক) পেছনে হওয়া উচিত “…… এর ফলে গোটা জেরুসালেম আপনার সামনে থাকবে “। উমর  প্রত্যুত্তর দিলেন , ” তোমার মত ইহুদীবাদের সাথে মিলে গেছে  !” । এই কথোপকথনের পরপরই  উমর একটি স্থান পরিষ্কার করতে শুরু করলেন । যেটি আবর্জনা ও রাবিশে পরিপূর্ণ ছিল । তিনি তার জোব্বাটি ব্যবহার করলেন এবং অন্য সাহাবারা তাকে অনুকরণ করল যতক্ষণ না জায়গাটি পরিষ্কার হয়েছিল । উমর এরপর সেই স্থানে নামাজ পড়লেন যেখানে নবী (সাঃ) মেরাজের পূর্বে নামাজ পড়েছিলেন বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করে থাকে । বর্ণনা অনুসারে উমর সেই স্থানটিকে মসজিদ হিসেবে পুনঃনির্মাণ করেছিলেন । যেহেতু দাউদ (আলাইহিস সালাম) ও সুলাইমান (আলাইহিস সালাম) এর প্রার্থনার স্থান হিসেবে পূর্ব থেকেই এটি একটি পবিত্র উপাসনার স্থান ,তাই উমর স্থাপনাটির দক্ষিণস্থ কোনে এটি নির্মাণ করেন। যাতে কুব্বাত আস-সাখরা (ডোম অব দ্য রক ) মসজিদটি  ও ক্বাবার মধ্যস্থানে না পড়ে যায় এবং মুসলমানরা নামাজের সময় একমাত্র মক্কার দিকেই মুখ করতে পারে ।

জেরুসালেম ইসলামে অন্যতম পবিত্র স্থান। কুরআনের অনেক আয়াতই জেরুসালেমকে নির্দেশ করেছে যার কথা একদম শুরুর দিকের ইসলামি পণ্ডিতরাও বলেছেন । “জেরুসালেম ” এর কথা হাদিসেও অনেকবার উল্লেখ করা হয়েছে ।এখানে অবস্থিত মসজিদুল আকসা ইসলামে তৃতীয় সম্মানিত মসজিদ ; এবং একথা মধ্যযুগের অনেক লিপিতেও উল্লেখ করা হয়েছে । নবী (সাঃ) বলেছেন “একজন লোক ঘরে নামাজ পড়লে একটি নেকি পান, তিনি ওয়াক্তিয়া মসজিদে পড়লে ২৫ গুণ, জুমা মসজিদে পড়লে ৫০০ গুণ, মসজিদে আকসায় পড়লে ৫০ হাজার গুণ, আমার মসজিদে অর্থাৎ মসজিদে নববীতে পড়লে ৫০ হাজার গুণ এবং মসজিদুল হারাম বা কাবার ঘরে পড়লে এক লাখ গুণ সওয়াব পাবেন। (ইবনে মাজা, মিশকাত) । ধর্মীয় কারণে যে তিনটি স্থানে সফরের কথা মুহাম্মদ (সা) বলেছেন এই স্থান তন্মধ্যে অন্যতম। বাকি দুটি স্থান হল মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী। অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশান (ওআইসি) , ইসলামে তৃতীয় পবিত্র স্থান হিসেবে আল-আকসা মসজিদকে বোঝায় (এবং এর উপর আরবদের সার্বভৌম কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাবি করে )।

ঐতিহাসিক এ স্থানের সঙ্গে জড়িয়ে মুসলমানদের নানা স্মৃতি। এখানেই শুয়ে আছেন হজরত ইবরাহিম এবং মুসা (আ.) সহ অসংখ্য নবী ও রাসুল। এখানেই মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) সব নবী-রাসুল এবং ফেরেস্তাদের নিয়ে নামাজ পড়েছিলেন। সেই জামাতের ইমাম ছিলেন মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) নিজেই। এখান থেকেই হজরত মোহাম্মদ (সা.) বোরাকে করে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশে যাত্রা করছিলেন। এই মসজিদ নির্মাণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে হজরত আদম (আ.), হজরত সুলাইমান (আ.) এর নাম। জড়িয়ে আছে প্রায় অর্ধ জাহানের শাসক হজরত উমর (রা.), দ্য গ্রেট সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবিসহ অসংখ্য বীরের নাম। এই মসজিদে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলে একজনের আমলনামায় ৫০০ রাকাত নামাজের সমপরিমাণ সওয়াব লিখা হয়। পবিত্র কোরআনের প্রায় ৭০ জায়গায় উচ্চারিত হয়েছে এ মসজিদের কথা।

পরিশেষে বলা যায় যে মসজিদ আল-আকসা শুধু মুসলমানদের পবিত্র স্থান না,ইহুদি ও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছেও পবিত্র।

সূত্র : গুগল 

শাহনেওয়াজ সেরাজ সুবর্ণা

ইন্সট্রাক্টর অফ সোস্যাল সাইন্স / বাংলার আর এস ডিপার্টমেন্ট

ডেফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

organic-chemesty (1)

Organic Chemistry: Part-1

হাইড্রোজেন ও কার্বন দ্বারা গঠিত হাইড্রোকার্বন এবং হাইড্রোকার্বন ও হাইড্রোকার্বন এর জাতককে জৈব যৌগ বলা হয় ।

যেমন, মিথেন (CH4)

আয়োডো মিথেন (CH3I)

মিথানল (CH3OH)

বেনজিন (C6H6) ইত্যাদি।

1808 সালে সুইডিশ বিজ্ঞানী  বার্জেলিয়াস উদ্ভিদ এবং প্রাণী  সজিব পদার্থ থেকে প্রাপ্ত যৌগসমূহকে জৈব যৌগ বলে আখ্যায়িত করেন ।  তিনি 1815 সালে আবার প্রস্তাব করেন যে, জৈব যৌগ সমূহ কেবল সজীব উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহে এক রহস্যময় প্রাণশক্তি প্রভাবে উৎপন্ন হয়ে থাকে । পরীক্ষাগারে জৈব যৌগ সমূহকে প্রস্তুত করা যায় না।  এ মতবাদটি বার্জেলিয়াস এর “প্রাণশক্তি মতবাদ” নামে অভিহিত।  তখন সকল বিজ্ঞানীদের মতবাদ গৃহীত হয়।

ফ্রেডরিখ ভোলার 1828 সালে অজৈব অ্যামোনিয়াম সায়ানেট ও  অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড থেকে পরীক্ষাগারে ইউরিয়া সংশ্লেষণ করেন, যা একটি জৈব যৌগ। এর ফলে শতাব্দীকাল ধরে প্রচলিত ধারণার অবসান ঘটে।

                   2NH4Cl(aq) + Pb(CNO)2(aq)   = 2NH4CNO(aq) + PbCl2(s)

                                                  NH4CNO  =  NH2-CO-NH2

এভাবে পরীক্ষাগারে ইউরিয়া প্রস্তুত এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, প্রাণশক্তি ছাড়াই পরীক্ষাগারে জৈব যৌগ প্রস্তুত করা সম্ভব । এ কারণে ফ্রেডরিখ ভোলারকে “জৈব রসায়নের” জনক বলা হয়

বৈশিষ্ট্য অনুসারে জৈব যৌগ দুই প্রকার ।
যথা- 1. অ্যালিফেটিক যৌগ 2. অ্যারোমেটিক যৌগ।

অ্যালিফেটিক যৌগ: অ্যালিফেটিক এর অর্থ হল চর্বিজাত, অ্যালিফার একটি গ্রিক শব্দ, এর অর্থ চর্বি হতে প্রাপ্ত।

যেসকল জৈব যৌগের কার্বনের শিকলের দুই প্রান্ত মুক্ত অবস্থায় থাকে তাদের মুক্ত শিকল অথবা অ্যালিফেটিক যৌগ বলা হয়।

কার্বন শিকলের বন্ধন প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে অ্যালিফেটিক যৌগ সমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

  1. সম্পৃক্ত জৈব যৌগ।
  2. অসম্পৃক্ত জৈব যৌগ।

সম্পৃক্ত জৈব যৌগ:  যে সকল জৈব যৌগের কার্বন-কার্বন শিকলে পরমাণুগুলি একক বন্ধনীর মাধ্যমে যুক্ত থাকে তাদেরকে সম্পৃক্ত জৈব যৌগ বলে।

যেমন: মিথেন (CH4) , প্রোপেন (C3H8) , ইথেন (C2H6)  ইত্যাদি।

অসম্পৃক্ত জৈব যৌগ:  যে সকল জৈব যৌগের  কার্বন-কার্বন শিকলে পরমাণুগুলি  একাধিক বন্ধনীর মাধ্যমে যুক্ত থাকে তাদের অসম্পৃক্ত জৈব যৌগ বলে।

যেমন: ইথিলিন (C2H4), অ্যাসিটিলিন (C2H2) ইত্যাদি।

YTD Link: https://www.youtube.com/watch?v=4INdeZ5HYpw

লেখক

মোঃআলামিন হোসেন

লেকচারার

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

civil-pathor

Civil Engineering Materials Stone

আদিকালেও মানুষ পাথর ব্যবহার করত । প্রস্তরযুগের মানুষ পাথরকে আত্মরক্ষার ও পশু শিকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করত । কালক্রমে এ পাথর নির্মাণের প্রধান উপকরণে পরিণত হয় । পাথর খুবই শক্ত , মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী সামগ্রী । সড়ক , সেতু , টাওয়ার , ইমারত ইত্যাদি নির্মাণকার্যে পাথর ব্যবহার করা যায় । যে সকল পাথর প্রকৃতি প্রদত্ত শিলা হতে সংগৃহীত , দৃঢ় , শক্ত , সমসত্ত্ব , অগ্নিরোধী , ক্ষয়রোধী , টেকসই , ওজনে ভারী , কার্যোপযোগী আকার – আকৃতিসম্পন্ন , সন্তোষজনক তাপ ও চাপসহন ক্ষমতাসম্পন্ন , আকর্ষণীয় বর্ণ ও অবয়ববিশিষ্ট , যুক্তিসঙ্গত মূল্যে সহজে পাওয়া যায় , এ জাতীয় পাথরই নির্মাণ পাথর । নির্মাণকাজের সার্বিক দিক বিবেচনা করে পাথর নির্বাচন করলে আবহাওয়া ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক প্রতিক্রিয়া পাথরের তেমন ক্ষতিসাধন করতে পারে না । নির্মাণকাজে ব্যবহৃত সামগ্রীসমূহের মধ্যে পাথরের ন্যায় স্থায়িত্বশীল সামগ্রী অন্য আর একটিও নেই বিধায় পাথরকে নির্মাণ উপকরণের রাজা  বলা হয় । যদিও শিলা  এবং পাথর  সচরাচর একই অর্থে ব্যবহৃত হয় । মূলত শিলা ভূতাত্ত্বিক ধারণা , যার আওতা ব্যাপক ও বিস্তৃত । পৃথিবী গঠনকারী খনিজের যৌগই শিলা। নির্মাণসামগ্রীর দৃষ্টিকোণ হতে প্রাকৃতিকভাবে জমাটবদ্ধ খনিজের প্রকাণ্ড আকারের কঠিন বস্তুই শিলা এবং নির্মাণে ব্যবহারের নির্দিষ্ট আকার – আকৃতির শিলাখণ্ডই পাথর । অর্থাৎ শিলার বাণিজ্যিক উৎপাদনই পাথর ।

ওয়ালে , সিড়িতে ও রেলিং এ কৃত্রিম পাথর ব্যবহার করা হয় । উত্তম নির্মাণ পাথরের বৈশিষ্ট্যসমূহ  নির্মাণকাজে ব্যবহারোপযোগী উত্তম পাথরের গড়ন ও গঠনশৈলী নিখুঁত হবে । এর পর্যাপ্ত কাঠিন্য , ঘাতসহনীয়তা , শক্তি , ক্ষয়রোধ ক্ষমতা , আগুন – বিদ্যুৎ – তাপরোধক ক্ষমতা ও কার্য সুবিধা থাকবে এবং তরল শোষণের ক্ষমতা খুবই নগণ্য হবে । এগুলোতে ছিদ্র খুবই কম থাকবে এবং অত্যধিক ভারী হবে না । এগুলো আকর্ষণীয় বর্ণের ও সৌন্দর্যবর্ধক হবে । নির্মাণকার্যে ব্যবহৃত উত্তম পাথরের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে দেয়া হলো 

১ পাথরের গঠনশৈলীঃ

 পাথরের উৎপত্তিতে যে প্রক্রিয়ায় পাথরের কণাগুলো সন্নিবেশিত হয় , প্রক্রিয়ার উপর পাথরের গঠনশৈলী নির্ভর করে । পাথরে তিন ধরনের গঠনশৈলী পরিলক্ষিত হয় , যথা ( ক ) অস্তরিত  , ( খ ) স্তরিত , ( গ ) ভাজকৃত বা বলিত । গলিত লাভা ঠান্ডা হয়ে আগ্নেয় পাথরের সৃষ্টি করে । এ জাতীয় পাথরে কোনো স্তর থাকে না । তাই এগুলো নির্মাণকার্যের জন্য সর্বাধিক উপযোগী । পাললিক পাথর স্তরে স্তরে জমা হয়ে সৃষ্টি হয় বিধায় এগুলোর গঠনশৈলী স্তরিত । এদেরকে ফাটল তল বরাবর পরতে পরতে বিভক্ত করা সহজসাধ্য । রূপান্তরিত পাথরের গঠনশৈলী বলিত বা ভাঁজকৃত । যদিও রূপান্তরিত পাথরে স্তর দেখা যায় , কিন্তু এ স্তর সর্বত্র সমান নয় । পাললিক পাথর শক্ত এবং স্থায়িত্বশীল নয় । তবে রূপান্তরিত পাথর আগ্নেয় পাথরের ন্যায় শক্ত এবং স্থায়িত্বশীল । 

২ পাথরের  গ্রন্থনশৈলীঃ

পাথরের উপাদানসমূহের আকার – আকৃতি ও সন্নিবেশকে পাথরের যথন বলা হয় । পাথরের প্রথনের উপর এর শক্ততা নির্ভর করে । ঠাসা দানায় সুসংবদ্ধ এথনের সমসত্ত্ব পাথরে আবহাওয়ার প্রতিকূলতা ক্ষতিসাধন করতে পারে না । সূক্ষ্মদানায় দৃঢ়ভাবে গঠিত পাথর বেশ স্থায়িত্বশীল এবং নির্মাণের জন্য উপযোগী । পাথরের ভগ্নপৃষ্ঠ দেখে পাথরের গ্রথন বুঝা যায় । দানাদার পাথরের ভগ্নতল সমান এবং অদানাদার পাথরের ভগ্নতল অসমান । দানাদার গ্রথনের পাথর ইমারতের জন্য এবং অদানাদার গ্রথনের পাথর রাস্তা নির্মাণের জন্য উপযোগী । 

৩ সচ্ছিদ্রভা ও শোষ্যতা : কোনো পাথরের আয়তনের সাথে এর অভ্যন্তরস্থ ছিদ্রের আয়তনের অনুপাতের শতকরা হারকে সচ্ছিদ্রতা বা পরোসিটি বলা হয় । ছিদ্রময় পাথর দুর্বল । বহিঃপৃষ্ঠের দেওয়ালে ছিদ্রময় পাথর ব্যবহার করলে বৃষ্টির পানি রাসায়নিকভাবে সক্রিয় হয়ে পাথরে বিযোজন ও বিভাজন ঘটায় । যখন পাথর পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয় তখন ছিদ্রময় পাথর অধিক পানি শোষণ করে । মার্বেলের ন্যায় শক্ত ও শক্তিশালী পাথরও প্রায় 1 % পানি শোষণ করে । অপরপক্ষে , বেলেপাথর প্রায় 20 % পানি শোষণ করে । তাই সহজেই বলা যায় , বেলেপাথর দুর্বল পাথর । শীতপ্রধান অঞ্চলে পাথরের ছিদ্রে জমা পানি বরফ হয়ে আয়তনে বৃদ্ধি পায় । ফলে অভ্যন্তরস্থ চাপে পাথর বিভাজিত হয়ে ফাটল সৃষ্টি করে । হাইড্রোলিক স্ট্রাকচার – এর ক্ষেত্রে ছিদ্রময় পাথর ব্যবহার করা অনুচিত । , । 

৪ আপেক্ষিক গুরুত্ব ও ঘনত্ব  : পাথরের মোট ওজনকে তার মোট আয়তন দিয়ে ভাগ করলে ঘনত্ব পাওয়া যায় । অধিক ঘনত্বের পাথরের আপেক্ষিক গুরুত্বও অধিক হয় এবং শক্তিও অধিক হয় । অপেক্ষাকৃত অধিক ঘনত্বের দৃঢ় ও সুসংবদ্ধ পাথরের আপেক্ষিক গুরুত্ব 2.7 হতে 2.8 এবং অসংবদ্ধ ঢিলা পাথরের আপেক্ষিক গুরুত্ব 2.4 এর মতো ।ভারী পাথর ভিত বাঁধ , ঠেস দেওয়াল , জেটি , ডকইয়ার্ড ইত্যাদির কাজে এবং হালকা পাথর খিলান ও অলঙ্কারমূলক কাজে ব্যবহার করা হয় ।

 ৫ পাথরের কাঠিন্য , ঘাতসহন ক্ষমতা ও শক্তি : যে পাথর দ্বারা অন পাথরের উপর আঁচড় বা দাগকাটা যায় , তার কাঠিন্য অধিক । যেমন- জিপসাম পাথর দিয়ে ট্যাঙ্ক পাথরে আঁচড় কাটা যায় , তাই জিপসামের কাঠিন্য ট্যাঙ্ক – এর চেয়ে বেশি । যে সকল পাথর খুব ঠাসা স্ফটিক দানায় গঠিত সে সকল পাথর অপেক্ষাকৃত অধিক।

সাজ্জাদ হুসাইন

জুনিয়র ইন্সট্রাকটর 

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

EEF-blog

The Detail of the Diode || ডায়োডের খুঁটিনাটি

ইলেকট্রিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করলে একটা বিষয় আমাদের অজানাই রয়ে যায়। ইলেকট্রনিক্স এর বিষয়গুলো খুব ভাল্ভাবে পড়া হয়ে ওঠে না। তাই বেসিক জিনিসগুলো অজানাই থেকে যাই।চলুন আজ তাহলে জেনে নেই ডায়োড এর বিস্তারিত। 

ডায়োড-

ডায়োড একটি দুই প্রান্ত বিশিষ্ট ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যা সার্কিটে একদিকে তড়িৎ প্রবাহ হতে দেয়। ডায়োড মূলত নির্দিষ্ট দিকে তড়িৎ প্রবাহ হতে সহায়তা করে এবং বিপরীত দিকের তড়িৎ প্রবাহের বাধা প্রদান করে থাকে।

এই ধরনের এক দিকে তড়িৎ প্রবাহ করার প্রবণতাকে রেক্টিফিকেশন বলা হয়ে থাকে যা মূলত এসি কারেন্ট থেকে ডিসি কারেন্ট তৈরি করে।সহজ কথায় ডায়োড বিপরীত মুখী প্রবাহ কে একমুখী করে। অন্যান্য সকল কম্পোনেন্ট এর মত ডায়োডের ও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। ডায়োড মূলত বানানো হয় সেমিকন্ডাক্টর দিয়ে। এদের মধ্যে সিলিকন জার্মেনিয়াম অন্যতম এবং এগুলো ক্রিস্টালের ভিতরে গ্যালিয়াম আর্সেনিক ও বিভিন্ন ভেজাল মিশিয়ে পি টাইপ এবং এন টাইপ সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা হয়ে থাকে।

প্রকারভেদঃ

গঠন ও কার্যপ্রণালীর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের ডায়োড  ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে ব্যবহার হতে দেখা যায়।

  • সাধারণ ডায়োড
  • জেনার ডায়োড
  • ডায়োড
  • টানেল ডায়োড
  • ভ্যারাক্টর ডায়োড
  • ফটো ডায়োড
  • সোলার সেল
  • লেজার ডায়োড

বিভিন্ন প্রকার ডায়োডের পরিচিতি-

জেনার ডায়োডঃ

এটি একটি বিশেষ ধরনের ডায়োড  যা সাধারণ ডায়োডের মত সম্মুখেই কারেন্ট প্রদান করে না বরং উল্ট দিকেও কারেন্ট প্রবাহিত করে থাকে।এই ডায়োড সাধারণ ভোল্টেজ অপেক্ষা অধিক পরিমাণ ভেজাল মিশ্রিত থাকে। একে সবসময় সার্কিটের সাথে রিভার্স বায়াসে সংযুক্ত করতে হয় এবং ইহা ব্রেক-ডাউন ভোল্টেজে ও নষ্ট হয় না।আমরা জানি যে সাধারণ ডায়োড  বিপরীত দিকে কারেন্ট প্রবাহে বাধা প্রদান করে থাকে তবে এই ধরনের ডায়োডের একটি সহ্য ক্ষমতা আছে।

এতে বেশি পরিমাণ ভোল্টেজ দিলে এর গঠন ভেঙ্গে যায় ও তখন উল্টো দিকে কারেন্ট প্রবাহিত হয়ে থাকে। এটাকে বলা হয় রিভার্স ব্রেকডাউন আর যে পরিমাণ ভোল্টেজে ভেঙ্গে যায় তাকে বলা হয় ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ।সাধারণ ডায়োডের ক্ষেত্রে এটা অনেক বেশি হয়ে থাকে প্রায়

কিলোভোল্টের কাছাকাছি। তবে এই ভোল্টেজ দেয়ার পর আর ২ প্রান্তের ভোল্টেজ বাড়ে না কিন্তু কারেন্টের পরিমাণ বাড়ে। এটার উপর ভিত্তি করে জেনার ডায়োড তৈরি করা হয়ে থাকে। জেনার ডায়োড উল্টো দিকে কারেন্ট প্রবাহ করে এবং ভোল্টেজ নির্দিষ্ট রাখে।

স্কটকি ডায়োডঃ

বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সার্কিটে তথা-কম্পিউটার প্রসেসরে পাওয়ার খরচ কমাতে কম ভোল্টেজ ড্রপের ডায়োড  প্রয়োজন হয়। এই কারণে শটকি ডায়োড  ব্যবহার করা হয়। এর ভোল্টেজ ড্রপ মূলত ০.১ বা ০.২ ভোল্ট এর কাছাকাছি।

টানেল ডায়োডঃ

এই ধরনের ডায়োড  মূলত নেগেটিভ রেজিস্ট্যান্স শো করে থাকে বলে একে অসিলেটর সার্কিটে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

পিন ডায়োডঃ

সুপার ফাস্ট কাজের ক্ষেত্রে পিন ডায়োড  ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটা মূলত গিগাহার্টজ রেঞ্জে কাজ করে থাকে।

লাইট ইমেটিং ডায়োডঃ

এই ধরনের ডায়োড  ফরোয়ার্ড অবস্থায় কাজ করে থাকে। এটি মূলত ইলেকট্রনিক্স মিটারে, বিভিন্ন

ডিজিটাল মিটারে, অডিও সিস্টেমে, অডিও এনালাইজারে, মনিটর ব্যকলাইটে, ইন্ডিকেটর হিসেবে ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আজকে তাহলে এইটুকুই। আবার দেখা হবে নতুন কোন টপিক নিয়ে।সেই পর্যন্ত বিদায়।সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

vertical-stairs

Vertical Circulation of a Building(Stair)


সার্কুলেশন মানে হল চলাচল। একটি বিল্ডিং এর এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে চলাচল বা যাতায়াতের জন্য যে ব্যবস্থার সাহায্য নেয়া হয় সেটাই হলো ভার্টিক্যাল সার্কুলেশন। একটি বিল্ডিং এর ভার্টিক্যাল সার্কুলেশনের উদাহরণ গুলো হলো সিড়ি, লিফট,এস্কেলেটর  ইত্যাদি।

আজকে আমরা জানবো ইমারতের ভার্টিক্যাল সার্কুলেশন Stair বা সিড়ি  সম্বন্ধে যা গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিং কম্পোনেন্ট।

একাধিক তলাবিশিষ্ট দালানের এক তলা থেকে অন্য তলায় যাতায়াতের জন্য কতগুলো ধাপ (Step) কে একত্র করে কাঠামো তৈরি করা হয় তাকে সিঁড়ি বলে। একটি দালানের সিঁড়িঘরের অবস্থানের উপর নির্ভর করেই দালানের অন্যান্য কক্ষসমূহের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।একটি ইমারতে কোন প্রকার সিঁড়ি ব্যবহৃত হবে তা নির্ভর করে ইমারতের ধরণ, ব্যবহারকারীর পছন্দ  এবং রুচির উপর।

সিঁড়ির গঠনগত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সিঁড়িকে নিম্নোক্তভাবে ভাগ করা হয়।যথাঃ

(i) একমুখী সিঁড়ি (Straight Flight Stair)

(ii) ডগ লেগড় সিঁড়ি বা হাফ টার্ন সিঁড়ি (Dog legged or Half Turn Stair)

(iii) কোয়ার্টার টার্ন সিঁড়ি (Quarter Turn Stair)

(iv) থ্রি কোয়ার্টার টার্ন সিঁড়ি (Three Quarter Turn Stair)

(v) ওপেন নিউয়েল সিঁড়ি (Open Newel Stair)

(vi) বাই ফারকেটেড সিঁড়ি (Bifurcated Stair)

(vii) জিওমেট্রিক্যাল সিঁড়ি (Geometrical Stair)

(viii) বৃত্তাকার সিঁড়ি (Spiral Stair)

(ix) হেলিক্যাল সিঁড়ি (Halical Stair)

(x) ওয়াইন্ডার টাইপ সিঁড়ি (Winder Type Stair)


(i) একমুখী সিঁড়ি (Straight Flight Stair) : যে সমস্ত ইমারতে সিঁড়ির জন্য পর্যাপ্ত স্থান সংকুলান হয় না বা যেখানে লোক চলাচল সীমিত পর্যায়ে সে সমস্ত ইমারতে সিঁড়ির ধাপগুলো ক্রমান্বয়ে একমুখী অবস্থায় রেখে যে সিঁড়ি তৈরি করা হয় তাকে একমুখী সিঁড়ি বলে। তবে তা খুব একটা প্রচলিত নয়। পুকুর ঘাট, পাহাড়ে উঠা নামার জন্য এ ধরনের সিঁড়ি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

Straight Flight Stair)

(ii) ডগ লেগড় সিঁড়ি বা হাফ টার্ন সিঁড়ি এক তলা থেকে অন্য তলায় উঠার জন্য ব্যবহৃত ধাপ (Step) সমূহের মধ্যবর্তী অংশে একটি ল্যান্ডিং ব্যবহার করা হয়, সেখান পর্যন্ত উঠার পর সিঁড়ি ব্যবহারকারী পুরোপুরি ১৮০°মোড় ঘুরে পরবর্তী ধাপের মাধ্যমে উপরের দিকে উঠা শুরু করেন।

Half Turn Stairs

(iii) কোয়ার্টার টার্ন সিঁড়ি ঃ এ ধরনের সিঁড়ি একটি তলা থেকে অন্য তলা পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য এক সমকোণ পরিমাণ দিক পরিবর্তন করে তৈরি করা হয়। এটি অনেকটা ইংরেজি ‘L’ (এল) অক্ষরের মত হয়ে থাকে।

Quarter turn Stair

(iv) থ্রি কোয়ার্টার টার্ন সিঁড়ি ঃ এ ধরনের সিঁড়ি সমকোণে তিনবার দিক পরিবর্তন করে তৈরি করা হয়। স্বল্প পরিসরের প্রয়োজনে কিংবা একই সিঁড়ি মাধ্যমে দুটি ইউনিটে প্রবেশের সুবিধার প্রয়োজনে ইমারতে এ ধরনের সিঁড়ি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ ধরনের সিঁড়িতে তিনটি ফ্লাইট এবং তিনটি ল্যান্ডিং থাকে।

Three Quarter turn Stair

(v) ওপেন নিউয়েল সিঁড়ি ঃ চারটি ফ্লাইট এবং চারটি ল্যান্ডিং এর সমন্বয়ে এই সিঁড়ি নির্মিত হয়। সর্বশেষ ল্যান্ডিং টি হাদের সমতলে থাকে এবং এই ল্যান্ডিং থেকেই ইউনিটে প্রবেশ করার ব্যবস্থা থাকে। ফ্লাইট চারটি সমকোণে চারবার দিক পরিবর্তন করে এই সিঁড়ি তৈরি করা হয়। যে সমস্ত ইমারতে সিঁড়ি এবং লিফট একত্রে রাখার প্রয়োজন হয় সেখানে এ ধরনের সিঁড়ি বেশ কার্যকর হয়।

Open Newwel Stairs

(vi) বাই ফারকেটেড সিঁড়ি ঃ এ ধরনের সিঁড়ি সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পাবলিক বিল্ডিং যেমন- হলরুম, প্রদর্শনী কক্ষ, মার্কেট ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নিচ থেকে সুপ্রশস্ত ফ্লাইট ল্যান্ডিং পর্যন্ত থাকে, তারপর সেখান থেকে দুটি ফ্লাইট পরস্পর বিপরীতমুখী হয়ে ডানে এবং বামে ছাদ পর্যন্ত উঠে যায়। এই ফ্লাইট দুটি নিচের ফ্লাইটের তুলনায় প্রশস্ততায় কম হয়ে থাকে।

Bi Farketed Stair

(vii) জিওমেট্রিক্যাল সিঁড়ি ঃ এ ধরনের সিঁড়ি ওপেন নিউয়েল সিঁড়ির মতই। তবে এর মধ্যবর্তী ল্যান্ডিং অংশটির বাইরের প্রান্ত অর্ধবৃত্তাকার, উপবৃত্তাকার হয়ে থাকে। ধাপসমূহ অনেক ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে থাকে, মধ্যবর্তী ল্যান্ডিংটি তখন ধাপের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। পাবলিক ইমারতে এ জাতীয় সিঁড়ি বেশি ব্যবহৃত হয়

(viii) বৃত্তাকার সিঁড়ি ঃ এ ধরনের সিঁড়ি গোলাকার অবস্থায় একটি মধ্যবর্তী পোস্টকে কেন্দ্র করে উপরের দিকে ধারাবাহিকভাবে উঠে থাকে। এ ধরনের সিঁড়ি কখনও প্রধান সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয় না, বরং মূল ইমারতের পিছনের সিঁড়ি, শিল্পকলকারখান মসজিদের মিনারের জন্য এ ধরনের সিঁড়ি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

Circle Stairs

(ix) হেলিক্যাল সিঁড়ি এ ধরনের সিঁড়ি গোলাকার অবস্থায় নির্মিত হয় এবং দেখতে খুবই আকর্ষণীয় । এ ধরনের সিঁড়ি সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থাপত্যকর্মে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই সিঁড়ির কাঠামোগত ডিজাইন ও নির্মাণ প্রক্রিয়া বেশ জটিল এবং ব্যয়সাপেক্ষ। এ ধরনের সিঁড়িতে সৃষ্ট ব্যান্ডিং, শেয়ার, টর্শন ইত্যাদি প্রতিরোধ করার প্রয়োজনে প্রচুর পরিমাণে স্টীল ব্যবহার করতে হয়।

Helical Stairs

(x) ওয়াইন্ডার টাইপ সিঁড়ি ঃ জায়গা স্বল্পতার দরুন সিঁড়িসমূহের ল্যান্ডিং পরিহার করে ঐ ল্যান্ডিং এর অংশেও ধাপ প্রয়োগ করে যে সিঁড়ি নির্মাণ করা হয় তাকে ওয়াইন্ডার টাইপ সিঁড়ি বলা হয়। এক্ষেত্রে একই ধারাবাহিকতার মধ্যে কোন ধরনের বিরতি ছাড়াই ধাপসমূহ নিচ থেকে ছাদ অবধি সন্নিবেশিত থাকে।

Winder Type Stairs

লেখক

লিমা আক্তার 

জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর

আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

Earthquake warning in contruction

Earthquake warning in contruction

প্রতি বছরই আমরা কোন না কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হই। ভূমিকম্প তার মধ্যে অন্যতম।ভূমিকম্পের মাত্রা বেশি হলে অনেক নির্মাণ কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এক্ষেত্রে কষ্টের টাকার নির্মাণ কাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য ভবন নির্মাণের শুরুতেই ভূমিকম্পের কথা মাথায় রেখে কাঠামো কে মজবুত করে নির্মাণ করা অতীব জরুরী। ভূমিকম্পের তীব্রতা ওপর নির্ভর করে পুরো বাংলাদেশকে চারটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এরমধ্যে Zone—৩ এবং Zone—৪ যথাক্রমে ঝুঁকিপূর্ণ এবং অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। Zone —৩ এর আওতায় রয়েছে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, রংপুরসহ মধ্যাঞ্চল। এবং Zone —৪ এর আওতায় রয়েছে শেরপুর, বৃহত্তর সিলেট, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ এবং কিশোরগঞ্জ।

বাংলাদেশে ভূমিকম্প প্রবন এলাকা

নির্মাণকাজে ভূমিকম্পের প্রস্তুতিঃ

আমাদের অবশ্যই উচিত নির্মাণ কাজ করার সময় ভূমিকম্প প্রতিরোধের জন্য কিছু প্রস্তুতি নেয়া।

  • ফাউন্ডেশন অনুযায়ী এমন সাইজের রড ব্যবহার করতে হবে যা ভূমিকম্পের ধাক্কা নিতে পারবে। যেমন: Xtreme B500, DWR,60 Grade,40 Grade বারগুলো অধিক শক্তিশালী।
  • বাইন্ডিং এর শেষ মাথায় ১৩৫ ডিগ্রি কোণে বাঁকা করে দিতে হবে বাঁধন খুলে ভেতরে ফাঁকা কম হবে।
  • বহুতল ভবনে লিফটের দেওয়াল কংক্রিটের এবং ডিজাইন অনুযায়ী হবে।
  • মাটি পরীক্ষা করে কোন ধরনের ফাউন্ডেশন দিয়ে নির্মাণ কাজ করতে হবে তা নির্ধারণ করতে হবে।
  • বীম এবং কলামের সংযোগস্থল একত্রে জোড়া লাগানো যাবেনা।
ভূমিকম্পে ভবনের ক্ষয়ক্ষতি

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কম রাখার উপায়ঃ

  • কংক্রিট এর পাশাপাশি স্টিল দিয়েও কিছু কাঠামোকে জোর প্রদান করতে হবে।
  • নরম মাটি হলে অবশ্যই মাটির পরীক্ষা করতে হবে।
  • দেওয়াল মজবুত করার জন্য ক্রসড্রেসিং ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • দেওয়ালের মত বিমান ক্রসড্রেসিং দেয়া যেতে পারে লিস্ট থেকে।
  • কলমের সাইজ বৃদ্ধি করে শক্তিশালী করতে হবে।
  • টানা লিংকটা দিতে হবে।

যথাযথ নির্মাণ বিধিমালা চলুনঃ

বিএনবিসি কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করলে রিখটার স্কেল ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও ভবন নিরাপদ থাকবে।

  • ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কম রাখা যায় যেভাবে।
  • খুব ভারী যন্ত্রপাতি আপনার ফ্লোরে রাখার পূর্বে চিন্তা করুন যে আপনার বিল্ডিং এর ধারন ক্ষমতা আছে কিনা। পার্কিং ফ্লোরে শক্ত ও মজবুত দেওয়াল নির্মাণ করুন এতে করে ভবনের লোড দেয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
  • প্রত্যেকটা ফ্লোরের লোড বহন ক্ষমতার মধ্যে একটা সামঞ্জস্যতা আসে অবশ্যই এটা মেনে চলুন। নির্মাণের সময় সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে নির্মাণ হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন বা প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসা করুন কারণ তারা বিষয়টা সম্পর্কে পূর্বে অবগত।
ভূমিকম্প চলাকালীন জনসতর্কতা

ভূমিকম্পের সাধারণ সতর্কতাঃ

  • ভূমিকম্পের কোনভাবেই লিফট ব্যবহার করা যাবে না।
  • ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সকল প্রকার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন যেমন বিদ্যুতের মেইন সুইচ গ্যাসের লাইন ইত্যাদি।
  • ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ভবনে থাকলে অবশ্যই কলাম বা বিমের নিচে আশ্রয় গ্রহণ করুন অথবা শক্ত খাট বা টেবিলের নিচে অবস্থান করুন।
  • ভূমিকম্প শুরু হওয়ার সাথে সাথে যত দ্রুত সম্ভব ভবন থেকে বের হয়ে ফাঁকা স্থানে অবস্থান করুন।
  • ভবন ত্যাগ করার ক্ষেত্রে যদি এমারজেন্সি এক্সিট থাকে তাহলে সেটা ব্যবহার করুন।
  • ভবন বা বাসা বাড়ি নির্মাণের সময় ইলেকট্রিক লাইন এবং গ্যাস লাইন নিরাপত্তা ও সর্তকতা বিধি মেনে বসান।
  • ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা পোশাক হিসেবে হেলমেট থাকলে পরিধান করুন।

ছবির উৎসঃ গুগল

মোঃ জসীম উদ্দীন

জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর ( সিভিল)

ড্যাফোডির পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট