EEF-blog

The Detail of the Diode || ডায়োডের খুঁটিনাটি

ইলেকট্রিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করলে একটা বিষয় আমাদের অজানাই রয়ে যায়। ইলেকট্রনিক্স এর বিষয়গুলো খুব ভাল্ভাবে পড়া হয়ে ওঠে না। তাই বেসিক জিনিসগুলো অজানাই থেকে যাই।চলুন আজ তাহলে জেনে নেই ডায়োড এর বিস্তারিত। 

ডায়োড-

ডায়োড একটি দুই প্রান্ত বিশিষ্ট ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যা সার্কিটে একদিকে তড়িৎ প্রবাহ হতে দেয়। ডায়োড মূলত নির্দিষ্ট দিকে তড়িৎ প্রবাহ হতে সহায়তা করে এবং বিপরীত দিকের তড়িৎ প্রবাহের বাধা প্রদান করে থাকে।

এই ধরনের এক দিকে তড়িৎ প্রবাহ করার প্রবণতাকে রেক্টিফিকেশন বলা হয়ে থাকে যা মূলত এসি কারেন্ট থেকে ডিসি কারেন্ট তৈরি করে।সহজ কথায় ডায়োড বিপরীত মুখী প্রবাহ কে একমুখী করে। অন্যান্য সকল কম্পোনেন্ট এর মত ডায়োডের ও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। ডায়োড মূলত বানানো হয় সেমিকন্ডাক্টর দিয়ে। এদের মধ্যে সিলিকন জার্মেনিয়াম অন্যতম এবং এগুলো ক্রিস্টালের ভিতরে গ্যালিয়াম আর্সেনিক ও বিভিন্ন ভেজাল মিশিয়ে পি টাইপ এবং এন টাইপ সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা হয়ে থাকে।

প্রকারভেদঃ

গঠন ও কার্যপ্রণালীর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের ডায়োড  ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে ব্যবহার হতে দেখা যায়।

  • সাধারণ ডায়োড
  • জেনার ডায়োড
  • ডায়োড
  • টানেল ডায়োড
  • ভ্যারাক্টর ডায়োড
  • ফটো ডায়োড
  • সোলার সেল
  • লেজার ডায়োড

বিভিন্ন প্রকার ডায়োডের পরিচিতি-

জেনার ডায়োডঃ

এটি একটি বিশেষ ধরনের ডায়োড  যা সাধারণ ডায়োডের মত সম্মুখেই কারেন্ট প্রদান করে না বরং উল্ট দিকেও কারেন্ট প্রবাহিত করে থাকে।এই ডায়োড সাধারণ ভোল্টেজ অপেক্ষা অধিক পরিমাণ ভেজাল মিশ্রিত থাকে। একে সবসময় সার্কিটের সাথে রিভার্স বায়াসে সংযুক্ত করতে হয় এবং ইহা ব্রেক-ডাউন ভোল্টেজে ও নষ্ট হয় না।আমরা জানি যে সাধারণ ডায়োড  বিপরীত দিকে কারেন্ট প্রবাহে বাধা প্রদান করে থাকে তবে এই ধরনের ডায়োডের একটি সহ্য ক্ষমতা আছে।

এতে বেশি পরিমাণ ভোল্টেজ দিলে এর গঠন ভেঙ্গে যায় ও তখন উল্টো দিকে কারেন্ট প্রবাহিত হয়ে থাকে। এটাকে বলা হয় রিভার্স ব্রেকডাউন আর যে পরিমাণ ভোল্টেজে ভেঙ্গে যায় তাকে বলা হয় ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ।সাধারণ ডায়োডের ক্ষেত্রে এটা অনেক বেশি হয়ে থাকে প্রায়

কিলোভোল্টের কাছাকাছি। তবে এই ভোল্টেজ দেয়ার পর আর ২ প্রান্তের ভোল্টেজ বাড়ে না কিন্তু কারেন্টের পরিমাণ বাড়ে। এটার উপর ভিত্তি করে জেনার ডায়োড তৈরি করা হয়ে থাকে। জেনার ডায়োড উল্টো দিকে কারেন্ট প্রবাহ করে এবং ভোল্টেজ নির্দিষ্ট রাখে।

স্কটকি ডায়োডঃ

বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সার্কিটে তথা-কম্পিউটার প্রসেসরে পাওয়ার খরচ কমাতে কম ভোল্টেজ ড্রপের ডায়োড  প্রয়োজন হয়। এই কারণে শটকি ডায়োড  ব্যবহার করা হয়। এর ভোল্টেজ ড্রপ মূলত ০.১ বা ০.২ ভোল্ট এর কাছাকাছি।

টানেল ডায়োডঃ

এই ধরনের ডায়োড  মূলত নেগেটিভ রেজিস্ট্যান্স শো করে থাকে বলে একে অসিলেটর সার্কিটে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

পিন ডায়োডঃ

সুপার ফাস্ট কাজের ক্ষেত্রে পিন ডায়োড  ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটা মূলত গিগাহার্টজ রেঞ্জে কাজ করে থাকে।

লাইট ইমেটিং ডায়োডঃ

এই ধরনের ডায়োড  ফরোয়ার্ড অবস্থায় কাজ করে থাকে। এটি মূলত ইলেকট্রনিক্স মিটারে, বিভিন্ন

ডিজিটাল মিটারে, অডিও সিস্টেমে, অডিও এনালাইজারে, মনিটর ব্যকলাইটে, ইন্ডিকেটর হিসেবে ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আজকে তাহলে এইটুকুই। আবার দেখা হবে নতুন কোন টপিক নিয়ে।সেই পর্যন্ত বিদায়।সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

Tags: No tags

Add a Comment

You must be logged in to post a comment