ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ২০০৬ সাল থেকে ক্রমাগত ভাবে শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করে থাকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শিক্ষাক্রম পরিচালিনা করে আসছে। ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট তাদের শিক্ষার্থীদের প্রদান করে অত্যাধনকি শিক্ষা ও ল্যাব ফ্যাসিলিটিসের (Facilities) বাইরে নিশ্চিত করছে দক্ষতা ও টেকসই ক্যারিয়ার।
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে একমাত্র পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের প্রদান করছে ফ্রি ল্যাপটপ। শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে বর্তমানে ল্যাপটপ একটি অন্যতম শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বিবেচিত ফলে 1 Student 1 Laptop শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্তপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। এই ফ্রি ল্যাপটপ শিক্ষার্থীদের শুধু শিক্ষার কাজেই নয় বরং অনলাইনে কর্মদক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে দক্ষতা তৈরিতে ভুমিকা রাখছে।
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বিশ্বব্যাংকের স্টেপ প্রকল্পের পর যুক্ত হয়েছে সরকারের মাসিক উপবৃত্তি ও ফ্রি বই এর আওতায়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা মাসিক ৫০০ টাকা হারে প্রতি সেমিস্টারে ৩০০০টাকা ও সেমিস্টারের বই বাবদ ১০০০টাকা পাচ্ছে ।
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট গতানুগতিক ধারার বাইরে একটি আধুনিক পলিটেকনিক ইন্সিটিউট। এরই ধারাবাহিকতায় এর শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্য প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেদের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করে । এই ইনস্যুরেন্স পলিসির ফলে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের তাদের অভিভাবকদের কোন প্রকার দুর্ঘটনা কিংবা মৃত্যুর ফলে একজন শিক্ষার্থীর চলমান শিক্ষা যেন থেমে না যায় সেটিই নিশ্চিত হবে। দেখা যায় শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ ৪ বছরের লেখাপড়ার এই ব্যবধানে মধ্যে বিভিন্ন কারনের মাঝে অভিভাবকের অনাকাঙ্খিত ক্ষতি শিক্ষার্থীদের ড্রপ-আউট হতে বাধ্য করে, ফলে শিক্ষার এই ক্রম ধারা থেমে যেতে বাধ হয়। বরণ করে নিতে হয় বেকারত্বের অভিশাপ। মূলত এই কারনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য এই ইনস্যুরেন্স পলিসি। ঝরে পরা রোধে এবংশিক্ষার্থীদের পড়াশোনা যাতে ব্যহত না হয় তারই প্রেক্ষিতে ড্যাফোডিল পলিটেকনিকের এই উদ্যোগ।
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সিটিউট শিক্ষার্থীদের জন্য ভিন্ন রকম স্কলারশিপ “Work base scholarship” নিয়ে এসেছে। আমরা বিশ্বাস করি প্রতিটি শিক্ষার্থীর কিছু না কিছু কর্ম দক্ষত থাকে পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানে নানা প্রকার কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে, জব প্লেসমেন্ট সেল এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সেই সকল কাজে ক্লাসের পরে যুক্ত হয়ে সাপ্তাহিক নিরধারিত সময় কাজ করার মাধ্যমে মাসিক/ সেমিস্টার ভিত্তিক স্কলারশিপ অর্জন করতে পারে। ফলে শিক্ষার্থীরা শুধু স্কলারশিপ অর্জনের পাশাপাশি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দুইই অর্জন করতে পারে যা শিক্ষার্থীকে চাকরি বাজারের জন্য তৈরি হতে সহযোগিতা করে।
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট গতানুগতিক ধারার বাইরে একটি আধুনিক পলিটেকনিক, কারণ আমরা নিশ্চিত করতে চাই শিক্ষার্থীদের দক্ষতা। আমাদের আছে “Inclusive Learning Cell” এই সেলে সকল ধরনের শিক্ষার্থীর দক্ষতা নিশ্চিত করা হয় ব্যাবহারিক দক্ষতার মাধ্যমে। যাতে শিক্ষার্থীরা বলতে পারে আমাকে-
১। দেখতে হবে ২। শুনতে হবে ৩। পড়তে হবে ৪। নিজ হাতে করতে হবে ৫। বার বার অনুশীলন করতে হবে
কারণ আমরা জানি শিক্ষার্থীকে প্রস্তুত করতে কর্মক্ষেত্রের জন্য। নিশ্চিত করতে হবে তার দক্ষতা যাতে আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থী বলতে পারে “I Know and I can perform”
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের রয়েছে ছেলে মেয়েদের জন্য পৃথক নিজস্ব হোস্টেল ব্যবস্থা।
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের জন্য Bangladesh Venture Capital Ltd. এর সাথে যৌথভাবে তৈরি করেছে উদ্দক্তা উন্নয়ন ফান্ড। এর ফলে যে সকল শিক্ষার্থীর মাঝে আশা আছে উদ্যোক্তা হবার তাদের জন্য বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল দিচ্ছে উদ্যোক্তা ফান্ড পাশাপাশি ব্যবসা ব্যবসা শুরু করার কিছু গাইডলাইন। এছারাও রয়েছে Business Incubator যার ফলে অফিস কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ রয়েছে। এর ফলে এখন শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন বাস্তবের দিকে যাবে উদ্যোক্তা হবার।