Zener Diode-08

Zener diode

Zener diode is a special type of diode. Which operates in the reverse breakdown region during reverse biasing. Zener Diode a P-N junction diode made of Silicon or Germanium. It has a specific voltage called Zener voltage. A circuit is reverse biased and connected in parallel with the load. When the reverse voltage exceeds the Zener voltage, the diode breaks down and a sharp current flows rapidly. Due to this special feature Zener diode is widely used as voltage regulator and voltage stabilizer. Moreover Zener diode is also used as a protector device to protect the meter.

A P-N junction diode made of heavily doped silicon or germanium. Zener diodes are sometimes called voltage reference diodes.

Zener voltage values of Zener diodes are different for different diodes. If the voltage is increased by connecting the zener diode in reverse, the diode produces zener effect up to the zener voltage and if the reverse voltage exceeds the zener voltage, it causes or exhibits avalanche effect. A high reverse bias voltage creates an electric field that causes the covalent bond to break, producing free electrons and holes. This is Zener breakdown.

Again due to high reverse voltage the minority carriers gain a lot of kinetic energy and liberate the valence electrons from normal when they collide with each other. This free valence electron frees another valence electron. In this way a large number of free electrons are created creating a huge reverse current which is called avalanche breakdown.

Md. Husne Fahad

Instructor, Electrical Department

Daffodil Polytechnic Institute

Call Drops, its effect and probable minimization-07

Call Drops, it’s effect and probable minimization

Call drop is a well-known affliction nowadays. In this age of modern telecommunication and information technology, people are not totally prepared to deal with call drop. This critical issue continuously disturbing the general user of mobile phone by many ways.

Call drop represents the service provider’s inability to maintain a call once it has been correctly established. call dropped or intruded on preceding its normal finishing by the client, the reason for the early end being inside the specialist co-op’s organization. Call drop signifies that the call center’s efficiency cannot match the demands of the customer support environment. Client stand-by time is one more component that is impacted by different reasons, for example, specialist mindfulness and the capacity to deal with the client inquiry proficiently.

Recently statistics show that Grameen phone, Robi, and Banglalink have 0.29%, 0.23%, and 0.32% call drops on average where as Teletalk Bangladesh has 2.59% call drops. The benchmark for the average call drop rate is less than 2%, reads the report. The dropped call happens when your phone gets disconnected somehow from the cellular network.

Dropped calls happen when a call is ended startlingly because of specialized reasons, including an unfortunate organizational signal. Call drops happen due to lacking inclusion, and the nature of the signal, including impedance, network congestion, and organizational disappointments. It happens when there is low or no signal.

Some common causes of dropped calls in cellular Network :-

  1. Any type of obstacles can block the signal.
  • If user is too far from a cell tower. 03.The tower is too crowded
  • Wrong app settings.
  • Faulty sim card may create problem.
  • Phone can’t keep up.
  • Too many apps and Programs may create problem.

There are numerous drop call causes in cellular networks with the majority of them occurring in the Um interfaces mainly due to a lack of radio resources created by electromagnetic causes and user mobility that is handover. Another important contributor to the drop in call rate is the traffic load in which, the call arrival rate and holding time play significant roles.

How to minimize Dropped Calls:-

A proper maintenance as well as some necessary steps can reduce this problem. Some points are discussed here below-

01.Take the cover of phone.

02. Dont block phones antenna.

03. Keep the battery charged.

04. If moving, then stop.

05. Go outside to get clear of obstructions.

06. Try a different location.

07. Increase the elevation.

08. If possible, then try to make wi-fi call.

A dropped call happens when your phone gets disconnected somehow from the cellular network. A user faces various problems due to call drop in the middle of conversation such as disconnection, incomplete conversation, time loss, financial issue etc.

It has become one of the major problems in mobile communication. Phone companies should take proper steps to minimize this issue and responsible authority from the government monitor the phone companies at regular intervals to ensure hassle-free mobile communication system for general users of our country.

Md. Jayed Bin Murshed Leon

Instructor

Department of Telecommunication

Daffodil Polytechnic Institute

Phrase Mix-06

Phrase Mix

English is the key to unlocking many of these goals. Phrase Mix makes it easier to do what you want using English. Once you learn English speaking, communication will never be a problem. Also, focus on learning English grammar so that your conversations become enhanced.  

Phrase Mix is a beautiful site that fully examines English phrases. It provides explanations of what they mean and the contexts in which they are used.

The blog section features diverse topics such as how to avoid language mistakes and famous English movie quotes. The tone is warm, friendly, and engaging with a nice undercurrent of humor. 

Learn useful English with functional phrases!

Instead of traditional vocabulary and grammar lessons, each Phrase Mix lesson teaches you exactly what to say in a realistic, real-world situation.

There are thousands of lessons, covering situations like:

  • Participating in a meeting at work
  • Making small talk with your neighbor
  • Answering questions at a job interview
  • Asking a friend for help instead of learning vocabulary and grammar separately, you will learn words, phrases, grammar, pronunciation, and culture all together in each lesson.

Shad Shahrier

Instructor

Daffodil Polytechnic Institute

ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের আকার কেন এখন ছোট হচ্ছে-05

ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের আকার কেন এখন ছোট হচ্ছে

আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ২০০০ সালের আগে আমাদের টিভি গুলো কত বড় ছিল? মোবাইল ফোন গুলো কত বড় ছিলো? শুধু এই দুটিই নয় সকল ডিভাইসেই অনেক বড় ছিল এর একটি কারণ হলো আগে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো ভ্যাকুয়াম টিউবের মাধ্যমে তৈরি যা এখন সেমিকন্ডাক্টর তৈরির জন্য ডিভাইসের আকার ছোট হয়েছে।

তাহলে আমাদের এখন সেমিকন্ডাক্ট সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে ডিভাইস ছোট হওয়ার বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে।

সেমিকন্ডাক্টর হল এমন উপকরণ যার পরিবাহী (সাধারণত ধাতু) এবং ননকন্ডাক্টর বা ইনসুলেটর (যেমন বেশিরভাগ সিরামিক) এর মধ্যে পরিবাহিতা থাকে। সেমিকন্ডাক্টর হতে পারে বিশুদ্ধ উপাদান, যেমন সিলিকন বা জার্মেনিয়াম, বা যৌগ যেমন গ্যালিয়াম আর্সেনাইড বা ক্যাডমিয়াম সেলেনাইড। ডোপিং নামক একটি প্রক্রিয়ায়, বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাক্টরগুলিতে অল্প পরিমাণে অন্য ধাতু যোগ করা হয় যা উপাদানটির পরিবাহিতাতে বড় পরিবর্তন ঘটায়।

ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরিতে সেমিকন্ডাক্টরের ভূমিকার কারণে, সেমিকন্ডাক্টর আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ছাড়া আমাদের জীবন কল্পনা করা যায় না । রেডিও, টিভি,  কম্পিউটার, ভিডিও গেম, এবং চিকিৎসা ডায়াগনস্টিক সরঞ্জাম থাকবে না। তবে ভ্যাকুয়াম টিউব প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরি করা যায় তবে তা ব্যায় বহুল, গত ৫০ বছরে সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির উন্নয়ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলিকে আরও ছোট, দ্রুত এবং আরও নির্ভরযোগ্য করে তুলেছে। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সাথে আপনার সমপিক্ততা এক মিনিটের জন্য চিন্তা করুন। আপনি গত চব্বিশ ঘণ্টায় কয়টি ডিভাইস দেখেছেন বা ব্যবহার করেছেন?

প্রযুক্তিগত অগ্রগতির এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের জন্য, সেমিকন্ডাক্টররা এমন খ্যাতি পায় না যা তারা অনেকবার প্রাপ্য। সেমিকন্ডাক্টরগুলি মাইক্রোপ্রসেসর চিপগুলির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে, তাই কম্পিউটারাইজেশন সম্পর্কিত যেকোন কিছু, যেমন আপনার স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ইত্যাদি, তাদের কার্যক্ষমতার জন্য সেমিকন্ডাক্টরের গুরুত্ত রয়েছে!

সেমিকন্ডাক্টরের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করার জন্য, সেমিকন্ডাক্টর কি এবং কিভাবে তা তৈরি করা হয় তা জানা দরকারী।

সেমিকন্ডাক্টর কি?

অর্ধপরিবাহী বা সেমিকন্ডাক্টর হল স্ফটিক বা নিরাকার কঠিন পদার্থ যা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করতে পারে, এটি বৈদ্যুতিক প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ভাল মাধ্যম করে তোলে। সেমিকন্ডাক্টরগুলি এমন উপকরণ থেকে তৈরি করা হয় যেগুলির গঠনে মুক্ত ইলেকট্রন রয়েছে যা পরমাণুর মধ্যে সহজেই সরে যেতে পারে, যা বিদ্যুতের প্রবাহকে সহায়তা করে।

অর্ধপরিবাহী হিসাবে ব্যবহৃত উপকরণগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হল সিলিকন। সিলিকনের বাইরের কক্ষপথে চারটি ইলেকট্রন রয়েছে, যা সমযোজী বন্ধনকে একটি জালি তৈরি করতে দেয় এবং এইভাবে একটি স্ফটিক তৈরি করে। যদিও অন্যান্য উপকরণ, যেমন জার্মেনিয়াম এবং কার্বনেরও অনুরূপ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সিলিকন ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, কারণ এটি একটি কার্যকর অর্ধপরিবাহী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।

সিলিকন কেন একটি গুরুত্বপূর্ণ সেমিকন্ডাক্টর? ডোপিং সিলিকন সেমিকন্ডাক্টর হল সিলিকনের মতো একটি স্ফটিকের মধ্যে অন্য যোজির উপাদানগুলি প্রবর্তনের প্রক্রিয়া। সিলিকন উৎপাদন প্রক্রিয়ায়, ডোপ্যান্টগুলি তার বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তন করার জন্য অর্ধপরিবাহীতে প্রবর্তন করা হয়। সেমিকন্ডাক্টরের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে, এটি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের উপায় পরিবর্তন করার জন্য ডোপ করা যেতে পারে, আবার বৈদ্যুতিক প্রবাহের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের অনুমতি দেয়। সিলিকন এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বা পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর দিয়ে রূপান্তরিত হতে পারে। একটি এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর প্রধানত  নেগেটিভ চার্জযুক্ত আয়নগুলির আকারে স্রোত বহন করে, যেখানে পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরগুলি প্রধানত ইলেক্ট্রনের ঘাটতি হিসাবে স্রোত বহন করে ।

মো: আরিফ মিয়া

জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর

টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

LAD- A device in human brain-04

LAD- A device in human brain

LAD stands for Language Acquisition device, it’s an innate ability to understand the language rules. This term was introduced by Noam Chomsky in 1960s.Chomsky believes that children are born with this device. Basically, it’s a capacity to acquire one’s first language. It’s also a controversial theory because many people dined the existence of LAD.

According to Chomsky, the LAD is a tool that is situated in our brain.  But no specific claim was made regarding the specific location of the LAD in the brain.

So, LAD is located in our brain and contains all and only the principles which are universal to all languages. In order to activate it a child needs to come in touch with an environment which will provide him with the samples of natural language. Once, the device is activated, the child is able to discover the structures of the language which he is dealing with.

LAD enables the children to rapidly develop the rules of language. The role of the LAD is to encode the major skills involved in language learning, but with a focus on the encoding of grammar. Grammar is a vital skill needed for children to learn language. Basically, it allows the children to understands the fundamental rules of whatever language they are listening to. But there are many views in disfavor of ‘LAD’. Because, there is no logical evidence of the existence of LAD. There is no clarification what kind of knowledge is incorporated in LAD. The critics arouse such questions as-if all human beings have LAD and it is the same for all of them, then why do some children are slower in language acquisition than the others. Linguistically, it is only concerned with syntax. And, also it is only focused on grammar construction and neglected the social and psychological variables.

Sadia Tahmid Torra

Jr.Instructor

Daffodil Polytechnic Institute

সঠিক চার্জার নির্বাচন করা কেন জরুরী-03

সঠিক চার্জার নির্বাচন করা কেন জরুরী

আধুনিক যুগে আমরা মোবাইল ফোন ছাড়া চলতে পারি না। একটি মোবাইল বা আপনি বলতে পারেন মোবাইলের ব্যাটারি ভালো পারফরম্যান্স এবং ব্যাকআপ দিতে পারে যদি একটি সঠিক মোবাইল চার্জার দ্বারা সঠিকভাবে চার্জ করা হয়। ভূল মোবাইল ফোন চার্জার দিয়ে মোবাইল চার্জ করার কারণে বেশিরভাগ মানুষ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন। যেমনঃ

  • চার্জারটি মোবাইল চার্জ করতে অনেক সময় নেয়।
  • মোবাইল চার্জার খুব গরম হয়ে যায়।
  • কয়েক মাস ব্যবহারের পর চার্জার নষ্ট হয়ে যায়।
  • মোবাইলের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অরজিনাল চার্জার নষ্ট হলে দেখা যায় হাতের কাছে অন্য কোন চার্জার পেলে সেটি দিয়েই চার্জ করা শুরু করে। এছাড়াও মোবাইল দোকানে গিয়ে যেন তেন একটা চার্জার কিনে নিয়ে আসেন। কিন্তু আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের মোবাইল ফোন চার্জার কেনার সময় যেসব বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরি তা নিয়ে আলোকপাত করব।

চার্জার কেনার সময় মোবাইল চার্জারের যে রেটিংগুলো বিবেচনা করা উচিত তা হলঃ

  • ইনপুট ভোল্টেজ রেটিং
  • আউটপুট ভোল্টেজ রেটিং
  • আউটপুট কারেন্ট রেটিং
  • ইন্সুলেশন সিম্বল
  • চার্জারের কোয়ালিটি

এই প্রতিটি টার্ম নীচে ব্যাখ্যা করা হলঃ

ইনপুট ভোল্টেজ রেটিং

আপনি যখন মোবাইল চার্জার কিনতে যাবেন তখন দেখবেন কিছু মোবাইল চার্জার আছে যার ইনপুট ভোল্টেজ রেটিং 200-240V এবং কিছু চার্জার 100-240V। কখনও কখনও আমাদের বাড়িতে বা অফিসে কিছু সময়ের জন্য লো ভোল্টেজ দেখা দেয়। কিন্তু আপনাকে ত অবিলম্বে মোবাইল চার্জ করতেই হবে। এই ক্ষেত্রে, আপনি আপনার মোবাইল চার্জার দ্বারা চার্জ করতে পারবেন না যার ইনপুট ভোল্টেজ রেটিং 200-240V। আপনার এক্ষেত্রে শুধু 100-240V রেটিং এর মোবাইল চার্জার দরকার। 100-240V রেটিং বেছে নেওয়ার অন্য সুবিধা হল যে আমরা ইতিমধ্যেই জানি যে USA 120V এর স্ট্যান্ডার্ড ভোল্টেজ রেটিং। তাই আপনি যদি 100-240V রেটিং চার্জার নির্বাচন করেন তাহলে আপনি USA তেও আপনার মোবাইল চার্জ করতে পারবেন। তাই সর্বদা ইনপুট ভোল্টেজ রেটিং বেছে নিন যা 100-240V।

আউটপুট ভোল্টেজ রেটিং

সাধারণত বেশিরভাগ মোবাইল চার্জারের আউটপুট ভোল্টেজ রেটিং 5V DC থাকে। বেশিরভাগ মোবাইল ফোন 5V ডিসি ভোল্টেজ কনজিউম করে। তাই আউটপুট ভোল্টেজ রেটিং 5V ডিসি নির্বাচন করুন। কিন্তু মনে রাখবেন যে আপনার ফোনের যদি আলাদা ভোল্টেজ রেটিং থাকে তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার ফোনের ভোল্টেজ রেটিং হিসাবে একই ভোল্টেজ রেটিং চার্জার কিনতে হবে। লো ভোল্টেজ রেটিং চার্জার আপনার মোবাইল বা অন্যান্য গ্যাজেট সঠিক সময়ে চার্জ করতে পারে না। হাই ভোল্টেজ রেটিং চার্জার আপনার মোবাইলের ক্ষতি করতে পারে।

চার্জারের কোয়ালিটি

একটি ভালো মানের চার্জারে ভালো আউটপুট ভোল্টেজ রেগুলেশন, কম হিটিং, ভালো ইনসুলেশন, ভালো আউটপুট পোর্ট ইত্যাদি থাকে। ভালো মানের চার্জারটির কিছু সার্টিফিকেশন থাকে যা মোবাইল চার্জারে CE, MFI, RoHS চিহ্ন দ্বারা চিহ্নিত করা যায়।

ইন্সুলেশন সিম্বল

নিরাপত্তা আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। মোবাইল চার্জার কেনার সময় মোবাইল চার্জারের ইনসুলেশন সিম্বল দেখে নিন। ইন্সুলেশন সিম্বল যা নীচে দেখানো হয়েছে তা নির্দেশ করে যে চার্জার ক্লাস  বা ডাবল ইনসুলেটেড। ডিসি আউটপুট তারগুলো এসি ইনপুট থেকে ইন্সুলেশনযুক্ত। এই সিস্টেম আপনাকে বৈদ্যুতিক শক থেকে নিরাপত্তা দেবে।

মোঃ আব্দুল্লা-আল-মামুন রুপম

ইন্সট্রাকটর, ইলেকট্রিক্যাল

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Paint Chalking-02

পেইন্ট চকিং

আপনি কি কখনও একটি দেয়াল স্পর্শ করেছেন, এবং আপনার হাত পাউডার দিয়ে নোংরা হয়ে গেছে? এটি পেইন্ট চকিং নামক একটি পেইন্ট ত্রুটির কারণে হয়। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে।

পেইন্ট চকিং এমন একটি ঘটনা যা পেইন্ট করা পৃষ্ঠে একটি গুঁড়ো পদার্থ তৈরি করে। এটি পেইন্টের অবনতি ঘটায় এবং একটি অপ্রীতিকর অভ্যন্তরীন ফিনিস তৈরি করে।

অতিথির সামনে আপনার দেয়ালে গুঁড়ো পদার্থের জন্য আপনাকে বিব্রতকর মুহুর্তের মুখোমুখি হতে হতে পারে। এই নিবন্ধটি পেইন্ট চকিং, এর কারণ, সনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং সংশোধন পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে।

পেইন্ট চকিং কি?

পেইন্ট চকিং হল পেইন্ট করা দেয়ালে খুব সূক্ষ, হালকা রঙের, গুঁড়ো অবশিষ্টাংশের গঠন। এটি বায়ুমন্ডলের সংস্পর্শে থাকা দেয়ালে, অর্থাৎ, ভবনের বাইরের অংশে পরিলক্ষিত হয়।

বাহ্যিক পৃষ্ঠে পেইন্টগুলি চক করা একটি সাধারণ ঘটনা। তবে এটি অভ্যন্তরীন দেয়ালেও ঘটতে পারে। পেইন্ট চকিংয়ের পিছনে প্রধান কারণ হল সময়ের সাথে সাথে রঙের পরিধান।  

পেইন্ট চকিং পেইন্টের উল্লেখযোগ্য ত্রুটিগুলির মধ্যে একটি। পেইন্টের অন্যান্য প্রধান ত্রুটিগুলি হল খোসা

ছাড়ানো, ফ্লেকিং, বিবর্ণতা, ক্রেটারিং, ফোসকা পড়া, ফ্রস্টিং এবং ল্যাপিং।

পেইন্ট চকিং এর কারণ

পেইন্ট চকিংয়ের প্রাথমিক কারণ হল সূর্যের আলোতে বাইরের দেয়ালের সংস্পর্শ। পেইন্ট বাইন্ডার এবং রঙ্গক

গঠিত হয়. সূর্যালোকের অতিবেগুনী রশ্মি পেইন্টের বাইন্ডারকে বিচ্ছিন করে এবং এটি থেকে রঙ্গককে আলাদা করে।

পেইন্ট চকিংয়ের অন্য কারণ হল পেইন্ট অক্সিডেশন। এটি বায়ুমন্ডলের অক্সিজেনের সাথে পেইন্ট বাইন্ডারের প্রতিক্রিয়ার একটি প্রক্রিয়া। রঙ্গক পৃথকীকরণ এবং পেইন্ট অক্সিডেশনের একযোগে ঘটনা পেইন্ট চকিং সৃষ্টি করে।

পেইন্ট চকিং উপর পেইন্ট মানের প্রভাব

পেইন্ট চকিং পেইন্টের গুণমান দ্বারা গুরুতরভাবে প্রভাবিত হয়। সব রং শেষ পর্যন্ত চক; যাইহোক, সস্তা পেইন্ট তাড়াতাড়ি খড়ি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ব্যয়বহুল পেইন্টগুলিতে উচ্চ-মানের বাইন্ডার এবং রঙ্গক রয়েছে।  

যেহেতু বাইন্ডার এবং পিগমেন্ট পেইন্টের দুটি প্রধান উপাদান, তাই উচ্চ-মানের বাইন্ডার এবং পিগমেন্ট থাকা প্রয়োজন। আরেকটি কারণ যা চকিংকে প্রভাবিত করে তা হল পেইন্ট বাইন্ডার। অয়েল বেস পেইন্ট বেশিরভাগ এক্রাইলিক এবং ল্যাটেক্স পেইন্টের চেয়ে দ্রুত অক্সিডাইজ করে।

অতএব, তেল-ভিত্তিক পেইন্টের চেয়ে বাহ্যিক পেইন্টিংয়ের জন্য আপনার এক্রাইলিক পেইন্ট বেছে নেওয়া উচিত। এক্রাইলিক এবং ল্যাটেক্স সংমিশ্রণ সহ পেইন্টের চেয়ে ১০০% অ্যাক্রিলিক পেইন্ট বেছে নেওয়া সবচেয়ে ভাল বিকল্প।

জয়ন্ত চন্দ্র ইন্সট্রাকটর

সিভিল টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

মহাবিশ্বে সময়ের ভৌত ও আধিভৌতিক ধারণা

মহাবিশ্বে সময়ের ভৌত ও আধিভৌতিক ধারণা

প্রায় ১৩.৭ বিলিয়ন বছরের এই মহাবিশ্বে ২.৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে মানুষের আবির্ভাব। মহাবিশ্বের সূচনা থেকে পরিবর্তন দৃষ্টিগোচর হলেও অনুভূতি প্রবণ প্রাণী হিসেবে মানুষ তার আবির্ভাবের পর থেকে জীবনের গতিময়তা ও জীবন প্রবাহের পরিবর্তন নিয়ে ভাবতে শুরু করে। কালক্রমে চিন্তাশক্তির উত্তোরণে মানুষ এই গতিময় জীবন প্রবাহের পরিবর্তনকে সময়” নামকরণ করে অনুধাবন ও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে। আর এই সময় পরিমাপের জন্য আবিষ্কার হয় ঘড়ি। কিন্তু চিন্তাশীল মানব মননে প্রশ্ন থেকেই যায়, ঘড়িতে আমরা যা দেখি তা কি আসলেই প্রকৃত সময়? সময়কে আমরা যেভাবে হিসেব করি বা অনুভব করি, সময় কি আসলেই তাই? এরই ধারাবাহিকতায় সময়ের গতিশীলতা প্রকৃত বাস্তবতা নাকি অভিজ্ঞতার অংশ বা মহাজাগতিক সচেতনতা, তা নিয়ে রয়েছে অনেক মতবাদ, চলছে নানান ধরনের গবেষণা।

পরম স্থান-কালের ধারণাটি প্রথম অ্যারিস্টোটেলিয়ান পদার্থবিজ্ঞানে পরিলক্ষিত হয়েছিল। সময়কে চিরায়ত  পদার্থবিজ্ঞানেও পরম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। নিউটন পরম স্থান এবং সময়ের জন্য তাত্ত্বিক ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। নিউটনের মতে, পরম সময় স্বাধীনভাবে বিদ্যমান এবং মহাবিশ্ব জুড়ে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ গতিতে চলে।

সমসাময়িক পদার্থবিজ্ঞানে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সময়ের শ্রেষ্ঠত্বের ধারণাকে খ-ন করে এবং একটি চার-মাত্রিক মহাবিশ্বের ধারণা দেয়। চতুর্থ মাত্রা হিসাবে তিনি সময়কে বোঝায় যা স্থানের সাথে আপেক্ষিক এবং অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। কোয়ান্টাম মডেল অনুসারে, স্থান সময় হল কঠিন এবং শূন্য  স্থানের একটি জালক। কোয়ান্টাম স্তরে সবকিছুই চেতনার অংশ। তাই সবকিছুই একক সত্তা। কোনো বস্তুরই স্থানিক নির্দিষ্টতা নেই। সুতরাং, আপেক্ষিক পদার্থবিদ্যা নির্দেশ করে যে দুটি স্থানের সমসাময়িক ক্রমের বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলি আপেক্ষিক। তাই কোনো পরম বর্তমান মুহূর্ত নেই, যা পরম স্থান-কালের সাথে মিনকোভস্কি স্থান-কালের বৈপরীত্যের দ্বারা স্পষ্ট হয়।

অন্যদিকে, সময়ের স্বত্তাতাত্ত্বিক প্রকৃতি ব্যাখ্যা করার জন্য দুটি দার্শনিক পদ্ধতি রয়েছে-‘প্রেজেন্টিজম’ এবং ‘ইটারনালিজম’। যেগুলি সময়ের A-তত্ত্ব এবং সময়ের  B-তত্ত্ব হিসাবেও পরিচিত। সময়ের ­­A- এবং B- তত্ত্বগুলিকে সময়ের ‘টেন্সড” এবং ‘টেন্সলেস’ তত্ত্ব হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। সময়ের দর্শনের একটি কেন্দ্রীয় বিতর্ক A-তাত্ত্বিক এবং B-তাত্ত্বিকদের মাঝে এখনো বিদ্যমান। সময়ের A-তত্ত্ব (প্রেজেন্টিজম) সাধারণত এই ধারণার সাথে যুক্ত যে বর্তমানকে অতীত ও ভবিষ্যৎ কাল থেকে কোনো না কোনোভাবে আধিভৌতিকভাবে বিশেষাধিকার বা একক আউট করা হয়। বাস্তবতা হচ্ছে গতিশীল ও ক্ষুদ্রের পাশাপাশি ক্রমাগত পরিবর্তনের একটি প্রক্রিয়া। A-তত্ত্বকে সময়ের একটি গতিশীল তত্ত্ব হিসাবেও বর্ণনা করা হয়েছে কারণ, অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের মধ্যে একটি বাস্তব পার্থক্য স্বীকৃত। অ-তাত্ত্বিকদের অ-নির্ধারণবাদীও বলা যেতে পারে। এই তত্ত্বটি একটি উন্মুক্ত মহাবিশ্বকে অনুমান করে। হেরাক্লিটাস বলেছিলেন, “আপনি একই নদীতে দুইবার অবগাহন করতে পারবেন না, কারণ পানি ক্রমাগত প্রবাহিত হয়।” [২] এই বিবৃতিটি তার মতবাদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যে, সবকিছু ক্রমাগত পরিবর্তনশীল। অতএব, A-তত্ত্ববিদদের অনির্ধারণবাদীও বলা যেতে পারে। এর বিপরীতে, সময়ের B-তত্ত্ব কেবলমাত্র সময়ের অস্থায়ী সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেয়, যেমন “পূর্বে” এবং “পরবর্তীতে”, কিন্তু প্রবাহমান বর্তমানকে নির্দেশ করে না(McTaggart 1980; Dummett 1978; Oaklander 2004)। এই তত্ত্বটি সময়ের  এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি যা অনুসারে সমস্ত ঘটনা (অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত) সমানভাবে বাস্তব। আমরা অতীতকে স্মরণ করি এবং ভবিষ্যতের দিকে তাকাই। ভবিষ্যত অতীতের চেয়ে কম বাস্তব নয়, আমরা এটি সম্পর্কে কম জানি। এটা স্পষ্ট যে পদার্থবিজ্ঞানের অনেক দিক B-তত্ত্বের সাথে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ, বিশেষ করে মিনকোস্কির আপেক্ষিকতায় স্থান-কালের পুনর্ব্যাখ্যা। প্রকৃতপক্ষে যখনই পদার্থবিদ্যায় স্থান-কালকে একটি ধারণা হিসাবে ব্যবহার করা হয় তখন আমরা একটি অ তত্ত্বের দৃষ্টিকোণ ব্যবহার করি। এটি লক্ষ্যণীয় যে, সমসাময়িক পদার্থবিজ্ঞানের সাথে এই দার্শনিক পদ্ধতির মিল থাকা সত্ত্বেও, যথেষ্ট উদ্দেশ্যমূলক সমৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়নি।

সময়ের প্রবাহ মহাবিশ্বের একটি বিষয়গত বৈশিষ্ট্য, ভৌত বর্ণনার কোন বস্তুনিষ্ঠ অংশ নয়। পদার্থবিজ্ঞান সময়ের চলমান অংশ সম্পর্কে আলোকপাত করে। কিন্তু অবশ্যই চলমান বৈশিষ্ট্যের একটি পরম শুরু আছে. যদি এই পরম শর্তটি বিবেচনা করা হয়, তাহলে আমাদের অবশ্যই নিউটনীয় পদার্থবিজ্ঞানে ফিরে যেতে হবে, যা সমসাময়িক পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্বকে হুমকির সম্মুখীন করে। সময়কে সংজ্ঞায়িত করার ক্ষেত্রে, পদার্থবিজ্ঞানও সময়কে তার সাধারণ পদ্ধতির অংশ হিসেবে বিবেচনা করেছে (JAN-KYRRE BERG OLSEN 2008, p.381)। তাই এটি শুধুমাত্র কিছু গাণিতিক নিশ্চয়তা দেয় কিন্তু সঠিকভাবে সময়ের মৌলিক উৎস অনুসন্ধান করে না। পদার্থবিদ্যা নিজেই একটি গতিশীল বা পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, যেখানে সবসময় সম্ভাবনা থাকে। তাই সময়ের সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, মেটাফিজিক্স, তার জ্ঞানতাত্ত্বিক ব্যাখ্যামূলক প্রকল্পের মাধ্যমে, এমন কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করে যা সময়ের প্রকৃত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারে কিন্তু এটিকে ভৌত জগতের সাথে সংযুক্ত করতে ব্যর্থ হয়। সময়ের বিশ্লেষণাত্মক মেটাফিজিশিয়ানরা প্রাথমিকভাবে পদার্থবিদদের উদ্দেশ্যমূলক সময়ের প্রতি আগ্রহী (REYNOLDS 2012, p. 66) । যাইহোক, প্রাকৃতিক বস্তুর বাস্তবতা এর বৈজ্ঞানিক অধ্যয়নের মাধ্যমে শেষ হয় না, বরং উপলব্ধির জগতকে এর সাথে যুক্ত করতে হবে। অতএব, আলোচনায় যে বৈপরীত্য লক্ষ্য করা যায় তা এড়াতে ভৌত ও আধিভৌতিক চিন্তার সমন্বয় প্রয়োজন।

রাফসান বিন আতা

ইন্সট্রাক্টর

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

ফ্রেন্ডশিপ সেন্ট্রার , গাইবান্ধা-01-01

ফ্রেন্ডশিপ সেন্ট্রার , গাইবান্ধা – পার্ট অফ মর্ডান আর্কিটেকচার অফ বাংলাদেশ

আধুনিক স্থাপত্য কলা বা Modern Architecture এর অংশ হিসেবে 32 হাজার বর্গফুট আয়তনের এক বিশাল এরিয়া তে নির্মিত হয়েছে ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার। বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনের পাড়া গ্রামের এক অদ্ভুত সুন্দর ভবন ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার। ভবনের ছাদ আর ভূপৃষ্ঠ সমান্তরালে তাই ভবনটির পাশ দিয়ে হঠাৎ হেটে গেলেও চোখে পড়বে না।

মাটির নিচে অত্যাধুনিক এই ভবন টি আর এর ছাদ ঘাস  দিয়ে ঢাকা। ভবনের ছাদের সবুজ ঘাস যেন মিশে গেছে চারপাশের প্রকৃতির সাথে। এমন অসাধারণ ভবনটির নকশাকার স্থপতি কাশেফ মাহবুব চৌধুরী। মাটির নিচে নির্মিত এ ভবন উপর থেকে দেখতে অনেকটা প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের মত।এর নির্মাণশৈলীর অনুপ্রেরণাও প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার মহাস্থানগড় থেকে পাওয়া । দূর থেকে ভবনটি সহজে চোখে পড়ে না ।

ভবনের জন্য নির্ধারিত জমি খুবই নিচু হওয়ায় পানি আটকাতে চারদিকে বাঁধ দেয়া হয়েছে।স্বল্প বাজেটের কারণে মাটি ভরাট করে নির্মাণের চিন্তাটা বাদ পড়েছিল শুরুতেই।এই কারণে ভবন নির্মাণ হয়েছে সাশ্রয়ী। এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে স্থানীয় লাল রঙ এর ইট ও সিমেন্টের গাঁথুনি এবং এতে কোনো প্লাস্টার ব্যবহার হয়নি। ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার নির্মাণে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছে এবং ভবনটি নির্মাণের খরচ হয়েছে আনুমানিক আট কোটি টাকা। এই প্রজেক্ট এর ডিজাইনের কাজ ২০০৮ সালে শুরু হলেও নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১১ সালে।

পুরো সেন্টারে  দুই টি ব্লক রয়েছে । “ক” ব্লকে মূলত অফিস, ট্রেনিং সেন্টার, লাইব্রেরী আর অন্যদিকে “খ” ব্লক আবাসন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। রুমের অবস্থান ও কার্যক্রম অনুসারে পু্রো নির্মাণ এলাকা 24 ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন লাইব্রেরী, এডমিন রুম, পার্কিং ,রিসেপশন ইত্যাদি। এদের একটির সঙ্গে আরেকটি সংযুক্ত বারান্দা ও খোলা প্যাভেলিয়ন দিয়ে।

যেহেতু এটি একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তাই প্রশিক্ষণার্থীদের সুবিধার্থে শান্ত পরিবেশ বজায় রাখার উদ্দেশ্যেই এই ভবনটি নির্মিত হয়। পর্যাপ্ত আলো আর  বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এতে। ভবনের ছাদে সবুজ ঘাসে ঢাকা ও কক্ষগুলো মাটির নিচে থাকায় প্রাকৃতিক ভাবে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা থাকে। যেসব ঘর একেবারে অন্ধকার সেখানে প্রাকৃতিক আলোর উৎস স্কাইলাইট রয়েছে, ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা ও প্রাকৃতিক। প্রতিটি ব্লকের উচ্চতা সমান।পুরো বিল্ডিং এর লাইট কোর্ট আর  উন্মুক্ত চাতাল আলোছায়ার দারুন সমাহার তৈরি করে।ভবন এলাকায় ৫টি ওয়াটার পুল আছে ।ছাদে যাতে পানি জমে না থাকে সে জন্য পুরো ছাদে  চমৎকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে। এসব ড্রেনই  প্রকৃতির সঙ্গে মিশে দৃষ্টির আড়ালে রয়েছে।স্থানীয়ভাবে তৈরী ইটের গাথুনির দিয়ে নির্মিত ভবনটিতে প্রতিদিনই কৌতুহলী মানুষের ভীড় জমে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের পুরস্কারের জন্য বিশ্বের 384 স্থাপনাকে পেছনে ফেলে  চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার 19 টি  স্থাপত্যের মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার ও ছিল । বাংলাদেশের এই স্থাপনাটি 2014 থেকে 2016 সালের শ্রেষ্ঠ স্থাপনা হিসেবে সম্মানজনক আগা খান আওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়।

সবুজ আর শান্তভাবে প্রকৃতির মাঝে বেঁচে মিশে থাকায় এই ভবনটি হয়েছে আধুনিক স্থাপত্য কলা বা Modern Architecture এর এক অসাধারণ নিদর্শন ।

লেখক

লিমা আক্তার 

জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর

আর্কিটেকচার এন্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

Rutherford Atomic Model-01

রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল

পরমাণুর মডেল সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানী তাদের নিজস্ব পরীক্ষালব্ধ মতবাদ প্রদান করেছেন । তাদের এই মতবাদগুলো পরমাণুর মডেল নামে পরিচিত। আজকে আমরা পরমাণুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মডেল রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল নিয়ে আলোচনা করব।

১৯১১ সালে বিজ্ঞানী আর্নেস্ট রাদারফোর্ড তার আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষার মাধ্যমে পরমাণুর গঠন সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রদান করেন।  যা পরবর্তীতে রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল নামে পরিচিতি লাভ করে।

এই মডেল সম্পর্কে তিনি যা যা বলেন-

১.  পরমাণুর কেন্দ্রস্থলে একটি ভারী বস্তু বিদ্যমান।  যাকে তিনি পরমাণুর কেন্দ্র/ নিউক্লিয়াস নামে অভিহিত করেন।

২. একটি পরমাণুর মোট আয়তনের তুলনায় তার নিউক্লিয়াসের আয়তন খুবই ছোট। যেমন আমাদের  দেহের মোট আয়তনের তুলনায় মস্তিষ্কের আয়তন খুবই নগণ্য।

৩. পরমাণু সামগ্রিকভাবে চার্জ নিরপেক্ষ হয় কারণ একটি পরমাণু তে যে পরিমাণ ধনাত্মক চার্জ রয়েছে ঠিক তার সমপরিমাণ বিপরীত ধর্মী  ইলেকট্রন রয়েছে।

৪. সূর্যের চারদিকে যেমন বিভিন্ন গ্রহ গুলো ঘুরছে ঠিক তেমনি একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসের চারদিকে ইলেকট্রন গুলো  ঘুরছে ।  পরমাণুর এরূপ আচরণের জন্য  রাদারফোর্ড তার মডেলটিকে সৌর মডেল বলে বিবেচনা করলেন।

৫. ধনাত্মক চার্জবিশিষ্ট নিউক্লিয়াস ও ঋণাত্মক চার্জবিশিষ্ট ইলেকট্রনের মধ্যে একটি স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ বল বিদ্যমান। এ আকর্ষণ বল ও ঘূর্ণনের ফলে তৈরি কেন্দ্রবিমুখী বল সমান। ফলে পরমাণুটি স্থিতিশীল হয়।

রাদারফোর্ডের পরমাণুর মডেলেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

১। এ মডেলের সাহায্যে পরমাণুর বর্ণালির কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।

২। এ মডেলে ইলেকট্রনের কক্ষপথের আকার ও আকৃতি সম্পর্কে কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি।

৩। রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল শুধু একটি ইলেকট্রন কিভাবে পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘোরে, তা বর্ণনা করতে পারলেও একাধিক ইলেকট্রন কিভাবে পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরবে তা বর্ণনা করতে পারেনি।

৪। ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগ সম্পর্কে কোনো ধারণা দেয়নি।

৫। রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলে পরমাণুর নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রনকে সৌরজগতে সূর্য ও গ্রহের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কিন্তু সৌরজগতের সূর্য ও গ্রহগুলো সাধারণ চার্জনিরপেক্ষ। অন্যদিকে পরমাণুর নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রন চার্জযুক্ত। তাই চার্জহীন বস্তুর সঙ্গে চার্জযুক্ত বস্তুর তুলনা করা ঠিক হয়নি।

Ref. Link- https://www.youtube.com/watch?v=TbAa9K41PVM

লেখক
মোঃ আলামিন হোসেন
লেকচারার
ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট