How To Build Terrazo Flooring For Aesthetic Work-01

টেরাজো ফ্লোরিং নির্মাণ করার পদ্ধতি

টেরাজো ফ্লোরিং : সাধারণত পাথরের পরিবর্তে যদি মার্বেল পাথরের ছোট ছোট দানা বা খ- দিয়ে মেঝের পৃষ্ঠ তৈরি করা হয , তখন সেই কৃত্রিম পাথরের মেঝেকে টেরাজো ফ্লোরিং বলে । এই ধরনের মেঝে দেখতে সুন্দর এবং ঘর্ষণজনিত ক্ষয় প্রতিরোধী বলে বর্তমানে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে । আবাসিক ভবন , অফিস , স্কুল , হাসপাতাল , ব্যাংক ইত্যাদি জায়গায় এই মেঝে ব্যবহকৃত হয়। এটিকে ডেকোরেটিভ মেঝেও বলে।

সাদা অথবা রঙিন সিমেন্ট এবং বিভিন্ন রং এর মার্বেল পাথরের ছোট দানা বা খ- ১ : ৩ অনুপাতে মিসিয়ে  সিসি ফ্লোরের নিয়মে প্রস্তুতকৃত কংক্রিট বেইজের উপরের ৩৪ মিমি পুরু সিমেন্ট কংক্রিট ( ১ : ২ : ৪ ) এর স্তর স্থাপন করে এর উপরে ৬ মিমি পুরু মার্বেল পাথর কুচির টপিং নির্মাণ করাকে টেরাজো ফ্লোরিং বলে ।

নির্মাণ পদ্ধতি : কংক্রিট বেইজের উপর টপিং বা ফ্লোরিং নির্মাণের পূর্বে সমস্ত জায়গাটিকে এলুমিনিয়াম , ব্রাস বা কাচের সরু পাত দ্বারা কতগুলো ছোট ছোট প্যানেলে বিভিন্ন ডিজাইনে বিভক্ত করা হয়। একে সেপারেটরও বলে । সেপারেটর পাতের চওড়া ১.৫ থেকে ২ মিমি এবং উচ্চতা ফ্লোর এর চেয়ে সামান্য বেশি হবে , যাতে টপিং তৈরি এবং ঘষার পরে একই সমতালে থাকতে পারে । কংক্রিট বেইজের উপরিভাগের ধূলা বালি পরিষ্কার করে পানি দ্বারা ভিজাতে হবে । ভিজা পৃষ্ঠ সিমেন্ট গ্রাউড করে ১ : ২ : ৪ অনুপাতের মসলা দ্বারা অলটারনেট প্যানেলগুলোর ঢালাই এর কাজ সমাধান করতে হবে । উপরিতল শক্ত হলে টেরোজো মিশ্রণ ( পাথর কুচি , সিমেন্ট এবং পানি ) বিছিয়ে সমতল করে দিতে হবে । রোলিং এবং টেম্পিং কাজ চলাকালীন সময়ে কিছু মার্বেল দানা ছড়িয়ে  দেওয়া যেতে পারে । যাতে মেঝের ৪০ % জায়গাতে মার্বেল দানা দেখা যায় । পাট্টা ও কর্ণিক দ্বারা সমতল করে ১২ থেকে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত শুকাতে দেওয়া হয় ।শুকানোর পর ২ – ৩ দিন পর্যন্ত কিউরিং করা হয় ।

মেঝে ঢালাই এর ৭ দিন পর ঘষার কাজ আরম্ভ করতে হয় । ঘষার জন্য যে কৃত্রিম পাথর ব্যবহার করা হয় তাকে কার্বোরেন্ডাম ( Carborundum ) বা ঘষা পাথর বলে । তিন প্রকার ঘষা পাথর পাওয়া যায়  । যেমন- মোটা , মাঝারি এবং সরু দানার পাথর । প্রথমে মেঝেকে পানি দ্বারা ধুয়ে পানি সহযোগে মোটা দানার ( ৬০ নং ) পাথর দ্বারা ঘষতে হবে । কোথাও বেশি ঘষা হলে অথবা ছিদ্র অথবা গর্ত দেখা দিলে একই রংয়ের ঘন সিমেন্ট গ্রাউট প্রয়োগ করতে হবেসরু দানার পাথর দ্বারা মেঝে ঘষা শেষ হলে মেঝেকে ভালভাবে পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলতে হবে । তারপর অকজেলিক এসিডের পাতলা দ্রবণ ( এসিড + পানি ) মেঝেতে ছিটিয়ে দিয়ে কাঠের উশো দিয়ে মেঝে ঘষতে হবে ।

জয়ন্ত চন্দ্র

ইন্সট্রাকটর

সিভিল টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

Tags: No tags

Comments are closed.